এপিলেপ্সি ও আমি

এপিলেপ্সি ও আমি

ছোটোবেলায় মাকে হারানোর এক বছরের মধ্যে একটা বিচ্ছিরি রকমের অসুখ দানা বাঁধল আমার শরীরে। তখন ক্লাস থ্রিতে পড়ি, হঠাৎ একদিন চোখমুখ উল্টে অজ্ঞান হয়ে গেলাম। তড়িঘড়ি কাছাকাছি মেডিকেল আউটডোরে নিয়ে যাওয়া হলো আমাকে। একবেলা সেখানে থেকে স্যালাইন নিয়ে বিকেলে পাড়ার দাদাদের কোলে চেপে লজেন্স খেতে খেতে বাড়ি ফিরলাম। বেশ মজাই হচ্ছিল, সবাই কী সুন্দর আগলে আগলে রাখছিল। কেন হঠাৎ এরকম হল সেটা নিয়ে বিশেষ কেউ মাথা ঘামায়নি, একেকজন একেক রকম মতামত পেশ করে তখনকার মতো ব্যাপারটায় ক্ষান্ত দিল।
কয়েক মাস বেশ ভালোই কাটল। অ্যানুয়াল পরীক্ষা যখন প্রায় দোরগোড়ায়, তখন আবার আমার দ্বিতীয় অ্যাটাকটি হল। এবার আর বড়রা কোনো রিস্ক না নিয়ে হসপিটালে ভর্তি করে দিলেন। স্যালাইন, ডক্টর, নার্স, ওষুধ,নানারকম পরীক্ষা নিরীক্ষা, সব মিলিয়ে জেরবার হয়ে গেলাম আমি।
ওষুধ আর ফিনাইলের গন্ধ, সন্ধে হতে না হতেই খেয়েদেয়ে শুয়ে পড়া, সিস্টার দিদিদের বকাবকি এসবের মধ্যে এগারোটা দিন যে কী দুঃসহ অবস্থায় কেটেছে তা কেবল আমিই জানি।

এগারো দিন পর বাড়িতে তো এলাম, কিন্তু অ্যানুয়াল পরীক্ষাটা আর দেওয়া হল না আমার। পিসিমণি ছিলেন ঐ স্কুলেরই টিচার, ওঁর হস্তক্ষেপে আমাকে আগের রেজাল্ট দেখে নতুন ক্লাসে তুলে দেওয়া হল। অনেক কিছুতে হঠাৎ করেই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়ে গেল। সুস্থ স্বাভাবিক আমি হয়ে গেলাম এপিলেপ্টিক পেশেন্ট। এরপর থেকে খুব সাবধানে থাকলেও বছরের মধ্যে দু-তিনবার অ্যাটাক হত।
স্বাভাবিকভাবেই প্রচুর ওষুধ খেতে হত আমাকে। বেঁচে থাকাটা যেন দায় হয়ে উঠেছিল আমার। যখনই আমি মনে করতাম অসুখটা বুঝি সেরে গেছে পুরোপুরি ঠিক তখনই আবার ফিরে আসত সে।
কিন্তু অসুখটা যে বিবাহ পরবর্তী জীবনেও এতটা প্রভাব ফেলবে তা বুঝতে পারিনি। সবটুকু জেনে আমায় গ্ৰহণ করেছিলেন আমার স্বামী।
শ্বশুরবাড়িতে শুরুর দিকে কেউ কিছু না জানলেও পরে জানতে পারে সকলেই। তাঁদের একটা দুশ্চিন্তা ছিল আমার সন্তানের উপর এই অসুখের কোনো প্রভাব পড়বে কিনা। সেই দুশ্চিন্তা আদৌ অমূলক  ছিল না।

বিয়ের বছর চারেক পর সন্তান সম্ভাবনা দেখা দিল আমার। ডাক্তার বিশ্রামে থাকতে বলে দিলেন। কিন্তু বাঙালির ঘরে ঘরে ডাক্তার, এই প্রবাদটি আমার জীবনে এতটাই সত্যি হয়েছিল যে তার ফলস্বরূপ সাত মাসে সন্তানটিকে হারাতে হয় আমাকে।
সেই সময়ে মানসিক ভাবে এতটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম আমি যে, ঐ সন্তান হারানোর সব দায়ভার আমার স্বামীকে দিতেও কার্পণ্য বোধ করিনি। নেহাতই ভালো মানুষ বলে সবটুকু দায় মাথা পেতে নিয়ে আমার পাশে থেকেছেন প্রতি মুহূর্তে।
আমার খুড়শ্বশুর ছিলেন একটি সরকারি হসপিটালের চিফ ওয়ার্ড মাস্টার। স্বাভাবিকভাবে সেখানেই আমার চিকিৎসা হয়। সেই সময়ে ঐ হসপিটালের গাইনি ডিপার্টমেন্টের হেড হিসেবে যিনি ছিলেন তিনি সবেমাত্র হসপিটাল জয়েন করেছেন। পরে চেকআপ করার সময়ে আমার কেস স্টাডি করে উনি বললেন, “ছ’মাস বাদে তুমি আমার কাছে এসো, সুস্থ স্বাভাবিক সন্তান জন্ম দেওয়ার পুরো দায়িত্ব আমি নেব। কিন্তু তোমাকে আমার সব কথা শুনে চলতে হবে। এটা একটা চ্যালেঞ্জ আমার কাছে।”

নতুন করে আশায় বুক বাঁধলাম দুজনেই। ছ মাস পর ওঁর কাছে গেলাম, উনি দুধরণের রক্ত পরীক্ষা করতে বললেন। এছাড়াও সিটি স্ক্যান, ইসিজি এসব তো ছিলই। রক্তের পরীক্ষা দুটো খুব ব্যয়সাপেক্ষ ছিল। একসঙ্গে দুটো টেস্ট করানো সম্ভব নয় বলতেই উনি এক কথায় বললেন, “কোনো দরকার নেই একসঙ্গে দুটো টেস্ট করানোর। আস্তে আস্তে করো। দুটো টেস্টের রিপোর্ট নিয়ে একেবারে এসো আমার কাছে।”
আমি তখন মরিয়া হয়ে গেছি, বরকে বললাম, “কিচ্ছু দরকার নেই ওসব পরীক্ষা নিরীক্ষার। এবার আমি খুব সাবধানে থাকব, দেখে নিও।”
বরবাবাজি আমার কথায় কর্ণপাত না করে রক্ত পরীক্ষার জন্য টাকাপয়সা জোগাড় করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। সপ্তাহ তিনেক পর একটা পরীক্ষা হল। তার মাসখানেক পর আরো একটা পরীক্ষা। আমার খুব খারাপ লাগত এই ভেবে যে শুধু আমার জন্য কত টাকাপয়সা বেরিয়ে যাচ্ছে এভাবে।
রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর দেখা গেল একটু সমস্যা আছে যেটা কয়েকদিন ওষুধ খেলে ঠিক হয়ে যাবে। প্রায় মাসখানেক ওষুধ চলল, প্রচণ্ড দাম ছিল ওষুধগুলোর। আমার আশঙ্কা ছিল সাধ্যের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা চলছে, যদি বিফলে যায় সবকিছু!
তবে আমার আশঙ্কাকে ভুল প্রমাণিত করে সফল হল চিকিৎসা এবং সন্তান সম্ভাবনা দেখা দিল।
কিন্তু আবারও প্রচুর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল আমার রোজকার জীবনযাপনে। এবারের নিষেধগুলো অবশ্য অন্য ধরণের। যেমন, শুধু ডাক্তার দেখাতে যাওয়া ছাড়া বাইরে পা পর্যন্ত রাখা যাবে না, বাইরের খাবারদাবার পুরোপুরি বন্ধ, এমনকি পাঁপড় পর্যন্ত খাওয়া বারণ ছিল।

এর আগেও যে সমস্যাটা প্রধান ছিল এবারেও সেই একই সমস্যা দেখা দিল। তলপেটে খুব ব্যথা হত আর মনে হত কী যেন নেমে আসতে চাইছে তলপেট থেকে নিচের দিকে। এই উপসর্গটার জন্য একটা ওষুধ খেতে হতো, সাতমাস পর্যন্ত ওষুধটা খেয়েছি। আসলে কনভালশনের জন্য যে ওষুধগুলো খেতাম আমি সেগুলো এতোটাই স্ট্রং ছিল যে অন্যান্য ওষুধ কাজ করতে অনেক সময় নিয়ে নিতো অথবা কোনো কোনো ওষুধ কাজই করতো না।
শ্বশুরবাড়িতে আমার যে ঘরটি ছিল সেটি একদম ছোট্ট। একটা খাট আর আলমারি রাখার পর আর বিশেষ জায়গা ছিল না। সেই ছোট্ট ঘরটাই সারাদিনের আস্তানা হয়ে উঠলো আমার। পুরোনো পোর্টেবল টিভিটা তার মধ্যেই কোনোরকমে একটু জায়গা করে নিয়েছিল। বই পড়ে আর টিভি দেখে কেটে যেতো সারাদিন। ঐ সময়ে আমার শাশুড়ি মা ভীষণ যত্ন করেছেন আমার।

নিস্তরঙ্গ ভাবেই দিনগুলো কাটছিল আমার। হঠাৎ একদিন দুপুরে স্বপ্ন দেখলাম আমার দিদিমা আর আমি ঝুলনে মামাবাড়িতে রাধাকান্তের বিগ্ৰহকে দোলনায় বসিয়ে দোল দিচ্ছি। চট করে ঘুমটা ভেঙ্গে গেল, দেখি আমার ঐ ছোট্ট ঘরটা ধূপধুনোর ধোঁয়ায় আর গন্ধে ভর্তি হয়ে গেছে। আজও সেই ঘটনার ব্যাখ্যা আমার কাছে নেই।
এর মধ্যে আবার একটা নতুন উপসর্গ দেখা দিলো, সুগার ধরা পড়লো যৎসামান্য। ব্যস! আলু, মিষ্টি একদম বাদ হয়ে গেল আমার খাদ্যতালিকা থেকে। ভাত খুব সামান্য,তার বদলে রুটি, শসা, টক দই এসব খেতে হতো।
সবকিছু মেনে নিয়েও দিব্যি চলছিল। দুদিন আগে ডাক্তার দেখিয়ে এসেছি, উনি বলেছেন বেবি খুব ভালো আছে, চিন্তার কোনো কারণ নেই। সবাই খুব নিশ্চিন্ত মনে আমার আসন্ন “সাধভক্ষণ” অনুষ্ঠানের বিষয়ে আলোচনা করছেন, হঠাৎ মনে হলো কি যেন নেমে গেল তলপেটের নিচের দিকে। প্রায় একছুটে টয়লেটে গেলাম, দেখলাম শুধু জল বেরিয়ে যাচ্ছে। খুব ভয় পেয়ে গেলাম, বাড়ির সবাই ততক্ষণে উৎকণ্ঠায় একশেষ। শাশুড়ি মাকে কথাটা বলতেই সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকে বললেন, “এক্ষুনি হসপিটালে নিয়ে যেতে হবে, তুই ডাক্তারের সঙ্গে কথা বল।”
প্রায় সাথে সাথেই সব ব্যবস্থা করে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হলো আমাকে। উনিশ দিন হসপিটালে শুধু বাঁদিক ফিরে শুয়ে থাকতে হয়েছিল। ডঃ কুমকুম পাহাড়ী আমার জন্য প্রায় রাজকীয় আয়োজন করেছিলেন হসপিটালে। সবাই ভেবেছিল উনি বুঝি আমার কোনো আত্মীয়, কিন্তু যখন জানলো যে আমি শুধুই ওঁর পেশেন্ট মাত্র তখন বেশ সম্ভ্রমের চোখে দেখতে শুরু করলো সবাই।
আমি এমনিতেই কথা বলতে খুব ভালোবাসি, তার উপর অতদিন হসপিটালে থাকা।সবারই যেন আমার উপর একটা টান তৈরী হয়ে গিয়েছিল। রূপা বলে একটি নেপালি মেয়ে আমার ঠিক পাশের বেডেই ভর্তি ছিল, ওরও একই সমস্যা। আমার সুগার ছিল বলে খাবারও খুব অল্প পরিমাণে দিতো হসপিটাল থেকে। আমার পেট ভরত না,রূপা ওর নিজের খাবার থেকে সিংহভাগ আমাকে দিয়ে দিতো প্রতিদিন। কিছুতেই কোনো কথা শুনতো না।
প্রায় তিনমাস রূপা হসপিটালে ভর্তি রয়েছে, একদিন প্রায় জোর করেই বন্ডে সাইন করে ছুটি নিয়ে চলে গেল হসপিটালের কারোর কথা না শুনে। পরদিন হঠাৎ সন্ধ্যেবেলায় শুনলাম রূপার বাচ্চাটা আবার নষ্ট হয়ে গেছে। এবার নাকি যমজ বাচ্চা ছিল ওর। আমি তো কেঁদে আকুল হলাম।
সমানেই কাঁদছি দেখে হেড নার্স জগৎদি এক ধমক দিলেন আমাকে। তিনদিন পর রূপা বাড়ি ফেরার সময় আমার সঙ্গে দেখা করে আমাকে বলেছিল, “বৌদি, আমি কিন্তু তোমার বাড়িতে যাবো। আর তুমি ফোন করে জানাবে তোমার ছেলে হলো না মেয়ে।” আমি ভাবছিলাম কতটা ভালো হলে নিজের অতবড় কষ্টের মধ্যেও এই কথাগুলো বলা যায়।
ঐ উনিশ দিনে বোধহয় বার পাঁচেক আমার আলট্রা সোনোগ্ৰাফি হয়েছিল। অতোদিন একনাগাড়ে শুয়ে থাকার দরুন মাটিতে পা ফেলতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল পায়ের তলায় যেন অজস্র কাঁটা ফুটিয়ে দিচ্ছে কেউ। শেষে বেড থেকে সরাসরি স্ট্রেচারে করে নিয়ে গিয়েছিল ওয়ার্ড বয়।
এতদিন ধরে ভর্তি আছি অথচ সমস্যার কোনো সুরাহা হচ্ছে না দেখে আমার বাড়ির সকলেই খুব চিন্তিত। আমি হসপিটালে ভর্তি হওয়ার দিন পাঁচেক পর থেকেই আবার আমার ডক্টর আউট অফ স্টেশন। যদিও আমাকে নিশ্চিন্ত থাকতেই বলে গিয়েছিলেন তিনি।
তাঁর বদলে যিনি আমাকে দেখছেন তিনি একদিন বিকেলে এসে বললেন, “এই পেশেন্টকে গ্লুকোজ দিন।” সিস্টার দিদি একটু আঁতকে উঠলেন, “সুগার আছে তো!” উনি বললেন, “কিচ্ছু হবে না। আপনি দিন।”
সেদিন রাত দশটার একটু পর থেকেই শরীরে কেমন একটা অস্বস্তি শুরু হলো। বাঁদিক ফিরে শোয়ার কথা,অথচ আমি সোজা হয়ে ছাড়া শুতে পারছি না। চিনচিনে একটা ব্যথা সমানে হয়ে যাচ্ছে। দাঁতে দাঁত চেপে ব্যথাটা সহ্য করছি।
পরদিন সকালেই খুড়শ্বশুর এসে আমার চোখমুখ দেখেই কিছু একটা সন্দেহ করে জিজ্ঞেস করলেন,”কি হয়েছে রে তোর? ব্যথা হচ্ছে?”কোনোমতে সম্মতি জানাতেই কাকা শোরগোল শুরু করে দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার এলেন, দেখলেন কিন্তু ব্যথা কমানোর ওষুধ দিয়ে চলে গেলেন। আমার বরকে বললেন, “কোনো আশা নেই। আপনি অফিস চলে যান।”
ওষুধটা খাওয়ার সাথে সাথেই বমি হয়ে গেল আমার। ততক্ষণে রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে। আমার বাড়িতে খবর চলে গেছে, সকলেই হসপিটালে এসে হাজির হয়েছে। আমি তখনো ব্যথা সয়ে যাচ্ছি। শেষ পর্যন্ত জগৎদি অন্য একজন ডক্টরকে নিয়ে এসে আমাকে দেখালেন। উনি দেখেই বললেন, “বেবির মাথা প্রায় বেরিয়ে এসেছে, এক্ষুনি লেবার রুমে নিয়ে চলুন।”
লেবার রুমে নিয়ে যাওয়ার আধঘন্টার মধ্যে এতদিনের যন্ত্রণার অবসান ঘটিয়ে স্বাভাবিকভাবেই ধরাধামে অবতীর্ণ হলেন আমার শিশুপুত্র। পরে শুনেছিলাম সুখবরটা শোনার পর যে খবরটা দিয়েছে আনন্দে আত্মহারা হয়ে তাকে জড়িয়ে ধরতে যাচ্ছিলেন আমার বর মহাশয়। না, ছেলে হয়েছে বলে নয়। সুস্থ স্বাভাবিক একটি সন্তানের জন্ম হয়েছে বলে।

সেদিনটা ছিল পয়লা এপ্রিল। তাই যাকেই খবরটা দেওয়া হয়েছে সেই প্রথমে খানিকটা সন্দেহ প্রকাশ করেছে এপ্রিল ফুল করছে না তো?
একটু বড় হওয়ার পর ছেলেকে নিয়ে ডঃ কুমকুম পাহাড়ীর কাছে গিয়েছিলাম, খুব খুশী হয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন,”এতদিন এতো পেশেন্ট দেখেছি, কিন্তু কেউ তাদের বাচ্চাকে দেখাতে নিয়ে আসে নি কখনো। তবে তোমার এরকম শারীরিক অবস্থায় যে সুস্থ বাচ্চা হয়েছে কোনোরকম অপারেশন ছাড়াই, এটা আমার কাছে একটা বিরাট সাফল্য।”
ছেলে সুস্থ স্বাভাবিকভাবেই বড় হয়েছে। না, আমার অসুখ ওকে ছুঁতে পারেনি কখনো।
কিন্তু অসুখটা যে আমাকে এখনো ভুলতে পারেনি সেটা বুঝতে পারলাম প্রায় দশ বছর পর যখন আবার একটা মারাত্মক অ্যাটাক হলো। তবে সবকিছুরই তো একটা ভালো দিক আছে, সবাই যে আমায় নিয়ে কতটা উদ্বিগ্ন সেটা আবার একবার অনুভব করলাম।

থাকুক এ অসুখ আমার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত।

2 Comments

Avarage Rating:
  • 0 / 10
  • Manjulika Ray , October 18, 2022 @ 7:09 am

    এই লেখাটা পড়ে একই সঙ্গে কষ্ট আর ভালোলাগায় মন ভরে উঠলো।

  • Mohammad Kazi Mamun , October 18, 2022 @ 6:28 pm

    গা শিউরে উঠলো, দিদি। আমার একটা মতামত আছে, সবার ভালবাসা আর মমতা যেকোনো অসুখকে দূরে রাখে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *