মমল্লপুরম
(মহাবলীপুরম) ১ - ২
- ৩
ভারতে মন্দির
গঠনের ধারা পর্যালোচনা করলে কয়েকটি তথ্য পরিষ্কার
সামনে আসে। বৈদিক যুগে বা তার আগে মন্দির নির্মাণের
কোনও উদাহরণ পাওয়া যায় না। সেই সময় পূজা মানে
যাগ-যজ্ঞাদি করা যা প্রধানত খোলা আকাশের নিচে
অথবা খুব বেশি হলে পাতার ছাওনির তলায় সম্পন্ন
করা হতো। এমন কি, বিগ্রহ পূজার প্রথম যুগে যখন
লিঙ্গাকার শিবের আরাধনা আরম্ভ হয়, তখনও প্রথমে
শিব লিঙ্গের মাথায় ছাদ থাকত না। বেশ কয়েকটি জ্যোতির্লিঙ্গের
ওপর মন্দির অনেক পরে নির্মিত হয়। যেমন আয়ুন্ধ
নাগনাথ, ঘৃষ্ণেশ্বর, পার্লি বৈজনাথ ইত্যাদিতে।
যদিও জ্যোতির্লিঙ্গ নয়, তা হলেও হরিদ্বারের প্রাচীন
বিল্বকেশ্বর শিবলিঙ্গের মাথায় কিছু বছর আগেও টিনের
অস্থায়ী চালা ছিল। এই যে এমন স্থায়ী পূজার স্থল
বা মন্দির না গড়বার মানসিকতা তা আমার মনে হয় একান্ত
ভাবে ভারতীয়, সমস্ত কিছুই ঈশ্বরের উপর ছেড়ে দেবার
মানসিকতা। ক্রমশ অবশ্য এর থেকে বেরিয়ে এসে মন্দির
নির্মাণের দিকে ঝুঁকতে থাকে ভারতবাসী। তাও প্রথমে
মাটির ইট আর কাঠের ব্যবহার হয়। স্বাভাবিক ভাবে
এমন ভাবে নির্মিত মন্দির কালের করাল গর্ভে চলে
যায় বলে এর উদাহরণ পাওয়াই যায় না। হরপ্পা সভ্যতার
নিদর্শনেও আমাদের জানা চেহারার মন্দিরের উপস্থিতির
অভাব বোঝা যায়। এমন কি গুজরাটের কচ্ছের ধোলাভিরায়
যেখানে পোড়া মাটির ইটের বদলে হরপ্পা সভ্যতায় একমাত্র
ব্যতিক্রম, পাথর ব্যবহার হয়েছিল গৃহ নির্মাণে,
সেখানেও মন্দিরের অভাব লক্ষণীয়। তবে এই সময়েও
মনে হয় মন্দির গঠনের রেওয়াজ আরম্ভ হয়নি।
স্থায়ী উপাদান,
অর্থাৎ পাথরের সাহায্যে মন্দির নির্মাণ সম্রাট
অশোকের কাল থেকে প্রথমে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম
ভারতে আরম্ভ হয়। তবে পাথর, ইট বা ব্লক আকারে ব্যবহার
হয়নি, পাহাড়ের গায়ে পাথর কেটে হয়। পাহাড় খোদাই
করে মন্দির আবার দুই রকমের করা হয়েছিল, গুহার
আকারে, যা ‘গুহা মন্দির’ নামে খ্যাত, আর অন্য
প্রকারের মন্দির পাহাড়ের মাথা থেকে কেটে নির্মাণ
করা, যা ‘পাহাড়-খোদাই’ বা রক-কাট মন্দির নামে
আমরা পরিচয় দিই।
যাই হোক
প্রথম দিকে, প্রায় ৪৫০ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি
থেকে ইট-কাঠের বেষ্টনী থেকে বেরিয়ে এসে স্থপতিরা
গুহা মন্দির নির্মাণ করতে আরম্ভ করলেন উত্তর ভারতের
উদাহরণ সামনে রেখে দক্ষিণ ভারতেও। কিছু পরেই স্থপতি
ও শিল্পীগণ আরও কঠিন প্রচেষ্টায় ডুবে গেলেন, অর্থাৎ
পাহাড়ের মাথা থেকে কেটে কেটে নিচ পর্যন্ত নেমে
এসে মন্দির স্থাপন বা গঠন, যে পদ্ধতির নাম আগেই
বলেছি পাহাড় কাটা মন্দির বা রক-কাট টেম্পল নির্মাণ।
প্রায় সপ্তম শতাব্দী থেকে এই ধারা আরম্ভ হল। বিশেষ
উল্লেখযোগ্য, যে এই মন্দির নির্মাণের যে শৈলী,
তা একান্ত ভাবে ভারতীয়, কোনও বিদেশি শৈলীর ছাপ
বা অনুকরণ কিছু মাত্র নেই। অনেক সময়ই এই শৈলী
কোনও নির্মাণ শৈলী রূপে গণ্য করা হয়ই না, ভাস্কর্য
রূপেই বিচার করা হয়।
এই রচনার
আরও বিস্তার করার আগে পাঠকের উদ্দেশ্যে কিছু কথা
বলা বোধহয় উচিত হবে। ‘মন্দির’ শব্দটির মধ্যে কেমন
যেন ধর্ম ধর্ম গন্ধ লেগে আছে। তাও আবার একটি বিশেষ
ধর্ম। মন্দির সাধারণত কোনও এক বা একাধিক দেবতার
অবস্থান বা নিবাস হিসাবে নির্মাণ করা হয়, যেখানে
সেই দেবতার বা দেবতাদের পূজা করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে
কোনও বিশেষ ব্যক্তির উদ্দেশ্যেও মন্দির নির্মিত
হয়েছে। আমার এই রচনা কোনও দেবতার মন্দিরের সম্পর্কে
বলার জন্যে নয়, কেবল মাত্র মন্দিরের যে গঠন শৈলী,
যে স্থাপত্য, যে পরিবেশ, যে ইতিহাস নিয়ে আছে তারই
পরিচয় দেবার জন্য চেষ্টা। দয়া করে এই রচনার সঙ্গে
কোনও ধর্ম সংযোগ করে দেবেন না।
চেন্নাই
থেকে ৫৮কিমি দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের তীরে মমল্লপুরমে
এই দুই প্রকারের মন্দিরই আছে এবং সেগুলি পৃথিবী
বিখ্যাত, ইউনেস্কোর হেরিটেজ আখ্যাও লাভ করেছে।
মাঝে এই গ্রাম মহাবলিপুরম নামেও খ্যাত ছিল। কেবল
মাত্র দুই প্রকারের বলি কেন, পাথরের ব্লক একটার
ওপর একটা বসিয়ে মন্দির গঠনের সাধারণ পদ্ধতির মন্দিরও
এখানে আছে, এবং সেটিও বিখ্যাত। সমুদ্রের পারে
এর অবস্থানের কারণে এর নাম ‘শোর টেম্পল’। এমন
করে মন্দির গঠনের পদ্ধতিকে স্ট্রাকচারাল পদ্ধতি
বলা হয়ে থাকে।
বলা হয় পল্লব
বংশের মহেন্দ্রবর্মন (খ্রী. ৫৮০-৬৩০) ‘বিচিত্র
চিত্ত,’ তিনি সাধারণ ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে পারতেন।
এখনকার সময় হলে তাঁকে হয়ত ‘পাগলা রাজা’ বলা হতো।
তবে তাঁর জন্যই পৃথিবী আজ বিশেষ এক প্রকারের অপূর্ব
ভাস্কর্য মণ্ডিত মন্দির দেখতে পাচ্ছে। তাঁর রাজত্বের
আগে ইট-কাঠ ইত্যাদি দিয়েই মন্দির নির্মাণ হতো।
উনি মনে করলেন এই সব বস্তু নশ্বর, তাই পাথর দ্বারা
মন্দির করলে কেমন হয়। পাথর কেটে মূর্তি নির্মাণ
আগে থেকেই চালু ছিল, এবার পাথর কেটে মন্দির নির্মাণ
আরম্ভ করলেন। প্রথমে পাহাড়ের গায়ে গুহার আকারে
এবং পরে তাঁহার পুত্র নরসিংহবর্মন (খ্রী.৬৩০-৬৬৮)
পাহাড়ের ওপর থেকে শঙ্কুর আকারে শীর্ষ থেকে ক্রমশ
ভিতের বা ভূমির তলের দিকে নেমে এসে।
এই সুযোগে
মমল্লপুরম নামের উৎস নিয়ে দু-চার কথা আলোচনা করা
সঙ্গত হবে। নরসিংহবর্মনের উপাধি ছিল মমল্ল। অনেকে
বলেন নরসিংহবর্মনের এই উপাধিই মমল্লপুরম নামের
কারণ। এই উপাধির কারণ আবার নাকি রাজার কুস্তিতে
কথিত দক্ষতার জন্যে। যাই হোক মল্লাই বা মমল্লাই
নাম নরসিংহবর্মনের কালের অনেক আগে থেকেই বৈষ্ণব
সাধুগণ ব্যবহার করতেন।
নরসিংহবর্মনের
চতুর্থ পুরুষ দ্বিতীয় নরসিংহবর্মন (৭০০-৭২৮) যিনি
রাজসিংহ নামেও পরিচিত, মন্দির নির্মাণের পুরানো
পদ্ধতি ফিরিয়ে আনলেন। অবশ্য ইট-কাঠ দিয়ে নয় পাথর
খণ্ড পরস্পরের ওপর বসিয়ে নির্মাণ করলেন ‘শোর টেম্পল’
যার কথা আগেই বলেছি। তাঁর এমন পদ্ধতি উদ্ভাবন
করার কারণ হল পাথর বা পাহাড় কাটার কাজে সময় বেশি
লাগছিল মন্দির নির্মাণে। এ ছাড়া কঠিন পাথর গ্রানাইটের
বদলে অপেক্ষাকৃত নরম বেলে পাথর বা স্যান্ড স্টোনের
ব্যবহারও নির্মাণ ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে।
মমল্লপুরম
এখনও পাথর, বিশেষ করে গ্রানাইটের ওপর ভাস্কর্য
প্রস্তুত করার শিল্প জীবিত রেখেছে। গ্রামে আসবার
পথের ধারে অসংখ্য দোকানে প্রচুর ভাস্কর্যের নমুনা
বিক্রির জন্য রাখা। দেখা যায় দোকানে শিল্পীরা
মূর্তি নির্মাণে ব্যস্ত। এ ছাড়া রাস্তার ধারে
বেশ কিছু স্টুডিও-ও আছে। একই রাস্তার ধারে এই
রকম এক স্টুডিওতে ঢুকলাম। আয়ারল্যান্ডের অধিবাসী
নাইজেল গ্রে সেখানে কাজে ব্যস্ত দেখলাম, উনি অবশ্য
এখানে প্রতি বছর এসে কয়েক মাস নিজের মত কিছু ভাস্কর্য
সৃষ্টি করে নিয়ে যান। এখানকার আলো-বাতাস অর্থাৎ
পরিবেশ ওনাকে সৃষ্টি করতে উদ্বুদ্ধ করে, তার সঙ্গে
উপযুক্ত আধারের সরবরাহও প্রধান এক কারণ। আমি স্টুডিও-এ
যাওয়া ও ওনার সঙ্গে কথাবার্তা ভিডিও রেকর্ড করেছিলাম,
দেখতে পাবেন উপস্থিত ভিডিও ক্লিপে।
ভারতে এ-এস-আই
(Archaeological Survey of India) যেমন প্রায়
সব কয়টি ঐতিহাসিক স্থানের সংরক্ষণের ব্যবস্থা
করে, তেমনই মমল্লপুরমের মন্দিররাজির সংরক্ষণেরও
ব্যবস্থা করেছে। ভারতীয়দের জন্যে মাত্র ১০ টাকা
প্রবেশ মূল্য (১৫ বছরের কম বয়সের দর্শকের প্রবেশ
মূল্য লাগে না আর বিদেশিদের জন্যে US$5) সব কটি
দেখার জন্যে নির্ধারিত।
আমাদের গাড়ি
এসে থামল বালি ভরা এক মাঠের ধারে। পথের বিপরীত
দিকে বেশ কিছু দোকান-পাট রয়েছে যেখানে ফাস্ট ফুড
থেকে খেলনা ও মূর্তি বিক্রি হচ্ছে। বালি
ভরা মাঠে দেখতে পেলাম বেশ কয়েকটা ছোট মন্দিরের
আকারে সৌধ। এই হল বিখ্যাত “পঞ্চরথ।” আমরা প্রবেশ
মূল্য দিয়ে প্রবেশ করলাম এগুলো দেখার জন্যে। কেন
এই পাঁচটি সৌধ গুলোকে রথ বলা হয়েছে আমি বুঝতে
পারলাম না। কোনটিরও নিচে চাকার চিহ্ন নেই। তাই
রথ বলার কোনও সার্থকতা আমার মনে এলো না। অবশ্য
একটি সৌধ ছাড়া বাকি গুলো প্রধানত চারকোনা চাতালের
ওপরে শঙ্কু আকারে নির্মিত। মনে হয় এটাই কারণ রথ
রূপে পরিচয় দেবার। কোনারকের সূর্য মন্দিরে নিচে
চাকার শ্রেণী দেখবার মতো এবং মন্দিরটি সঙ্গে রথের
সম্পূর্ণ সাযুজ্য পেতে কোনও অসুবিধা হয় না। পাশাপাশি
এই পাঁচটি সৌধের মধ্যে গঠন প্রণালীর ভিন্নতা নজরে
পড়ে যদিও সব গুলোর উচ্চতা প্রায় সমান ও বেশি নয়।
প্রত্যেকটির ছাদ বা শীর্ষ ভিন্ন প্রকার ও আকারের।
রথগুলো বেশি বিখ্যাত ‘পাণ্ডব রথ’ নামে, যদিও পাণ্ডবদের
সঙ্গে কোনও সংশ্রব নেই এগুলোর। সব থেকে ছোট আর
উত্তরে অবস্থিত রথের নাম ‘দ্রৌপদী রথ’।
ছবি
১ দ্রৌপদী রথ
‘মকর-তোরণ’-এর
দুই পাশে অতি সুন্দর দুই দ্বারপালিকার মূর্তি
এবং দুটিই ভিন্ন ভঙ্গিমায় দাঁড়িয়ে। ভিতরে এক মূর্তি,
অনেকে বলেন দ্রৌপদীর, তবে ঐতিহাসিকগণের মত যে
এ মূর্তি দুর্গার ।
ছবি
২ দ্রৌপদী রথের ভেতরে দুর্গা
এই ধারণার
যথেষ্ট কারণ আছে। দেবী মূর্তির চার হাত, সামনে
দুই পুরুষ হাঁটু গেড়ে বসে পূজা রত, বাঁ দিকের
পূজারী নিজের মাথা কাটতে উদ্যত। হুবহু একই ভাস্কর্য
আমি মমল্লপুরমের অন্যত্র দেখেছি (বরাহ মণ্ডপ),
তফাত কেবল মাত্র মাথা কাটতে উদ্যত পূজারীর হাতে
তরোয়াল অনেক বেশি স্পষ্ট।
ছবি
৩ দুর্গা
এই রথের
ছাদ অনেকটা বাংলার কুঁড়ে ঘরের চালার মতো। কোণ
গুলোয় অবশ্য সুন্দর অলঙ্করণ করা আছে। একই ভিতের
বা পাটাতনের ওপর নির্মিত ঠিক পাশেটির নাম ‘অর্জুন
রথ,’ আকারে কিছুটা বড় ও ভাস্কর্যের এক সুন্দর
উদাহরণ। বর্ণনা করার থেকে ছবি দেখে বোঝা অনেক
সহজ হবে, তাই দ্রৌপদী ও অর্জুন রথের এক সঙ্গে
ছবি দেখুন।
ছবি
৪ দ্রৌপদী ও অর্জুন রথ - উল্টোদিক থেকে
‘ভীম
রথ’-টি আকারে
সর্ব বৃহৎ এবং আয়তকার।
ছবি
৫ ভীম রথ
এই রথ ত্রিতল,
তবে উপরের দুটি তলে আপাতত যাওয়া যায় না। এই সুযোগে
একটি তথ্য আপনাদের জানাই। যেহেতু এই সৌধগুলি প্রতিটি
এক একটি পাথর (Monolithic), শীর্ষ থেকে খোদাই
করে নিচে নামা হয়েছে, অনেক সময় শীর্ষের তল প্রথম
তল হিসাবে বিচার করা হয়। পাঠক স্মরণ করতে পারেন
পাহাড়ের হোটেল বা বাড়ির তল সংখ্যা গোনার পদ্ধতির
কথা। অনেক ক্ষেত্রেই রাস্তার তলে বাড়ির একটি তল
থাকে, বাকি তল ক্রমশ নিচের দিকে পাহাড়ের ধার দিয়ে
নেমে যায়। ভীম রথ সম্ভবত বিষ্ণুর অনন্ত শয্যার
ভাস্কর্য নির্মাণের জন্যে খোদাই করা হয়েছিল, তার
কিছু অসম্পূর্ণ চিহ্ন দেখা যায়। অসম্পূর্ণ খোদাইয়ের
কাজ প্রায় প্রত্যেকটি রথ ও সংলগ্ন স্থানে দেখা
যায় বলে অনেকে বলেন এগুলি ভাস্কর শিক্ষানবিশদের
পরীক্ষাগার। এবং এই কারণেই প্রত্যেকটি সৌধই ভিন্ন
প্রকারের। সর্ব
দক্ষিণের রথটি ‘ধর্মরাজ রথ’ নামে প্রসিদ্ধ যদিও
ধর্মরাজ যুধিষ্ঠিরের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।
রথটি একাধিক তলা ও সর্বাধিক উচ্চতা বিশিষ্ট। শঙ্কু-আকারে
গঠিত হবার কারণে ওপরের তলাগুলো ক্রমশ ছোট হয়ে
এসেছে।
ছবি
৬ ধর্মরাজ রথ
যেমন অনেক
জায়গারই অবস্থা, ভূমির তলের তলটির অন্দর অসম্পূর্ণ।
এক কোনে চার হাতের শিব দেয়ালের গায়ে ঠেসান দিয়ে
দাঁড়িয়ে। এই বর্ণনা লিখতে গিয়ে আমার মনে হল যে
এই সৌধগুলো দেখতে গেলে অবশ্যই শিক্ষিত অর্থাৎ
trained গাইডের সাহায্য প্রয়োজন। বেশ কিছু মূর্তির
পরিচয় আমি জানতেই পারিনি, অথবা কিছু ভাস্কর্য
লক্ষই করিনি। পরে এ এস আই-এর গাইড বুকে লেখা দেখে
জানতে পেরেছি।
ড.
শুভেন্দু প্রকাশ চক্রবর্তী
(চলবে)
(আপনার
মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)