কায়রো
, মিশর
(২)
কায়রো বা মিশরের সংকৃতি অনেক প্রাচীন। কায়রোর
কলা কেন্দ্র (১১ নং ছবি), চৌরাস্তার মাঝে –
ট্রাফিক আইল্যান্ডে নানান শিল্প কর্ম ও সুন্দর
বাগান, (১২ ও ১৩নং ছবি দেখুন) তার নিদর্শন।
১১
নং ছবি
১২
নং ছবি
১৩
নং ছবি
১৪নং ছবিতে ডান দিকে দেখা যাচ্ছে নীল নদের জামালেক
দ্বীপে আল-জাজিরা শেরাটন হোটেল। বাঁদিকের সুন্দর
বাড়ী গুলতে আছে নানান অফিস।
১৪
নং ছবি
১৫
নং ছবিতে দেখা যাচ্ছে ন্যাশনাল ক্যানসার ইন্সটিটিউট।
১৫
নং ছবি
প্যাপিরাস পৃথিবীর সব থেকে পুরানো এক ধরনের
কাগজ – যা খৃষ্ট পূর্ব ৩০০০ বছরেরও আগে প্রাচীন
মিশরীয়গন আবিষ্কার করেন। মিশরের নীল নদের ব-দ্বীপ
এলাকায় ও সুদানে জলা জায়গায় লম্বা অনেকটা ঘাসের
মত এই প্যাপিরাস গাছ জন্মায়। এই গাছ ৪ থেকে
৫ মিঃ লম্বা হয়। এর ডাটি থেকে ধারাল ছুরি দিয়ে
খুব পাতলা ফালি বের করা হয়। এই ফালি গুলো লম্বা
লম্বি পেতে তার ওপর আরা আরি আরও কিছু ফালি বিছিয়ে
চাপ দিয়ে জোড়া লাগিয়ে কাগজের পাতার মত বানান
হয়। এর জন্যে আঠা লাগে না কারণ এই ফালির মধ্যে
যে রস আছে সেটাই আঁটার কাজ করে। এই কাগজ প্রাচীন
কাল থেকেই লেখা ও ছবি আঁকার জন্যে ব্যবহার করা
হয়। মিশরীয় সরকার প্যাপিরাস উৎপাদনে উৎসাহ ও
সাহায্য দিয়ে থাকেন। এতে অনেকের কর্মসংস্থান
হয়। প্যাপিরাসের ওপর আঁকা ছবি খুব সুন্দর দেখতে
হয়। ১৬ নং ছবি।
১৬
নং ছবি
শেষ করার
আগে এখানকার লোকজন সম্বন্ধে কিছু বলা দরকার।
লোকেদের গায়ের রং আমাদের দেশের মতই মিশ্র। রাস্তায়
অনেককে দেখলে ভারতীয় মনে হতে পারে। ১৭ নং ছবিতে
শ্রমিককে দেখে আমি প্রথমে ভারতীয় মনে করেছিলাম।
কাছে গিয়ে কথা বলে বুঝলাম তিনি মিশরিয়।
১৭
নং ছবি
এখানে
অনেক মহিলারা (বিশেষ করে বয়স্করা) মাথার চুল
ও গলা ঢেকে রাখেন। যদিও কোন ধর্মীয় বা রাষ্ট্রীয়
অনুশাসন নেই। এটা একটা সামাজিক প্রথা মাত্র
– কোন বাধ্য বাধকতা নেই। কম বয়সীরা অবশ্য মাথার
চুল ও গলা খোলা রাখেন – তাতে কেও আপত্তি করেনা।
আমাদের
মতই মিশরে কাবাব, কোপ্তা, তন্দুরি রুটি, বিরিয়ানি
ইত্যাদি খাবারের চল আছে। তবে এগুলো আমাদের এখানকার
থেকে ভাল। ১৮ নং ছবিতে যে নৌকো গুলো আলো জালিয়ে
নীল নদের ঘাটে দাড়িয়ে আছে সেগুলোতে সন্ধ্যাবেলা
নৌবিহার করা যায়। নৌকোয় খাওয়া দাওয়ার ও আমোদ
প্রমোদের ভাল ব্যবস্থা আছে।
১৮
নং ছবি
এর
পরের বারে তাহেরির স্কোয়ার ও কায়রো শহরতলি নিয়ে
কিছু বলা যাবে।
বিমল
কুমার বসাক
আগের
অংশের জন্যে ক্লিক করুন...
(আপনার
মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)
অবসর-এর
লেখাগুলোর ওপর পাঠকদের মন্তব্য
অবসর নেট ব্লগ-এ প্রকাশিত হয়।