প্রথম পাতা
শহরের তথ্য
বিনোদন
খবর
আইন/প্রশাসন
বিজ্ঞান/প্রযুক্তি
শিল্প/সাহিত্য
সমাজ/সংস্কৃতি
স্বাস্থ্য
নারী
পরিবেশ
অবসর
|
পুরনো দিনের পত্রিকা ও বই থেকে নির্বাচিত প্রবন্ধ
নভেম্বর ১৫, ২০১৪
বিস্ময়
কালিদাস রায়
[ লেখক পরিচিতি : কবিশেখর কালিদাস রায় ১৮৮৯ খ্রীষ্টাব্দের ৯ই জুলাই বর্ধমান জেলার শ্রীখণ্ডের কাছে কড়ুই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা যোগেন্দ্রনারায়ণ রায় ছিলেন কাশিমবাজার রাজ এস্টেটের পদ্স্থ কর্মচারী। মা রাজবালা দেবী 'চৈতন্য মঙ্গল' রচয়িতা বৈষ্ণব কবি লোচন দাস ঠাকুরের বংশধর ছিলেন। মাতৃকুলে ছিলেন বৈষ্ণব সাধক উদ্ধব দাস। কড়ুই মাইনর স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করে খাগড়া এল.এম.এস স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ থেকে বি.এ পাশ করে (১৯১০) স্কটিশ চার্চ কলেজে দর্শনশাস্ত্র নিয়ে এম.এ পড়া শুরু করেন কিন্তু পাঠ অসমাপ্ত থাকে। কাশিমবাজার আশুতোষ চতুষ্পাঠীতে সংস্কৃত শিক্ষাও গ্রহণ করেছেন তিনি।
কালিদাস রায়ের কর্মজীবন শুরু রংপুর জেলার উলিপুর মহারাণী স্বর্ণময়ী হাইস্কুলের সহ-শিক্ষক হিসাবে। পরে তিনি প্রধান শিক্ষক পদেও উন্নীত হন। ১৯১৩ থেকে ১৯২০ পর্যন্ত তার এখানেই কাটে। পরে রায়বাহাদুর দীনেশচন্দ্র সেন তাকে সেখান থেকে নিয়ে আসেন এবং তিনি বড়িষা স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদে যোগদান করেন (১৯২০ -৩১)। এরপর তিনি ভবানীপুর মিত্র ইন্সটিটিউশনের প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন (১৯৩১-৫২)। অবসর গ্রহণের সময় পর্যন্ত তিনি সেখানেই কর্মরত ছিলেন।
ছেলেবেলা থেকেই কালিদাস কবিতা রচনা করতেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে প্রকাশিত 'কুন্দ' তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ। সাহিত্য-প্রতিভা ও অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বিবিধ উপাধি ও পুরস্কার লাভ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক ও সরোজিনী স্বর্ণপদক (কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়), আনন্দ পুরস্কার (১৯৬৩), রবীন্দ্র পুরস্কার ('পূর্ণাহুতি' কাব্যগ্রন্থের জন্য, ১৯৬৮), দেশিকোত্তম (বিশ্বভারতী), ডি.লিট (রবীন্দ্র ভারতী, ১৯৭২) প্রভৃতি। রংপুর সাহিত্য পরিষদ থেকে তিনি লাভ করেছেন কবিশেখর উপাধি। তিনি 'রস্চক্র' সাহিত্য সংসদের প্রতিষ্ঠাতা। সাহিত্যক্ষেত্রে তার ছদ্মনাম ছিল 'বেতালভট্ট' এবং 'উপগুপ্তশর্মা'।
প্রকাশিত কাব্য : ‘কুন্দ'(১৯০৮); ‘ঋতুমঙ্গল' (১৯১০); ‘কিশলয়'(১৯১১); ‘পর্ণপুট' দু'খণ্ড (১৯১৪,১৯২১); ‘বল্লরী' (১৯১৫); ‘ক্ষুদকুঁড়া' (১৯২২); ‘রসকদম' (হাস্যরসাত্মক কবিতার সংকলন (১৯২৩); ‘লাজাঞ্জলি'(১৯২৪); ‘চিত্তচিন্তা'(১৯২৫); 'হৈমন্তী'(১৯৩৪); ‘বৈকালী'(১৯৩৮); ‘সন্ধ্যামণি'(১৯৫৮); ‘পূর্ণাহুতি' (রবীন্দ্র পুরস্কার,১৯৬৮)। পদ্যানুবাদ : ‘চিত্রে গীতগোবিন্দ'(১৯২৭); ‘গীতলহরী'(১৯৩০); ‘কাব্যে শকুন্তলা'(১৯৪৬); ‘ইন্দুমতী'(১৩৫৯); ‘কুমারসম্ভব'(১৩৬০); ‘ব্রজবাঁশরী'(১৯৪৮); ‘ঋতুরঙ্গ'(১৯৫৩)। গদ্য রচনা : ‘সাহিত্য প্রসঙ্গ' দু'খণ্ড (১৯৩২, ১৯৩৪); ‘প্রাচীন বঙ্গ সাহিত্য' তিন খণ্ড (১৩৫০, ১৩৫৭, ১৩৫৮); ‘বঙ্গ সাহিত্য পরিচয়' তিনখণ্ড (১৯৪৭, ১৯৫০, ১৯৫১); ‘জাতকমালিকা'; ‘ভক্তমালিকা'; ‘গাথামালা'। সম্পাদিত গ্রন্থ : ‘রসচক্র'(উপন্যাস,১২ জন কথাশিল্পী রচিত); ‘অষ্টরম্ভা'।
১৯৭৫ খ্রীষ্টাব্দের ২৫শে অক্টোবর কবিশেখরের মৃত্যু হয়। ]
দীপক সেনগুপ্ত।
( ‘উত্তরা’ পত্রিকা, শ্রাবণ ১৩৩৯ )।
(আপনার
মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)
অবসর-এর
লেখাগুলোর ওপর পাঠকদের মন্তব্য
অবসর নেট ব্লগ-এ প্রকাশিত হয়।
Copyright
© 2014 Abasar.net. All rights reserved.
|
অবসর-এ প্রকাশিত
পুরনো লেখাগুলি 'হরফ' সংস্করণে পাওয়া যাবে।
|