ছবিতে
কামারপুকুর ও জয়রামবাটি (আগে
যা প্রকাশিত হয়েছে)
৩.
লাহাদের পাঠশালা ও চণ্ডিমণ্ডপ
কামারপুকুরের জমিদার
লাহাবাবুদের দুর্গামণ্ডপের সামনের নাটমন্দির বা আটচালায়
একটি পাঠশালা বসত। গ্রামের ছোট ছেলেমেয়েদের বিদ্যা দান
করার জন্যই লাহাবাবুরা এই পাঠশালা চালু করেছিলেন। পাঁচ
বছর বয়সেই বালক গদাধরকে এই পাঠশালায় পাঠান হয়েছিল এবং
মেধা ও অমায়িক ব্যবহারের জন্য শীঘ্রই সে শিক্ষকের প্রিয়
পাত্র হযে উঠেছিল। প্রথমে যদুনাথ সরকার এবং পরে রাজেন্দ্রনাথ
সরকার পাঠশালায় শিক্ষক হিসাবে কাজ করেছিলেন। সকাল ও
সন্ধ্যা দু'বেলাই পাঠশালা বসত। এই আটচালায় পড়াশুনা করা
ছাড়াও বালক গদাধর শিব সেজে অভিনয় করতেন।
৭
নং চিত্র
পাঠশালায় প্রথমে
খড়ের চাল ছিল কিন্তু পরে তা বিনষ্ট হলে টিনের চাল করা
হয়। তবে ৫৬টি কাঠের খুঁটি এবং মূল কাঠামো তখনকার মতই
আছে। এখনও পূজা বা রাস উপলক্ষে যাত্রা ও সঙ্গীতানুষ্ঠান
হয়।
৮নং
চিত্র
পাঠশালার পশ্চিমদিকে
ঠিক মুখোমুখি লাহাবাবুদের চণ্ডীমণ্ডপ বা দুর্গামন্দিরটি
অবস্থিত। ১২৫৭ বঙ্গাব্দে তত্কালীন জমিদার ধর্মদাস লাহা
এটি নির্মাণ করেন।
৯নং
চিত্র
প্রতি বছর এখানে
ঠিক আগের মতই পূজা হয়ে থাকে। ৭ নং চিত্রে পাঠশালা এবং
৮ ও ৯নং চিত্রে দুর্গামণ্ডপ দেখা যাচ্ছে।
৪. বিষ্ণু মন্দির
১০নং
চিত্র (মন্দিরের দেয়ালে পোড়ামাটির মূর্তি দেখতে চাইলে
ছবিতে ক্লিক করুন।)
পাঠশালার অনতিদূরে
লাহাবাবুদের এই বিষ্ণুমন্দিরটি অবস্থিত। এটি দেখতে দালানের
মত। মন্দিরটির সামনের দেয়ালের উপরে
এবং দুই পাশে মোট ২০টি পোড়ামাটির মূর্তি রয়েছে। গর্ভগৃহে
সিংহাসনে দামোদর শিলা। বালক গদাধরের যখন পাঠশালায় পড়াশোনা
করতে ভাল লাগত না, তখন তিনি এখানে এসে মা কালীর মূর্তি
আঁকতেন ও ধ্যান করতেন। লাহা বংশীয় জগন্নাথ লাহা অষ্টাদশ
শতকে মারাঠা বর্গীদের আমলে মন্দিরটি নির্মান করেছিলেন।
মন্দিরে তিনটি কুঠুরীগৃহ আছে। মন্দিরের সামনে একটি বোর্ডে
লেখা আছে " এই মন্দিরটির উপরে ও নীচে বাড়ি আছে।"
১০নং চিত্রে বিষ্ণু
মন্দিরটি দেখা যাচ্ছে।