প্রথম
পাতা
শহরের তথ্য
বিনোদন
খবর
আইন/প্রশাসন
বিজ্ঞান/প্রযুক্তি
শিল্প/সাহিত্য
সমাজ/সংস্কৃতি
স্বাস্থ্য
নারী
পরিবেশ
অবসর
|
আমার
স্বাস্থ্য, আমার সত্তা (সূচী)
আমার
যৌন-সংক্রমণ হয়েছে মনে হলে কি করা উচিৎ?
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব
রোগ-নির্ণয় করুন। আপনি আঠেরো অনূধর্ব হলে এ ব্যাপারে
বাবা মা বা আপনার গার্জেনের সাহায্য ও অনুমতি নিতে হতে
পারে।
কোথায়
যেতে হবে?
সরকারী হাসপাতালে
বিনা খরচে বা কম খরচে পরীক্ষা ও চিকিৎসা সম্ভব। এ সব
কেন্দ্রে কর্মীদের পরীক্ষা, রোগ নির্ণয়, ও চিকিত্সার
ব্যাপারে দক্ষতা থাকে। তাছাড়া রোগীর গোপনীয়তা রক্ষার
ব্যাপারে তাঁরা দায়বদ্ধ।
কলকাতায় কিছু যৌন
রোগ পরীক্ষা কেন্দ্র
মেডিকাল
কলেজ কলকাতা (ক্যালকাটা মেডিকাল কলেজ)
৮৮ কলেজ স্ট্রীট
কলকাতা ৭০০ ০৭২
(টেলি) ২৪৫১-২৬৪৪
স্কুল
অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন
১০৮ চিত্তরঞ্জন এzাভিনিউ
কলকাতা ৭০০ ০৭৩
(টেলি) ২২৪১-৪৯১৫/৪৯০০
সিটি
কাউনসেলিং সেণ্টার (দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটি দ্বারা
পরিচালিত)
৮/১ ভবানি দত্ত লেন
কলকাতা ৭০০ ০০৬
(টেলি) ২৫৩০-৩১৪৮
ভোরুকা
পাEÂবক ওয়েলফেয়ার
ট্রাস্ট,আমাদের বাড়ি
৬৪ রফি আহমেদ কিদওয়াই রোড
কলকাতা ৭০০ ০১৬
(টেলি) ২২৬৫-৮০৯২, ২২১৭-৪০১৯
রায়
ও ত্রিবেদী
৯৩ পার্ক স্ট্রীট
কলকাতা ৭০০ ০১৬
(টেলি) ২২২৬-৮৭৮৯/৫৯৬১/৬৬৪৩
পরিবার পরিকল্পনা
কেন্দ্রগুলিতেও অনেক সময়ে এ বিষয়ে সাহায্য পাওয়া
যায়। সরাসরি সাহায্য না করতে পারলেও কোথায় যেতে হবে
সে বিষয়ে প্রয়োজনীয়
পরামর্শ এখানে পাবেন। এই সব কেন্দ্রের কর্মীরা সংবেদনশীল
এবং আপনাকে
সসম্মানে সাহায্য করবেন।
প্রায় প্রত্যেকটি
বেসরকারী হাসপাতালে যৌন রোগ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ আছেন এবং
সেখানেও পরীক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। তবে এই জায়গাগুলি
ব্যয়সাপেক্ষ
হয়।
যৌন সংক্রমণে সাহায্য নিতে যাওয়ার আগে প্রস্তুতি
ফোন করে আগে থেকে
জেনে নিন কি কি সাহায্য পাওয়া যেতে পারে, কত খরচ পড়বে,
ইত্যাদি। আপনি যদি আঠেরো অনূধর্ব হন সেক্ষেত্রে কি কি
নিয়ম পালন করতে হবে তাও ভালো করে জেনে নিন। সংক্রমণের
উপসর্গ বা লক্ষণগুলি যন্ত্রণাদায়ক না হলেও দেরী না করে
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অনেকগুলি সংক্রমণের ক্ষেত্রে
উপসর্গ দেখেই যথাযথ রোগ নির্ণয় করা সম্ভব, তবে পরীক্ষা
করে আরও সুনিশ্চিত হওয়া যায়। এখন রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে
টাইপ ১ এবং টাইপ ২ হার্পিস চিহ্নিত করা যায়। পরীক্ষার
জন্যে অপেক্ষা করার সময়ে স্বচ্ছন্দ থাকুন। তবে বেদনাহীন
কোন ঘা থাকলে সেখানে কোন ক্রিম বা মলম লাগাবেন না, কারণ
তাতে ব্যাক্টিরিয়া মরে যেতে পারে এবং পরীক্ষা করলে সঠিক
ফল পাওয়া যাবে না। বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়ার আগে যৌনসংসর্গ
এড়িয়ে চলুন এবং সংক্রামিত জায়গা খুব বেশি পরিষ্কার করবেন
না। এর ফলেও সঠিক রোগ নির্ণয়ে অসুবিধা হবে।
চিকিৎসা
ও যত্ন
চিকিৎসার
জন্যে আপনি যেখানেই যান, সৌজন্যসুলভ ব্যবহার এবং সম্পূর্ণ
চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া আপনার অধিকার। তবে কাউকে সঙ্গে নিলে
ভালো হয়। তিনি প্রয়োজনে জরুরী তথ্য/পরামর্শ লিখে নিতে
এবং আপনাকে সাহস যোগাতে পারবেন।
-
বস্তি-প্রদেশ
পরীক্ষার আগে আপনার সম্বন্ধে মেডিক্যাল তথ্য (মেডিক্যাল
হিস্ট্রি) চিকিৎসকের জেনে নেওয়া উচিত।
-
সমস্ত
পরীক্ষা, রিপোর্ট, চিকিৎসার পদ্ধতি, এবং তার সম্ভাব্য
নেতিবাচক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সহজ বোধগম্য
ভাষায় বুঝিয়ে দিতে চিকিৎসককে অনুরোধ করুন।
-
সব
কটি সম্ভাব্য পরীক্ষা বা চিকিৎসা সম্পর্কে আপনার ধারণা
স্বচ্ছ করে তুলুন।
-
চিকিত্সা
কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসার আগে আপনার পরবর্তী করণীয়গুলি
বিশদভাবে জেনে নিন। চিকিত্সক ব্যস্ত থাকলে অন্য কারোর
সঙ্গে কথা বলুন। সমস্ত প্রশ্নের জবাব না নিয়ে চলে
আসবেন না। উপসর্গগুলি নির্মূল হতে কত সময় লাগবে জেনে
নিন। নির্ধারিত সময়ে নিরাময় না হলে আবার পরীক্ষার
জন্যে যান।
ফিরে
আসার পর আরও জিজ্ঞাস্য থাকলে তা ফোনে জেনে নিন।
-
চিকিৎসক
নির্দেশিত সমস্ত ওষুধ খান এবং মলম ইত্যাদি ব্যবহার
করুন। হয়তো সমস্ত ওষুধ শেষ হওয়ার আগেই শরীর ভাল লাগবে
বা উপসর্গ মিলিয়ে যাবে, তাই বলে ওষুধ বন্ধ করবেন না।
এতে সংক্রমণ আবার ফিরে আসতে পারে। লক্ষণ দেখে মিল
পেলেও আপনার ওষুধ অন্য কাউকে দেবেন না। তাঁর সংক্রমণ
হয়তো অন্য ধরণের তাই তাঁর চিকিৎসাও আলাদা হবে।
-
পুনরায়
যৌনসংসর্গ হওয়ার আগে আপনার, আপনার সঙ্গীদের, এবং তাঁদের
অন্যান্য সঙ্গীদের চিকিৎসা সম্পূর্ণ করুন। তা না হলে
আপনারা একে অপরকে বারবার সংক্রামিত করতেই থাকবেন।
আপনার চিকিৎসা সম্পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত বা চিকিৎসক যতক্ষণ
না বলছেন যে আপনি সম্পূর্ণ সুস্থ, ততদিন অপেক্ষা করুন।
-
প্রস্রাবে
কষ্ট হতে থাকলে সংক্রমণ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত মদ্যপান
করবেন না। মদ আপনার মূত্রনালীতে অস্বস্তি সৃষ্টি করতে
পারে। কখনো কখনো আপনি চিকিৎসা সম্পর্কে সুনিশ্চিত
নাও হতে পারেন। সব পরীক্ষা নিখুঁত হয় না। কোন কোন
সময়ে চিকিৎসা বোঝা হয়ে দাঁড়ায়, কার্যকরী হয় না। কিন্তু
চিকিৎসা না করিয়ে বা মাঝপথে ছেড়ে দিলে স্বাস্থ্যের
ভয়ঙ্কর ক্ষতি হতে পারে।
যে সমস্ত বাধা পেরোতে হবে
চলতি চিকিৎসা পরিকাঠামোয়
কি ধরণের বৈষম্য, যৌন আচরণ, সংক্রমণের ঝুঁকি ইত্যাদি
বিষয়ে আলোচনা করা মুস্কিল হয়ে দাঁড়ায় তা উপলব্বিì করুন।
অনেক চিকিৎসক এখনও মহিলাদের যৌনতা সম্পর্কে নেতিবাচক
মনোভাব পোষণ করেন। কেউ কেউ আবার জাত-পাত উচ্চ-নীচ ভেদাভেদ
করেন, কেউ বা সমকামীদের ঘৃণা বা ভয় করেন। তাঁরা দরিদ্র
পরিবারের মহিলাদের সম্পর্কে অন্য রকম ধারণা পোষণ করেন
কিন্তু উচ্চ-বিত্ত মহিলাদের সংক্রমণ থাকলেও পরীক্ষা
করতে দ্বিধাবোধ করেন না। মহিলা সমকামীদের অকারণ গোপনীয়তা
ত্যাগ করে ডাক্তারের কাছে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ, সংক্রমণ
পরীক্ষা, এবং চিকিৎসা করানো উচিত। যৌন আচরণ সম্পর্কে
তাঁরা বিশদ জানালেও কিছু চিকিৎসক হয়তো প্রয়োজনীয় দক্ষতার
অভাবে সাহায্য করতে পারবেন না। তবু এ ব্যাপারে খোলাখুলি
কথা বলে নেওয়াই ভাল।
সুচিকিৎসা পাওয়া
আপনার অধিকার। একজন সংবেদনশীল ও তথ্য সমৃদ্ধ চিকিত্সক
বা নার্সকে খুঁজে নিন যাঁর সঙ্গে কোন সমস্যা হওয়ার আগেই
আপনি যৌন-স্বাস্থ্য নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করতে পারবেন।
(ক্রমশ)
Copyright
© 2014 Abasar.net. All rights reserved.
|
অবসর-এ প্রকাশিত
পুরনো লেখাগুলি 'হরফ' সংস্করণে পাওয়া যাবে।
|