প্রথম পাতা

শহরের তথ্য

বিনোদন

খবর

আইন/প্রশাসন

বিজ্ঞান/প্রযুক্তি

শিল্প/সাহিত্য

সমাজ/সংস্কৃতি

স্বাস্থ্য

নারী

পরিবেশ

অবসর

 

পরিবেশ

নভেম্বর ৩০, ২০১৪

 

শতাব্দীব্যাপী উন্নয়নের মূল্যায়ন, ভারত ২০১৩

শঙ্কর সেন


হত-দারিদ্র্য সব থেকে বেশি দক্ষিণ এশিয়ায়, আর তার মধ্যে সব থেকে খারাপ অবস্থা ভারতে ।

রাষ্ট্রপুঞ্জ উন্নয়ন প্রোগ্রামে 'হত-দরিদ্র্য' হল সেই সব মানুষ যাদের দৈনিক আয় এক মার্কিন ডলারের কম । চীনে হত-দারিদ্র্য ছিল ৬০ শতাংশ ১৯৯০ সালে, ২০১০-এ তা' হল ১২ শতাংশ । দক্ষিণ এশিয়ায় হত-দারিদ্র্যের সংখ্যা বিশ্বে সব থেকে বেশি, আর তার মধ্যে ভারত প্রথম । ফলে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ মানুষের বসবাস ভারতে । তিরিশ বছর আগে চীন দেশে হত-দরিদ্র্যের সংখ্যা ছিল ভারতের দেড়গুণ ; এখন ভারতে এর সংখ্যা চীনের প্রায় তিনগুণ ।   

ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের সব থেকে নাটকীয় হ্রাস হয়েছে চীন ও ভিয়েতনামে । রাষ্ট্রপুঞ্জের শতাব্দীব্যাপী উন্নয়ন কর্মসূচীর অনেকটাই পূরণ করতে পেরেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং পূর্ব এশিয়া ; কিন্তু অনেক কিছুতেই পিছনে পড়ে আছে যথা, মাতৃ-সম্বন্ধীয় মৃত্যুহারও শিশু মৃত্যু, অনাময়-ব্যবস্থা,  ক্ষুধা, অপুষ্টি এবং লিঙ্গসাম্য, বিশেষত: শিক্ষা ।

 এটা প্রণিধানযোগ্য যে পূর্ব-এশিয়া ও দক্ষিণপূর্ব-এশিয়া দু'বছরের কম বয়সের শিশুদের মৃত্যুহার এবং পাঁচ বছরের কম বয়সের শিশুদের মৃত্যুর বিষয়ে শতাব্দীব্যপী উন্নয়ন কর্মসূচীর টার্গেট রূপায়ণ করতে পেরেছে, যখন ভারত এক বিশাল বোঝার অধিকারী । ভারতের এই নিকৃষ্ট রেকর্ডের কারণ খুবই অল্প শতাংশ শিশুদের জন্ম হয় দক্ষ মানুষের উপস্থিতিতে । তাছাড়া রয়েছে অপুষ্টি, জন্মকালে ( নিকৃষ্ট ) অনাময় ব্যবস্থা, নারীদের অতি-স্বল্প শিক্ষা এবং আরও অনেক কারণ যার ফলে হয় উচ্চ মাতৃ -সম্বন্ধীয় মৃত্যুহার ও শিশু মৃত্যু । 

এক নজরে

১. চরম দারিদ্র্য ও ক্ষুধা নির্মূল করতে হবে ।

ভারত দারিদ্র্য কমাতে কিছুটা সফল হয়েছে । মাথাপিছু- হিসাবে দারিদ্র্যের অনুপাত (Head count ratio), যা' ২০১৫ খ্রী নাগাদ ১৮.৬-শতাংশ পৌঁছানোর কথা, তা' প্রায় ৩.৫-শতাংশ লক্ষ্যভ্রষ্ট হবে ।
তবে ' ক্ষুধা সম্পূর্ণ দূরীকরণ ' হয়ে আছে একটা চ্যালেঞ্জ । জনসংখ্যার যে অনুপাতের খাদ্যে প্রয়োজনীয়  ২,১০০ থেকে ২,৪০০ কিলো-ক্যালরি পাওয়ার কথা, তা' থেকে বঞ্চিতের সংখ্যা ১৯৮৭-৮৮র ৬৪-শতাংশ থেকে ৭৬-শতাংশ হয়ে গেছে ।

খাদ্য-প্রতিভূতির একটি পরিমাপ হল অপুষ্টি । ১৯৯০ সালে, যখন MDG-গুলি চিহ্নিত করা হয়, তখন ৫৩.৫-শতাংশ ভারতীয় শিশু অপুষ্টির শিকার ছিল । তারপর উন্নতি হয়েছে অত্যন্ত ধীরগতিতে । মূল্যানুমান অনুসারে অপুষ্টি কমতে পারে ৪০ শতাংশে, ২০১৫ সালে ; তা'হলেও টার্গেট পৌঁছানো গেল না আরও ২৮.৬-শতাংশ মতন ।

২. সবার জন্য ন্যূনতম শিক্ষা-ব্যবস্থা থাকবে প্রাথমিক স্তর পর্যম্ত ।

টার্গেট :   ২০১৫-সালের মধ্যে শিশুদের সর্বত্র, বালক ও বালিকা-সহ, প্রাথমিক শিক্ষার পুরো কোর্স শেষ করতে হবে ।

নিট তালিকাভুক্তি  অনুপাত (Net enrolment ratio- NER2) অনুসারে প্রাথমিক শিক্ষায় ভারত ২০০৮-০৯ খ্রী-তে ৯৫-শতাংশ করে ফেলেছে, যেটা ৬-১০ বৎসরের শিশুদের জন্য ২০১৫-সালের টার্গেট । DISE3-ডাটায় দেখা যাচ্ছে দেশের NER ২০০৮-০৯ এবং ২০০৯-১০ -এ যথাক্রমে ৯৮.৬- এবং ৯৮.৩-শতাংশ পার করেছে ; এখন নিঃসংশয়ে ২০১৫-খ্রী-র  আগেই ৬-১০ বয়সী শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার টার্গেট অতিক্রম করে যাবে ।

গ্রেড ১-এ শুরু করে গ্রেড ৫ যাওয়ায় শিশুদের টিকে থাকার অনুপাত :
প্রাথমিক শিক্ষায় এই অনুপাত বেড়েছিল ১৯৯৯-সালের ৬২-শতাংশ থেকে ২০০২-সালে ৮১- শতাংশ ; পরবর্তীকালে ২০০৪-সালে কমে দাঁড়িয়েছিল ৭৩-শতাংশে । DISE-র ২০০৭-০৮ সালের হিসাবে এটি আরও কমে যায় ৭২-শতাংশে ; তবে DISE '০৯-'১০-এর তথ্যে উন্নতি দেখা গেছে ২০০৮-০৯-এ ৭৬-শতাংশ ।  

      সার্বিক যুব সাক্ষরতা :
১৯৯১-২০০১-সালে যে ট্রেণ্ড ছিল, তাতে ভারতের ২০১৫-সালের মধ্যে ১০০- শতাংশ যুব-সাক্ষরতা প্রাপ্তি সম্ভব ছিল । ১৯৯১ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে এটি বেড়েছিল ৬১.৯-শতাংশ থেকে ৭৬.৪-শতাংশ । NSS-এর অনুমান অনুসারে ২০০৭-০৮ সালে যুব-সাক্ষরতা হওয়ার কথা ৮৬-শতাংশ ।
২০০১-সালে শহরাঞ্চলে যুব-সাক্ষরতা ছিল ৮২-শতাংশ, যখন গ্রামে ছিল ৫৯.৭-শতাংশ । NSS-এর এস্টিমেট ছিল এটি শহর ও গ্রামে যথাক্রমে হবে ৯৩- ও ৮৩- শতাংশ । দেখা যাচ্ছে, যুব-সাক্ষরতায় শহর-গ্রামে প্রভেদ কমে আসছে ।    

৩.   নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করতে হবে; সুনিশ্চিত করতে হবে নারীর অধিকার ।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় লিঙ্গ-অসাম্যের ২০০৫-সালের টার্গেট ভারত রক্ষা করতে পারেনি । তবে রাষ্ট্র তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে পরবর্তীকালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় স্কুল তালিকাভুক্তি  অনুপাতের(Gross Enrolment Ratio- GER)লিঙ্গসাম্য সূচক(the Gender Parity Index- GPI) বৃদ্ধি পেয়েছে । বর্তমানের প্রবণতা থেকে বলা যায় যে ভারত প্রায় টার্গেটের-পথে রয়েছে । তবে ভারত সরকারের MDG-রিপোর্ট, ২০০৯-এ দেখতে পাই চাকুরী ও সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতায় মহিলারা পুরুষদের থেকে পিছিয়ে আছে এবং ২০১৫ সালের মধ্যে এই অসাম্য দূরীভূত হবার নয় । আবার তৃতীয়-স্তরভুক্ত শিক্ষায় লিঙ্গসাম্য সূচকে পৌঁছানো এখনও রয়েছে একটা চ্যালেঞ্জ । সঙ্গে সঙ্গে শিল্প ও পরিবেশনায় নারীদের জন্য শ্রমের বাজার খোলানো সামান্যই বেড়েছে- ১৯৯০-৯১ এর ১৩-শতাংশ থেকে ২০০৪-০৫-এ ১৮ শতাংশ । 

৪. শিশু মৃত্যুর হার কমাতে হবে; পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের মৃত্যুর হার কমিয়ে এক-তৃতীয়াংশে আনতে হবে ।

চতুর্থ শতাব্দীব্যাপী উন্নয়ন টার্গেটের লক্ষ্য ছিল পাঁচ-বৎসরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুহার দুই-তৃতীয়াংশ কমাতে হবে । ভারতের পাঁচ-বৎসরের কম মৃত্যুহার(U5MR)কমে যায় ১৯৯০ সালে প্রতি ১০০০ জীবন্ত- জন্মের ১২৫জন থেকে ২০০৫-০৬-এর প্রতি ১০০০ জীবন্ত-জন্মের ৭৪.৬ জনে । U5MRের হিসাব মত এটি ২০১৫ সালে কমতে পারে প্রতি ১০০০-এ ৭০ জনে । এর অর্থ ভারত, ২০১৫ সালের যে হাজারে ৪২ জনের টার্গেট ধরা হয়েছিল, সেটায় পৌঁছাতে পারবে না ।   

এই পরিসংখ্যানের জন্য ভারতের প্রয়োজন আরও স্থির লক্ষ্য । তার অর্থ হল জন্মের পর থেকে একমাস এবং পরবর্তী কালে শিশু-অসুস্থতায় বিশেষ নজর দেওয়া, বিশেষত: অ-হননীয় জনসমাজের মধ্যে । এইসব সমাজে শিশুদের বাঁচিয়ে রাখা সর্বদাই একটা চ্যালেঞ্জ কারণ, প্রজনন ও শিশুস্বাস্থ্য পরিচর্যায় এদের সাহয্যপ্রাপ্তি খুবই কম । ভারতের অন্তঃস্থলের রাজ্যগুলিতে এই টার্গেট পৌঁছানো কম হতে পারে ২০ পয়েন্ট মতন ।

৫.  মায়েদের স্বাস্থ্য উন্নত করতে হবে । গর্ভাবস্থায় অথবা প্রসবের পর ৪২ দিন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নারীর স্বাস্থ্য উন্নত করে এদের মৃত্যুর হার তিন-চতুর্থাংশ: কমাতে হবে ।

টার্গেট :  ১৯৯০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে মাতার মৃত্যুহার-অনুপাত(Maternal Mortality Ratio - MMR) তিন-চতুর্থাংশ কমাতে হবে ।

মাতার মৃত্যুহার-অনুপাত (MMR) হল প্রতি এক লক্ষ জীবন্ত শিশুর প্রসব ও জন্মকালে নারীদের মৃত্যুর সংখ্যা, প্রসবকালের যে কোনও সময়ে এর ম্যানেজমেণ্টসহ যে কোনও কারণে । SRS6-ডাটা থেকে দেখা যাচ্ছে যে ভারতে MMR কমেছে বিশেষভাবে ৩৫-শতাংশ- ১৯৯৯-২০০১-এর ৩২৭ জন থেকে ২০০৭-০৯-এ ২১২জন । MMR-এর পতন ১৯৯০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত হল ৫১-শতাংশ । ১৯৯০/১৯৯১ সালের এস্টিমেট মতন এক লক্ষে ৪৩৭টি জীবন্ত জন্ম থেকে ভারতের প্রয়োজন ছিল ২০১৫-সালের মধ্যে প্রতি লক্ষে ১৩৯ -জন করা । কমে যাওয়ার ধারা থেকে মনে হচ্ছে, এটি কম হবে ৩০ পয়েণ্টে । অবশ্য, এই সময়ের মধ্যে উজ্জ্বল চিত্রগুলি হল- ২০০৬-০৯ সালে ১৭-শতাংশ এবং ২০০৩-০৬-এর ১৬-শতাংশ কমে যাওয়া ।  

নির্বিঘ্ন মাতৃত্ব নির্ভর করে মূলত: উপযুক্ত শিক্ষিত পেশাদার দক্ষ নারী-পুরুষের দ্বারা, (ভালো হয়) যদি তারা কোনও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হন । ভারতে এই ধরণের প্রতিষ্ঠানের প্রসার খুবই কম । এটি ১৯৯২-৯৩ সালের ২৬-শতাংশ থেকে বেড়েছে ৪৭-শতাংশে, ২০০৭-০৮ সালে । ফলে এই সময়ে দক্ষ নারী-পুরুষের দ্বারা সন্তান-প্রসব বেড়েছিল ১৯-শতাংশপয়েণ্ট- ৩৩-শতাংশ থেকে ৫২-শতাংশ । দক্ষ ব্যক্তির দ্বারা প্রসব-করানোর বর্তমান হারে ২০১৫-সালের মধ্যে মনে হয় ৬২-শতাংশ সাফল্যের মুখ দেখা যাবে, যা' টার্গেট থেকে অনেক কম ।

৬.       এইচ-আই-ভি, এইডস, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি মারাত্মক রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে তৎপর হতে হবে ।

ভারত বিশেষ রকমের অগ্রগতি করেছে এইচ-আই-ভি এবং এইডস প্রতিরোধে, তাঁর বিভিন্ন উচ্চ-ঝুঁকি সম্পন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে । ভারতে ৮৬-শতাংশ এইচ-আই-ভি এবং এইডস সংক্রমণ হয় যৌনকর্ম দ্বারা । ব্যাপকতা কমের কারণ হল প্রবল অবগতি ও প্রচারের জন্য এবং বিশেষভাবে বর্ধিত কনডম ব্যবহারের ফলে । পূর্ণবয়স্ক মানুষের মধ্যে ব্যাপকতা নেমে এসেছে ২০০৭-সালের ০.৩৪-শতাংশে, ২০০২-সালের ০.৪৫-শতাংশ থেকে ।

ম্যালেরিয়ায় ব্যাপকতা ও মৃত্যু কমে গেছে । ম্যালেরিয়ায় অসুস্থতা নির্ধারণ কমেছে ২০০৫-সালের ১.৭৪৫-শতাংশ থেকে ২০০৯-সালের ১.৫২-শতাংশে । ম্যালেরিয়া-প্রবণ প্রদেশগুলি যেমন, উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলি, গুজরাট, কর্ণাটক, মধ্য প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, রাজস্থান ও পশ্চিম বঙ্গ-এ ২০০৬ খ্রী থেকে মৃত্যুর সংখ্যা কমছে ।
টিউবারকুলোসিসে ভারতের অবস্থান হল বিশ্বে আক্রান্তের এক-পঞ্চমাংশ । তবে ভারত এই প্রাদুর্ভাবকে থামাতে সক্ষম হয়েছে । চিকিৎসায় সাফল্যের হার বিগত পাঁচ বছরে স্থির রয়েছে ৮৬-৮৭ শতাংশে, এবং ব্যাপকতা কমে আসছে ।

৭.      পরিবেশের সুষ্ঠু প্রতিপালন (environmental sustainability) নিশ্চিত করতে হবে ।

সপ্তম শতাব্দীব্যাপী উন্নয়ন কর্মসূচির পরিবেশ পরিরক্ষার বিষয়ে ভারত কিছু অগ্রগতি করেছে । বনাঞ্চল বর্ধিত হয়েছে ২১.০২ শতাংশ এবং সংরক্ষিত এলাকা বেড়েছে দেশের মোট জমি-ক্ষেত্রফলের প্রায় ৪.৮৩ শতাংশ । শক্তি-প্রতিভূতি পাওয়ার জন্য GDP-র উত্তরোত্তর বৃদ্ধির শক্তি-ইন্টেনসিটি কমিয়ে বর্ধিত শক্তি-দক্ষতার সন্ধান করতে হবে ।

নিরাপদ পানীয় জলের পরিরক্ষিত সান্নিধ্য পাওয়ার MDG-টার্গেটে ভারত সঠিক স্থানেই আছে । গৃহস্থালিগুলিতে উন্নত জলের প্রাপ্তি বেড়েছে ১৯৯২-৯৩ সালের ৬৮.২-শতাংশ থেকে ২০০৭-০৮ সালে- ৮৪.৪ -শতাংশ ।

কিন্তু, বিশ্বের একটি নিবিড়ভাবে পরিবৃত দেশ হওয়া সত্ত্বেও ভারত গত দশ বৎসরে অনাময়- ব্যবস্থায় বিশেষ অগ্রগতি করতে পারেনি । উন্নত অনাময়ব্যবস্থা-বিহীন গৃহস্থালির সংখ্যা ১৯৯২-৯৩ সালের ৭০-শতাংশ থেকে কমে গেছে প্রায় ৫১-শতাংশে ২০০৭-০৮ সালে । বর্তমান হারে ২০১৫ খ্রীর মধ্যে বাকি ৩৮-শতাংশর ব্যবস্থা করা সম্ভব না হওয়ারই কথা । আবার, অনাময়-ব্যবস্থার সান্নিধ্য ও ব্যবহারে গ্রাম ও শহরের বিভেদ অত্যন্ত বেশি । গ্রামীণ গৃহস্থালির ৬৬-শতাংশ স্থানে টয়লেট-ব্যবস্থা নেই, শহরের ১৯-শতাংশের তুলনায়, ২০০৭-০৮-এর পরিসংখ্যান অনুসারে ।       

৮.    উন্নয়নে বিশ্ব অংশিত্বের ব্যবস্থা করতে হবে ।

বিশ্বায়ন-প্রক্রিয়া ও বিশ্ব-অর্থনীতির সঙ্গে একীভূত হওয়া বিষয়ে ভারত হয়ে উঠেছে উন্নয়নের অংশীদার- কি শিল্প-অর্থনীতি পোষণে, কি বিশ্বের অন্যান্য উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে প্রতিভান্বিত সম্পর্ক স্থাপনে । ভারতীয় ICT-  শিল্প বিশেষত:, IT-সফটওয়ারে বিকাশ ও পরিচর্যায় এবং ITES- সেক্টরে ভারত বিশ্বের নেতৃত্বের কাছাকাছি পৌঁছতে পেরেছে ।              

উৎস :  www.in.undp.org/.../india/.../mdg/millennium-development-goals---india... জানুয়ারি ২৮, ২০১৪ -
 
As part of the globalization process and integration with the global economy, India has emerged as one of the major development partners for fostering techno-economic and intellectual assistance to various developed and developing countries across the world. The Indian ICT industry, in particular, the IT software and services and ITES sectors have managed to catch up with the global leaders.
বিশ্বায়ন-প্রক্রিয়া ও বিশ্ব-অর্থনীতির সঙ্গে একীভূত হওয়া বিষয়ে ভারত হয়ে উঠেছে উন্নয়নের অংশীদার- কি শিল্প-অর্থনীতি পোষণে, কি বিশ্বের অন্যান্য উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে প্রতিভান্বিত সম্পর্ক স্থাপনে । ভারতীয় ICT-  শিল্প বিশেষত:, IT-সফট'ওয়ারে বিকাশ ও পরিচর্যায় এবং ITES- সেক্টরে ভারত বিশ্বের নেতৃত্বের কাছাকাছি পৌঁছতে পেরেছে ।              


লেখক পরিচিতি - শিক্ষাবিদ। বি.ই. কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর। এক সময় পশ্চিম বঙ্গ সরকারের বিদ্যুৎমন্ত্রী ছিলেন। অবসর-এর যুক্ত প্রায় জন্মকাল থেকেই। অবসর-এর উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি।

 

(আপনার মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)

অবসর-এর লেখাগুলোর ওপর পাঠকদের মন্তব্য অবসর নেট ব্লগ-এ প্রকাশিত হয়।

Copyright © 2014 Abasar.net. All rights reserved.

 


অবসর-এ প্রকাশিত পুরনো লেখাগুলি 'হরফ' সংস্করণে পাওয়া যাবে।