প্রথম পাতা

শহরের তথ্য

বিনোদন

খবর

আইন/প্রশাসন

বিজ্ঞান/প্রযুক্তি

শিল্প/সাহিত্য

সমাজ/সংস্কৃতি

স্বাস্থ্য

নারী

পরিবেশ

অবসর

 

নারী

জুলাই ৩০, ২০১৫

 

আমার শরীর, আমার অধিকার?

শমীতা দাশ দাশগুপ্ত


এক অভিবাসী পরিবারের কন্যা, ৩৩ বছরের পূর্বী প্যাটেলের নাম এখন বহু প্রচলিত। হয়ত সে জগত বিখ্যাতও বটে। পৃথিবীর প্রেক্ষাপটে এই সাধারণ মেয়েটির অবির্ভাব ২০১৩ সালে। জুলাইয়ের ১৩ তারিখে এক জরুরী অবস্থার সম্মুখীন হয়ে ইন্ডিয়ানার সংরক্ষণশীল গ্রেঞ্জার শহরের এক হাসপাতালে পূর্বী এসে উপস্থিত হয়েছিল। তার সমস্যা অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ। শারীরিক পরীক্ষার সময়ে এমার্জেন্সি বিভাগের চিকিৎসকেরা আবিষ্কার করলেন পূর্বীর যৌনাঙ্গে নাভিরজ্জু (উম্বিলিকাল কর্ড) দৃশ্যমান। তাদের সন্দেহ হল পূর্বী কিছুক্ষণ আগেই জন্মদান করেছে। ডাক্তারের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পূর্বী স্বীকার করল নিজের বাড়িতে তার গর্ভপাত ঘটেছে। মৃত ভ্রূণ সে তাদের পরিবারের রেস্টুরণ্টের পেছনে রাখা একটি ময়লা ফেলার ঝুড়িতে (ডাম্পস্টার) ফেলে দিয়েছে। পরীক্ষা করে ডাক্তারের সন্দেহ করলেন পূর্বীর গর্ভ ২৩ সপ্তাহ, বা ছ' মাসের কাছাকাছি ছিল।

হাসপাতালের জরুরী বিভাগে পূর্বীকে পরীক্ষা করছিলেন গাইনোকলজিস্ট কেলি ম্যাগুইয়ার। ডঃ ম্যাগুইয়ার গর্ভপাত বিরোধী হিসেবে নিজেকে চিহ্নিত করেন। তিনি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অফ প্রো-লাইফ অবস্টেট্রিশিয়ান অ্যাণ্ড গাইনোকলজিস্ট-এর সক্রিয় সদস্য। পূর্বীর চিকিৎসা চলাকালীন এমার্জেন্সি বিভাগের জামা কাপড় পরেই ডঃ ম্যাগুইয়ার পুলিশকে তদন্তে সাহায্য করতে বেরিয়ে পরলেন। নিজের বিশ্বাসের বলে তাড়িত হয়ে তিনি পুলিশকে সঠিক ডাম্পস্টারের দিকে নিয়ে গেলেন এবং বর্জিত ভ্রূণটি খুঁজে পেয়ে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করলেন।

পূর্বীর স্বীকারোক্তি অনুসারে গর্ভপাতের সময় সেই ভ্রূণে কোন প্রাণস্পন্দন ছিল না। কিন্তু হাসপাতালের মেডিকাল এগজামিনার, ডঃ জোসেফ প্রেলো, পোস্ট মর্টেম পরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নিলেন ভ্রূণ অন্তত একটি নিশ্বাস নিয়েছিল। কেমন করে এই "এক নিশ্বাসের" সিদ্ধান্তে এলেন তিনি? ডঃ প্রেলো বলেন তিনি 'লাং ফ্লোট' নামে একটি পরীক্ষা প্রয়োগ করে বুঝতে পেরেছেন ভ্রূণ গর্ভপাতের সময় জীবিত ছিল।

জীবনের চিহ্ন নির্ধারণ করতে 'লাং ফ্লোট' পরীক্ষাটি অপ্রচলিত। মৃতের ফুসফুস জলে ফেলে নির্ণয় করা হয় সে জীবিত ছিল কিনা। ফুসফুস যদি জলে ভাসে ধরে নেওয়া হয় তাতে বাতাস প্রবেশ করেছে, অর্থাৎ অল্পক্ষণের জন্যে হলেও শরীরে জীবন ছিল। আর জলে ডুবে গেলে মনে করা হয় সেই ফুসফুসে কখনই বাতাস প্রবেশ করে নি। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষে ম্যাসাচ্যুসেটসের সেলাম শহরে ডাইনী বিচারের সময়েও এ ধরণের পরীক্ষা করা হত। ডাইনী সন্দেহ হলে মহিলাদের জলে ডুবিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হত তারা দোষী কিনা। ডুবে মরে গেলে তারা নির্দোষ, আর বেঁচে থাকলে তারা নিশ্চিত ডাইনী। তখন তাদের পুড়িয়ে মারা হত। সম্ভ্রান্ত বিজ্ঞানীরা বহুদিন আগেই 'লাং ফ্লোট' পরীক্ষাটি নির্ভরযোগ্য নয় বলে বাতিল করে দিয়েছেন। সেই পরিত্যক্ত পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে ইন্ডিয়ানার আদালতে পূর্বীর বিরুদ্ধে শিশু অবহেলা ও শিশু হত্যার অভিযোগ দায়ের করা হল। অভিযোগ পোক্ত হল আরও একটি খবর উদ্ঘাটন করে। পূর্বী নাকি গর্ভপাতের জন্যে ওষুধ খেয়েছিল। এ ধরণের কোন ওষুধের চিহ্ন তার শরীরে পাওয়া না গেলেও বন্ধুকে পাঠানো কিছু এস এম এস-এর ভিত্তিতে ধরে নেওয়া হল সে গর্ভপাতের ওষুধ খেয়েছে। ২০১৫ সালের ৩০শে মার্চ ইন্ডিয়ানার প্রধান আদালত পূর্বীর শাস্তি নির্ধারণ করল প্রতিটি অভিযোগের জন্যে পৃথক ভাবে ২০ বছরের কয়েদ বাস। অর্থাৎ সব শুদ্ধু ৪০ বছর। শিশু অবহেলার জন্যে বিচারপতি পূর্বীকে ৩০ বছরের জেল দিলেন, তারপর করুণাবশে ১০ বছর ছাড় দিলেন। শিশু হত্যার জন্যে এর সঙ্গে যোগ করা হল আরও ২০ বছর। দুটি শাস্তিই একসঙ্গে চলবে, তাই পূর্বীকে সাকুল্যে ২০ বছর জেলে খাটতে হবে।

আমেরিকাতে এই প্রথম ভ্রূণ হত্যার জন্যে কাউকে শাস্তি দেওয়া হল। তবে প্রজনন জনিত অপরাধের জন্যে শাস্তি দেওয়া ইন্ডিয়ানাতে এই প্রথম নয়। ২০১১ সালে বেই বেই শুয়াই নামে চীনের অভিবাসী এক মহিলাকে ইন্ডিয়ানার আদালত শিশু অবহেলার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে। সেই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ভ্রূণ হত্যার অভিযোগ আনলেও তা প্রমাণ করা যায় নি। বেই বেইয়ের ইতিহাস একটু অন্য ধরণের।

২০০০ সালে শুয়াই পরিবার আমেরিকায় অভিবাসন নেয়। ২০১১ সালে বেই বেইয়ের স্বামী সন্দেহ বশত: তাকে ত্যাগ করে চলে যায়। বিবাহ বিচ্ছেদ আসন্ন মনে করে গর্ভবতী বেই বেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। নিজে প্রাণে বাঁচলেও এতে তার গর্ভের ভ্রূণের মৃত্যু হয়। ইন্ডিয়ানা রাষ্ট্রের প্রসেক্যুটার বেই বেইয়ের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা আনে। বিচারে তার বেশ কিছু বছরের শাস্তি হয়। পূর্বী প্যাটেল ও বেই বেই শুয়াই। বলা বাহুল্য দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং তার পরিণতি নারীবাদী নির্বিশেষে আমেরিকার মহিলা সমাজে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

নারী স্বাধীনতার প্রধান খুঁটি হল শরীরের ওপর স্বায়ত্তশাসন। এবং এর মূলে রয়েছে নারীর প্রজনন স্বাতন্ত্র্য। এই স্বাধীনতা অস্বীকার করা মানে নারী সমানাধিকারের মূল যুক্তি প্রত্যাখ্যান করা। নারী মুক্তি আন্দোলনের প্রচেষ্টায় ১৯৭৩ সালে আমেরিকার সুপ্রীম কোর্টের সিদ্ধান্ত 'রো ভার্সাস ওয়েড' প্রকারান্তে এই অধিকারই মহিলাদের জন্যে নিশ্চিত করেছে। তবে বেশ কিছু বছর ধরে আমেরিকার বহু অঞ্চলেই সেই অধিকার একটু একটু করে খর্ব করার চেষ্টা চলছে, তাকে একটু একটু করে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। পূর্বী ও বেই বেই সেই প্রচেষ্টারই শিকার। এই দুজনের বিচার দক্ষিণপন্থীদের উদ্দেশ্য আরও একটু সাফল্যের দিকে নিয়ে গেল।

বহু যুগের চেষ্টায় নিজের শরীরের ওপর যে অধিকার নারী দাবী করতে পেরেছিল, আমেরিকার রক্ষণশীল দক্ষীণপন্থীরা তা কোনদিনই বরদাস্ত করতে পারে নি। যুগ যুগান্ত ধরে নিজের শরীরের ওপর নারীর কোন অধিকারই ছিল না। তা ছিল সম্পূর্ণ ভাবে পুরুষের অধীন। পৃথিবীর সব দেশেই ছিল এই প্রথা। নারী কি পরবে, খাবে, তার জীবন সঙ্গী কে হবে, সে কি কাজ করবে, সে কখন সন্তান জন্ম দেবে বা আদৌ দেবে কি না, সবই নির্ধারণ করে দিয়েছে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ। সেখানে নিজের ইচ্ছেয় গর্ভ ধারণ, গর্ভ নিরোধ, বা গর্ভপাত করা পূর্বী ও বেই বেইয়ের পক্ষে গর্হিত বৈ কি!

নিজের শরীরের ওপর নারীর অধিকার অস্বীকার করা শুধু আমেরিকাতেই ঘটে মনে করলে ভুল হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মাত্র ইদানীং নারী অত্যাচার এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইন পাশ করা হচ্ছে। এই ২০১৫ সালেও ভারত সরকার স্বামী দ্বারা ধর্ষণের (ম্যারিটাল রেপ) আইনি স্বীকৃতি দিতে রাজী নয়। ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হরিভাই পার্থিভাই চৌধুরী বলেন, "আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্বামী দ্বারা ধর্ষণ বলতে যা বোঝায় ভারতের সমাজে তা প্রযোজ্য নয়। এর কারণ অশিক্ষা, দারিদ্র্য, সামাজিক রীতি নীতি, ধর্ম বিশ্বাস, এবং বিবাহ বন্ধনের পবিত্রতায় মানুষের প্রত্যয়।" এছাড়া তিনি বলেন, "স্বামী দ্বারা ধর্ষণকে স্বীকৃতি দিলে আমাদের বিবাহ প্রথাই টলমল হয়ে দাঁড়াবে।" অর্থাৎ স্ত্রীর শরীর ওপর স্বামীর অধিকার নাকচ করা চলবে না। (লেখিকা অনূদিত)

নারী অধিকার ক্ষুণ্ণ করার প্রচেষ্টা ছাড়া আর কি ভাবে আমরা পূর্বী প্যাটেলের বিচার বিশ্লেষণ করতে পারি? পূর্বী ও বেই বেই, আমেরিকায় এই দুজনের বিরুদ্ধেই প্রথম ভ্রূণ হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। দুজনেই এশিয়ার অভিবাসী। এই যোগাযোগ কি শুধুই কাকতালীয় না এর অন্য কোন তাৎপর্য রয়েছে? ব্যাপারটা আরও একটু তলিয়ে দেখা দরকার।

৯-১১-এর ধ্বংসের পরে আমেরিকার অভিবাসী বিরোধী মনোভাব এই দুই বিচারে প্রকটভাবে প্রকাশ পেয়েছে তাতে সন্দেহ নেই। সোনায় সোহাগা হয়েছে মূল আমেরিকার সঙ্গে এই দুই নারীর জাতিগত পার্থক্য ও আমেরিকার বর্ণবৈষম্য মূলক চিন্তাধারা। পূর্বী ও বেই বেই অভিবাসী এবং শ্বেতাঙ্গী নয়। শ্বেতাঙ্গ প্রধান আমেরিকায় প্রতিষ্ঠানগত বর্ণবৈষম্য পূর্বী ও বেই বেইয়ের বিচারকে প্রভাবিত করবে তা বুঝতে অসুবিধে হয় না। কিন্তু এই সঙ্গে বোঝার ওপরে শাকের আঁটি এদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।এঁরা দুজনেই এশিয়া উদ্ভূত। আমি বলব ব্যাপারটা বুঝতে হবে আমেরিকায় এই দুই দেশের ছাঁচে বাঁধা চরিত্রচিত্রণ বা স্টিরিওটাইপের পরিপ্রেক্ষিতে।

এক সন্তান নীতির ফলে চীনে গর্ভপাত যথেষ্ট জনপ্রিয় এবং সরকারী সমর্থন প্রাপ্ত। এর বিপরীত হল ভারত, যেখানে জন্ম নিয়ন্ত্রণ নীতির অভাবে লোক সংখ্যা আকাশ ছোঁয়া। ভারতের জন প্রাবল্য ও দারিদ্র্য জনিত ব্যাপক শিশু অবহেলা ও চীনের সহজলভ্য গর্ভপাত, দুই সামাজিক অবস্থাই আমেরিকার জনসাধারণের মতে মানুষের প্রতি এই দুই দেশের প্রচলিত উপেক্ষার প্রতিফলন। এ ধরণের 'ঘৃণ্য' সংস্কৃতির উত্তরাধিকারী পূর্বী ও বেই বেইয়ের ব্যবহার অসহায় প্রাণের প্রতি তাদের অবজ্ঞার নজীর বলেই ইন্ডিয়ানা আদালত ধরে নিয়েছে। ফলে এই দুই অভিযুক্তকে শাস্তি তো পেতেই হবে!

পূর্বীকে নিয়ে বিভিন্ন দেশের নারীবাদী সমাজে চর্চা হলেও অভিবাসী ভারতীয়দের মধ্যে এ ব্যাপারে খুব একটা মাথা ব্যথা দেখি নি। তার প্রতি অবিচারের প্রতিবাদ জানিয়ে মানবী সংস্থা একটি দরখাস্ত প্রচার করলেও মাত্র ছ'শো স্বাক্ষরের বেশী আমরা জোগাড় করতে পারি নি। এই অনীহা কেন? শুনলাম অভিবাসী ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে দরখাস্তটি ক্রোধের নিদান জুগিয়েছে। অনেক মহিলাও পূর্বীর ব্যাপারে বিরক্ত। কিন্তু কেন? পুরুষদের এই বিরক্তি কি পূর্বী নিজের শরীরের ওপর তার অধিকার জাহির করেছে বলে?

পূর্বীর দোষ শুধু গর্ভপাত নয়, সে কুমারী অবস্থায় গর্ভবতী হয়েছে বলেও। এই 'নৈতিক' স্খলনের দায়িত্ব থেকে তার ছুটি হবে কি করে! এর জন্যে শাস্তি তাকে ভোগ করতে হবে বলেই অভিবাসী সমাজের এক অংশ জোটবদ্ধ হয়েছে। কে তার প্রেমিক তা নিয়ে প্রথম প্রথম পূর্বী কোন কথাই বলে নি। সে ক্ষমা প্রার্থনা করে নি, লজ্জিত হয় নি; অন্তত প্রকাশ্যে নয়। সে নিজের জীবন ফিরে পেতে চেয়েছে। তার দোষ অনেক। বেই বেইয়ের সমাজের কথা আমি জানি না।

এতো বিতর্কের পরেও কিন্তু আমি কাউকে বলতে শুনি নি পূর্বীর প্রেমিকের দায়িত্ব কি? সে কোথায় এবং তার গায়ে আঁচটি লাগল না কেন? কেন কোন শাস্তি তাকে পেতে হল না?

পূর্বী ও বেই বেই দুজনেই আপাতত: উত্তরবিচারের জন্যে আদালতে আবেদন জানিয়েছে। 'মানবী'র দরখাস্তটি এখানে দিলাম


লেখক পরিচিতি -লেখক একজন শিক্ষক, গবেষক ও সমাজকর্মী। তিন দশকের অধিককাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ এশিয় সমাজে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তোলা ও তাঁদের ক্ষমতায়নের প্রচেষ্টায় নিযুক্ত। উত্তর আমেরিকার প্রথম দক্ষিণ এশিয়পারিবারিক নির্যাতন বিরোধী সংস্থা মানবী-র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। অবসর-এর জন্মলগ্ন থেকে উপদেষ্টা মণ্ডলীতে যুক্ত।

 

(আপনার মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)

অবসর-এর লেখাগুলোর ওপর পাঠকদের মন্তব্য অবসর নেট ব্লগ-এ প্রকাশিত হয়।

Copyright © 2014 Abasar.net. All rights reserved.



অবসর-এ প্রকাশিত পুরনো লেখাগুলি 'হরফ' সংস্করণে পাওয়া যাবে।