প্রথম পাতা

শহরের তথ্য

বিনোদন

খবর

আইন/প্রশাসন

বিজ্ঞান/প্রযুক্তি

শিল্প/সাহিত্য

সমাজ/সংস্কৃতি

স্বাস্থ্য

নারী

পরিবেশ

অবসর

 

ফুলের উপত্যকা (ভ্যালি অব্‌ ফ্লাওয়ার্স)

-৬-

কৃষ্ণা প্যালেসে এবার মাত্র তিনটে ঘর পাওয়া গেল, আর আমরা মোট ১০ জন। তাই একটা ঘরে দলের তিন মহিলাদের রেখে বাকি দুটো ঘরে আমরা সাতজন পুরুষ ঢুকলাম। ৩০০ টাকা ঘর প্রতি ভাড়া। ঘর বাথরুম সংলগ্ন, তবে খুব অল্প সময়ের জন্যেই কলে জল পাওয়া গিয়েছিল, কারণ বিদ্যুতের অভাব। গত বারেও একই অবস্থা ছিল। বিদ্যুতের পোস্ট এবং তার রাস্তায় রয়েছে কিন্তু কয়েক বছর আগে স্থানীয় জল-বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি ল্যান্ড-স্লাইডে ভেঙ্গে যাবার পর আর নতুন করে তৈরি করা হয়নি। গত বার সম্পূর্ণ ভাবেই গেস্ট হাউসের নিজের জেনারেটরে বিদ্যুতের সরবরাহ সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা আর ভোর ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত করা হতো আর এবার কেন্দ্রীয় ভাবে ওইটুকু সময়ের জন্যেই সরবরাহ করা হচ্ছে। যাই হোক এখানকার নিম্নতম উষ্ণতা ৭/৮ ডিগ্রি এবং ছায়াতে দিনের উষ্ণতা প্রায় ২০ ডিগ্রি থাকছিল, তাই স্নান করার প্রয়োজন বোধ করিনি। বৃষ্টি পড়লে এই উষ্ণতা আরও কম হয়, গত বারে বৃষ্টি হচ্ছিল অবশ্য এবারে বৃষ্টির অভাব সারা দেশের মতো এখানেও। আমাদের মধ্যে কয়েকজন স্নান করেছিল, গরম জলে। এক বালতি গরম জল ২০ টাকা। ভারতী এক গ্লাস গরম জল নিয়েছিল খাবার জন্যে আলাদা করে, দাম ৫ টাকা।

গেস্ট হাউসের সঙ্গে যে রেস্তোঁরা রয়েছে, কেন জানিনা এরা এখানকার বাজার ছাড়া দাম নেয়। কাছাকাছি বেশ কয়েকটা ভাল রেস্তোঁরা আছে, খাবার বেশ ভাল আর তুলনায় দাম পাহাড়ের এত উঁচুতে যথাযথই। যেমন, মাঝারি এক প্লেট ভাত ২৫ টাকা, ভেজিটেব্‌ল চাওমিন ৩০ টাকা, এক প্লেট দই (২৫০ গ্রাম হবে মনে হয়) ২০ টাকা, সেঁকা রুটি, প্রতিটি ৩ বা ৪ টাকা, এক প্লেট মিক্সড ভেজিটেব্‌ল বা আলু-মটর বা আলু-ফুল/বাঁধাকপির তরকারি ২৫ টাকা, ইত্যাদি। সাধারণত থালি মিল পাওয়া যায় না এখানে। আমিষ খাবার পাওয়া যায়, তবে বেড়াতে বেরিয়ে আমি কখনই আমিষ খাই না, বড় জোর ডিম খাই। সেই জন্যে আমিষ খাবারের দাম আমি খোঁজই করি না। জল খাবার ১টা পুরি ৫ টাকা, সিঙ্গাড়া প্রতিটি ৫ থেকে ১০ টাকা, সাইজ মত, চা ৫ থেকে ১০ টাকা গ্লাস। এ ছাড়া প্‌কৌড়া (আমরা পাকোড়া বলে থাকি), ব্রেড প্‌কৌড়া, জিলিপি, মুগের নাড়ু, গুলাব জামুন (গোলাপ জাম), রস মালাই ইত্যাদি পাওয়া যায়। মিষ্টির দাম বেশিই। বোতলের ঠাণ্ডা পানীয় ও জল আমাদের এখানের থেকে দুই/আড়াই গুন বেশি। এই সমস্ত হিসাব আপনাদের জানানোর কারণ হলো, যদি ফুলের উপত্যকা আর লোকপাল-হেমকুণ্ড দেখতে যান, এখানে তাহলে আপনাদের তিনটে রাত কাটাতে হবে। তাই যদি হয়, ঘাঁঙরিয়ার বাজার-দর, ভূগোল আর ইতিহাস আরও কিছুটা জেনে নিলে খারাপ লাগবে না।
গড় সমুদ্র তল থেকে এখানকার উচ্চতা ৩০৪৮মি. এবং আগেই বলা হয়েছে গোবিন্দঘাট থেকে দূরত্ব ১৩কিমির কিছু বেশি এবং উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত। এখানে বনবিভাগের বিশ্রামাগার আর বহুতল বিশিষ্ট গুরদ্বারা আছে। গুরদ্বারায় প্রচুর সংখ্যক যাত্রীর রাত্রিবাসের ব্যবস্থা আছে তবে প্রধানত বিরাট বিরাট হল ঘরে যাত্রীরা রাত কাটান। প্রতিটি হলে ১০০ জনের বেশি যাত্রীর এক সঙ্গে স্থান সঙ্কুলান হয়। স্বাভাবিক ভাবে শৌচাগারের ব্যবস্থা আলাদা স্থানে। বিদ্যুতের অভাবের কারণে পাম্প চলে না কাজেই উপরের হলঘরগুলিতে জলের অভাব এবং এই কারণেই শৌচাগারগুলি কিছুটা অপরিষ্কার ও দুর্গন্ধযুক্ত। দু বেলা প্রসাদের ব্যবস্থাও আছে। সমস্ত ব্যবস্থাই নিঃশুল্ক। ইচ্ছে হলে কিছু দান করতে পারেন। এই দুই জায়গা ছাড়া বেশ কিছু সাধারণ মানের হোটেল ও গেস্ট হাউস আছে এখানে। এখানকার বেশিরভাগ বাড়িই যাত্রী সেবার কাজে ব্যবহার হয়। হোটেল-রেস্তোঁরা ছাড়াও কিছু দোকান ঘর আছে। প্রধানত সমস্ত ব্যবস্থাই পাকা বাড়িতে, তবে এগুলো জুন মাসের প্রথম থেকে অক্টোবরের প্রথম ভাগ পর্যন্ত চালু থাকে, বাকি সময় তালা দেওয়া এবং বরফের তলায় ঘুমিয়ে থাকে। গত বার কানাইহার কাছে শুনেছিলাম যে এইখানে তখন ভল্লুক চলে আসে খাবারের খোঁজে এবং বিশেষ করে খাবারের গন্ধে রেস্তোঁরা ও খাবারের দোকানগুলোয় আক্রমণ করে। প্রমাণ স্বরূপ ও আমাকে একটা ভাঁঙা দেয়াল দেখিয়েছিল যেটা নাকি ভল্লুকের কীর্তি। এ বছর আমরা ঘাঁঙরিয়ার উত্তর প্রান্তে বেশ দূরে এক ভল্লুকের দেখা পেয়েছিলাম, তখন অবশ্য বরফ ছিলো না এখানে। গেস্ট হাউস থেকে আশপাশের কয়েকটা ছবি দেখিয়ে এখানকার প্রকৃতির রূপ বোঝাবার চেষ্টা করেছি (চিত্র-১৫, গেস্ট হাউস থেকে নর পর্বত ১, চিত্র-১৬, গেস্ট হাউস থেকে নর পর্বত ২, চিত্র-১৭, গেস্ট হাউস থেকে দিনের বেলায় ১, চিত্র-১৮, গেস্ট হাউস থেকে দিনের বেলায় ২, চিত্র-১৯, গেস্ট হাউস থেকে দিনের বেলায় ৩, চিত্র-২০, গেস্ট হাউস থেকে রাতের বেলায়)

চিত্র-১৫, গেস্ট হাউস থেকে নর পর্বত ১

চিত্র-১৬, গেস্ট হাউস থেকে নর পর্বত ২,

চিত্র-১৭, গেস্ট হাউস থেকে দিনের বেলায় ১

চিত্র-১৮, গেস্ট হাউস থেকে দিনের বেলায় ২

চিত্র-১৯, গেস্ট হাউস থেকে দিনের বেলায় ৩

চিত্র-২০, গেস্ট হাউস থেকে রাতের বেলায়

যাত্রাকালে (জুন মাসের প্রথম থেকে অক্টোবরের প্রথম অংশ) ঘাঁঙরিয়া প্রায় শহরের রূপ নেয়। এই জায়গা লক্ষ্মণ গঙ্গার পূর্ব পারে, অবশ্য বসতি আর নদীর মাঝে কিছুটা দূরত্ব আছে। উত্তর প্রান্তে আর এক নদী এসে মিশছে লক্ষ্মণ গঙ্গার সঙ্গে। এই নদীর নাম পুষ্পাবতী, ফুলের উপত্যকা থেকে আসছে বলে। ঘোড়াদের আস্তাবল আর তাদের সহিসদের আস্তানা শহরের উত্তর প্রান্তেই রয়েছে। কৃষ্ণা প্যালেস গেস্ট হাউস ঘাঁঙরিয়ার দক্ষিণ প্রান্তে অর্থাৎ শহরে ঢোকার প্রথম দিকেই আছে। এর সামনেই, রাস্তার বিপরীতে সবুজ রং করা টিনের ছাদ দেওয়া কয়েকটা ঘর, Eco Development Committee-র। এই কমিটি সম্পর্কে কিছু জানা দরকার।

আপনাদের আগেই জানিয়েছি যে গোবিন্দঘাট থেকে ঘাঁঙরিয়ার উত্তর প্রান্ত পর্যন্ত ফুলের উপত্যকা আর লোকপাল-হেমকুণ্ডের রাস্তা একই। ১৯৭৫ সালের পর থেকে হেমকুণ্ডের পথে শিখ তীর্থ যাত্রীদের ভিড় অত্যধিক বেড়ে যাচ্ছে। সেই কারণে এই পথের আশপাশে বর্জ্য পদার্থ, বিশেষ করে প্লাস্টিকের আবর্জনা পরিবেশের খুবই ক্ষতি করতে আরম্ভ করে। তীর্থ যাত্রীর ভিড় বছরে ৫ মাস চলে আর বাকি ৭ মাসের বেশিরভাগ সময় মোটামুটি পুলেনার পর থেকেই বরফে ঢেকে থাকে। Valley of Flowers National Park ও সংলগ্ন Nanda Devi National Park মিলিত ভাবে Nanda Devi Biosphere Reserve-এর অন্তর্ভুক্ত ও ভারত সরকারের ১৯৭২ সালের Wildlife Protection Act-এর দ্বারা উত্তরাখণ্ড সরকারের বন বিভাগের অধীন। স্বাভাবিকভাবে এই বায়োস্ফিয়ার রিসার্ভের মধ্যে যে ৪৭টি গ্রাম এবং রিসার্ভকে পরিবেষ্টিত করে যে ৬টি গ্রাম বাকি অংশের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করছে, সেখানকার অধিবাসীদের জীবনযাত্রার ধারায় প্রচণ্ড পরিবর্তন এনে দিয়েছে এই Act। ২০০০ সালে উত্তরাখণ্ড (প্রথমে উত্তরাঞ্চল) সরকার গঠিত হবার সঙ্গে সঙ্গেই সরকারী উদ্যোগে এই সমস্যা সমাধান করার জন্যে এক নতুন ও বৈপ্লবিক চিন্তাধারার উদ্ভব করা হয়। Eco Development Committee-র গঠন হলো সেই চিন্তাধারার ফল। এই কমিটি স্থানীয় এবং সংশ্লিষ্ট অধিবাসীদের ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত এবং তাঁরাই আইনের আওতায় থেকে নিজেদের সমস্যার সমাধান করার অধিকারী। তাই বিভিন্ন জায়গার কমিটির সামনে সমস্যা ও তার সমাধান বিভিন্ন। বর্তমান লেখার পরিধির মধ্যে পড়ে Valley of Flowers National Park ও তার সংলগ্ন তিনটি গ্রাম, গোবিন্দঘাট, পুলেনা ও ভিউন্দরের EDC-র কথা। এই গ্রামগুলির সমস্যা আবর্জনা উদ্ভূত সমস্যা। এখানকার মানুষদের রুজিরোজগারে বা বাসস্থানে এই পার্ক গঠনের কারণে টান বিশেষ ভাবে পড়েনি। এ ছাড়া এই কমিটি আরও একটি কাজ নিজেদের দায়িত্বে নিয়েছে, প্রধানত পুলেনার কিছু উচ্চশিক্ষিত যুবকের উদ্যোগে। চন্দ্রশেখর এস. চৌহান (+৯১৯৪১১৩৪১০৩৯, +৯১৯৯৯৭৬১৪০০৪, vasundharamyearth@gmail.com) এমনই এক উদ্ভিদবিদ্যাবিশারদ। তাঁরা Nature Interpretation Centre নামে EDC-র মধ্যেই এক সংস্থা গঠন করেছেন যার কাজ স্থানীয় পশু-পাখি-গাছ ইত্যাদির পঞ্জিকরণ ও তাদের সংরক্ষণ করা। চন্দ্রশেখরের সঙ্গে আমার পরিচয় হবার সময় উনি অবশ্য পুলেনার বদলে দেরাদুনে বসবাস করতেন ঘাঙরিয়ার থাকার সময় ছাড়া। যাই হোক, EDC স্থানীয় মানুষদের নিয়ে গোবিন্দঘাট থেকে লোকপাল-হেমকুণ্ডের রাস্তা পরিষ্কার রাখার কাজ, বর্জ্য পদার্থ সরানো এবং প্রধানত প্লাস্টিকের রিসাইক্ল করার কাজ করছে। আমার দু’বারের অভিজ্ঞতায় মনে হয়েছে যে কমিটি তাদের সাধ্যমতো ভালই কাজ করছে। আমার জেনে বেশ আনন্দ হয়েছিল যে এই EDC-র গঠন ও পরিচালনার দায়িত্বভার তদানীন্তন DFO, Nandadevi Biosphere Reserve-এর শ্রী এ. কে. ব্যান্যার্জির ওপর ন্যস্ত ছিল। এই কাজের জন্যে কমিটি ঘোড়া প্রতি কিছু টাকা পর্যাবরণ শুল্ক হিসাবে আদায় করে গোবিন্দঘাট আর ঘাঁঙরিয়ায়। এই শুল্ক ঘোড়ার সহিসরা অবশ্য ঘোড়সওয়ার যাত্রীদের কাছ থেকেই আদায় করে নেয়।
উত্তরাখণ্ডের এই বৈপ্লবিক কাজ যেমন পরিবেশ সংরক্ষণের এক মহতী প্রচেষ্টা তার সঙ্গে স্থানীয় মানুষের অর্থীক উন্নতিরও এক পথ খুলে দিয়েছে, প্লাস্টিক রিসাইক্ল করে। কাশ্মীরে অমরনাথের যাত্রা পথেও এই ধরনের সংস্থা গঠন ও কাজ করার প্রয়োজন আছে। অবশ্য ওখানে টেনেটুনে দু-মাস মাত্র যাত্রীর যাতায়াত হয়। এখানে হয় প্রায় পাঁচ মাস।

-৭-

আমাদের দলের প্রায় সকলেই হেঁটে ঘাঁঙরিয়ায় এসেছি বলে ঠিক করলাম পরের দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, ২৩শে জুলাই, ’০৯ আমরা ঘোড়ায় করে লোকপাল-হেমকুণ্ড যাত্রা করবো। অবশ্য কল্যাণ, হীরামোহন আর অনির্বাণ হেঁটেই যাবে। এই যাত্রার কথা এখানে নয়, অন্য কোন সময়ে হবে। তাই আমরা শুক্রবার, ২৪শে জুলাইয়ের ফুলের উপত্যকায় যাত্রার কথায় চলে আসি।
যদিও আসবার দিন ছাড়া এখানে আমরা বৃষ্টি পায়নি, তাহলেও বর্ষাতি ও ছাতা দুইই সঙ্গে নিলাম। অবশ্য গত কাল গভীর রাত থেকে অন্তত ভোর চারটে পর্যন্ত বৃষ্টি পড়েছে সমানে। ঠাণ্ডা বিশেষ নেই বরঞ্চ রোদ উঠলে একটু গরমই হবে মনে হয়। বিশেষ করে আমার গত বারের অবস্থার কথা মনে করে যাতে আমি আমার পিঠের ব্যাগে যথাসম্ভব কম জিনিষ নিই, তার জন্যে ভারতী, নোটিস জারি করেও একজন মালবাহক ঠিক করলো, প্রধানত আমার জন্যে। দরাদরি করে ২৫০টাকায় রফা হলো।

কৃষ্ণা প্যালেস ট্যুরিস্ট রেস্ট হাউস থেকে উত্তর দিকে গুরদ্বারা তারপর ঘোড়াওয়ালাদের সাময়িক ডেরা পেরিয়ে সিমেন্ট বাঁধানো রাস্তা দিয়ে কিছুটা হাঁটার পর এক পাহাড়ি নদী পেরোতে হলো। অসম্পূর্ণ সেতু, তাই জলের উপরে কাঠের পাটার ওপর দিয়ে আমরা এই নদী পার হলাম। অবশ্য কল্যাণ নির্মীয়মাণ সেতুর জন্যে দুই পারের পিলারের ওপর রাখা লোহার জয়স্টের ওপর দিয়েই পার হলো। ওইখান থেকেই অনেকটা দূরে বিরাট এক ঝর্ণা দেখা গেল। উমাপ্রসাদবাবুর বর্ণনাতেও এই ঝর্ণার কথা আছে। মোট প্রায় ৫০০ মিটার হাঁটার পর ফুলের উপত্যকায় যাবার রাস্তা, লোকপাল-হেমকুণ্ড যাবার রাস্তা থেকে ভাগ হয়ে পশ্চিম দিকে বাঁক নিয়েছে।

প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই Valley of Flowers National Park-এর চেক্‌ পোস্ট (চিত্র-২১, জাতীয় উদ্যানের চেক্‌-পোস্ট, ফটো-অনির্বাণ মণ্ডল, চিত্র-২২, জাতীয় উদ্যানের ঘোরান গেট)। প্রবেশ মূল্য দিয়ে ঢুকতে হলো, জন প্রতি ভারতীয়দের ৫০টাকা (চিত্র-২৩, জাতীয় উদ্যানে বিভিন্ন এন্ট্রি ফি, ফটো-অনির্বাণ মণ্ডল)।

চিত্র-২১, জাতীয় উদ্যানের চেক্‌-পোস্ট, ফটো-অনির্বাণ মণ্ডল

চিত্র-২২, জাতীয় উদ্যানের ঘোরান গেট

চিত্র-২৩, জাতীয় উদ্যানে বিভিন্ন এন্ট্রি ফি, ফটো-অনির্বাণ মণ্ডল

আমাদের মালবাহক বিরবাহাদুরের জন্যে আমাদেরই প্রবেশ মূল্য দিতে হলো, ৫০ টাকাই (শুনেছি এখন নাকি প্রবেশ মূল্য ১৫০ টাকা হয়েছে)। ভিডিও সহ সমস্ত প্রকারের ক্যামেরা পার্কে নিয়ে যাওয়ার জন্যে ফ্রি, অপেশাদারদের জন্যে। পেশাদারদের জন্যে প্রবেশ মূল্য অবশ্য বেশি নয় তবে ডকুমেন্টারি বা চলচ্চিত্র তৈরি করার জন্যে ভিডিও ক্যামেরার চার্য অত্যধিক। বন বিভাগের কর্মীরা ক্যামেরা দেখলেই তার চার্য নেবার চেষ্টা করে তবে পেশাদার নয় বললে সহজেই মেনে নেয়। ব্যাপারটা আমার বেশ অস্পষ্ট লাগলো কারণ পেশাদার নয় কেমন করে বোঝাবো, যদি বন বিভাগের কর্মীরা আমাকে পেশাদার বলে জেদ করেন? এক্ষেত্রে একমাত্র এটাই হয়তো বলা যায় যে ওনারা প্রমাণ করুন যে আমি পেশাদার। তবে যতই বলুন আমি তাদের দ্বারে এসেছি, ওনারা আমার কাছে আসেননি। আর উচ্চতর পদাধিকারীর কাছে আবেদন? আর কি বলবো।

পরের পাতা আগের পাতা

(চলবে)

ড. শুভেন্দু প্রকাশ চক্রবর্তী

(আপনার মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)

 

Copyright © 2014 Abasar.net. All rights reserved.


অবসর-এ প্রকাশিত পুরনো লেখাগুলি 'হরফ' সংস্করণে পাওয়া যাবে।