প্রথম পাতা

শহরের তথ্য

বিনোদন

খবর

আইন/প্রশাসন

বিজ্ঞান/প্রযুক্তি

শিল্প/সাহিত্য

সমাজ/সংস্কৃতি

স্বাস্থ্য

নারী

পরিবেশ

অবসর

 

লখনঊ

এখান থেকে লখনঊ শহরের অনেক সৌধ নজরে আসে। কয়েকটির ছবি তুললাম (Pic-19, Roomi Darwaza from Imambara roof 1, Pic-20, Roomi Darwaza from Imambara roof 2, , Pic-21, An unknown Mosque from Imambara roof, Pic-22, Asafi Maszid from Imambara roof, ও Pic-23, Clock Tower from Imambara roof)।

ছবি ১৯

ছবি ২০

ছবি ২১

ছবি ২২

ছবি ২৩

এর মধ্যে রূমি দরওয়াজা, যা বড়া-ইমামবাড়ার পশ্চিম দ্বার হিসাবে ব্যবহার হয় আর বড়া ইমামবাড়ার চত্বরেই বানানো আসাফি মসজিদ, আসাফ-উদ্‌-দৌলার কীর্তি। এরপর এক বারান্দা হয়ে (Pic-24, Through a corridor) নিচে নেমে (Pic-25, Down the stairs) গেলাম। অবশ্য বারান্দায় না গিয়েও নিচে সোজা নেমে যাওয়া যায়।

ছবি ২৪

ছবি ২৫

ইমামবাড়ার বাইরে বেরিয়ে গিয়ে আমরা এবার চত্বরের মধ্যেই ‘শাহী বাওলি’-র দিকে হাঁটতে লাগলাম। ৩০/৪০ মিটার দূরেই এই বাওলি। বাওলি মানে ঘেরা জলাশয়। এখানেও এক ঘেরা জলাশয় আছে ঠিকই তবে এটি আসলে এক পাতকুঁয়া, যার জলের তলে পৌঁছানো যায় সিঁড়ি বেয়ে। ইংরাজিতে একে বলে step-well। বড় এক প্রবেশ দ্বার হয়ে প্রবেশ করতেই সামনে নিচের দিকে সিঁড়ি নেমে যাচ্ছে জলের দিকে (Pic-26, Shahi Baoli)।

ছবি ২৬

‘বাওলি’ ঘিরে একাধিক তল যুক্ত বারান্দা যার পিছনে খিলান যুক্ত বড় বড় খোলা জানালার সারি দিয়ে তৈরি। তবে এই বর্ণনা জায়গার ঠিক পরিচয় নয়, সঙ্গের ছবিই বেশি উপযুক্ত এই ব্যাপারে। ‘বাওলি’ বা এর গঠনের উদ্দেশ্যের অন্য কারণ আছে। এটি নবাবের ট্রেসারি বা তোষাখানা। জলের ব্যবহার এখানে আয়না রূপে হয়েছে। প্রবেশ পথের সামনা সামনি বারান্দা থেকে ট্রেসারির রক্ষকরা কোনও অবাঞ্ছিত ব্যক্তি প্রবেশ করতে গেলে এই জলে তার প্রতিচ্ছবি স্পষ্ট ভাবেই দেখতে পেত এবং প্রয়োজন মাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারতো। গাইড আমাদের ব্যাপারটা প্রত্যক্ষ করিয়ে দেয় (Pic-27, Reflection in water 1, Pic-28, Reflection in water 2)। ছবিতে অবশ্য পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে না ব্যাপারটা কিন্তু খালি চোখেই সামনে এমনকি বাইরের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা গাড়ি ইত্যাদি সবই বোঝা যাচ্ছিল।

ছবি ২৭

ছবি ২৮

এই বাওলির সমস্ত গঠনের অধিকাংশই মাটির তলায় আছে, যা সামনে থেকে বুঝতে পারা যায় না। ইমামবাড়ার ছাদ থেকে এটা পরিষ্কার বোঝা যায় (Pic-29, Top of the Baoli from Imambara roof, Shahi Baoli)। ছবিটা একটু পুরানো, ২০০৩-এর অক্টোবরে তোলা। বড়া ইমামবাড়া থেকে এই পর্যন্ত আমার তোলা ভিডিও দেখতে পাবেন “Bara Imambara in Lucknow”, নীচের ভিডিও ক্লিপে।

ছবি ২৯

বাওলি থেকে বেরিয়ে আমরা বড়া ইমামবাড়া দেখা খতম করলাম। এবার যাওয়া হুসাইনাবাদ বা ছোটা ইমামবাড়ায়। এই ইমামবাড়া অবশ্য বড়া ইমামবাড়া থেকে নবীনতর, অঔধের তৃতীয় নবাব মুহম্মদ আলি শাহ ১৮৩৮ সালে বানিয়েছিলেন। বড়া ইমামবাড়ায় যেমন এর মালিক ও প্রস্তুতকারী আসাফ-উদ্‌-দৌলার কবরিস্তান, তেমনই ছোটা ইমামবাড়াতেও এর মালিক ও প্রস্তুতকারী মুহম্মদ আলি শাহের সমাধি রয়েছে তাঁর আম্মিজানের সঙ্গে।

এর চত্বরও বেশ বড় (Pic-30, Chota Imambara from Outside) আর মোগল শৈলীর বৈশিষ্ট্যতা অনুযায়ী প্রবেশপথ বরাবর লম্বা জলাধার, ফোয়ারা সহ।

ছবি ৩০

লম্বা জলাধারের মাঝে অবশ্য ফোয়ারা সহ আলাদা ও গোলাকার জলাধারও রয়েছে (Pic-31, Frontage of Chota Imambara)।

ছবি ৩১

ফোয়ারার জল নাকি সোজাসুজি গোমতী নদী থেকে আনা হয়। ইমামবাড়ার ভিতরের হলের সিলিং থেকে বিরাট বিরাট ও অসংখ্য ঝাড় লন্ঠন ঝোলানো, সেগুলো সব বেলজিয়াম থেকে আনা। ভিতরে বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর তাজিয়াও রাখা আছে। ভিতরে ছবি তোলা মানা, তাই এগুলো দেখাতে পারলাম না।

এখান থেকে Picture Gallery দেখতে যাবার কথা ছিল, টিকিট বড়া ইমামবাড়ার টিকিটের সঙ্গেই করা ছিল। এবার অবশ্য ওখানে গেলাম না, সময়ের অভাবে। আগে গিয়েছি, এবং আমার নিজের ওখানে আবার যাবার ইচ্ছা মোটেই হচ্ছিল না। তাই আমার সহ যাত্রীরা উৎসাহ না দেখাতেই আমি ফেরার পথ ধরলাম।

লখনঊ-এ আরও কিছু জায়গা আছে যা দেখার মতো কিন্তু আমার মতে দারুণ কিছু নয়। তাই লখনঊ-এর কথা আর না বাড়িয়ে এখানেই শেষ করলাম।

ড. শুভেন্দু প্রকাশ চক্রবর্তী

(আপনার মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)

অবসর-এর লেখাগুলোর ওপর পাঠকদের মন্তব্য অবসর নেট ব্লগ-এ প্রকাশিত হয়।

 

Copyright © 2014 Abasar.net. All rights reserved.


অবসর-এ প্রকাশিত পুরনো লেখাগুলি 'হরফ' সংস্করণে পাওয়া যাবে।