এখান থেকে মন্দাকিনী পার
হয়ে আবার পশ্চিম দিকে চলে গেলাম। মিনিট ১৫/২০ পরে দ্বিতীয়
ধাম, ‘রাম-দর্শন’, মনোগ্রাহী ও নতুন নির্মিত পাঁচটি
পরস্পর ছোট হয়ে যাওয়া গোলাকার ছাদ যুক্ত মন্দির। সামনে সুন্দর
বাগান। মন্দির বিশেষ উঁচু নয়, তবে পরিসরের আকার বেশ বড়। ৫টাকা
দর্শনী দিয়ে এবং ক্যামেরা, সেল-ফোন, ব্যাগ ইত্যাদি জমা রেখে
ভিতরে ঢুকতে হলো। আমি সাধারণত নতুন তৈরি কোনও মন্দিরে ঢুকতে
চাই না। তবে এই মন্দিরে না ঢুকলে খুবই ভুল করতাম। মন্দিরের সামনের
ঘরে বাল্মীকি ও তুলসীদাসের বিরাটাকার বসা মূর্তি। মহর্ষি বাল্মীকি
মহাকাব্য সৃষ্টি করার অবস্থায় আর তুলসীদাস তাঁর রচনা পাঠরত
অবস্থায় দেখান হয়েছে। মূর্তি-দ্বয়ের গঠন-শৈলী দেখেই দাঁড়িয়ে
পড়তে হয়, অদ্বিতীয়। বিভিন্ন ঘরে ভ্রাতৃদ্বয়ের জন্মের পর
থেকে অযোধ্যায় ফিরে আসা পর্যন্ত কর্মকাণ্ডের অপূর্ব ছবি, রিলিফ
ও ডায়োরামা দ্বারা বর্ণনা করা আছে। শিল্পীগণের উৎকর্ষতা ভাষায়
বর্ণনা করা আমার সাধ্যাতীত। প্রধান শিল্পী শ্রীসুহাস বাহুলক্রের
পরিচালনায় শ্রীবিজয় আচরেক্র তৈলচিত্রে, শ্রীঅশোক সোঙ্কুসরে
রিলিফে আর শ্রীগজানন সক্পাল ডায়োরামায় সাহায্যকারী রূপে কাজ
করেছেন। বাড়ির বাস্তুকার ছিলেন শ্রীপুনিত ও শ্রীমতী কিরণ সোহ্ল।
ডা. রাজারাম জয়পুরিয়া এই মন্দির স্থাপন করতে অর্থের সংস্থান
করেছেন। আগেই বলেছি যে ক্যামেরা জমা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে
হয়েছিল কিন্তু বেরিয়ে এসেও আমি এই বাড়ির সামনে থেকে ছবি নিতে
ভুলে গিয়েছিলাম। হ্যাঁ, আর একটি কথা, এই ‘রাম-দর্শন’
নির্মাণ করার তারিখ ওখানে লেখা নেই, এবং পরে চেষ্টা করেও জানতে
পারিনি।
এখান থেকে প্রথমে রাজ্য সড়ক হয়ে কিছুটা গিয়ে পূর্ব দিকে আবার
জঙ্গলের পথে অনেকটা যেতে হলো। শেষে মন্দাকিনীর পারে অত্রী মুনি
ও সতী অনসূয়ার আশ্রমের সামনে এলাম। এখানে সকলে একে সতী অনুসুইয়ার
আশ্রম বলতেই অভ্যস্ত। এত যুগ পরে তো আর আশ্রমের কিছু অবশিষ্ট
থাকতে পারে না, তার বদলে এখন এখানে অভিনব এক মন্দির নির্মিত
হয়েছে (চিত্র-১৩, সতী অনসূয়া মন্দির)।
চিত্র-১৩,
সতী অনসূয়া মন্দির
কবে? তা অবশ্য কোথাও লেখা
নেই। তিন তলা মন্দির। পিছন দিকে গাছে ভর্তি পাহাড়ের দেয়াল।
মন্দিরে অনেক ছোট ছোট ঘর।
প্রত্যেক ঘরে পুতুলের সাহায্যে প্রধানত সতীর জীবন সম্পর্কীয়
বিভিন্ন ঘটনা বর্ণিত আছে। প্রচণ্ড ভিড়, তাই সবগুলোর ছবি নেওয়া
সম্ভব হয়নি। অত্রী মুনি ও অনসূয়ার বিবাহের যে বর্ণনা করা আছে,
তার ছবি নিতে পেরেছি (চিত্র-১৪, অনসূয়া ও অত্রী মুনির বিবাহ
আসর)।
চিত্র-১৪,
অনসূয়া ও অত্রী মুনির বিবাহ আসর
দেখানো হয়েছে যে মুনি
কর্দম (ব্রহ্মা) এই বিবাহে কন্যাদান করছেন। মন্দিরের বাইরে থেকে
নদীর দৃশ্য বেশ মনোগ্রাহী (চিত্র-১৫, সতী অনসূয়া মন্দিরের সামনে
মন্দাকিনীর দৃশ্য)।
সতীর জীবনের প্রধানতম যে
ঘটনার কথা বলা হয়ে থাকে তার বর্ণনার ছবি আমি সৌভাগ্যক্রমে নিতে
পেরেছি (চিত্র-১৬, সতী অনসূয়া ও দোলনায় তিন শিশু), যদিও আলোর
অভাবে (ফ্ল্যাশ বন্ধ রাখতে বাধ্য ছিলাম যদি বাধা পাই এই ভয়ে)
ছবি একটু অপরিষ্কার।
চিত্র-১৬,
সতী অনসূয়া ও দোলনায় তিন শিশু
এতে দেখা যাচ্ছে যে সতী
মাতা একপাশে দাঁড়িয়ে আর এক পাশে সাজানো দোলনায় তিনটি শিশু
শুয়ে আছে। অনেকেই হয়ত এই ঘটনার কথা জানেন, তা হলেও যাঁরা জানেন
না তাঁদের জন্যে বলি। এই ঘটনা হলো সতী অনসূয়ার সতীত্বের পরীক্ষা
নেবার ফলস্বরূপ। দেবর্ষি নারদ তাঁর স্বভাব অনুযায়ী অনসূয়ার
সতীত্বের কথা শুনিয়ে ত্রয়ীর স্ত্রীগণের মনে হিংসার বীজ বপন
করেন। তাঁরা তাঁদের স্বামীদের অনসূয়ার সতীত্বের পরীক্ষা করতে
বলেন। সাহস দেখুন, স্বামীদের বলেন কোনও এক মহিলার সতীত্ব পরীক্ষা
করতে! স্বামীরাও আনন্দ সহকারে ছুটলেন। বেছে বেছে এমন সময় সন্ন্যাসী
বেশ ধারণ করে মুনির কুটিরে এসে হাজির হলেন যখন মুনি স্নানে গেছেন।
আবার দেখুন কেবল মাত্র ভিক্ষা নয়, আবদার তাঁদের স্তন্যপান করাতে
হবে তাও আবার বিবস্ত্রা হয়ে! সন্ন্যাসী আর অতিথি হবার অধিকারে
যা খুশি তাই চাওয়া? এখনকার মৌলবাদী, রাজনৈতিক নেতা ও জনতা,
লেখক বা শিল্পী হবার অধিকারে যেমন ইচ্ছে তাই করবো, সে তো এর
চাইতে অনেক সভ্য ব্যাপার। মাতা অনসূয়া এক মুহূর্ত থমকে গেলেন,
তার পর তাঁর সতীত্বের বলে ত্রয়ীদের ক্রন্দনরত সদ্যোজাত শিশুতে
পরিণত করেন। এর ফলে অনসূয়ার মনে বাৎসল্য হেতু তাঁর স্তন দিয়ে
দুধের ধারা প্রবাহিত হলো। তিনি একে একে ‘শিশুদের’
কোলে করে কুটিরের মধ্যে নিয়ে গিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিলেন।
শিশুদের সময় মায়ের আদরে ভালই কাটে। এদিকে যত দিন যায় ত্রয়ীদের
স্ত্রীদের চিন্তা ক্রমশ বাড়ে। শেষে আর না থাকতে পেরে তাঁরা
অর্থাৎ সরস্বতী, লক্ষ্মী ও পার্বতী সতী অনসূয়ার কাছে এসে ব্রহ্মা,
বিষ্ণু ও মহেশ্বরের খোঁজ করেন। সতী সবই জানেন তাও বলেন ওঁরা
তো আসেননি তবে তিনটি শিশুদের দেখিয়ে দেন। তাঁরা দেখেন যে দোলনায়
শিশুরা মহা আনন্দে ক্রীড়ারত। অনেক কাকুতি মিনতি করার পর সতী
তাঁদের পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দেন। ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর
সস্ত্রীক অত্যন্ত প্রীত হয়ে বর প্রদান করতে চান। অনসূয়া ত্রয়ীদের
সন্তান রূপে পাবার কামনা করেন। তাই ব্রহ্মার অংশে সোম, বিষ্ণুর
অংশে দত্তাত্রেয় ও মহেশ্বরের অংশে দুর্বাসা অত্রী মুনি ও অনসূয়ার
তিন পুত্র জন্ম গ্রহণ করেন।
সতী অনসূয়ার মন্দির হিমালয়ের উত্তরাখণ্ডেও আছে। বলা হয় অত্রী
মুনি উত্তরাখণ্ডের অধুনা ‘অনসূয়া দেবী’-তে তপস্যা
করেছিলেন। চামোলির পশ্চিমে প্রায় ১০কিমি. দূরে চামোলি জেলার
সদর শহর গোপেশ্বর থেকে আরও পশ্চিম দিকে সাগর হয়ে ১৫ কিমি. দূরে
মণ্ডল। সেখান থেকে ৬কিমি. উত্তর-পূর্বে এক পাহাড়ের শীর্ষে অনসূয়া
দেবীর প্রাচীন মন্দির। স্বামী অত্রী মুনির তপস্যার স্থানের কাছে
থাকবার জন্যে তাঁর স্ত্রী অনসূয়াও ওখানেই পর্ণকুটির নির্মাণ
করে বাস করতেন। সেখানেও এই ত্রয়ীর একই কাহিনি প্রচলিত। মনে
হয় দুই জায়গাতেই তাঁদের আশ্রম ছিল তবে সেই ঘটনা কোথায় ঘটেছিল
বলা সম্ভব নয়। বিভিন্ন সময়ে তাঁরা তাঁদের ইচ্ছা মতো জায়গায়
বাস করতেন, যা অনেক মুনি, ঋষি বা সন্ন্যাসীদের ক্ষেত্রে দেখা
যায়।
সতী অনসূয়ার আশ্রম বা মন্দির থেকে প্রায় ১২টা ১৫ মিনিটে বেরিয়ে
আবার রাজ্য সড়ক পার করে প্রায় এক ঘণ্টা সম্পূর্ণ পশ্চিম দিকে
অনেক গুলো গ্রামের পর আবার এক পাহাড়ের পাদদেশে পৌঁছলাম। এখানেই
চার ধামের চতুর্থ ধাম, ‘গুপ্ত-গোদাবরী’। পাহাড়ের
গায়ে প্রাকৃতিক গুহা, তার মধ্যে দিয়ে জলের ধারা বেরিয়ে আসছে
অর্থাৎ প্রস্রবণের উৎস গুহার ভিতরে। গুহার ভিতরে সমস্ত জায়গাতেই
যে জল দেখা যাচ্ছে তা নয়, তাই এই জলের ধারার গুপ্ত-গোদাবরী
নামকরণ করা হয়েছে। পাহাড়ের গায়ে কিছু ওপরে গুহার মুখ। কাজেই
গুহায় ঢোকার জন্যে এঁকে বেঁকে সিঁড়ি উঠে গেছে। ইদানীং যাত্রীদের
রোদ-বৃষ্টি থেকে বাঁচাবার জন্যে সিঁড়ির ওপর টিনের ছাওয়া দেওয়া
হয়েছে। শিবরাত্রি এবং একাদশীর কয়েকদিনের মধ্যে বলে এখানেও
প্রচণ্ড ভিড় হয়েছে যেমন অন্যান্য জায়গাতেও রয়েছে। সিঁড়ির
আরম্ভের মুখের কাছেই গুপ্ত-গোদাবরীর জল নালা দিয়ে ঝর্ণার মতো
ঝরছে আর সেখানে ভক্ত জনেরা একে একে স্নান করছে (চিত্র-১৭, গোদাবরীর
জলে স্নান, চিত্র- ১৮, জল সঞ্চয়, স্নান ও পান, চিত্র-১৯, নৃত্যাঙ্গণা
ও চিত্র-২০, আঃ, কি আরাম!)।
চিত্র-১৭,
গোদাবরীর জলে স্নান
চিত্র-
১৮, জল সঞ্চয়, স্নান ও পান
চিত্র-১৯,
নৃত্যাঙ্গণা
চিত্র-২০,
আঃ, কি আরাম!
সেই জল এক বাঁধান কুণ্ডে
জমে নিচে নেমে যাচ্ছে। অনেক স্থানীয় শিশুরা সেই কুণ্ডে জল-ক্রীড়ায়
মক্ত (চিত্র-২১, জল-পরি, চিত্র-২২, জল-কেলি, চিত্র-২৩, মরালী,
ও চিত্র-২৪, হুসসস....)।
চিত্র-২১,
জল-পরি
চিত্র-২২,
জল-কেলি
চিত্র-২৩,
মরালী
চিত্র-২৪,
হুসসস....
আমি আর আমার সহযাত্রী শ্রীধিরেন
ও শ্রীমতী সুভদ্রা কর্মকার সেই ক্রীড়া আর যাত্রীদের স্নান বসে
দাঁড়িয়ে দেখছিলাম আর আমার স্ত্রী ভারতী ও কন্যা শুভ্রমালা
গুহার ভিতরে যাবার জন্যে কিউয়ে দাঁড়াল (চিত্র-২৫, গুহায় প্রবেশ
করার জন্যে)।
চিত্র-২৫,
গুহায় প্রবেশ করার জন্যে
এই প্রকারের গুহার মধ্যে
যেমন স্ট্যালেকটাইট ও স্ট্যালেগমাইটের গঠন হয়ে থাকে তেমন এখানেও
আছে। আর যেমন ভক্ত জনেরা বিশ্বাস করে থাকেন যে সেগুলো ঈশ্বরের
কীর্তি ও স্বয়ম্ভু শিব তারও এখানে অভাব নেই। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক
পরে ভারতী ও শুভ্রমালা গুহা থেকে বেরিয়ে আসতে পারল।
গুহা যদিও দৈর্ঘ্যে অনেকটা
তা হলেও প্রধানত ভিড়ের কারণেই দেরি হলো। ভিতরে আলোর ব্যবস্থা
ভালই। তবে অনেকের অসুবিধে হয়ে থাকে গুহার মধ্যে কম অক্সিজেনের
কারণে।
আমরা চারধাম যাত্রা সম্পূর্ণ করে প্রায় ৩টা ৪৫মিনিটে আমাদের
গেস্ট হাউসে ফিরে আসলাম। একটা কথা বলতে ভুলে গেছি, তা হলো রাজ্য
সড়ক, গেস্ট হাউস থেকে কিছুটা দূর পর্যন্তই কংক্রিটের। তার পর
থেকে সমস্ত রাস্তাই খানা-খন্দে ভরা। সেই কারণে যাতায়াতে দূরত্ব
হিসাবে সময় বেশিই লেগেছে। রামঘাট থেকে গুপ্ত-গোদাবরীর দূরত্ব
সবথেকে বেশি, ১৭কিমি. আর সতী অনসূয়ার মন্দির ১৪কিমি.। এর মধ্যে
অর্ধেকের কিছু বেশি রাস্তা অবশ্য দুয়ের জন্যে একই।
হাসপাতালের মোড়ে পূর্ব দিকে সামনাসামনি তুলসীপিঠের মন্দির,
‘আমোদভবন’। এখানে লোকে এটিকে ‘কাচমন্দির’
বলে থাকে। কারণ মন্দিরের নাট মঞ্চ, বিরাট হলঘর, বিভিন্ন রঙের
কাচের টুকরো দিয়ে তৈরি। সারা দেয়ালে রামের জীবনের বিভিন্ন
ঘটনাও রঙ্গিন কাচের টুকরো দিয়েই ছবিতে দেখানো। গ্লেজ্ড টালি
ভাঙ্গা দিয়ে যেমন করা হয়ে থাকে। মন্দিরের সামনে তিনটি রাজহাঁসের
ভাস্কর্য দেখবার মতো (চিত্র-২৬, তুলসীপিঠ মন্দিরের সামনে)।
চিত্র-২৬,
তুলসীপিঠ মন্দিরের সামনে
মন্দিরের সামনেটারও বেশ
ভালই গঠন (চিত্র-২৭, তুলসীপিঠ মন্দির)।
চিত্র-২৭,
তুলসীপিঠ মন্দির
চিত্র-২৮,
রামচরিতমানস মন্দির
আমোদভবনের পাশে ডান দিকে
‘রামচরিতমানস মন্দির’ (চিত্র-২৮, রামচরিতমানস মন্দির)।
মন্দিরের নাটমঞ্চ বিরাট হলের আকারে। দেয়ালে রামচরিত মানসের
দোহা ইনলে করা আছে। অনেকটা বারাণসীর মানস মন্দিরের মতো। মন্দিরের
বাইরের দেয়ালে অনেকগুলো রিলিফের কাজ, সেগুলিতে রামের জীবনের
বিভিন্ন ঘটনা বর্ণিত। প্রায় প্রত্যেকটি কাজই খুবই সুন্দর। দুটো
কাজ আমার বিশেষ করে ভাল লেগেছে। কৈকেয়ীকে মন্থরার মন্ত্রণা
দেওয়া। মন্থরা আর কৈকেয়ীর মুখের অভিব্যক্তি দেখবার মতো (চিত্র-২৯,
মন্থরার পরামর্শ)।
চিত্র-২৯,
মন্থরার পরামর্শ
আপনারা রিলিফটির আরএকটি
বৈশিষ্ট্য উপলব্ধি করতে পারছেন না কারণ এর ত্রিমাত্রিক রূপ দেখছেন
না। এটি যদি ডান দিক থেকে দেখতে পারতেন তবে মন্থরার কেবল মাত্র
ডান চোখই দেখতে পেতেন যদিও মুখ মণ্ডল রিলিফের সাধারণ তল থেকে
ওপরে উঠে আছে। শিল্পী মন্থরার একচোখোমি সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে
দিতে পেরেছেন। চার ভ্রাতার অস্ত্র শিক্ষার ছবিটিও খুবই জীবন্ত।
চিত্র-৩০, অস্ত্র শিক্ষা ১) সামনে থেকে দেখছেন আর একই ছবির বাঁ
দিক থেকে দেখছেন চিত্র-৩১-এ (অস্ত্র শিক্ষা ২)।
চিত্র-৩০,
অস্ত্র শিক্ষা ১
চিত্র-৩১-এ
(অস্ত্র শিক্ষা ২)
এই দুটি মন্দির বিকাল
বেলা বেরিয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই দেখে নিতে পারলাম গেস্ট হাউস
থেকে ৩মিনিটের হাঁটা দূরত্বে এগুলো রয়েছে বলে।
এ ছাড়া চিত্রকূটে আরও অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান আছে বলা হয়,
বিশেষ করে ‘কামদগিরি’ আর ‘জানকীকুণ্ড’।
সময়ের অভাবে সেগুলো দেখা সম্ভব হয়নি।
এখান থেকে ভারতের বিভিন্ন দিকে যাতায়াতের কোনও অসুবিধা নেই।
বাঁদা-স্তনা সড়ক পূর্ব দিকে মানিকপুর ও এলাহাবাদের সঙ্গে আর
দক্ষিণ দিকে স্তনার সঙ্গে যোগাযোগ করে। চিত্রকূট রেল স্টেশনও
আছে উক্ত জায়গাগুলোর সঙ্গে সুবিধাজনক রেল যোগাযোগও তাই পাওয়া
যায়। চিত্রকূটে প্রত্যেক মাসের একাদশী ও বছরে দুবার, বৈশাখ
ও আশ্বিন-কার্তিক মাসে দশেরার সময় ছাড়া থাকবার যথেষ্ট জায়গা
পাওয়া যায়। সব হোটেল গুলো কাছাকাছিই আছে, খোঁজার কোনও অসুবিধা
হবার কথা নয়। তা হলেও কয়েকটা হোটেলের নাম আপনাদের জানাই। ১)
সৎসঙ্গ ভবন (০৮৮৫৩৬১০৫০০, ০৮৯৫৩০২৩৩৩৪), ২) শ্রী অগ্রসেন ভবন
বিশ্রাম গৃহ (০৭৬৭০২৬৩৫৩০, ০৯৪৫১৯১৭৫৯), ৩) রঘুবির বিশ্রাম গৃহ
(০৯৪১৫৮৯৬৭১১)। এই সব ভবন বা বিশ্রাম গৃহে তারা মার্কা কোনও
সুবিধা অবশ্য আশা করবেন না। মধ্য প্রদেশের ট্যুরিস্ট বাংলো আছে।
০৭৬৭০-২৬৫৩২৬-এ বা chitrakoot@mptourism.com-এ
সম্পর্ক করা যেতে পারে। উত্তর প্রদেশেরও ট্যুরিস্ট বাংলো আছে।
যোগাযোগ করার জন্যে ০৫১৯৮-২২৪২১৮-এ ফোন বা মেল করতে পারেন rtoalld_upt@yahoo.com-এ।