প্রথম পাতা

শহরের তথ্য

বিনোদন

খবর

আইন/প্রশাসন

বিজ্ঞান/প্রযুক্তি

শিল্প/সাহিত্য

সমাজ/সংস্কৃতি

স্বাস্থ্য

নারী

পরিবেশ

অবসর

 

ছবিতে কামারপুকুর ও জয়রামবাটি (আগে যা প্রকাশিত হয়েছে)

১৭. বাসনাবালা দেবীর স্মৃতিমন্দির

কামারপুকুরের কাছে মুকুন্দপুর গ্রামে ১৮৯৯ বা ১৯০০ খৃষ্টাব্দে বাসনাবালার জন্ম। বাবার নাম অধরচন্দ্র নায়ক এবং মায়ের নাম জ্যোতিবালা। মাত্র ৭ বছর বয়সে বাসনাবালার সঙ্গে হৃষিকেশ নন্দীর বিয়ে হয় এবং কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি বিধবা হন। ১০ বছর বয়সে জয়রামবাটিতে সারদা মায়ের কাছে কাজ করতে আসেন। মায়ের কাছে দীক্ষা নিয়ে তাঁর কাছে থেকেই তাঁর সেবা করতেন। একদিনের অভিজ্ঞতার কথা তিনি পরবর্তী কালে বর্ণনা করেছেন। একদিন মা তাকে বলেছিলেন, " তুই যা দেখবার জন্য ব্যাকুল হয়েছিস, তা তুই এখানে বসেই দেখতে দেখতে পাবি"। সে রাত্রেই মা তাকে নিজের জগদ্ধাত্রী রূপ দেখিয়েছিলেন। বাসনাবালা বলেছেন, "কী, শান্ত, স্নিগ্ধ, অপূর্ব সে রূপ। কোন ভয়ঙ্করতা তাতে নেই। বড় সুন্দর ও ঐশ্বর্যময়"। মায়ের দেহরক্ষার সময় পর্যন্ত ( ১৯২০ খৃষ্টাব্দ ) মার কাছেই তিনি ছিলেন। এরপর দীর্ঘ সময় তিনি বুড়োশিবের মন্দিরের কাছে মাটির কুটীরে বাস করতেন। বুড়োশিবের মন্দির সংস্কারের সময়েও তাঁর সঞ্চিত অর্থ থেকে তিনি সাহায্য করেছেন।

৩৬ নং চিত্র (বড় করে দেখতে চাইলে ছবির উপর ক্লিক করুন)

৩৬ নং চিত্রে সাহায্যকারীদের মধ্যে প্রথমেই তাঁর নাম দেখা যাচ্ছে। ১৪০৪ বঙ্গাব্দের ২৫ শে ফাল্গুন ৯৮ বছর বয়সে বাসনাবালা দেহত্যাগ করেন। তারই সঞ্চিত অর্থ ও ভক্তদের দানে ১৪০৬ সালের ৪ ঠা বৈশাখ বাসনা মা-এর স্মৃতি মন্দিরটির প্রতিষ্ঠা হয়। মন্দিরের অভ্যন্তরে উপরের সারিতে ঠাকুর, সারদা মা, স্বামীজী এবং নীচের দিকে মাঝখানে বাসনা মা-এর ছবি রয়েছে। ৪৩ নং ছবিতে সমাধি মন্দির, ৪৪ নং ছবিতে মন্দিরটি এবং ৪৫ নং ছবিতে মন্দিরের অভ্যন্তরের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।

৪৩ নং চিত্র

৪৪ নং চিত্র

৪৫ নং চিত্র

১৮. ভুরসুবো গ্রাম

কামারপুকুরে শ্রীরামকৃষ্ণদেবের বাড়ী থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে ভুরসুবো গ্রাম। এর বর্তমান নাম হরিশোভা। গ্রামের শান্ত নির্জন ছায়াময় পরিবেশ, স্থানে স্থানে পুকুর, পাখীর ডাক, কুঁড়ে ঘর এবং সরলপ্রাণ গ্রামবাসীদের দেখে বহু বছর আগের দেখা সেই পল্লীবাংলার কথা মনে পড়ে। তখন অধিকাংশ গ্রাম এ রকমই ছিল। এটা কতদিন থাকবে জানা নেই; হয় ত এখানেও বহুতল বাড়ী তৈরী হবে, পেট্রোল ও ডিজেলের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হবে এর নির্মল পরিবেশ।
শ্রীরামকৃষ্ণদেব অল্পবয়সে প্রায়ই বাড়ি থেকে হেঁটে হেঁটে এখানে চলে আসতেন, মূলতঃ মানিকরাজার আহ্বাণে। ৪৬ নং চিত্রে গ্রামের একটি রাস্তা এবং ৪৭ নং চিত্রে একটি পুকুরে হাঁসের সাঁতার কাটা দেখা যাচ্ছে।

৪৬ নং চিত্র

৪৭ নং চিত্র

দীপক সেনগুপ্ত


 

 

Copyright © 2014 Abasar.net. All rights reserved.


অবসর-এ প্রকাশিত পুরনো লেখাগুলি 'হরফ' সংস্করণে পাওয়া যাবে।