সম্পাদকীয়
শুভ ১৪৩১! পূর্ব ঘোষণামতই প্রকাশিত হল অবসর পত্রিকার ‘নববর্ষ ১৪৩১’ সংখ্যা। গ্রীষ্মের নিদারুণ তাপে আমরা সবাই দগ্ধ হচ্ছি, ‘প্রখর দারুণ অতি দীর্ঘ দগ্ধ দিন / যত দূরে চাই নাই শুধু নাই দিকে দিকে শুধু নাই নাই নাই’ – এই নেতিবাচক অবস্থার মধ্যে ‘নববর্ষ সংখ্যা’ আশা করছি আমাদের পাঠকদের মনে কিছুটা হলেও প্রাপ্তির খবর দেবে।
প্রথমেই আমাদের তরফ থেকে আমাদের পাঠক, লেখক, শুভানুধ্যায়ীদের জানাই নববর্ষের শুভেচ্ছা। আগামী বছর সবাই ভালোভাবে কাটান। সকলেই সুস্থ থাকুন, আনন্দে থাকুন এবং যথাসম্ভব সৃজনশীল থাকুন। বর্তমান বেশ কিছু গবেষণা দেখাচ্ছে যে সুস্থ থাকার বা আনন্দে থাকার মূল উপায় সপরিবারে এবং সবান্ধবে মিলে মিশে থাকা ও নিত্য নতুন কিছু সৃষ্টির কাজ খুঁজে নেওয়া। সেই কবিগুরুর কথায়, ‘নিত্য তোমার যে ফুল ফোটে ফুলবনে, তারি মধু কেন মনমধুপে খাওয়াও না?’ এই কথার অন্তর্নিহিত অর্থ আমরা এও করে নিতে পারি যে ফুল ফুটিয়ে তো তুমি তোমার কাজ করে ফেলেছ, নিত্যদিন তার থেকে মধু আহরণ করার কাজটি আমাদের করেই চলতে হবে। সেটিই আমাদের আনন্দে থাকার পথ।
বিগত কয়েকটি সংবাদ আমাদের আনন্দ পরিবেশন করেছে। তার মধ্যে নিঃসন্দেহে রয়েছে লেখক শ্রী স্বপ্নময় চক্রবর্তীর ও শ্রী হামিরুদ্দিন মিদ্যার সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার লাভ। এই আনন্দের ভাগ নিতে আমরা প্রকাশ করছি দুই লেখকের বইয়ের পাঠ প্রতিক্রিয়া।
দুঃখের খবর বলতে আমরা হারিয়েছি এক অন্যধারার চলচ্চিত্র পরিচালক কুমার সাহনিকে। ঋত্বিক ঘটকের শিষ্য সাহনি ভারতীয় চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল নাম যিনি পরিচালনা করেছেন অন্য ছবির সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের কাহিনি অবলম্বনে – ‘চার অধ্যায়’। তাঁর চিত্রভাষা নিয়েও রইল একটি লেখা।
এছাড়াও রইল অন্যান্য প্রত্যেকটি বিভাগের সুন্দর সুন্দর লেখা। আশা করছি সংখ্যাটির সঙ্গে আপনাদের নতুন বছরের শুভ সূচনা বেশ আড়ম্বরের সঙ্গেই পালিত হবে।
একটাই অনুরোধ আপনাদের। আপনাদের মতামত Comment Section এ লিখে জানান। তাহলে লেখকদের ভালো লাগবে, তাঁরাও উৎসাহিত বোধ করবেন। লেখকরাও প্রতি মন্তব্য করতে পারবেন।
আমরা জানি সোসাল মিডিয়াতে অনেকেই লেখা পোস্ট করেন অবসর পত্রিকার লিংক দিয়ে। সেখানে মন্তব্য করে সেই একই মন্তব্য যদি Comment Section ও কপি পেস্ট করে দেন, তাহলে তা আমাদের পত্রিকাতে বরাবরের মত থেকে যাবে।
নববর্ষের অনেক শুভেচ্ছা রইল। আমাদের এবছরের পথ চলা মসৃণ হোক!