সেই
তো আবার কাছে এলে
শিল্পী:মান্না দে
সেই তো আবার কাছে এলে
এতদিন দূরে থেকে বলো না
কি সুখ তুমি পেলে
নিজ হাতে মণিদ্বীপ নিভায়ে
আবার নিজেই দিলে জ্বেলে।
তুমি তো আবার ভালো চেনো
তুমি ছাড়া কোনো গান
ভাবতেই পারি নি তা জেনো।
তবু যদি ভাব সব ছলনা -
সেই কথা মুখে কেন বল না।
ঝরা মালা কেন দাও পরায়ে
ধূলিতে দাও না তারে ফেলে।
আগের
পাতা
ও
আমার মন-যমুনার অঙ্গে অঙ্গে
শিল্পী:মান্না দে
ও আমার মন-যমুনার অঙ্গে
অঙ্গে
ভাব তরঙ্গে কতই খেলা
বঁধু কি তীরে বসে মধুর হেসে
দেখবে শুধু সারাবেলা।
ও রূপের মিথ্যে গরব
অমন যদি বিরূপ থাকে
ও গুণে দাম কি বল
লাজেই যদি আগুন ঢাকে।
কবে আর আসবে সময়, বাসবে ভালো
আসবে কি ময়ূরপÍী ভেলা।
কি এতো হিসেব কর
অবিচারের ভয় করে যে;
কি এতো বিচার করা
যে হিসেবের ভুল ধরে যে।
এখনো ডুব না দিলে
করবে স্নান হয় গো কবে;
গাগরী ভরার বেলা
অবহেলায় সাঙ্গ হবে;
মনের ঐ সোনা যে হয় আনমনা গো,
দিন গোনাও মাটির ঢেলা।
আগের
পাতা
তুমি
আর ডেকো না
শিল্পী:মান্না দে
তুমি আর ডেকো না, পিছু
ডেকো না
আমি চলে যাই, শুধু বলে যাই
তোমার হৃদয়ে মোর স্মৃতি রেখো না।
আঁখিজল কভু ফেলো না
নিবিড় আঁধারে একা
দ্বীপ আর জ্বেলো না
পথ আর চেয়ে থেকো না।
জানি মোর কিছু রবে না
তোমার আমার দেখা
এ জীবনে আর হবে না।
আমার এই চলে যাওয়া
চেয়ে দেখো না
অকারণে ব্যথা পেয়ো না
হারালে যাহারে আজ
তারে আর ফিরে চেওনা
বেদনার হাসি ঢেকো না - পিছু ডেকো না।
আগের
পাতা
এই
কূলে আমি
শিল্পী:মান্না দে
এই কূলে আমি আর ঐ কূলে
তুমি
মাঝখানে নদী ঐ বয়ে চলে যায়।
দুটি পাখি দুটি কূলে গান যেন গায়।
যুগে যুগে তুমি মোরে
বেঁধেছিলে ফুলডোরে
তাই আজ বসে থাকি আশায় আশায়।
দূরে আছো তবু কথা হয় বিনিময়
জানিনা তো কী নিবিঢ় এই পরিচয়।
দেখি আমি চোখ মেলে
মনের মাধুরী ঢেলে
তুমি যে গো ভেসে এলে
প্রাণের খেয়ায়।
আগের
পাতা
এক
ঝাঁক পাখিদের মত কিছু রদ্দুর
শিল্পী: মান্না দে
এক ঝাঁক পাখিদের মত কিছু
রদ্দুর
বাধা ভেঙ্গে জানলার শার্শী সমুদ্দুর
একঝাঁক পাখিদের মত কিছু রদ্দুর
বদ্ধ ঘরের এই কোণ ছাড়িয়ে।
রাস্তায় দিল যারা পা বাড়িয়ে
সেই অন্ধকারের মন সঙ্গে নিয়ে যে
সূর্যের সাথে ওরা এলো কত দূরে।
পায়ে পায়ে সন্ধ্যার ক্লান্তি
নিয়ে
যারা যারা ফিরে শহরে নগরে
পায় কি মনে তারা সূর্যের গতিবেগ
অস্তরাগের ছোঁয়া অন্তরে।
রাত্রি যেন এক রাজকন্যে
বন্দিনী হয়ে এক অরণ্যে
তার কান্না ভেজা মন প্রশ্ন চোখেতে
কবে আসবে রাজপুত্তুর।
আগের
পাতা
তীর
ভাঙা ঢেউ আর নীড় ভাঙা ঝড়
শিল্পী: মান্না দে
তীর ভাঙা ঢেউ আর নীড় ভাঙা
ঝড়
তারই মাঝে প্রেম যেন গড়ে খেলাঘর
চাঁদ হাসে তাই যেন উল্লাসে
ঐ
রঙের মাধুরী লয়ে ফুল হাসে ঐ
নিকটের পানে চাহি কাঁদে যে।
অদেখার বাঁশরী কে সুর সাধে গো।
সব শেষে পল্লবে জাগে মর্মর
তৃষ্ণায় কাছে ডাকে মরুমায়া গো
ক্লান্তিতে মুছে দেয় তরুছায়া গো।
চিরদিন রয় ব্যথা বন্ধন
হায়
হাসি যেন মিশে আছে ক্রন্দনে হায়
সৌরভে গৌরবে ধূপ জ্বলে ঐ
আলো আর আঁধারের খেলা চলে ঐ
অন্তরে ধূ ধূ করে বালুচর।
আগের
পাতা
কত
দূরে আর নিয়ে যাবে বল
শিল্পী: মান্না দে
কত দূরে আর নিয়ে যাবে বল
কোথায় পথ প্রান্তরে
ঠিকানা হারায়ে চরণের গতি
হয় নি কি কভু ক্লান্ত।
পিছনের পথে উঠিছে ধূলির
ঝড়
সমুখে অন্ধকার
বল তবে ওগো
কবে হবে অভিসার।
তৃষিত আমারে কোর নাগো তুমি ভ্রান্ত।
তবুও তো যেতে হবে
কাঁটা বিঁধে পায়
যদি গো রক্ত ঝরে
অশ্রুতে মোর তবু ছুঁয়ে রবে।
প্রদীপের পায়ে প্রজাপতি
তার প্রেম
করে গো সমর্পণ;
সেতো মরণের কাছে
জীবনের নিবেদন।
ঝড় চলে গেলে, পৃথিবী রয় যে শান্ত।
আগের
পাতা
আমি
কোন পথে যে চলি
শিল্পী: মান্না দে; ছবি: ছদ্মবেশী
আমি কোন পথে যে চলি
কোন কথা যে বলি
তোমায় সামনে পেয়েও খুঁজে বেড়াই
মনের চোরা গলি।
সেই গলিতে ঢুকতে গিয়ে
হোঁচট খেয়ে দেখি
বন্ধì সেজে বিপদ আবার
দাঁড়িয়ে আছে একি
(উঃ) ভয়েরই পাঁঠাতে হয়ে গেলাম পাঁঠাবলি।
এখন আমি লেংচে মরি
ওরে বাবা, লেংচে মরি
পালিয়ে যাবার রাস্তা ধরি।
হয়তো মনের জানলা খুলে
তুমিই ছিলে বসে;
ভেস্তে গেল সুন্দরী গো
সবই কপাল দোষে
করেছি যে কি ভুল নিজেই নিজের দু-কান মুলি।
আগের
পাতা