প্রথম পাতা

শহরের তথ্য

বিনোদন

খবর

আইন/প্রশাসন

বিজ্ঞান/প্রযুক্তি

শিল্প/সাহিত্য

সমাজ/সংস্কৃতি

স্বাস্থ্য

নারী

পরিবেশ

অবসর

 

বিবিধ প্রসঙ্গ: হিন্দু বিধবা

এককালে স্বামীর মৃতু্যর পর কমবয়সী বিধবাদের সহমরণে যাবার জন্য চাপ দেওয়া হত*, না হয় তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া হত বাপের বাড়িতে। পতিগৃহে সাধারণভাবে তাঁদের স্থান ছিল না। সিঁথির সিঁদুর মুছে, দেহের সব অলঙ্কার খুলে ফেলে, চুল কেটে, সাদা থান পরে, এক বেলা নিরামিষ খেয়ে অনশন-ক্লিষ্ট অবস্থায় তাঁদের বৈধব্য পালন করতে হত। পাছে বিধবা নারীর যৌবন, দীর্ঘ কেশ ও রঙিন শাড়ী-গয়নায় পুরুষরা আকৃষ্ট হয় - তাই এই ব্যবস্থা। বিধবা নারীর নিজের মধ্যেও যেন কামনার উদ্রেক না হয়, তারজন্য শুধু আমিষ বর্জন নয়, অনেক জায়গাতে মুসুর ডাল, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি খাওয়ার ব্যাপারেও বাধানিষেধ ছিল, কারণ এগুলি এবং আমিষকে মনে করা হত কামোত্তেজক খাদ্য! বাপের বাড়িতে ভাইদের সংসারেও বিধবাদের স্থান উচ্চে ছিল না। বাড়ির সব কাজ তাঁদের দিয়েই করানো হত। বিধবাদের পুনর্বিবাহ কল্পনা করাও ছিল পাপ। বিধবারা সংসারের কাজ করে শুদ্ধমনে পবিত্র জীবনযাপন করবে এইটেই ছিল সমাজের দাবী। বহু বিধবাকে জোর করে তীর্থক্ষেত্রে রেখে আসা হত। চোখের আড়ালে কাশী, বৃন্দাবন ইত্যাদি জায়গায় তাঁরা কীভাবে জীবন-যাপন করছে - সে খবরও কেউ রাখতো না।
এই অবস্থার কিছু পরিবর্তন এখন নিশ্চয় হয়েছে। কিছু প্রগতিশীল লোক সমাজের বিরুদ্ধে গিয়ে বিধবাদের এই অশেষ দুর্ভোগ কমানোর জন্য বহু বছর ধরে লড়াই করেছেন। যারজন্য বিধবাদের স্বার্থ রক্ষার্থে সৃষ্টি হয়েছে নানান আইন। কিন্তু শুধু আইন সমাজের চিত্রকে পাল্টাতে পারে না। সেইসঙ্গে প্রয়োজন সমাজের সর্বস্তরে এ বিষয়ে সচেতনতা এবং বাধা নিষেধ সরিয়ে নারীদের স্বনির্ভর হবার পথে এগোতে দেওয়া।
বিধবা মেয়েদের সমাজের চরম পীড়ন থেকে রক্ষা করার জন্য প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আইনটি হল ১৮২৭ সালের সতীদাহ নিবারণ আইন। এই আইনে সতীদাহকে বে-আইনী বলে ঘোষণা করা হয় এবং তারজন্য শাস্তির বিধান দেওয়া হয়। এই আইন হিন্দুদের ধর্ম ও সংস্কৃতিকে অবমাননা করছে বলে সেযুগের নামীদামী অনেকেই (বলা বাহুল্য সবাই পুরুষ) ঘোরতর আপত্তি তুলেছিলেন। কিন্তু রামমোহন রায় ও অন্যান্য শুভবুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তির প্রচেষ্টায় তাঁদের আপত্তি টেঁকে নি। এঁদের এবং পরবর্তী কালে বহুলোকের আন্তরিক চেষ্টায় সতীদাহ সম্পর্কে সচেতনতা ভারতবর্ষে এতদিনে কিছুটা এসেছে এবং সংবাদপত্রের প্রচারে ও আইনের ভয়ে এই প্রথা প্রায় লুপ্ত।
১৮৫৬ সালে গৃহীত বিধবাবিবাহ আইনটি বিধবাদের স্বার্থ-রক্ষার জন্য আরেকটি বড় পদক্ষেপ। এ ব্যাপারে বিদ্যাসাগরের একটা বড় ভূমিকা ছিল। বিধবাবিবাহ অবশ্য এই আইনের আগেও হয়েছে। ইংলিশম্যান পত্রিকায় ১৮৫৪ সালে কৃষ্ণনগরে একটি পনেরো বছর বয়স্কা বিধবার পুনর্বিবাহের খবর প্রকাশিত হয়। ঐ সময়ের কিছু আগের থেকেই সমাজের কিছু প্রগতিশীল লোক পণ্ডিতদের সাহায্যে প্রমাণ করার চেষ্টা করছিলেন যে, বিধবা-বিবাহ শাস্ত্রসন্মত। তবে বিদ্যাসাগর বুঝতে পেরেছিলেন, এটি শুধু শাস্ত্রসন্মত প্রমাণ করলেই সমাজ তা মানবে না, এটির জন্য আইনের সমর্থন প্রয়োজন। বিদ্যাসাগর, বর্ধমানের মহারাজা, কৃষ্ণনগরের মহারাজা ও আরও কিছু ব্যক্তির বিশেষ প্রচেষ্টায় বিধবাবিবাহ আন্দোলন জোরদার হয় এবং বিধবাবিবাহ আইনটি প্রণয়ন করা হয়।
বিধবাবিবাহ আইন গৃহীত হয় ২৬শে জুলাই, তার চার মাস বাদে ৭ই ডিসেম্বর বিদ্যাসাগর ঘটা করে একটি বিধবার বিবাহ দেন। কিন্তু সাধারণভাবে সেই সময়কার হিন্দুসমাজ বিধবাবিবাহকে স্বীকৃতি দেয় নি। যাঁরা এর সঙ্গে যুক্ত তাঁদের সবাইকেই সমাজের কাছে অল্পবিস্তর বিড়ম্বিত হতে হয়েছে। দুঃখের বিষয় আজ দেড়শো বছর বাদেও বিধবাবিবাহকে হিন্দুসমাজ সুনজরে দেখে না। বিধবাদের পুনর্বিবাহ হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু সংখ্যায় সেগুলি নগণ্য। ২০০৬ সালের হিসেব জানা নেই, কিন্তু ১৯৭৭ সালে, যেখানে বিধবাবিবাহ আন্দোলনের সূত্রপাত, সেই পশ্চিমবঙ্গে মাত্র ৫৪ টি বিধবাবিবাহ হয়েছে বলে প্রকাশিত একটি খবর থেকে জানা যায়।
এর পরের উল্লেখযোগ্য আইনটি হল বাল্যবিবাহ বন্ধ করার আইন। এটি সৃষ্টি হয়েছিল মূলতঃ উপযুক্ত বয়সের আগে সহবাস থেকে মেয়েদের রক্ষা করা। কিন্তু এর একটা পাশ্র্বফল হল বালবিধবার সংখ্যা হ্রাস। ১৯২৯ সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে হিন্দুনারীর নু্যনতম বিবাহযোগ্য বয়স ১২ বছর ধার্য করা হয়েছিল। পরে হিন্দু বিবাহ আইনে সংশোধিত হয়ে এখন সেটা ১৮ বছর হয়েছে। কিন্তু কম বয়সে মেয়েদের বিবাহ দেওয়া কিছুটা কমলেও, এখনও তা চলছে।
উপরের আইনগুলি হিন্দুবিধবাদের স্বার্থ চিন্তা করে রচিত হলেও শুধু এগুলোকে আশ্রয় করে ওঁদের সমস্যা দূর করা সম্ভব নয়। এটি হল গভীর সামাজিক সমস্যা, যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে পুরুষশাসিত সমাজের নানান স্বার্থ। সেই স্বার্থের খাতিরেই বিধবাদের এখনও অবদমিত করে রাখা হচ্ছে - ধর্মটা হল দোহাই। নারীদের শিক্ষার বিস্তার, আর্থিক স্বনির্ভরতা, আর সেই সঙ্গে প্রশাসন ও সমাজের প্রগতিশীল অংশের সক্রিয় সহযোগিতা - এগুলো যুক্ত হলেই হিন্দুবিধবা সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব। অর্থাত্ সমস্যার মূল উত্পাটনের জন্য বিশাল প্রকল্পের দরকার।
স্বামীর মৃতু্যর পর সদ্য-বিধবার সবচেয়ে বড় চিন্তা হল বাসস্থানের। স্বামীগৃহ যেটি তাঁর নিজের ঘর বলে বিয়ের পর ভাবতে শিখেছেন, রাতারাতি যেন তাঁর সব দাবী সেখান থেকে অদৃশ্য হয়।** অনেক সময়ে সেখান থেকে কিছুদিনের মধ্যেই তিনি বিতাড়িত হন। অথবা এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়, যে নিজের থেকেই সেখান থেকে চলে যেতে মন চায়। আবার যে বাড়ি ছেড়ে বিয়ের পর তিনি চলে এসেছিলেন সেই পিতৃগৃহে ফেরাটাও কষ্টকর। বহুক্ষেত্রে পিতামাতা বেঁচে থাকলেও তখন তাঁরা অশক্ত, পুত্রের উপর নির্ভরশীল। তাই ভাইদের সংসারে গেলেও সেখানে তাঁকে গলগ্রহ হয়েই থাকতে হয়।
বহু বিধবা নারীই জানেন না যে, বাসস্থান বা সম্পত্তির ব্যাপারে আইন তাঁকে বঞ্চিত করে নি। নতুন আইনেতো বটেই ১৯৩৭ সালে রচিত হিন্দু নারীর সম্পত্তি অধিকার আইনেও (Hindu Women's Right to Property Act, 1937) মৃত স্বামীর সম্পত্তিতে বিধবার অধিকার ছিল। অধিকারটা অবশ্য নিরঙ্কুশ ছিল না - দেওয়া হয়েছিল বিধবার জীবদ্দশা পর্যন্ত। তবে শর্ত ছিল যে, পুনর্বিবাহ করলে সেই অধিকার থেকে বিধবা বঞ্চিত হবেন। ১৯৫৬ সালের হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে নারীর সম্পত্তি সংক্রান্ত অধিকারকে পূর্ণ অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। আজকে যদি কোনো হিন্দু বিধবা ১৯৫৬ হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে সম্পত্তির উপর অধিকার পান, তাহলে পুনর্বিবাহ করলেও সেই সম্পত্তি তিনি হারাবেন না। তবে পতিগৃহে মৃতস্বামীর স্বজনদের উপর বা নিজের বাড়িতে ভাইদের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবে বলে, হিন্দু বিধবারা অনেক সময়েই তাঁদের প্রাপ্য সম্পত্তি দাবী করতে চান না। পিতার মৃতু্যর পর বহু বিধবা নারীই নিজের দাবী প্রত্যাহার করে ভাইরা যাতে তাঁর ভাগ পান - সেইমত এফিডেভিট দাখিল করেন। অনেক সময়ে তাঁর নিজের সাবালক পুত্রকে সম্পত্তি দিয়ে দেন। সব সময়েই এই আশায় যে, এঁরা তাঁদের ভরণপোষণ করবেন। স্বামীর সম্পত্তির ক্ষেত্রে যে বিধবার শিশুসন্তান আছে তাঁর দাবী সমাজ মেনে নিলেও, অপুত্রক বিধবার দাবী অনেকেই সুনজরে দেখেন না। সমাজের ভয়ে সম্পত্তিতে পূর্ণ অধিকার আছে জেনেও অনেক বিধবা তাঁদের দাবী প্রতিষ্ঠা করতে সাহস পান না।
তবে যেটা আশার কথা, সেটা হল বিধবাদের সমস্যা নিয়ে কিছু ভাবনাচিন্তা এখনও চলছে। বেশ কিছু এন.জি.ও তাদের সীমিত ক্ষমতার মধ্যে বিধবাদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন; বিধবাদের পুনর্বিবাহের সপক্ষে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় সেগুলি অতি অল্পই। যেসব বিধবাদের কাশী-বৃন্দাবনে পাঠিয়ে দিয়ে আত্মীয়স্বজনরা তাঁদের দায় সেরেছেন, সেইসব বিধবাদের অবর্ণনীয় অবস্থার নিয়ে এইসব এন.জি.ও চিন্তিত। ১৯৯২ সালে ন্যাশেনাল কমিশন ফর উইমেন একটা সমীক্ষা করে দেখেন যে বৃন্দাবন ও মথুরাতে যেসব বিধবা রয়েছেন তাঁদের অধিকাংশই নিদারুণ দারিদ্রের সঙ্গে সংগ্রাম করছেন। ফলে নারীদেহ-ব্যবসা সেখানে রমরমিয়ে চলছে। স্থানীয় প্রশাসন বা রাজনৈতিক দলগুলি যে সে খবর জানেন না - সেটা বিশ্বাস করা কঠিন। মোট ২৯১০ জন মহিলাকে এই সমীক্ষায় প্রশ্ন করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে ২১১৩ জন এসেছেন পশ্চিম বঙ্গ থেকে ২৯৭ জন বাংলাদেশ থেকে। এঁদের মধ্যে ৫০০ জনের বেশির বয়স ৩০ বছরের কম। এঁদের শতকরা ৫০ জন নির্ভর করেন ভজনাশ্রমের দেওয়া খাবার আর ভিক্ষে করে যা পাওয়া যায় তার ওপর। সবার তাও জোটে না। দেহ ব্যবসায় ছাড়া জীবনধারণের অন্য কোনো উপায় প্রায় নেই। অনেকেই ভুগছেন যক্ষ্মা, পেটের ব্যধি ও নানা যৌন-সংক্রামক ব্যাধিতে। এই অমানুষিক অবস্থাতে জীবনকাটানো সত্বেও মাত্র ৪৩৬ জন বিধবা নিজের বাড়িতে ফিরে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বৃন্দাবনে বা মথুরাতে নিজের সমাজের অন্যান্য যন্ত্রণা থেকে অন্ততঃ তিনি মুক্ত!
এই সমীক্ষার ৯ বছর বাদে ২০০১ সালেও অবস্থার বিশেষ পরিবর্তন হয় নি। ঐ বছরই ন্যাশেনাল হিউম্যান রাইটস কমিশনের (NHRC) একটি মিটিং-এ বিচারক জে.এস ভার্মা খেদোক্তি করে বলেছেন, এখন প্রয়োজন এঁদের (বিধবাদের) বৃন্দাবনে আসা বন্ধ করা এবং একইসঙ্গে এঁদের পুনর্বাসনের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া যাতে এঁদের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়।
ণবঋছ-র একজন সদস্য মন্তব্য করেছেন যে, এইসব পরিত্যাক্ত মহিলাদের জন্য পরিচ্ছন্ন থাকার জায়গা, অর্থ সাহায্য এবং চিকিত্সার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করাটাই হবে প্রথম কাজ।
কাজটি সুবৃহত্ সন্দেহ নেই।
পরিশেষে কতগুলি তথ্য: ১৯৯১ সালের আদমসুমারি অনুসারে ভারতবর্ষে ৩ কোটি ৩০ লক্ষ বিধবা রয়েছেন। পঞ্চাশোর্ধ শতকরা পঞ্চাশ জনই এদেশে বিধবা। সমগ্র নারী জনসংখ্যার ভিত্তিতে বিধবা নারীর হল ৮ শতাংশ। সেক্ষত্রে বিপত্নিক পুরুষদের সংখ্যা সমগ্র পুরুষদের সংখ্যার ২.৫ শতাংশ মাত্র। ৬০ বছরের বেশি নারীদের ৬৪ শতাংশ হল বিধবা। সেই তুলনায় পুরুষদের মাত্র ৬ শতাংশ বিপত্নিক। এর অন্যতম কারণ বহু পুরুষই পুনর্বিবাহ করায় আর বিপত্নিক থাকছেন না। পুরুষদের পুনর্বিবাহে সমাজের কোনো সমস্যা নেই। বরং তাতে উত্সাহই দেওয়া হয়, এবং পাত্রী তরফ থেকেও সু-উপায়ী বিপত্নিক পাত্রের হাতে কন্যাকে দিয়ে কেউ কোনো অসুবিধা বোধ করেন না। বিপরীত পক্ষে, বিধবা মেয়েকে বাড়ির পুত্রবধু করে আনার ব্যাপারে সাধারণভাবে বাড়ির লোকেদের ঘোরতর আপত্তি থাকে। ভালোবেসে বিধবা বিয়ের ব্যাপারটা স্বতন্ত্র। কিন্তু সেগুলি রোধ করতেও নানান চাপ সৃষ্টি করা হয়।
অমানুষিক জীবনের মধ্যে বিধবাদের কাটাতে হয় বলেই তাঁদের মৃতু্যর হারও বেশি - বিবাহিত নারীদের তুলনায় ৮৫ শতাংশ বেশি!
___________________
* সতীদাহ প্রথা বহু বছর হল নিষিদ্ধ হওয়া সত্বেও আজও মাঝেমধ্যে সহমরণের খবর শোনা যায়।
** ভারতবর্ষের কোনো কোনো অঞ্চলে বিধবার সঙ্গে মৃতস্বামীর ভাইয়ের বিয়ে দেওয়ার প্রথা আছে। এই পুনর্বিবাহে সদ্য-বিধবার নিজস্ব কতটা সায় থাকে জানা মুস্কিল। তবে বাসস্থান ও ভরণপোষণের সমস্যাটা দূর হয়।

 

 

 

Copyright © 2014 Abasar.net. All rights reserved.


অবসর-এ প্রকাশিত পুরনো লেখাগুলি 'হরফ' সংস্করণে পাওয়া যাবে।