কেন
এ হৃদয় চঞ্চল হল
শিল্পী: সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়;ছবি: নায়িকা সংবাদ
কেন এ হৃদয় চঞ্চল হল
কে যেন ডাকে বারে বারে
কেন, বল কেন?
আমি ফুল দেখেছি
ফুল ফুটতে কখনো দেখি নি
আজ মনে হয় এই শিহরণ
এই বুঝি ফুটলো আমার কলি।
কেন এ কণ্ঠে এলো গান
কেন, বল কেন?
এ এক মধুর নেশা যেন
কেন, বল কেন?
কি যে সুর শুনেছি
সুর ভুলতে এখনো পারি নি;
আজ মনে হয় গান হয়ে মোর
তাই বুঝি ফুটছে কথার কলি।
আগের
পাতা
তুমি
না হয় রহিতে কাছে
শিল্পী: সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়;ছবি: পথে হল দেরি
তুমি না হয় রহিতে কাছে,
কিছুক্ষণ আরও না হয় রহিতে কাছে;
আরো কিছু কথানা হয় বলিতে মোরে
এই মধুক্ষণ মধুময় হয়ে না হয় উঠিত ভরে।
সুরে সুরভিতে না হয় ভরিত
বেলা
মোর এলোচুল লয়ে বাতাস করিত খেলা
ব্যকুল কত না বকুলের কুঁড়ি রয়ে রয়ে যেত ঝরে
ওগো, না হয় রহিতে কাছে।
কিছু নিয়ে গিয়ে ওগো মোর
মনোময়,
সুন্দরতর হত না কি বল একটু ছোঁয়ার পরিচয়।
ভাবের লীলায় না হয় ভরিত
আঁখি,
আমারে না হয় আরও কাছে নিতে ডাকি;
না হয় শোনাতে মরমের কথা মোর দুটি হাত ধরে
ওগো না হয় রহিতে কাছে।
আগের
পাতা
আরও
কতদিন আমি খুঁজেছি তোমাকে
শিল্পী: আরতি মুখোপাধ্যায়
আরও কতদিন আমি খুঁজেছি
তোমাকে
জানি না যদি ভুল হয়ে থাকে;
খুঁজেছি তোমাকে আঁধার আলোকে।
স্বপ্ন মুখর রাতে
তন্দ্রাহারা প্রাতে
জীবনের সংঘাতে
শূন্যতারই ফাঁকে।
তোমারই প্রতীক্ষায়
কখনও ঝঞ্ঝায়
মৌন সন্ধ্যায়
রয়েছি অন্ধ আশায়।
অন্তহীন এই পথে
চলেছি কোনও মতে
জানি না ভবিষ্যতে
ডাকবে কি আমাকে।
আগের
পাতা
গানে
মোর কোন ইন্দ্রধনু
শিল্পী: সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়;ছবি: অগ্নি পরীক্ষা
গানে মোর কোন ইন্দ্রধনু
আজ স্বপ্ন ছাড়াতে চায়
হৃদয় ভরাতে চায় - প্রাণে মোর।
মিতা মোর কাকলি কুহু
সুর শুধু যে ছড়াতে চায়
আবেশ ঝরাতে চায় - প্রাণে মোর।
মৌমাছিদের গীতালি
পাখায় বাজায় মিতালি
মীড় দোলানো সুরে আমায়
কণ্ঠে মালা পরাতে চায়।
আগের
পাতা
না
বলে এসেছি তাবলে ভেবো না
শিল্পী: আরতি মুখোপাধ্যায়
না বলে এসেছি তাবলে ভেবো
না
না বলে বিদায় নেবো;
চলে যাই যদি যেন হই নদী
সাগরে হারিয়ে যাবো।
অন্ধ আবেগে বলতে চেয়েছি
হয় নি যে-কথা বলা
কৃষ্ণচুড়াতে পথ ঢেকেছিল
হয় নি সে পথে চলা।
এই নির্জনে নয়নে নয়নে
প্রেমের কবিতা ভাবো।
তোমাকে দেখার লুকনো আশায়
অঙ্গে গোধুলি ভরা
শুধু বারে বারে ফিরে ফিরে চাওয়া
হৃদয়ে নৃত্য করা।
লজ্জা জড়ানো গন্ধ ছড়িয়ে
জাগতে পারে নি কুঁড়ি
লক্ষ মরণে মরতে চেয়েছি
সয় নি সে লুকোচুরি।
আজ এই ক্ষণে বুঝিনি গোপনে
নিজেরে আবার পাবো।
আগের
পাতা
আমার
গানের স্বরলিপি লেখা রবে
শিল্পী: হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
আমার গানের স্বরলিপি লেখা
রবে
পান্থ পাখির কুজন কাকলি ঘিরে
আগামী পৃথিবী কান পেতে তুমি শোন
আমি যদি আর নাই আসি হেথা ফিরে।
অশথের ছায়ে মাঠের প্রান্তে
দূরে
রাখালি বাঁশীর বেজে বেজে ওঠা সুরে
আমার এ গান খুঁজো তুমি তারি মীড়ে।
ঝরা পাতাদের মর্মর ধবনি
মাঝে
কান পেতে শোন অশ্রুতে সুরে
মোর এই গান বাজে।
পরাগ ঝরানো স্বপ্ন ভরানো
বনে
ভ্রমর যেথায় সুর তোলে মনে মনে
আমার এ গান খুঁজো তুমি তারি মীড়ে।
আগের
পাতা
মুছে
যাওয়া দিনগুলি
শিল্পী: হেমন্ত মুখোপাধ্যায়;ছবি:
লুকোচুরি
মুছে যাওয়া দিনগুলি
আমায় যে পিছু ডাকে
স্মৃতি যেন আমার এ হৃদয়ের
বেদনার রঙে রঙে ছবি অাঁকে।
মনে পড়ে যায় - মনে পড়ে যায়
মনে পড়ে যায় সেই প্রথম দেখার স্মৃতি
মনে পড়ে যায় সেই হৃদয় দেবার তিথি
দুজনার দুটি পথ মিশে গেল এক হয়ে নতুন পথের বাঁকে।
সে এক নতুন দেশে
দিনগুলি ছিল যে মুখর কত গানে
সেই সুর কাঁদে আজ আমার প্রাণে।
ভেঙ্গে গেছে হায়, ভেঙ্গে
গেছে হায়;
ভেঙ্গে গেছে আজ সেই মধুর মিলন মেলা,
ভেঙ্গে গেছে আজ সেই হাসি আর গানের খেলা।
কোথায় কখন কবে কোন তারা ঝরে গেল
আকাশ কি মনে রাখে।
আগের
পাতা
ধিতাং
ধিতাং বোলে
শিল্পী: হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
ধিতাং ধিতাং বোলে
এ মাদলে তান তোলে
কার আনন্দে উচ্ছলে আকাশ ভরে জোছনায়।
আয় ছুটে সকলে
এই মাটির ধরা তলে
আজ হাসির কলরলে নতুন জীবন গড়ি আয়।
আয়রে আয়, লগন বয়ে যায়,
মেঘ গুড় গুড় করে চাঁদের সীমানায়।
পারুল বোন ডাকে চম্পা ছুটে আয়,
বর্গীরা সব হাঁকে, কোমর বেঁধে আয়।
ধিনাক না তিন তিনা
এই বাজায় প্রাণে বীণা
আজ সবার মিলন বিনা এমন জীবন বৃথা যায়;
এদেশ তোমার আমার
এই আমরা ভরি খামার
আর আমরা গড়ি স্বপন দিয়ে সোনার কামনায়।
আগের
পাতা