প্রথম পাতা

শহরের তথ্য

বিনোদন

খবর

আইন/প্রশাসন

বিজ্ঞান/প্রযুক্তি

শিল্প/সাহিত্য

সমাজ/সংস্কৃতি

স্বাস্থ্য

নারী

পরিবেশ

অবসর

 

কায়রো , মিশর

কায়রো, মিশরের রাজধানী, একটি সুন্দর প্রাচীন শহর। কায়রো শহরের বিবরণ অনেক দীর্ঘ হবে। তাই বিবরণ ও ছবি কয়েক ভাগে ভাগ করা হয়েছে – কায়রো, কায়রো শহরতলি ও তাহেরির স্কোয়ার, কায়রো ডাউন টাউন ও গিজার পিরামিড। আজ কায়রো – পরের বার বাকি গুলো এক এক করে।

কায়রো বিমান বন্দর থেকে আমার এক মিশরীয় বন্ধু আমাকে কায়রো শহরের হোটেলে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিছু দূর যাওয়ার পর হঠাৎ একটা ঝাঁ চকচকে হিন্দু মন্দির দেখে উৎফুল্ল হয়ে উঠলাম। ভাবলাম মিশরেও তা হলে হিন্দু মন্দির আছে! বন্ধুকে জিজ্ঞেস করাতে তিনি আমার উৎসাহে জল ঢেলে দিয়ে বললেন ওটা মন্দির নয় ওটা এক ধনী বেলজিয়ান জমিদারের হাবেলি। আমি মনে মনে দমে গেলাম। পরে জানা গেল সত্যই এটা বেলজিয়ান জমিদার এডওয়ার্ড লুইস জোষেপের কীর্তি। উড়িষ্যা এবং ওংকার ভাটের হিন্দু মন্দির দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি এই মন্দির-প্রাসাদ তৈরির জন্য ইন্দোনেশীয় কারিগর নিয়ে আসেন। ১৯০৭ থেকে ১৯১১ সালের মধ্যে প্রাসাদের কাজ শেষ হয়। মন্দিরের মতই নানান মূর্তি দিয়ে এই প্রাসাদ সাজান হয়। এখনও এই প্রাসাদ প্রায় নূতনের মতই আছে। ১ নং ছবি দেখুন।

১ নং ছবি

কায়রো শহর গড়ে উঠেছে নীল নদের ব-দ্বীপ এলাকায় । বলা যায় নীল নদ কায়রো শহরের ভিতর দিয়ে বয়ে গেছে। নীল নদের বেশ কয়েক জায়গায় চড়া পরে দ্বীপের মত হয়ে গেছে। সেখানেও দিব্যি শহর গড়ে উঠেছে। তাই কায়রোতে অনেক সেতু দেখা যায়। এই সব সেতুর ওপর দিয়ে গাড়ী ও অনেক লোকজন যাতায়াত করে। ২ নং ছবিতে সেতুর উপর দিয়ে পারাপার করা লোকজন দেখা যাচ্ছে।

২ নং ছবি

নীল নদের ধারে একটি সুন্দর বাড়ীতে, যার নাম লোটাস, সেখানেই মিশরের বিদেশ মন্ত্রকের দপ্তর। ৩ নং ছবিতে এই বাড়ীটা দেখা যাচ্ছে ২৫ কিঃ মিঃ লম্বা স্কাইওয়ে নামের সেতুর ওপর থেকে যা গীজার দিকে চলে গেছে।

৩ নং ছবি

আর একটি সেতুর উপর থেকে সন্ধ্যাবেলা নীল নদের দুই পাড়ে দেখা যাচ্ছে বড় বড় অফিস বাড়ি, হোটেল যেমন ইন্টারকন্টিনেন্টাল, শেফার্ড, সোফিটেল ইত্যাদি। ৪, ৫, ৬ ও ৭ নং ছবি দেখুন।

৪ নং ছবি

৫ নং ছবি

৬ নং ছবি

৭ নং ছবি

এর কাছেই আছে কায়রো টাওয়ার। এই ১৮৭ মিঃ উঁচু টাওয়ার তৈরি হয়েছিলো প্রেসিডেন্ট নাসেরের আমলে ১৯৫৪ থেকে ১৯৬১ সালের মধ্যে। এই ওপরের দিকে একটা ঘুরন্ত রেস্তোরাঁ আছে যেখান থেকে কায়রো শহরের অনেকটাই দেখা যায়। এখানে শুনলাম মার্কিন সরকার প্রেসিডেন্ট নাসেরকে প্রভাবিত করার জন্য অনেক টাকা উপহার দিয়েছিলেন। সেই টাকায় প্রেসিডেন্ট নাসের এই টাওয়ার তৈরি করান। এই টাওয়ারের গড়নে একটা বিশেষত্ব আছে। জল পদ্মের ডাটি যেন টাওয়ারটিকে জড়িয়ে আছে। একদম ওপরে গিয়ে পদ্ম ফুল একটু ফুটে আছে। ৮ ও ৯ নং ছবি দেখুন।

৮ নং ছবি

৯ নং ছবি

এই টাওয়ারের কাছেই আছে কায়রো মিউজিয়াম। (৮নং ছবিতে লাল বাড়ীটা)। মিউজিয়ামটা এই বাড়ীতে আসার আগে বেশ কয়েক বার বাড়ী বদল হয়েছে। এখানে দুটো তালা মিলিয়ে অনেক মিশরিয়, গ্রীক, রোমান ইত্যাদি নানান দেশের প্রাচীন ও ঐতিহাসিক সামগ্রী সাজান আছে। প্রত্যাশা অনুযায়ী এখানে বেশ কিছু মমি আছে। আছে মিশরের বিখ্যাত প্রাচীন প্যাপিরাস চিত্র। আর একটি বড় আকর্ষণ ১১ কি: গ্রাঃ সোনার তেরি তুতেনখামুনের মুখোশ। কায়রোতে এলে মিউজিয়াম নিশ্চয় দেখবেন। ১০ নং ছবি দেখুন।

১০ নং ছবি

পরের অংশের জন্যে ক্লিক করুন...

Copyright © 2014 Abasar.net. All rights reserved.


অবসর-এ প্রকাশিত পুরনো লেখাগুলি 'হরফ' সংস্করণে পাওয়া যাবে।