সৃজনী লেখার ক্লাস – কবিতা লেখা – প্রথম পর্ব

সৃজনী লেখার ক্লাস – কবিতা লেখা - প্রথম পর্ব

২০২০-২১ সালে, কোভিডের শীর্ষে, আমি জুম এ একটা ক্লাস পড়িয়েছিলাম প্রবচন পত্রিকার [১] উদ্যোগে – “কবিতা লেখার ক্লাস”। বাঙলা কবিতার আসরে ক্রিয়েটিভ রাইটিং বা সৃজনী লেখার ক্লাসের চল বিশেষ নেই, তাই আমার ক্লাসটা বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। প্রথমে ক্লাস নেওয়ার জন্যে নাম লিখিয়েছিলেন প্রায় ২৫ জন তবে ক্লাসটার সব হোমওয়ার্ক শেষ অবধি সম্পূর্ণ করেন ন’জন। প্রত্যেক ক্লাসে কবিতা পড়ার এবং লেখার হোমওয়ার্ক দেওয়া হত এবং পরের ক্লাসে সেগুলির আলোচনা হত কবির নাম বাদ দিয়ে। এতে একটা ওয়ার্কশপ জাতীয় আবহাওয়া তৈরী হয়েছিল এবং সবাই মন খুলে গঠনমূলক আলোচনায় অংশ নিত। সেই ক্লাস নোটস –এর ওপর ভিত্তি করেই অবসর পত্রিকায় এই ধারাবাহিক, “সৃজনী লেখার ক্লাস – কবিতা লেখা”। এবারে তার প্রথম পর্ব।

প্রবচন পত্রিকা আমার এই ক্লাসটার প্রচার শুরু করা মাত্র যেমন একদিকে প্রচুর সাড়া পাওয়া গেছিল, তেমনই অন্যদিকে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, “কবিতা লেখা কি শেখানো যায়?” এ প্রশ্ন অবশ্য আজকের নয়। বলা হয় যে, কবিতা লেখা না যায় শেখানো, না যায় শেখা, কারণ কবিতা লেখার জন্যে প্রতিভা লাগে, আর প্রতিভা হয় কারুর আছে বা নেই, সেটা শেখানোর ব্যাপার নয়। এরা অনেকে রিলকের মতামত [২] উল্লেখ করেন এই প্রসঙ্গে – “Nobody can advise you and help you, nobody. There is only one way. Go into yourself”. কিন্তু এদের হয়তো জানা নেই এ বিষয়ে পরাবাস্তববাদী (surrealist) কবিদের অবস্থান সম্পর্কে। আমরা পরাবাস্তববাদ নিয়ে পরের কোনো একটা পর্বে আলোচনা করব, কিন্তু এখানে সংক্ষেপে বলে রাখি যে, পরাবাস্তববাদ আন্দোলনের একটা বড় উদ্দেশ্য ছিল অচেতন মনের সৃজন সম্ভাবনাকে মেলে ধরানো। সেই পরাবাস্তববাদ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ফরাসী কবি আঁন্দ্রে ব্রেতন (Andre Breton) স্বপ্ন দেখতেন যে একটা সময় আসবে যখন দলে দলে কবিরা ট্রেনিং সেন্টারে গিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত ভাষার প্রকাশে দক্ষ হতে শিখবে [৩]। আজকাল আমরা একেই সৃজনী লেখার ক্লাস বলি।

কবিতা লেখা শেখানো যায় কি যায় না, এ ব্যাপারে আমার মতামত খুব সরাসরি এবং স্পষ্ট। কবিতা লিখতে গেলে যে প্রতিভা লাগে সেটা ঠিক এবং প্রতিভা যে শেখানোর বিষয় নয় সেটাও ঠিক, কিন্তু প্রতিভার সঙ্গে সঙ্গে কবিতা লেখায় উৎকর্ষ আনতে যা বিশেষভাবে প্রয়োজন তা হল ভালো করে কবিতার নির্মাণবিদ্যা জানা। নির্মাণবিদ্যা জানা না থাকলে জীবনের অভিজ্ঞতা, জীবনদর্শন অনুভূতির প্রকাশ, বা অন্য যে কোনো স্বতঃস্ফূর্ত ভাবের প্রকাশ হয়ে দাঁড়াতে পারে জোলো অথবা মিনমিনে। আর পরিচিত নির্মাণবিদ্যায় গভীর জ্ঞান গড়ে উঠলে তবেই পুরোনো শিল্প ভাঙা যায়, তবেই কবিতায় একেবারে নতুন নির্মাণবিদ্যার সৃষ্টি সম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। তাই আমার ক্লাসে আমাদের মটো ছিল – “কবিতা লেখা শেখানো যায় না কিন্তু ভালো কবিতা লেখা শেখানো যায়”। ভালো কবিতা লিখতে গেলে প্রচুর কবিতা পড়া প্রয়োজন, এই ধরণের ক্লাস সেটারও বিশেষ সুযোগ করে দেয়।

এই সমস্ত কারণেই আমেরিকার প্রায় সমস্ত কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়েতেই (৩০০র ওপরে) ক্রিয়েটিভ রাইটিং-এর ক্লাস দেওয়া হয় – ক্লাসগুলি ছাত্রদের কাছে খুবই প্রিয় – বিএ এবং এমএ ক্লাসের বহু বহু ছাত্র এই ক্লাস নেয়। তাদের অনেকেই কিন্তু ইংরেজিতে মেজর (অনার্স) করছে না। আমেরিকার বিশিষ্ট কবি এবং লেখক দের একটা বড় অংশ ছাত্রাবস্থায় এই ক্রিয়েটিভ রাইটিং এর ক্লাস নিয়েছেন এবং এখন নিজেরা সেই ক্লাস পড়ান [৪]। এই ধরণের ক্লাসে শিক্ষক কখনোই বলেন না যে, আমার মত করে কবিতা লেখো, বরং ছাত্রদের উৎসাহ দেন তাদের নিজেদের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে লিখতে আর সঙ্গে ধরিয়ে দেন কবিতা লেখার টুলবক্সে নানান রকমের যন্ত্রপাতি। এই প্রসঙ্গে আমি উল্লেখ করব বিখ্যাত আমেরিকান কবি এড্রিয়ান রিচের মন্তব্য “I know that my style was formed first by male poets, what I chiefly learned from them was craft. But poems are like dreams: in them you put what you don’t know you know.” [৫]

বাঙলায় বিএ বা এমএ যারা করেছেন বা করছেন তাদের কাছে বিশেষভাবে পরিচিত না হলেও, ইংরেজি ভাষায় ক্রিয়েটিভ রাইটিং ক্লাসের ইতিহাস খুবই সমৃদ্ধ। [৪] “ক্রিয়েটিভ রাইটিং” এই বাক্যাংশটি খুব সম্ভবত প্রথম ব্যবহার করেন আমেরিকান প্রাবন্ধিক র‍্যালফ এমারসন ১৮৩৭ সালে তাঁর “আমেরিকান স্কলার” নামক ভাষণে। [৬, ৭] ক্রিয়েটিভ রাইটিং-এ প্রথম ক্লাস দেওয়া হয় হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে ১৮৮০ সালে – এই ক্লাস গোড়া থেকেই ছাত্রমহলে জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং জানা যায় যে ১৮৮৫ নাগাদ প্রায় ১৫০ জন ছাত্র এই ক্লাস নেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই ধরণের ক্লাস একেবারে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য শিক্ষার মূলধারায় চলে আসে [৭]।

 

এড্রিয়ান রিচ
ফরাসী কবি আঁন্দ্রে ব্রেতন (Andre Breton)

আজ আমাদের প্রথম ক্লাস। প্রত্যেক ক্লাসেই আমরা দুটো বা তিনটে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব এবং ক্লাসের শেষে বাড়ির কাজ দেব। এই ক্লাস থেকে উপকার পেতে গেলে হোমওয়ার্কগুলি মনোযোগ দিয়ে করতে হবে। সেগুলো করতে গিয়ে যদি কোনো পাঠকের মনে কোনো প্রশ্ন আসে তাহলে আমাকে ইমেইল করতে পারেন – amit9poems@gmail.com

প্রথম যে বিষয়টা নিয়ে আমরা কথা বলব সেটা একেবারেই একটা মৌলিক প্রশ্ন – কবিতা কী? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শুরু করলে একজন মানুষের সারা জীবনটাই কেটে যেতে পারে তাই আমরা নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর দেওয়া কবিতার একটা কার্যকরী সংজ্ঞা (working definition) নিয়েই খুশি থাকব – “কবিতা তো আর কিছুই নয়, শব্দকে ব্যবহার করবার এক ধরণের গুণপনা, ভাষার মধ্যে যা কিনা অন্যবিধ একটি দ্যোতনা এনে দেয়।” [৮] এই “দ্যোতনা” ব্যাপারটা সংজ্ঞা দিয়ে ব্যাখ্যা করা মুশকিল, ক্লাস এগোলে আমরা বিশদ ভাবে শিখব কবিতায় এই গুণপনাগুলির নির্মাণবিদ্যা বা mechanics এর কৌশল। এ প্রসঙ্গে কোলরিজের একটা কথাও উল্লেখ করব [৯] –

prose—words in their best order
poetry—the best words in their best order

আর আমেরিকান মডার্নিস্ট কবি মারিঅ্যান মুরের (Marianne Moore) ৩ লাইনের “Poetry” কবিতার কথা (১৯৬৭ সংস্করণ) [১০]

I, too, dislike it.
Reading it, however, with a perfect contempt for it, one discovers in
it, after all, a place for the genuine. 

দ্বিতীয় যে বিষয়টা নিয়ে আমরা এখন সংক্ষিপ্ত আলোচনা করব সেটা একটা বেশ প্রচলিত ভুল ধারণা – কবিতায় অন্ত্যমিল না থাকা মানে সে কবিতায় ছন্দ নেইআমরা এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে পরের অনেক পর্বে ফিরে আসব বিশেষ করে যখন বাংলা এবং ইংরেজি ছন্দ নিয়ে আলোচনা করব কিন্তু আপাতত বলে রাখি যে, ছন্দ আর অন্ত্যমিল এক নয়, ছন্দ ছাড়া কবিতা হয় না। কোনো কোনো কবিতায় থাকে ছন্দের দীর্ঘ পরিসীমা ক্রম (কথাটা সলিড-স্টেট-পদার্থবিদ্যা থেকে ধার করলাম, পদার্থবিদরা বলেন long-range order)  – পুরো কবিতাটা যেন একটা ল্যাটিস, একই দুলুনি পুরো কবিতা জুড়ে, আবার কোনো কোনো কবিতায় ছন্দ থাকে দানাদানা বা কণিকা সাজে, short-range order। কিন্তু আবারও বলি ছন্দ ছাড়া কবিতা হয় না, ছন্দ একটা বড় অংশ দ্যোতনার, সে কবিতার পঙক্তিগুলি সমান মাপের হোক বা না ই হোক।

একটা উদাহরণ দিই রবীন্দ্রনাথ থেকে – এটি তাঁর প্রান্তিকের প্রথম কবিতার অংশ [১১] –

বিশ্বের আলোকলুপ্ত তিমিরের অন্তরালে এল
মৃত্যুদূত চুপে চুপে; জীবনের দিগন্ত-আকাশে
যত ছিল সূক্ষ্ম ধূলি স্তরে স্তরে, দিল ধৌত করি
ব্যথার দ্রাবক রসে, দারুণ স্বপ্নের তলে তলে
চলেছিল পলে পলে দৃঢ়হস্তে নিঃশব্দে মার্জনা।
কোন্‌ ক্ষণে নটলীলা-বিধাতার নবনাট্যভূমে
উঠে গেল যবনিকা।

এ কবিতায় অন্ত্যমিল নেই কোথাও কিন্তু একবার পড়লেই বোঝা যাবে যে ছন্দের বাঁধুনি এতে টানটান।

আমাদের আজকের ক্লাসের তৃতীয় বিষয়বস্তু হচ্ছে কবিতার লাইন বা পংক্তি কাকে বলে সেটা শেখা। এ নিয়েও অনেক বিভ্রান্তি আছে। এখানে আমরা নীলরতন সেনের [১২] সংজ্ঞা ব্যবহার করব।

“পূর্ণযতি দ্বারা বিভক্ত পদ্যাংশকে পংক্তি বলে”। সরলীকরণ করলে আমরা পংক্তিতে বলতে পারি কবিতার “বাক্য” (metrical line)। তার সঙ্গে, সংসদ বাঙলা অভিধান [১৩] অনুসারে চরণ এবং পংক্তি সমার্থক। অন্যদিকে লিখিত লাইনকে বলা হয় ছত্র [১২]। 

কয়েকটা উদাহরণ দিইঃ

১) ছত্র/লাইন ১, পংক্তি/চরণ ১
“তোমার বয়েস আমি ভালবাসি।”
(উৎপল কুমার বসু, “চতুর্দশী” কবিতার প্রথম লাইন)

২) ছত্র/লাইন ২, পংক্তি/চরণ ১
“আমি হেরে ভূত জেনে তান্ত্রিক আনন্দে একাকার,
বিদ্ধ করে জলের জরায়ু। “
(অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত, “হেরে গিয়ে খুশি” কবিতার শেষ দু লাইন)

৩) ছত্র/লাইন ৩, পংক্তি/চরণ ১

“সকালবেলা প্রথম চোখ মেলে
তোমার কথা যখন মনে পড়বে আমি তখন
তোমার মুখ আঁকবো আবার আলোয়–ভরা আকাশে রেখা জ্বেলে।“
(আলোক সরকার, “শিল্প-কল্পনা”)

৪) আমার নিজের লেখা একটি এক চরণের সম্পূর্ণ কবিতা এবার উদাহরণ হিসেবে দিচ্ছি – এতে ছত্র / লাইন ৯, পংক্তি / চরণ ১

অজান্তে
অমিত চক্রবর্তী

এর আগে বহুবার আড্ডা মেরেছি
দুজনে বা দলবেঁধে, তর্ক করেছি
কবিতা বা সিনেমা নিয়ে, কিন্তু এই যে
আজ কফিহাউসে তুই তর্জনী দিয়ে
আমার বাঁ হাতের টিকা দাগে ছুঁলি,
আর ছোঁয়া মাত্র কি একটা বলতে গিয়ে
থেমে গেলে, মনে হল
আমরা দুজনেই বড় হয়ে গেছি
একে অপরের অজান্তে।

আমাদের প্রথম ক্লাস শেষ। এবার বাড়ির কাজ। দু’ ধরণের বাড়ির কাজ, পড়ার ও লেখারঃ

১) রবি ঠাকুরের প্রান্তিকের এই কবিতাগুলি উচ্চারণ করে পড়তে হবে ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৮, ১০, ১১, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬ , ১৭।

নীচে লিঙ্ক দিলাম। প্রান্তিক ১৯৩৮ সালে প্রকাশিত হয়। কবির বয়েস তখন ৭৭।
https://tagoreweb.in/Verses/prantik-119

২) আমার দৃঢ় বিশ্বাস প্রান্তিক ছাড়া বিনয় মজুমদারের “ফিরে এসো চাকা” সম্ভব হত না। তাই প্রান্তিক পড়ার পর হোমওয়ার্ক থাকছে ফিরে এসো চাকার এই দুটি কবিতা কবিতা পড়ার, উচ্চারণ করে – ১ – “একটি উজ্জ্বল মাছ” http://www.milansagar.com/kobi_3/binoy_majumdar/kobi-binoymajumdar.html
ও ৬৫ (“ভালোবাসা দিতে পারি” https://www.poetrystate.com/binoy-majumdar/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF/)

৩) নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর “কবিতার ক্লাস” [৮] বই থেকে “ছন্দের সহজ পাঠ” নামের অধ্যায়টি (পাতা ৮০-৮৫) পড়তে হবে খুঁটিয়ে। এ বইটির পিডিএফ পাওয়া যায় শুনেছি।

৪) এবার লেখার হোমওয়ার্ক।
একটি কবিতা লিখতে হবে এক পংক্তির/চরণের (পংক্তি/চরণ = “বাক্য”) কিন্তু ৪ থেকে ১০ ছত্রের (ছত্র = কবিতার লাইন)।

উল্লেখসূত্র:


১) www.প্রবচন.com

২) Rainer Maria Rilke, Letters to a Young Poet

৩) Paul Zweig, “The New Surrealism”, in Contemporary Poetry in America, edited by Robert Boyers (1974)

৪) Association of Writing and Writer Programs https://www.awpwriter.org/about/our_history_overview

৫) Adrienne Rich, US National Book award 1974

৬) The American Scholar (Talk) by Ralph Waldo Emerson
http://digitalemerson.wsulibs.wsu.edu/exhibits/show/text/the-american-scholar

৭) John Dale, Professor of Writing and Director – Centre for New Writing, University of Technology Sydney
https://theconversation.com/the-rise-and-rise-of-creative-writing-730

৮) নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর “কবিতার ক্লাস”, নবযুগ সংস্করণ (২০১৩)

৯) Samuel Taylor Coleridge spoke those words on the night of July 12, 1827 during a wide-ranging conversation about a number of famous writers –
http://www.thisdayinquotes.com/2011/07/poetry-best-words-in-best-order.html#:~:text=the%20word%20equal%3A-,%E2%80%9CProse%20%3D%20words%20in%20their%20best%20order%3B%20%E2%80%94%20poetry%20%3D,Algernon%20Sydney%20and%20Edmund%20Burke.

১০) Marianne Moore এর ৫০ বছর ধরে এই “Poetry” কবিতার এডিট নিয়ে কাহিনী পাওয়া যাবে Slate ম্যাগাজিনে – http://www.slate.com/articles/arts/poem/2009/06/marianne_moores_poetry.html#:~:text=Many%20readers%2C%20including%20numbers%20of,I%2C%20too%2C%20dislike%20it.

১১) https://tagoreweb.in/Verses/prantik-119

১২) নীলরতন সেন, “আধুনিক বাঙলা ছন্দ”, দে’জ পাবলিশিং (২০১৩)

১৩) https://dsal.uchicago.edu/dictionaries/biswas-bangala/

অমিত চক্রবর্তীর জন্ম সোনারপুর অঞ্চলের কোদালিয়া গ্রামে। ছাত্রাবস্থায় অনেক লেখা এবং ছাপানো কলকাতার নানান পত্রপত্রিকায়। পড়াশোনার সূত্রে আমেরিকা আসা ১৯৮২। এখন ক্যানসাস স্টেট ইউনিভারসিটি তে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক ও প্রাক্তন কলেজ অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের ডিন (২০১৬-২০২২) । প্রকাশিত কবিতার বই চারটি – "অতসীর সংসারে এক সন্ধ্যাবেলা" (২০২১), "জলকে ছুঁয়ো না এখানে" (২০২২), "ভালো আছি স্তোত্র" (২০২৩), এবং “ভুলটা ছিল উপপাদ্যে, প্রমাণেতে নয়” (ই-বুক ২০২৩)। দু'টি পত্রিকার সম্পাদক - উত্তর আমেরিকার নিউ জার্সি অঞ্চলের পত্রিকা "অভিব্যক্তি" (সহ-সম্পাদক) এবং "উজ্জ্বল এক ঝাঁক পায়রা" অনলাইন কবিতা পত্রিকা।

1 Comment

Avarage Rating:
  • 0 / 10
  • মোহাম্মদ কাজী মামুন , January 15, 2023 @ 4:36 pm

    এক অসাধারণ ক্লাস। এমন ক্লাসের জন্য মানুষ অনেক পথ বেয়ে অনেক খুইয়ে আসতে চাইবে। কিন্তু এক ক্লিকেই পাওয়া যাচ্ছে এই অমূল্য ক্লাস।
    ‘’ফরাসী কবি আঁন্দ্রে ব্রেতন (Andre Breton) স্বপ্ন দেখতেন যে একটা সময় আসবে যখন দলে দলে কবিরা ট্রেনিং সেন্টারে গিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত ভাষার প্রকাশে দক্ষ হতে শিখবে’’- কোথায় যেন পড়েছিলাম, শিক্ষকের কাজ শেখানো নয়, চোখ, কানের অন্তর খুলে দেয়া।
    “কবিতা লেখা শেখানো যায় না কিন্তু ভালো কবিতা লেখা শেখানো যায়”- আমি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সাথে যুক্ত ছিলাম, না হলে সাহিত্যের প্রতি ভালবাসা তৈরী হত না নিশ্চিত করেই জানি।
    ‘’in them you put what you don’t know you know.’’ রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি এই দিকেই তো নিয়ে যেতে চেয়েছে, তাই না অমিতদা?
    হোমওয়ার্কের জন্য সময় বেঁধে দেয়া হয়নি। তাই ফাঁকিজুকির সুযোগ রয়ে গেল!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *