প্রথম পাতা

শহরের তথ্য

বিনোদন

খবর

আইন/প্রশাসন

বিজ্ঞান/প্রযুক্তি

শিল্প/সাহিত্য

সমাজ/সংস্কৃতি

স্বাস্থ্য

নারী

পরিবেশ

অবসর

 

আমার স্বাস্থ্য, আমার সত্তা (সূচী)

সুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক (সেফ সেক্স)

যৌন সম্পর্ক খুবই আনন্দদায়ক হতে পারে। নিজের প্রেমিক বা জীবনসঙ্গীর সঙ্গে যৌন মিলন আমাদের গভীরতম ইচ্ছা, প্রেম, আবেগ, আমোদ, ও আস্থার বহিঃপ্রকাশ। একজনকে ভালোবেসে তার সঙ্গে যৌন সংসর্গে লিপ্ত হওয়া প্রেমেরই অভিব্যক্তি। আবার অনেক সময় যৌন-মিলনের মাধ্যমেই আমরা সংক্রামক রোগের সম্মুখীন হই। আর এ সব রোগ খুব হেলাফেলার নয়। অনেক সময় যৌন সংক্রামক রোগের ফল খুবই ভয়াবহ হয়ে দাঁড়ায়। ভবিষ্যৎ রোগ যন্ত্রণার সম্ভাবনা এড়িয়ে কি ভাবে যৌন মিলনের আনন্দ উপভোগ করা যায়? নিজের যৌনতা উপভোগ করতে হলে কি স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে পারব না? আমরা অনেকেই এই সহজ প্রশ্নদুটির উত্তর জানি। আমরা জানি কণ্ডোম কমে। কিন্তু খুব উত্তেজনার মুহূর্তে এই সহজ তথ্যটা হয়তো অনেকেই ভুলে যাই আর নিজেদের দীর্ঘমেয়াদী মঙ্গলের কথা মনে না রেখে হঠকারিতা করে বসি।

ঋতুস্রাবকালীন শারীরিক যত্ন এবং হাতের কাছের সুরাহা
আপনার যদি নিম্নলিখিত অভিজ্ঞতা হয়? কি ব্যবস্থা নিতে পারা যায়/কি খাবেন?

সঙ্গম নিয়ে আলোচনা করতে একটু লμা লাগতে পারে। এ ব্যপারে কতগুলি প্রশ্ন মনে রাখা জরুরী, যেমন (ক) কখন এবং কেমন করে আমরা প্রেমিক বা যৌনসঙ্গীর সঙ্গে সংক্রামক রোগের কথা আলোচনা কোরব? (খ) আমরা কেমন করে মিলিত হব যাতে সুরক্ষিত থাকা যায় আবার প্রেমের মুহূর্তটিও নষ্ট না হয়? (গ) যৌন মিলনের কোন প্রক্রিয়াতে রোগের সম্ভাবনা বেশি আর কোনগুলিতে সংক্রমণের ঝুঁকি কম? যৌন আচরণের যথাযথ নীতি নির্ধারণ করে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে আমাদের এ সব তথ্য জানতে হবে। সুরক্ষিত যৌন-জীবন যাপনের জন্যে এগুলি জানা খুবই প্রয়োজনীয়।

সুরক্ষিত যৌন জীবন কেন চাই?

যৌনমিলনজনিত সংক্রমণ সম্পর্কে কিছু তথ্য আমরা সকলেই হয়তো জানি। এইচ আই ভি/এইডস, গনোরিয়া, সিফিলিস, ইত্যাদির নাম আমরা অনেকেই শুনেছি। কিন্তু মানুষের মধ্যে এ সব রোগ কতটা ছড়িয়ে পড়েছে সে বিষয়ে খুব ভাল ধারণা হয়তো আমাদের নেই। ১৯৯৯ সালের একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে
যে দক্ষিণ এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়াতে এক হাজার লোকের মধ্যে পঞ্চাশ জনের শরীরে যৌন রোগ সংক্রমিত হয়েছে। ভারত সরকারের তথ্য অনুসারে ১৯৯০ সালে
১,১৪১,৭৪০ ভারতীয় যৌন রোগগ্রস্ত হয়েছিলেন। কিন্তু এ হল বেশ পুরোনো তথ্য, তারপর প্রায় কুড়ি বছর কেটে গেছে। এই অঙ্ক বেড়েছে বই কমে নি।
তাছাড়া সরকারী হিসেবে শুধু চিকিৎসা কেন্দ্রে যাঁরা গেছেন তাঁদেরই গণনা করা হয়। যাঁরা নিরবে রয়েছেন বা টোটকা করাচ্ছেন তাঁরা এই গণনায় ধরা পরেন না। রাষ্ট্রপুঞ্জের সমীক্ষা অনুসারে সারা পৃথিবীতে প্রত্যেক বছর প্রায় ১,০০০,০০০ মানুষ যৌন রোগে সংক্রমিত হন। তার ওপর এইচ আই ভি সংক্রমণ এবং এইডস রোগ তো আছেই। ন্যাশনাল এইডস কণ্ট্রোল সংস্থার (এন এ সি ও) হিসেব অনুযায়ী ২০০৭ সালে ভারতে ২,৩০০,০০০ জন এইচ আই ভি এবং এইডস রোগী ছিলেন। এই সব তথ্য শুনলে বোঝা যায় নিজের যৌন-জীবন সুরক্ষিত না রাখতে পারলে আমাদের সকলেরই যৌন সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে।
এই ধরনের আলোচনা সামান্য অস্বস্তিকর হলেও বাদ দেবেন না। রঙ্গরE সকতার মাধ্যমে লঘু আবহাওয়া তৈরী করে নিন বা প্রেমের অঙ্গ হিসেবে আলোচনা করুন।
যৌন সংক্রমণ প্রতিরোধ আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি জরুরী কারণ এখন ভাইরাস-জনিত দুরারোগ্য সংক্রমণের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। তবে যে সমস্ত
সংক্রমণ চিকিৎসার করলে সেরে যায় সেগুলিও যথাসময়ে চিহ্নিত করে চিকিৎসা না
করালে স্বাস্থ্যের সমূহ ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া শরীরে যদি এক
ধরনের সংক্রমণ থাকে, তাহলে অন্যান্য সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ে এবং কোন সংক্রমণ হলে উপসর্গের প্রবলতা বৃদ্ধি পায়।

যৌনসঙ্গীদের জন্যে কয়েকটি বিশেষ প্রশ্ন

  • আমাদের দুজনের মধ্যে কারোর কি কোনদিন যৌনরোগ সংক্রমণ হয়েছিল? নিজেদের কোন প্রাক্তন যৌনসঙ্গীর কি কোন ধরণের সংক্রমণ হয়েছিল? হয়ে থাকলে কবে? পরবর্তী সময়ে কি কোন উপসর্গ দেখা গিয়েছিল?
  • আমাদের দুজনের কারোর শরীরে কি কোন অস্বাভাবিক ক্ষত, ফোলা, যৌনাঙ্গ থেকে ক্ষরণ বা অন্য কোন উপসর্গ দেখা দিয়েছে? এ রকম কি আগে কখনও হয়েছিল? হলে তা শরীরের কোন অংশে?
  • আমাদের দুজনের মধ্যে কারোর কি আগে কোন যৌন-সংক্রমণের ঝুঁকি ছিল? এ জন্যে কি কোন ডাক্তারী পরীক্ষা হয়েছিল? কখনও কি প্যাপ (পাপানিকোলাউ টেস্ট বা পি এ পি স্মিয়ার) পরীক্ষায় কোন অস্বাভাবিক ফল পাওয়া গিয়েছিল? (মেয়েদের জরায়ুর ক্যানসার নির্ণয়ের জন্যে প্যাপ (পি এ পি) পরীক্ষা করা হয়)
  • আমরা সুরক্ষিত যৌন মিলনের জন্যে কি ব্যবস্থা নিই?
  • সংক্রমণ প্রতিরোধক ব্যবস্থা হিসাবে আমরা কি কি উপায় অবলম্বন করতে পারি?

এ ধরণের সাবধানবাণী নিশ্চিন্ত যৌন সম্পর্কের পক্ষে হয়ত নেতিবাচক, কিন্তু খুবই জরুরী। প্রতিরোধ করার উপায় থাকলে ভবিষতে অস্বস্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক
উপসর্গ আর ধবংসের হাত থেকে বাঁচা যায়। আবার এই ধরনের চিন্তা-ভাবনার একটি ইতিবাচক দিকও আছে। আপনি ও আপনার স্বামী, প্রেমিক, বা জীবনসঙ্গী এক সঙ্গে আলোচনা করে নিয়ে সংক্রমণ-প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিলে যৌনমিলন অনেক বেশি স্বস্তিদায়ক ও আনন্দের হতে পারে। সুরক্ষিত যৌন সম্পর্ককে বিরক্তিকর ভাবার কোন কারণ নেই। বরং এই সম্পর্ক অনেক বেশি সুখপ্রদ হবে কারণ তা হবে সংক্রমণের ঝুঁকিমুক্ত।

আলোচনার প্রয়োজনীয়তা

আপনার জীবনসঙ্গীর সাথে যৌনমিলনজনিত সংক্রমণ সম্পর্কে কথা বলে নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। হয়তো এমন অলোচনা আরম্ভ করা একটু কঠিন, একটু লμা
বোধ হতে পারে, কিন্তু আপনাদের দুজনের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্যে তা খুবই প্রয়োজনীয়।

নীচে সংক্রমণ সম্পর্কে কয়েকটি প্রচলিত ধারণার তালিকা দেওয়া হল। মনে রাখবেন এর কোনটিই বিশ্বাসযোগ্য নয়।
১) মুখ দেখলেই বোঝা যায় কারোর শরীরে যৌন রোগ আছে কি না।
২) শুধু একজন যৌনসঙ্গী থাকলেই আমার স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকবে।
৩) আমার যৌন সঙ্গী বীর্যস্খলনের আগে তার লিঙ্গ আমার যৌনাঙ্গ থেকে সরিয়ে নিলে কোন সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে না।
৪) জন্ম-নিরোধক বড়ি ও ডায়াফ্রাম ব্যবহার করলে আমার স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকবে।
৫) মহিলা-সমকামীদের (লেসবিয়ান) কোন যৌনরোগ সংক্রমণ হয় না।
৬) দুজনের কারোর সংক্রমণ হয়েছে মনে হলে সংক্রামিত প্রত্যঙ্গ স্পর্শ না করাই বাঞ্ছনীয়।


সুরক্ষিত যৌন আচরণ সম্পর্কে কিছু কথা

সব চাইতে সুরক্ষিত যৌন আচরণ হল কেবলমাত্র একজনের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক রাখা। সব চেয়ে ভাল হয় যদি আপনার সঙ্গীর কোন যৌন-সংক্রমণ না থাকে এবং আপনিই যদি তাঁর একমাত্র যৌন-সঙ্গী হন। কিন্তু মনে রাখবেন নিজেদের যৌনসঙ্গীর সম্পর্কে আমরা সব সময়ে নিশ্চিন্ত হতে পারি না। আপনার হয়তো কেবলমাত্র তাঁর সঙ্গেই যৌন-সম্পর্ক রয়েছে, কিন্তু তিনি আপনার মত নাও হতে পারেন। তাঁর হয়তো আপনি ছাড়াও আরও যৌন সঙ্গী রয়েছে যাঁদের থেকে আপনার সঙ্গী মারফত আপনি সংক্রমণের শিকার হতে পারেন। প্রত্যেক নতুন সঙ্গীর মাধ্যমে নতুন সংক্রমণ হওয়া সম্ভব। যদিও কোন প্রতিরোধক ব্যবস্থাই পূর্ণ সুরক্ষা দেয় না তবুও নীচের প্রস্তাবগুলি সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই কমাতে সাহায্য করে

১) সুরক্ষা-প্রাচীর গড়ে তুলুন
আপনি বা আপনার সঙ্গীর যৌন সংক্রমণের কোন উপসর্গ না থাকলেও কণ্ডোম ব্যবহার করুন। যোনি-সঙ্গম (ভ্যাজিনাল সেক্স), মুখ-সঙ্গম (ওরাল সেক্স), ও
পায়ু-সঙ্গম (এনাল সেক্স), এই তিন ধরনের যৌন মিলনেই কণ্ডোম সব থেকে নির্ভরযোগ্য সংক্রমণ প্রতিরোধক। তবে মনে রাখতে হবে যে সমস্ত জায়গা
কণ্ডোম ঢেকে রাখছে না, সেখানে সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে।

সুরক্ষার দশ উপায়
১) একটি শশা বা কলার ওপর কণ্ডোম পরিয়ে র্প্যাকটিস করুন।
২) যৌনসঙ্গীকে কি বলবেন এবং কি ভাবে বলবেন তা একজন বিশ্বস্ত বন্ধুর সঙ্গে র্প্যাকটিস করুন।
৩) নিজের জীবন সুরক্ষিত রাখতে কিছু নিয়ম তৈরী ও পালন করুন, যেমন 'সুরক্ষিত উপায় ছাড়া যৌন সংসর্গ করবো না'।
৪) এমন ভাবে মদ বা মাদক দ্রব্য খাবেন না যে আপনি নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান।
৫) প্রেমিক বা জীবনসঙ্গীর সঙ্গে কথা বলে কণ্ডোম বা ডেণ্টাল ড্যামের ব্যবহার আকর্ষণীয় করে তুলুন।
৬) কণ্ডোম পরতে দুজনে এক সঙ্গে হাত লাগান।
৭) সঙ্গম ছাড়া অন্য ভাবে নিজের প্রেম প্রকাশ করুন।
৮) আপনার জীবনে যদি যৌন অত্যাচার হয়ে থাকে কোন দক্ষ কাউন্সেলারের সঙ্গে কথা বলুন।
৯) পুরুষসঙ্গী যদি কণ্ডোম না পরতে চান, তাঁকে বোঝান কণ্ডোম ব্যবহার করলে তিনি আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠেন।
১০) মেয়েদের কণ্ডোম চালু হলে তাই ব্যবহার করুন। এতে আপনার সঙ্গীর মুখ চেয়ে থাকতে হবে না।

২) জন্ম নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন না থাকলেও সুরক্ষা ব্যবস্থা অবলম্বন করুন
যে সমস্ত মহিলাদের অস্ত্রোপাচার করে জরায়ু বাদ দেওয়া হয়েছে (হিস্টেরেক্টমি), ডিম্বাণুবাহী নলদুটি বেঁধে দেওয়া হয়েছে (টিউবাল লাইগেশন), অথবা যাঁদের
রজোঃনিবৃত্তি হয়েছে - তাঁদের গর্ভধারণের কোন ঝুঁকি নেই। কিন্তু তাঁদেরও যৌন সংক্রমণের হাত থেকে মুক্ত থাকার জন্যে যৌন সঙ্গমের সময়ে কণ্ডোম ব্যবহার করা উচিত। আপনি হয়তো জরায়ুর অভ্যন্তরে আই ইউ ডি (যেমন কপার টি বা কয়েল) প্রতিস্থাপন করেছেন অথবা ডায়াফ্রাম বা কোন হর্মোন-জনিত জন্ম নিয়ন্ত্রক উপায় ব্যবহার করছেন, সেক্ষেত্রেও কণ্ডোম ব্যবহার করলে সংক্রমণের ঝুঁকি
কমবে।

৩) নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পরিষ্কার থাকুন
যৌন সংগমের আগে ও পরে, যোনি, পায়ু, এবং হাত ধুয়ে ফেলা স্বাস্থ্যকর অভ্যাস এবং এর ফলে মূত্রনালীর সংক্রমণ এড়ানো যায়। তবে এ ভাবে যৌন
সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যায় না। যৌনাঙ্গ ধুয়ে ফেলার পরেও কণ্ডোম ব্যবহার করুন।

৪) রক্তপাত হচ্ছে কিনা খেয়াল রাখুন
যে যৌন আচরণে রক্তপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, সেগুলির ব্যাপারে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করুন। কোন সংক্রামিত মানুষের সাথে সরাসরি সংস্পর্শের
ফলে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ হয় (এমনকি ঋতুস্রাবের রক্তের সংস্পর্শে এলেও)। এ ভাবে এইচ আই ভি এবং হেপাটাইটিস সংক্রমণ হতে পারে।

৫) নিজের ঝুঁকিগুলি জানুন
যে সমস্ত যৌন আচরণে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি, সে সবে লিপ্ত হওয়ার সময়ে সুরক্ষা সুনিশ্চিত করুন। যোনি-সঙ্গম ও পায়ু-সঙ্গম এই দুই ক্ষেত্রেই সংক্রমণের
ঝুঁকি বেশি। চুম্বন বা মর্দনের ক্ষেত্রে তা নেই। ঝুঁকিগুলি সম্পর্কে সম্যক জানলে পরেই আপনি সঠিক সুরক্ষা-ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

৬) সুরক্ষিত যৌন আচরণ সব সময়েই প্রয়োজনীয়
আগে হয়তো আপনি সুরক্ষার দিকে খুব একটা নজর দেননি, কিন্তু তার মানে এই নয় যে ভবিষ্যতেও আপনার সুরক্ষার প্রয়োজন নেই। সুরক্ষা ব্যবস্থা শুরু করার জন্যে আজকেই সবচেয়ে ভালো দিন। আপনার যদি কোন যৌনরোগ সংক্রমণ না হয়ে থাকে, সুরক্ষা ব্যবস্থা নিলে আপনি নতুন সংক্রমণ এড়িয়ে যাবেন। আর আপনি যদি সংক্রামিত হয়ে থাকেন, তাহলে সুরক্ষা ব্যবস্থা নিলে আপনার যৌনসঙ্গী সুরক্ষিত থাকবেন এবং আপনিও নতুন সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচবেন।

৭) পূর্ণ যৌনমিলনের আগের রতিক্রিয়াগুলির ওপর জোর দিন
সুড়সুড়ি, স্পর্শ, এবং একে অপরকে আদর করাও খুব সুখপ্রদ এবং তৃপ্তিদায়ক হতে পারে। আপনার সঙ্গে কণ্ডোম নেই অথচ যৌন-মিলনের ইচ্ছে রয়েছে, এ
অবস্থায় যৌন সঙ্গমের আগের রতিক্রিয়া সুরক্ষিত এবং আনন্দের হবে। আবার যৌন সঙ্গমে বাধা না থাকলেও এই রতিক্রিয়া যোনিপথকে পিচ্ছিল করে তুলবে এবং সঙ্গমকালে কণ্ডোমের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কমবে।

(ক্রমশ)

(আপনার মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)

 

 

Copyright © 2014 Abasar.net. All rights reserved.


অবসর-এ প্রকাশিত পুরনো লেখাগুলি 'হরফ' সংস্করণে পাওয়া যাবে।