প্রথম পাতা

শহরের তথ্য

বিনোদন

খবর

আইন/প্রশাসন

বিজ্ঞান/প্রযুক্তি

শিল্প/সাহিত্য

সমাজ/সংস্কৃতি

স্বাস্থ্য

নারী

পরিবেশ

অবসর

 

আমার স্বাস্থ্য, আমার সত্তা (সূচী)

কোথায় পরীক্ষা করাবো?

বহু হাসপাতাল এবং চিকিৎসাকেন্দ্রে এই পরীক্ষা করা হয়। এই সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গোপনীয়তা রক্ষা করে পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। তাছাড়া পরীক্ষার আগে ও পরে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা আছে। পশ্চিমবঙ্গে সরকারী পরিষেবার একটি তালিকা নীচে দেওয়া হল।

মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল
কলকাতা
৮৮ কলেজ স্ট্রীট
কলকাতা ৭০০ ০৭২
(টেলি) ২২৪১-৩৯২৯/৪৯০১,
২৪৫১-২৬৪৪

বহরমপুর সদর হাসপাতাল
(টেলি) ০৩৪৮২-২৫৫৫৪৪
এস এস কে এম
২৪৪ এ জে সি বোস রোড
কলকাতা ৭০০ ০২০
(টেলি) ২২২৩-২৯৭২/৪২৪৬/১৬১৫

কুচবিহার সদর হাসপাতাল
(টেলি) ০৩৫৮২ ২২২২৪৩/২২৮৭৭৯
এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ
১৩৮ এ জে সি বোস রোড, শিয়ালদহ
কলকাতা ৭০০ ০১৪
(টেলি) ২২২৭-১৪৬১/৪০০১,
২২৪৪-৩২১৩

কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ
২৪ গোরা চাঁদ রোড, শিয়ালদহ,
এন্টালী
কলকাতা ৭০০ ০১৪
(টেলি) ২২৮৪-৭৫৮৭/৪৮৩৪,
২২৪৪-০১২২

এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ
হাসপাতাল (থ্যালাসেমিয়া ইউনিট)
(টেলি) ৩২২২-২৬১০০৭
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ
১ বেলগাছিয়া রোড
কলকাতা ৭০০ ০০৪
(টেলি) ২৫৫৫-৭৬৫৬/৭৬৭৫/
৭৬৭৬/৮৮৩৮

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল
(থ্যালাসেমিয়া ইউনিট)
(টেলি) ৯৫৩৪২-২৫৫৮৬৪১/
২৫৫৮৬৪২/২৫৫৬৬৪৮৬

এম আর বাঙ্গুর হাসপাতাল
৬১ প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড
টালিগঞ্জ
কলকাতা ৭০০ ০৩৩
(টেলি) ২৪৭২-২৮৩৪, ২৪৭৩-
৩৯৪৪/০০০০/৩৩৫৪
কম্যুনিটি বেসড ভি সি টি সি, সিনি
(টেলি) ২৪৯৭-৮১৭৮

স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন
চিত্তরঞ্জন অzাভিন্যু
কলকাতা ৭০০ ০১২
(টেলি) ২২১৯-৮৫৩৮/২২৪১-৪৯১৫/
৪৯০০/৪০৬৫/৪৪২৯

দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটি
(টেলি) ২৫৪৩-৭৪৫১

দেবেন মাহাতো সদর হাসপাতাল
পুরুলিয়া
(টেলি) ২৫২২-২২৬৭৮,০৩২৫২-
২২২৪৮০/২২২৪৭৫

চুঁচুড়া জেলা হাসপাতাল
(টেলি) ০৩৪১-৬৮০২২৯৩
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ
(টেলি) ০৩৪২-২৫৫৮৬৪৬

হাওড়া জেলা হাসপাতাল
(টেলি) ২৬৩৮-৪৭৩৮/৪৭৩৯/
৫৬৯৫/২৮১৩

সিউড়ি সদর হাসপাতাল
(টেলি) ৯৫৩৪৬২-২৫৫৭৬৬/
২৫৫৪৮৩/২৫০৯১৮

রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল
(টেলি) ০৩৫২৩-২৪২৪০৯
মেদিনিপুর মেডিক্যাল কলেজ
হাসপাতাল
(টেলি) ৯৫৩২২২-২৭৫৫০৩/
২৭৪৩২১

তমলুক জেলা হাসপাতাল
(টেলি) ৯৫৩২২৮-২৬৬০৫৯/
২৬৬১০৯

নদীয়া জেলা হাসপাতাল
(টেলি) ০৩৪৭২-২৫২৮৪৬

জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল
(টেলি) ৯৫৩৫৬১-২৩২০০২

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ
হাসপাতাল
(টেলি) ৯৫৩৫৩-২৫৮৫৪৮২/৪৮৩/
৪৮০

বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল
(টেলি) ৯৫৩৫২২-২৫৫৬৪১/
২৫৫২৮৮/২৫৫২৩৫

বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ
হাসপাতাল
(টেলি) ৯৫৩২৪২-২৫০৯৮১/২৪৪৭০১

মালদহ সদর হাসপাতাল
(টেলি) ৯৫৩৫১২-২৫২৯৪৭/
২৫২৪৮০

এছাড়াও যে সব বেসরকারী পরিষেবা আছে তার খবর সরকারী ও বেসরকারী এইচ আই ভি/এইডস কর্মীদের কাছে পাওয়া যাবে।


এইচ আই ভি পরীক্ষার ফল জেনে মানসিক অবস্থা

আপনার এইচ আই ভি সংক্রমণ সম্বন্ধীয় পরীক্ষার ফল নেতিবাচক হলে স্বস্তি পাবেন নিশ্চয়ই কিন্তু সেই সঙ্গে অপরাধবোধও জাগতে পারে। যদি কোন কারণে সুরক্ষিত যৌনাচার চালিয়ে যাওয়া বা সবসময়ে পরিষ্কার ছুঁচ ব্যবহার করা কষ্টকর হয়ে পড়ে তাহলে আপনার মনে আরোই হতাশা জাগতে পারে। ভবিষ্যতে কেমন করে সুস্থ থাকতে পারেন সে নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতেই হবে। এখন বেশ কিছু বেসরকারী সংস্থা (এন জি ও) এ ব্যাপারে কাউন্সেলিং করে (যেমন দুর্বার)। সেখানে যোগাযোগ করে সাপোর্টগ্রুপের (সখী সমিতি) সাহায্য বা কাউন্সেলিং নিতে পারেন।
আপনার এইচ আই ভি পরীক্ষার ফল যদি ইতিবাচক হয়, তাহলেও মনে রাখবেন যে এই সংক্রমণ নিয়ে বহু মানুষ দীর্ঘদিন ভালোভাবে বেঁচে থাকেন। দশ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে সংক্রামিত ব্যক্তির কোন উপসর্গ দেখা না দিতে পারে ফলে জীবনযাত্রার ধরণে কোন বিশেষ পরিবর্তন ঘটে না।


ভালো স্বাস্থ্য-পরিষেবা

এইচ আই ভি আক্রান্তদের জন্যে ভালো স্বাস্থ্য পরিষেবার অর্থ হল আরও বেশি শারীরিক ও ল্যাবোরেটরি পরীক্ষার সুবিধা। এছাড়াও এইচ আই ভি এইডস আক্রান্ত মানুষদের স্বাস্থ্য পরিষেবার একটি ন্যূনতম মৌলিক মান থাকা জরুরী।

মূল্যায়ন । নিয়মিত সি ডি ৪ কোষের (টি-কোষ) গণনা ও ভাইরাল লোড (ভাইরাসের পরিমাপ) পরীক্ষা আপনার চিকিত্সার পরিকল্পনা ও মূল্যায়নে সাহায্য করবে। টি-সেল-এর সংখ্যা থেকে শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতার অবস্থা বোঝা যায় এবং ভাইরাল লোড পরীক্ষায় শরীরে ভাইরাসের পরিমাণ কত তা জানা সম্ভব।

টীকাকরণ । এইচ আই ভি সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকলে নিউমোনিয়া, হেপাটাইটিস বি, টিটেনাস, এবং ফ্লুয়ের জন্যে টীকা অবশ্যই নেবেন।

চিকিৎসা । এইচ আই ভি সংক্রমণের চিকিৎসা বিভিন্ন ধরনের হয়।

  • অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধের সাহায্যে এইচ আই ভি-র চিকিৎসা করা
  • সুযোগ-সন্ধানী সংক্রমণগুলির চিকিৎসা ও প্রতিরোধ
  • স্বাস্থ্যের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখা
  • রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ানো
  • এইচ আই ভি সংক্রমণ নিয়ে বেঁচে থাকা

এইচ আই ভি পরীক্ষার ফল ইতিবাচক হওয়া মানেই আপনার এইডস হয়েছে তা নয়। কিন্তু সংক্রমণের পরে যতটা সম্ভব শরীরের বিশেষ যত্ন নিতে হয়, ভালো খাওয়া দাওয়া করতে হয়, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হয়, এবং অন্য কোন যৌন সংক্রমণের হাত থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হয়। ইদানিং বহু নতুন ধরণের আশ্বাসজনক চিকিৎসা উদ্ভাবিত হয়েছে যা সংক্রামিত ব্যক্তির কতদিনে এইডস হতে পারে সে ধারণায় আমূল পরিবর্তন আনছে। এইচ আই ভি
সংক্রামিতের প্রধান প্রয়োজন সঠিক চিকিত্সক ও চিকিৎসা খুঁজে বের করা। সেই সঙ্গে জরুরী হল নিজের মানবিক অধিকার ও কি কি সরকারী/বেসরকারী সুবিধা এবং পরিষেবা পেতে পারেন সে সম্পর্কে জানা। এই সময়ে মানসিক সহায়তা পাওয়াও খুবই জরুরী। এ ব্যাপারে এইচ আই ভি সংক্রামিতের সমন্বয়ে গঠিত সাপোর্টগ্রুপ সাহায্য করতে পারে।


সাহায্য

সংক্রমণ ঘটলে শরীরের পুষ্টির সাথে সাথে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকা অত্যন্ত জরুরী। এ ব্যপারে একজন সমাজ কর্মীর সাহায্য সবিশেষ প্রয়োজন।


মহিলাদের জন্য বিশেষ যত্ন

এইচ আই ভি আক্রান্ত মহিলাদের সমস্যাগুলি সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী হয়, যেমন ভ্যাজিনাইটিস (যোনির সংক্রমণ), বস্তিদেশের সংক্রমণ, যোনি ও জরায়ুগ্রীবার রোগ, এবং ফুসফুসে বীজাণু (ব্যাক্টিরিয়া) সংক্রমণ। তাই এগুলির দিকে বিশেষ নজর দেওয়া দরকার। এইচ আই ভি আক্রান্ত মহিলাদের হিউমান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচ পি ভি) সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, যার থেকে জরায়ুগ্রীবার ক্যান্সার হতে পারে। তাই ছ মাস অন্তর প্যাপ পরীক্ষা করানো প্রয়োজন।


চিকিৎসা বদলাচ্ছে

বিজ্ঞান প্রায়শই নুতন তথ্য আর ওষুধ আবিষ্কার করছে এবং এইচ আই ভি / এইডসের চিকিৎসা ক্রমাগত বদলাচ্ছে। অনেক এইডস পরিষেবা সংগঠন চিকিত্সা পদ্ধতি বিষয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করছে, কিছু ভালো হটলাইন (টেলিফোন পরিষেবা) তৈরী হয়েছে, এবং সহায়তার জন্যে কিছু বই প্রকাশিত হয়েছে। সংক্রামিত মহিলারা এখন স্বাস্থ্যের দিকে নজরদারী বাড়িয়ে এবং বিভিন্ন ওষুধের সাহায্যে দীর্ঘদিন ভালো থাকতে পারেন। কিন্তু এই সময়ে মাদক বা মদ ছাড়ার জন্যে চিকিৎসা করা একান্ত প্রয়োজনীয়। সে সব ছেড়ে না দিলে সুস্থ ভাবে বাঁচা যাবে না। সেই সঙ্গে অন্যান্যদের এইচ আই ভি সংক্রমণের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকতে আমাদের সাহায্য করতে হবে। এমনি জনহিতকর কাজের দায়িত্ব নিয়ে এক সংক্রামিত মহিলা বলেছিলেন 'এই ভাইরাস আমাকে নুতন জীবন দিয়েছে।'


অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা

ইদানিং টি-কোষের সংখ্যা খুব কমে গেলে এবং ভাইরাল লোড বেশি হলে তবেই অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল থেরাপি আরম্ভ করা হয়। অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল বিভিন্ন শ্রেণীর অনেকগুলি ওষুধ এবং এই তালিকায় প্রত্যেক বছরই নতুন ওষুধ সংযোজন করা হচ্ছে। ২০০৪ সালে মূলত চার ধরণের অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল ওষুধ প্রচলিত ছিল - নিউক্লিওসাইড, নন-নিউক্লিওসাইড, প্রোটিন ইনহিবিটরস, এবং ফিউশন ইনহিবিটরস। আজকের দিনে প্রায় উনিশটি বিভিন্ন ওষুধ ও একশোটির বেশি সমন্বয় (ককটেল) ব্যবহার করে ভাইরাল লোড যথাসম্ভব কমিয়ে রেখে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সুস্থ রাখা হয়। এই চিকিৎসার ফলে এইডস রোগে মৃত্যুহার নাটকীয়ভাবে কমে গেছে এবং আক্রান্ত মানুষদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। তাই এইচ আই ভি সংক্রমণকে এখন চিকিত্সাযোগ্য দীর্ঘমেয়াদী রোগ বলে মনে করা হয়।

অবশ্য এইচ আই ভি চিকিৎসার হালকা থেকে ভারী ধরণের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এই পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার মধ্যে বিবমিষা, ভীষণ পেট খারাপ, ক্লান্তি, হাড়ের ক্ষয়, মেদ ছড়িয়ে যাওয়া ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। আবার কোন কোন ওষুধের সঙ্গে ডায়বেটিস এবং যকৃতের (লিভার) রোগের সম্পর্ক পাওয়া গেছে। বিভিন্ন অসুখের জন্যে আপনি যদি অন্য কোন ওষুধ খান (যেমন হাঁপানী বা কোলেস্টেরল ইত্যাদির জন্য ওষুধ), জন্মনিরোধক বড়ি নেন, বা যে খাদ্যতালিকা মেনে চলেন সেগুলির সাথে এইচ আই ভির ওষুধ চলবে (কম্প্যাটিবল) কিনা সে বিষয়ে সুনিশ্চিত হয়ে নেবেন। যাঁদের আর্থিক সংগতি কম, তাঁদের পক্ষে যথাযথ খাবার খাওয়া হয়তো কষ্টকর হতে পারে। কিন্তু পুষ্টিকর খাদ্য এ রোগের একটি অনুপান।

সংক্রামিত হলে আপনাকে এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি বেছে নিতে হবে যা আপনি চালিয়ে যেতে এবং সহ্য করতে পারবেন। আপনার শরীরে ওষুধের গুণ যেন সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগে এবং তা যেন আপনাকে যথাসম্ভব সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। এইচ আই ভি খুব দ্রুত বদলায় এবং কমমাত্রায় অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের উপস্থিতিতে পুনঃসংক্রমণ হলে ভাইরাস ওষুধ প্রতিরোধক (ড্রাগ রেসিস্ট্যন্ট) হয়ে ওঠে। তাই কেউ যদি নিয়মিত ওষুধ না খায়, তাহলে শরীরে এইচ আই ভি ওষুধ-প্রতিরোধক অবস্থার সৃষ্টি হয় এবং ভবিষ্যতে ওষুধ আর কোন কাজে লাগে না। যদিও রোজ রোজ মনে করে ওষুধ খাওয়া বিরক্তিকর, তবুও অনেক মহিলা দৈনন্দিন জীবনে ওষুধগুলি নিত্যসঙ্গী করে নিয়েছেন। যে মহিলাদের অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল ওষুধ প্রয়োজন তাঁদের সেটি পাওয়া উচিত্। তবে দরিদ্র, গৃহহীন, এবং মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা টাকাপয়সার অভাবে এবং জানাজানির আশঙ্কায় চিকিত্সকের সাহায্য নেন না। অনেক চিকিৎসা কেন্দ্রই আবার মনে করে এই সংক্রমণ সেই ব্যক্তির পাপের ফল, অতএব এ নিয়ে কিছু করার নেই। সেবাকর্মী ও চিকিৎসকেরা সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে আমাদের দেশে এইচ আই ভি আক্রান্ত মানুষদের অনেক সময় অস্ত্রোপচার, চিকিৎসা, বা অন্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করেন।

সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে চিকিত্সকেরা অনেক সময়েই তাঁদের রোগীদের অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপির সময়ে কিভাবে সহযোগিতা করবেন তা নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করেন। সহনুভূতিশীল চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা কিভাবে কার্যকরী করা যায় তা জেনে নিন। অনেক সময় চিকিৎসকেরা সরাসরি এইডসের চিকিৎসা না করে আনুষঙ্গিক সংক্রমণের চিকিৎসা করেন। তাঁরা যক্ষ্মা, হার্পিস-১ (সিম্পলেক্স ভাইরাস), ঈষ্ট সংক্রমণ, বা অন্যান্য সুযোগসন্ধানী সংক্রমণের থেকে সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করেন। তাছাড়া অনেক সময় তাঁরা রোগীকে পরীক্ষামূলক ওষুধ দিতে চান। নতুন ওষুধ দিয়ে পরীক্ষার উদ্দেশ্য হল ওষুধটির সুরক্ষাগুণ, কার্যকারিতা, ও কতখানি খেতে হবে (ডোজ) সম্বন্ধে জানা। এ ব্যাপারে সহায়তা করলে সাধারণত সুবিধাই হয়। অনেক সময়ে নতুন ওষুধ পরীক্ষায় ও গবেষণায় সহযোগিতা করলে বিনা মূল্যে ওষুধ পাওয়া যায়। এতে ঝুঁকি নিশ্চয়ই আছে, কিন্তু কেউ কেউ বিজ্ঞানের খাতিরে এ ধরণের ঝুঁকি নিতে রাজী থাকেন, বিশেষ করে প্রথাগত চিকিৎসায় তাঁদের যদি কোন লাভ না হয়।

সূত্রঃ আমার স্বাস্থ্য, আমার সত্তা

Copyright © 2014 Abasar.net. All rights reserved.


অবসর-এ প্রকাশিত পুরনো লেখাগুলি 'হরফ' সংস্করণে পাওয়া যাবে।