ফুলের উপত্যকা
(ভ্যালি অব্ ফ্লাওয়ার্স)

প্রবেশ দ্বার
দিয়ে ভিতরে যেতেই সামনে এক বোর্ডে পার্কের বেশ বড় এক রঙ্গিন
মানচিত্র আঁকা আছে (চিত্র-৪, জাতীয় উদ্যানের মানচিত্র)।

সেই মানচিত্রটি
ভাল করে দেখে নিয়ে এগোনো উচিত। আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকার
জন্যে এবার ওটা না দেখেই এগোতে আরম্ভ করলাম। তবে উপস্থিত ভিডিওতে
দেখানো আছে পথের নির্দেশ দিচ্ছেন পার্কের এক কর্মচারী, শ্রী
এস. এন. নেগি। ইনিই আমাদের প্রবেশের টিকিট দেন গত বার। সঙ্গে
পথ-প্রদর্শক নিয়ে যেতে পারেন, যদিও পথ ভুলের সম্ভাবনা নেই যদি
আপনি পথ-রেখা ছেড়ে না যান। অভিজ্ঞ আর পেশাদার পথ-প্রদর্শক অনেক
পারিশ্রমিক নেবে, অন্তত এক হাজারের নিচে নয়। ৩/৪মি. চওড়া পাথর
বিছানো রাস্তা করা আছে। পাহাড়ি রাস্তার ছোট সংস্করণ। বাঁ দিকে
খাদ, অল্প গভীর। ডান দিকে কিছুটা উঁচু। দুপাশে প্রচুর ছোট বড়
গাছ। যদিও উপত্যকা এখান থেকে ৩কিমি দূর তা হলেও মাত্র কয়েক মিটার
এগোতেই দুপাশে বিভিন্ন রকম ফুল, যার মধ্যে কয়েকটা চেনা, বাড়ির
বাগানে মরশুমি ফুল হিসাবে অনেকেই লাগান।
অনেক পাঠক,
গাছের, অর্থাৎ ফুলের নাম জানতে চাইবেন। প্রথমেই বলে নিই উপত্যকার
প্রায় ৫০০ প্রজাতির ফুল পাওয়া যায়, অবশ্য সমস্ত প্রজাতির ফুল
এক সঙ্গে ফোটে না। আমি উদ্ভিদ-বিদ্যা বা বাগান বিশারদ নই, তাই
খুব কম ফুলেরই পরিচয় আমার জানা। ফুলের নাম জানা থাকলে অবশ্যই
বর্ণনার সম্পূর্ণতা হত, তবে সে ক্ষেত্রে বোধ হয় এই রচনা ভ্রমণ
কাহিনি না হয়ে উদ্ভিদবিদ্যার ছাত্রদের শিক্ষামূলক ভ্রমণের রিপোর্ট
হয়ে যেত। অভিজ্ঞ পথ-প্রদর্শক নিলে অবশ্য ফুলের নাম জানতে পারতাম।
যাই হোক, আমি কিছু ফুলের নাম সুযোগ মতো ঠিক সময়ে জানাবো। বলে
নেওয়া ভাল, প্রত্যেকটি ফুলের ক্ষেত্রেই নাম জেনেছি বাড়ি ফিরে
নিজের তোলা ছবির সঙ্গে বই-এর অথবা internet ঘেঁটে সেখানে দেওয়া
ছবির সঙ্গে মিলিয়ে। দুটি বই-এর সাহায্য আমি নিয়েছি। উৎসাহীদের
জন্যে জানাই সেগুলোর নাম। ১) Flowers of the Himalaya, Oleg
Polunin and Adam Stainton, Oxford U.P. ও ২) The valley of
Flowers, Myth and Reality, Chandra Prakash Kala, International
Book Distributors, Dehradun।
শ’খানেক মিটার
এগোবার পরেই পৌঁছলাম এক জায়গায় যেখানে পাহাড়ি নদীর পরিপ্রেক্ষিতে
অনেকটা চওড়া এক নদীর খাত পথ আগলে আছে। তবে নদীর জল খুব অল্প
অংশ দিয়েই বইছে। অসংখ্য ছোট বড় বোল্ডর ভরা খাত আমাদের ডান দিক
থেকে বাঁ দিকে নেমে যাচ্ছে। সহজেই পার হয়ে গেলাম জলের ওপর পাতা
কাঠের সাঁকোর ওপর দিয়ে। মনে পড়লো আগের বারে এই নদী আমরা গ্লেসিয়ার
রূপেই পেয়েছিলাম। সেবছরেও এই একই সময়ে এসেছিলাম। এবার গ্লেসিয়ারের
চিহ্ন মাত্র নেই। আমাদের জানা ছিল বলে বুঝতে পারলাম যে এই জায়গাটা
গ্লেসিয়ারের। আর হ্যাঁ, এটা যে কোনও সময়ে গ্লেসিয়ার ছিল তা কিন্তু
বোল্ডারের অবস্থা দেখে অভিজ্ঞ লোকেরা বুঝতে পারেন যেমন আমি আগেই
একবার বলেছি।
নদীর (বা
গ্লেসিয়ারের) অপর পারে গিয়েই পিছন ফিরে তাকালাম। চোখের সামনে
দেখতে পেলাম পুষ্পাবতী নদী সুন্দর এক উপত্যকা দিয়ে বয়ে যাচ্ছে
নিচের দিকে। ইতস্তত কয়েকটা ঘোড়া চরছে। এই কারণে দৃশ্যের সুন্দরতা
আরও বেড়ে গেছে। নিচের দিকে ঘাঙরিয়ার অন্তিম অংশ জানান দিচ্ছে।
শিখ সম্প্রদায় আজকাল গোবিন্দধাম নাম পত্তন করবার চেষ্টা করতে
আরম্ভ করেছে, সেই ঘাঙরিয়ার গুরদ্বারা অনেকটা মাথা তুলে আছে,
ছোট ছোট বাড়ির মাঝে। বেশ কিছু সময় উপত্যকার দিকে তাকিয়ে থাকতে
ইচ্ছা করছিল, কিন্তু সবে আমাদের ‘তীর্থ যাত্রা’ শুরু হয়েছে,
এত সময় এখানে কাটালে চলবে না। অত: এগোনো যাক। গত বার ঠিক এইখানেই
নদীর ঢালু পাড়ের মধ্যে গাঢ় বেগুনি রঙের ফুল (Thermopsis barbata)
দেখেছিলাম ঠিক যেন কালো রঙের মনে হচ্ছিল (চিত্র-২৪, Thermopsis
barbata)।

চিত্র-২৪,
Thermopsis barbata
Polunin ও
Stainton-এর বই-এ এই ফুলের যে রঙের কথা বলা আর ছবিতে দেখানো
আছে, তার থেকে আমি বাস্তবে যা দেখেছি, সেই রং অনেক বেশি গাঢ়।
এবারে সেই ফুল খুঁজলাম, দেখা গেল না। ক্রমশ জঙ্গল গভীর হচ্ছে।
তবে রাস্তার পাশে ফুলের মেলা ঠিকই থাকছে। দু-একটা ভূর্জপত্রের
গাছ রয়েছে। বিরাট বিরাট দেওদারে ভরে আছে জঙ্গল। অনেকটাই ঘাঙরিয়া
পৌঁছবার আগে যেমন ছিল। আর বড় গাছের মধ্যে প্রধানত পাইনই নজরে
পড়ে। বিভিন্ন প্রকারের রোডড্রেনডনও দেখা যাচ্ছে, বড়, ছোট মিশিয়ে।
রাস্তা অল্প আঁকা-বাঁকা। সব সময় যে উঁচুতে উঠছে তা নয়, নিচেও
নামছে। তবে প্রধানত উঠেই যাচ্ছে। ধীরে ধীরে জলের শব্দ বেড়ে যাচ্ছে,
এবার গাছের ফাঁক দিয়ে উচ্ছল বেগবতী পুষ্পাবতী দেখা দিল। ডান
দিকে আবার সেই দেওদার গাছটা দেখতে পেলাম যার কাণ্ডে বিরাট এক
গর্ত (চিত্র-২৫, ভল্লুকের কীর্তি)।

চিত্র-২৫,
ভল্লুকের কীর্তি
নিচে গাছের
কিছু কোরা অংশ পড়ে রয়েছে। গত বার শুনেছিলাম এ ভল্লুকের কীর্তি।
উই-এর খোঁজে নাকি এমন করে। তবে না ওখানে কোনও উই বা সারা পথে
অন্য কোথাও কোনও গাছে অমন গর্ত দেখেছি। আমি ছবি তোলার কারণে
বেশির ভাগ সময়ে পিছিয়ে পড়ছিলাম। হঠাৎ সামনে দেখি ভারতী ও গীতা
রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে আছে। সেই পরিবেশে মনে হলো যেন ওরা কতও
অকিঞ্চিৎকর ওই বিরাট প্রকৃতির মাঝে। ওদের না জানিয়ে ছবি নিলাম
(চিত্র-২৬, অকিঞ্চিৎকর)।

চিত্র-২৬,
অকিঞ্চিৎকর
কিছু পরে
নদীর জলের শব্দ আরও বেড়ে গেল, অবশ্য বেশ কিছুক্ষণ শব্দ খুবই
মৃদু শোনা যাচ্ছিল। আবার গাছের ফাঁক দিয়ে শুধু নদীই নয় অনেকটা
নিচেই এক লোহার সেতুও দেখা গেল (চিত্র-২৭, পুষ্পাবতীর ওপর সেতু)।

চিত্র-২৭,
পুষ্পাবতীর ওপর সেতু)
পথ ক্রমশ
ঢালু হতে হতে বাঁ দিকে বেঁকে ব্রিজের ওপরে চলে এলো। তার আগে
ডান পাশে পাহাড়ের ভীষণ উঁচু দেয়াল (চিত্র-২৮, পাহাড়ের দেয়াল)।

চিত্র-২৮,
পাহাড়ের দেয়াল
চিত্রটি
অবশ্য নদীর কাছ থেকে নিয়েছি, কারণ এটি বর্ণনার জায়গা থেকে ঠিক
মতো দেখাই যাচ্ছিল না, গাছ-পালায় ঢাকা পড়ে থাকার জন্যে। পথ একেবারে
দেয়ালের গা দিয়ে, তাই মাথা তুলে বেশ কষ্ট করে পাহাড়ের মাথার
ওপর আকাশ দেখতে হচ্ছিল। এখানে গাছের ফাঁক দিয়েই আকাশ দেখতে হচ্ছে।
এখন সুনীল আকাশ দেখা যাচ্ছে। এ পর্যন্ত বেশির ভাগ সময়েই আকাশ
মেঘে ঢাকা থাকছিল। যাই হোক, আমরা ব্রিজের ওপর এলাম। নিচে বেশ
কাছ দিয়ে খরস্রোতা পুষ্পাবতী একেবারে উথলপাথল খেতে খেতে ডান
থেকে বাঁ দিকে নেমে যাচ্ছে। প্রচণ্ড শব্দে কান বিকল হয়ে যাবার
অবস্থা। তাও কিছু সময় নদীর গতি হ্যান্ডিক্যামে ধরে রাখি। নদীর
উত্তর দিকের গতি-পথ অনেকটা দূর পর্যন্ত দেখা যায় এই ব্রিজ থেকে,
তাই বিশেষ করে সেদিকের দৃশ্য বন্দি করলাম। বিরাট এক গাছের গুঁড়ি
নদীর গর্ভে স্রোতে বাধা সৃষ্টি করেও পড়ে আছে দেখলাম (চিত্র-২৯,
নদীতে গাছের গুঁড়ি)।

চিত্র-২৯,
নদীতে গাছের গুঁড়ি
এই ছবিটি
ওপর থেকেই নিয়েছি, চিত্র-২৭ নেবার জায়গার কাছ থেকেই, ব্রিজ থেকে
নয়। গত বারেও এটা দেখেছিলাম, প্রায় একই ভাবে পড়ে থাকতে।
মনে হয় বেশির
ভাগ অংশটাই জলের বাইরে রয়েছে বলে পুষ্পাবতী নিচে নিয়ে চলে যেতে
পারেনি। এও মনে হলো যে সম্ভবত এর চাইতে জলের উচ্চতা নিশ্চয় বেশি
হয় না। অস্বাভাবিক নয় কারণ এখনই ভরা বর্ষার সময়, তা সত্ত্বেও
গুঁড়িটা নদী-গর্ভে পাথরের ওপর থাকার কারণে প্রায় সমস্ত অংশই
জল-তলের ওপরে রয়েছে।
ব্রিজ থেকে
নেমেই পথ হঠাৎ যেন লাফিয়ে লাফিয়ে প্রথমে বাঁ দিকে কিছুটা সমতলে
এগিয়ে পরে ওপরের দিকে ডান দিকে ঘুরে উঠতে আরম্ভ করলো। এইখানে
পরস্পর অনেক গুলো ভূর্জপত্রের গাছ রয়েছে সাদা কাণ্ড বার করে।
খয়েরি রঙের ছাল ঝুলছে কাণ্ড থেকে। অনেকের ধারণা যে ভূর্য গাছের
পাতাই হলো ভূর্য পত্র। তা নয়, গাছের ছাল হলো ভূর্জপত্র। এর পাতার
সঙ্গে পেয়ারা পাতার অনেকটা মিল আছে। আর গাছগুলোর সাধারণ উচ্চতাও
একটু বড় পেয়ারা গাছেরই মত। ছাল ওঠা কাণ্ডও পেয়ারা গাছের কাণ্ডের
মতই মসৃণ অবশ্য রং সাদা, পেয়ারা গাছের মতো ফিকে খয়েরি নয়।
পথ উঁচুতে ওঠার আর শেষ নেই। দুই পাশেই ফুটন্ত ফুলের গাছের সংখ্যা
অনেক। ক্রমশ সেই জায়গায় এলাম যেখান থেকে আগের বারে আমি ফেল করে
ফিরে গিয়েছিলাম। এই জায়গায় অনেক ক্ষণ বসে ছিলাম। পাশেই হলুদ
রঙের বড় থোকা ফুলের (চিত্র- ৩০, Ligularia amplexicaulis) ওপর
প্রজাপতি বসা অবস্থায় ছবি নিয়েছিলাম।

চিত্র-
৩০, Ligularia amplexicaulis
এবার এখানে
সেই রকম ফুল দেখতে পেলাম না। যাক, দেখি এবার কতটা যেতে পারি।
এখনও তো পায়ে এবং মনে জোর রয়েছে। অল্প এগোতেই পরস্পর অনেকগুলো
ইউ-টার্ন। পায়ে টান ধরে আর বুকে হাঁপ। তবে পাহাড়ের কাছে জোর
দেখাতে নেই। আস্তে আস্তে উঠতে থাকি। এই জায়গাতে কেন জানি না
গাছপালার ভিড় কিছু কম। এখানেই পশ্চিম-উত্তর দিকে দেখতে পেলাম
গাছের ফাঁক দিয়ে আকাশ ছুঁতে চাইছে এক পাহাড়। পাহাড়ের কোলে পরস্পর
কয়েকটা ছোট ত্রিভুজাকার গ্লেসিয়ার দেখে চেনা গেল নরপর্বতকে।
মাঝামাঝি অংশ থেকে সম্পূর্ণ উপরদিক ঢেকে রেখেছে ঘন সাদা মেঘ
।
নরপর্বত
খুব উঁচু না হলেও (৫৮৩১মি.) বিখ্যাত। আমরা যে দিক থেকে দেখছি
ঠিক তার বিপরীত দিকে এই পাহাড়ের অল্প দূর দিয়ে অলকনন্দা বয়ে
যাচ্ছে আর নদীর অন্য পারে বদরীনাথ মন্দির।
হাঁপাতে হাঁপাতে
এগোচ্ছি তবে মনে অদ্ভুত আনন্দ। পুষ্পাবতী দেখা যাচ্ছে অনেক নিচে।
দূর থেকে দেখতে পাচ্ছি পাহাড়ের গায়ে কিছুটা গাছ-পালা ছাড়া ফাঁকা
জায়গা। আস্তে আস্তে সেই জায়গার কাছে পৌঁছে গেলাম। পৌঁছে গাছ-পালা
বিহীন হবার কারণ বুঝতে পারলাম। মনে পড়লো আগের বার পার্কে ঢোকার
মুখে বন-বিভাগের লোক (নেগি মশায়) বলেছিলেন ম্যাপ দেখিয়ে অল্প
স্লাইডের কথা। আমি তো সেবার এখান পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি, তাই
প্রত্যক্ষ করিনি, যদিও অন্যান্যদের কাছে শুনেছিলাম এর কথা। প্রথমে
একটু থমকে গেলাম। কিন্তু দেখলাম বন-বিভাগের একজন কর্মচারী পথে
ঠিক করতে ব্যস্ত। কাজেই আশা করলাম ওই জায়গা নিশ্চয় পার হয়ে যেতে
পারবো। তবে মনে হলো হ্যান্ডিক্যাম ব্যবহার করতে গেলে এপাশ থেকে
করা আরম্ভ করা ভাল। লেগে গেলাম ছবি তুলতে আর একে একে অন্যান্যরা
পার হতে লাগলো ধসের এলাকা। প্রধানত রুপাকে আমাদের পোর্টার সাহায্য
করলো জায়গাটা পার হতে। আমি অবশ্য অন্যান্যদের ঠিক মতো দৃষ্টির
মধ্যে রাখবার জন্যে আমার অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকলাম ।
কেমন লাগলো,
বেশ রোমাঞ্চকর না? ব্যস্ততায় স্থির ছবি নেওয়া হলো না। অবশ্য
একই সঙ্গে দুরকম ছবি নিলে ভিডিও ভাল হতো না। একটা কথা পরে মনে
হয়েছে যে অন্তত দুবছর ধরে এই স্লাইড রয়েছে নিশ্চয়। বন-বিভাগ
কেন পথে বিপদ-শূন্য করতে পারলো না এতদিনেও? পরক্ষণেই এর ঠিক
নিচেই পুষ্পাবতীর পারে কাদা মাখা বরফ দেখে বুঝতে পেরেছি যে আসলে
এখানে প্রত্যেক বছরই গ্লেসিয়ার তৈরি হয় (চিত্র-৩১, ধসের কাছে
পুষ্পাবতীর পারে হিমবাহের অংশ )।

চিত্র-৩১,
ধসের কাছে পুষ্পাবতীর পারে হিমবাহের অংশ
এ সময় তা
গলে যায় আর তাই গ্লেসিয়ারের নিচে মাটির আধিক্য থাকার কারণে পথের
হাল এমন হয়। বিশেষ করে গত কাল রাত থেকেই প্রচণ্ড বৃষ্টি জায়গাটাকে
এমন করে দিয়েছে। তখন আবার মনে হয়েছে ভালই হলো আমরা বিপদের এরকম
একটা জায়গা পার করার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারলাম। আপনারা নিশ্চয়
লক্ষ করেছেন যে যেখানে স্লাইড থেকে সমতল পথে নেমে এসে দাঁড়ান
হচ্ছে, সে জায়গাটা কতটা ছোট? ঢালু পথে নামবার সময় যদি নিজের
গতি না সামলাতে পারা যায়, তা হলে অনেকটা নিচে পুষ্পাবতীতে সলীল
সমাধি লাভ করার পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে।
পরের পাতা আগের
পাতা
(চলবে)
ড.
শুভেন্দু প্রকাশ চক্রবর্তী
(আপনার
মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)