বিবিধ
প্রসঙ্গ: গৃহ পরিচারিকাদের জীবনকথা (১)
(২)
এদের কয়েকজনের জীবনকথা:
করুণা:
করুণার মা বেহুলা একজন
ঠিকে ঝি। বাড়ি ক্যানিং-এ। যেটুকু জমিজমা ছিল, বিক্রি হতে হতে
বর্তমানে বাস্তু ভিটেটুকু ছাড়া আর কিছুই নেই। বৃদ্ধা শাশুড়ীকে
বাড়ি পাহারায় রেখে স্বামী-স্ত্রী কলকাতায় চলে এসেছে তিরিশ বছর
আগে। একটি বস্তিতে এরা ঘর ভাড়া নিয়েছে। স্বামী বাজারের কাছে
ফুটপাথে নারকেল ও সব্জি বিক্রি করে। করুণার ১২টি ভাইবোনের মধ্যে
বেঁচে আছে ৭ জন। তিন বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। এক বোন স্বামীর অত্যাচারে
পালিয়ে এসেছে বাবা-মায়ের কাছে। সেও ৩ / ৪ বাড়িতে ঠিকে ঝি-র কাজ
করে। করুণারা চার বোনই ঠিকে ঝি-র কাজে যুক্ত। সকলে মিলে ১৫ /
১৬ টি বাড়িতে ঠিকে ঝি হিসেবে কাজ নিয়ে একটু একটু করে গাঁয়ে জমি
কিনে ভাগ চাষ করাচ্ছে। সারা বছরের জামাকাপড় ঐ ১৫ /১৬টি বাড়ি
থেকেই ওরা পেয়ে যায়। কোন বড়ি থেকে কত দামের জামাকাপড় দেওয়া হবে,
তা জেনে নিয়ে অনেক সময় করুণার মা জামাকাপড় না নিয়ে নগদ টাকা
সংগ্রহ করে নিজেদের প্রয়োজন মত জামাকাপড় কেনে এবং ঐ টাকা থেকে
সঞ্চয় করে।
আমি করুণাকে আমার বাড়িতে
থাকা-খাওয়র কাজে অর্থাৎ সর্বক্ষণের জন্য আলাদাভাবে নিয়োগ করেছিলাম।
মেয়েটি বুদ্ধিমতীও ছিল। লেখাপড়া করতে ইচ্ছুক ছিল সে। বইপত্র
কিনে তাকে পড়াতে গিয়ে দেখলাম যে কোনো পড়াই একবারের বেশি বলার
বা বোঝাবার দরকার হচ্ছে না। মুখে মুখে বড় বড় সংখ্যা যোগ-বিয়োগ
করে ফেলত। অক্ষর পরিচয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর যোগ্য হিসেবে পৌঁছতে
তার এক বছরও লাগে নি। আশ্চর্য মেধা ছিল ওর। আমার যেসব বিদেশী
বন্ধু-বান্ধব মাঝে মাঝে আমার বাড়িতে থেকে যেতেন, তাঁরা ওর তীক্ষ্ণ
বুদ্ধি দেখে বিস্মিত হয়ে গিয়েছিলেন। ইংরেজিতে ছোট ছোট গল্পের
বই এনে দিতেন তাঁরা। মুহুর্তের মধ্যে করুণা সেইসব শিখে পড়ে নিতে
পারতো। সকলে মিলে ওর মা-কে বললাম যে, করুণাকে যদি চার- পাঁচ
বছর আমাদের হেপাজতে রাখা হয়, ওকে নিজের পায়ে দাঁড়াবার সুযোগ
করে দেব। একথা শুনে করুণার মা মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেওয়ার জন্য গোপনে
বিয়ের সম্বন্ধ করে করুণাকে আমার বাড়ির কাজ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে
দেশের বাড়িতে চলে যায় এবং সেখানে মেয়ের বিয়ে দিয়ে ফিরে আসে।
এরকম করার কারণ জিজ্ঞেস করায় করুণার মা জানায় যে, ওদের ঘরের
মেয়েরা লেখাপড়া শিখলে বিয়ে হবে না অথচ মেয়ের বিয়ে দিতেই হবে।
করুণার বয়স তখন ১৪ বছর।
অন্নপূর্ণা:
যুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালে
মাত্র ১৪ / ১৫ বছর বয়সে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসেছিল অন্নপূর্ণা।
বা-মা ও আত্মীয়স্বজন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অন্যদের সঙ্গে পাড়ি
দিয়েছিল প্রাণ বাঁচাতে। কিছুদিন শিয়ালদহ স্টেশন এবং বিভিন্ন
রিলিফ ক্যাম্পে কাটিয়ে অবশেষে মাণিকতলা অঞ্চলের একটি পরিবারে
খাওয়া-পরা ও মাসিক ২০ -২৫ টাকা মাইনেতে বহাল হল সে। ঐ পরিবারের
গিন্নী সংসারের সব কাজের ভার তার ওপর চাপিয়ে ইচ্ছেমত এখানে সেখানে
ঘুরে বেড়াত। বাড়ির কর্তা স্ত্রীর অনুপস্থিতির সুযোগে অন্নপূর্ণার
সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করত। প্রথমদিকে অন্নপূর্ণা ভয়ে,
সংকোচে আপত্তি জানালে লোকটি চাকরি খোয়ানোর ভয় দেখাত। কিন্তু
অচিরেই সে কর্তার ঐ ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে যায় এবং ঐ সম্পর্ক
সে উপভোগও করে। লোকটি গোপনে ওকে বাড়তি টাকাও দিত, সৌখিন জিনিসপত্রও
কিনে দিত। এভাবেই চলতে থাকে এবং এক সময়ে অন্নপূর্ণা সন্তানসম্ভবা
হয়। সন্তান নষ্ট করে দেবার জন্য কর্তা গোপনে টোটকা ওষুধ প্রয়োগ
করে। তাতে হিতে বিপরীত হয়। অসহ্য যন্ত্রণায় অন্নপূর্ণা জ্ঞান
হারায়। জ্ঞান ফেরে হাসপাতালে। দশ বারো দিন হাসপাতালে ছিল সে।
এই সময়ে কেউ তার খোঁজ নেয় নি। নার্সের কাছে জানতে পারে যে, গর্ভপাত
করানোর চেষ্টায় তার এই অবস্থা। মনিব-বাড়ি থেকে কেউ এসেছিল কিনা
জানতে চাওয়ায় যে, একজন লোক তাকে ভর্তি করে টাকা পয়সা জমা দিয়ে
বলে গেছে যে সুস্থ হয়ে সে যেন নিজের পথ নিজেই দেখে নেয়, মনিব
বাড়িতে যেন না যায়। অন্নপূর্ণার মাথায় যেন বাজ ভেঙ্গে পড়ে। তার
'দাদাবাবু' যে এমন ব্যবহার করতে পারে, সে বিশ্বাসই করতে পারে
না। নার্স কিন্তু ইঙ্গিতে জানায় যে পাড়ার মাস্তানদের ঢালাঢলি
করেই তার এই অবস্থা। নার্সের রূঢ় ব্যবহার, তাকে ছুটি দিয়ে রুক্ষভাবে
হাসপাতাল ছেড়ে যেতে বলা, এসব কিছুই অন্নপূর্ণার চরিত্র-স্খলনের
বিষয়টিই প্রতিষ্ঠিত করে।
ছুটির কাগজ হাতে পেয়ে অন্নপূর্ণা
কিংকর্তব্যবিমূঢ়। হাসপতাল থেকে বেরিয়ে কোথায় যাবে সে। এই সময়ে
হাসপাতালেরই আংশিক সময়ের এক আয়া তার সব কথা শুনে তাকে নিয়ে যায়
মনিব বাড়িতে। দোতালায় ওঠার সিঁড়ির নুখে গিন্নিমার সঙ্গে দেখা
হতেই তিনি তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন। তাকে নেমকহারাম, নির্লজ্জ
বলে তিরস্কার করে বলতে থাকেন যে, বিশ্বাস করে ঘর-সংসারের দায়িত্ব
তিনি অন্নপূর্ণাকে দিয়েছিলেন অথচ সে বিশ্বাসভঙ্গ করে বাড়িতে
গুণ্ডা-বদমায়েস ঢুকিয়ে মজা করেছে। এমনও হতে পারত যে, ঐসব বাজে
লোকেরা তাঁর বাড়ির সর্বস্ব লুঠ করে নিয়ে যেত। অতএব অন্নপূর্ণাকে
গিন্নিমা কোনওমতেই বাড়িতে ঢুকতে দেবেন না।
এসব শুনে অন্নপূর্ণার সঙ্গী
মহিলটি তীব্র ভর্ত্সনা করে যখন গিন্নিমাকে হাটে হাঁড়ি ভেঙ্গে দেবার
ভয় দেখায়, তখন আড়াল থেকে এক পুরুষকণ্ঠ গিন্নিকে নির্দেশ দেয়
যে, অন্নপূর্ণাকে পাওনা টাকা, সেই সঙ্গে আরও দুমাসের টাকা এবং
জিনিসপত্র দিয়ে দিতে। গিন্নি অন্নপূর্ণার টিনের স্যুটকেস ও টাকা
পয়সা ওর হাতে দিয়ে মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দেন। অন্নপূর্ণা
আবার পথে নামে।
তার সঙ্গী মহিলাটি তাকে
রিক্সা করে সোজা তোলে নিষিদ্ধপল্লীতে। অন্নপূর্ণা কাঁদতে থাকলে
মহিলাটি তাকে বোঝায় যে সে নষ্ট হয়ে গেছে। এই কাজে নেমে পড়া ছাড়া
তার আর গতি নেই।
সেই থেকে অন্নপূর্ণা নিষিদ্ধপল্লীতে
আছে। তার একজন বাঁধা মানুষ আছে, তিনি উকিল। অন্নপূর্ণার যাবতীয়
খরচ তিনিই বহন করেন, ঘর ভাড়া করে তিনি ওকে নিয়ে যাবেন, এমন প্রতিশ্রুতিও
দিয়েছেন।
কলকাতায় অসংগঠিত নারী শ্রমিকদের
উপর সমীক্ষা চালানোর সময় এই মেয়েটির সঙ্গে আমার দেখা হয়। কীভাবে
কাজের লাইন থেকে লাইনের কাজে চলে আসতে সে বাধ্য হয়, সেই কাহিনী
তার কাছ থেকেই শোনা।
শুভা ঘোষ:
নিজেদের বাড়ি মেদিনীপুর
জেলার চুবকা গ্রামে। ৫ কাঠার ওপরে মাটির বসতবাড়ি ওদের। শুভারা
দশ ভাইবোন - শুভা সকলের বড়ো। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে পয়সার
অভাবে আর স্কুলে যেতে পারে নি। মা ঘন ঘন সন্তানসম্ভবা হত বলে
সাংসারিক দায়িত্ব সবই ওর ওপরে ছিল। বাবার স্বাস্থ্য ভালো না
থাকায় কায়িক শ্রম করতে পারতো না - চাষের জমি যেটুকু ছিল তাও
বেচে দিতে হয়েছে। প্রায় দিনই একবেলা আহার জুটতো। শুভার জ্যাঠা
পাশের গ্রামের পাঞ্চায়েত প্রধান ছিলেন বলে তবুও কোনো রকমে ঐ
অন্নস±গস্থান হত।
আমি ঐ গ্রামে কিছু সমীক্ষার
কাজে গিয়ে ওদের বাড়িতে একমাস পেয়িং গেস্ট ছিলাম। আমার দেওয়া
সামান্য টাকাও ওদের কাছে বড় প্রাপ্তি ছিল। আমি যখন ওদের ওখান
থেকে চলে আসি, তখন শুভা কলকাতায় একটি আয়া বা নার্সিং সেণ্টারে
প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দেবার জন্য আমার কাছে অনুরোধ জানায়। আমি
ওকে সঙ্গে করে নিয়ে এসে নামী ও সচ্ছল পরিবারের এক বিধবার সেবায়
লাগিয়ে দিই ৬৫০ টাকা মাইনেতে। কারণ মাধ্যমিক পাশ না করলে নার্সিং-এর
কোনো সুযোগ পাওয়া যায় না। এই মহিলা ওকে নিয়মিত লেখাপড়া ও সেলাইয়ের
কাজ শেখাতেন। শুভাকে তিনি অত্যন্ত স্নেহ করতেন। তিনি ওকে একটি
সেলাই-মেশিন কিনে দিয়েছিলেন। ঐ মহিলার একটি স্কুল ছিল, সেই স্কুলে
বাচ্চাদের দেখাশোনার দায়িত্ব ছিল শুভার। ওর ৬৫০ টাকা মাইনের
পুরো টাকাটাই ও দেশে পাঠিয়ে দিত। ঐ বিধবা মহিলা মারা যাবার পর
হিন্দুস্থান পার্কে তাঁরই এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে আসে শুভা।
সেখানে খাওয়া পরা ছাড়া ১০০০ টাকা মাসিক মাইনে পায় সে। তিরিশ
বছর ধরে সে সেখানে কাজ করছে, মাঝে মাঝে বাড়ি যায়, টাকা-পয়সা
দিয়ে আসে।
তার উপার্জনে সে ছোট ভাইবোনদের
মানুষ করেছে, বোনেদের বিয়ে দিয়েছে, ছোট ভাইয়ের বিয়ে দিয়েছে,
ভাইকে গ্রামেই একটা মুদির দোকান করে দিয়েছে, এমন কি জমি কিনেছে
এবং বাড়িতে গোবর গ্যাসের সাহায্যে বিদ্যুৎও এনেছে। তার কাজের
বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে সকালে ঐ পাড়ারই আর একটি
বাড়িতে এক ঘণ্টার একটি রান্নার কাজ নিয়েছে মাসে ৫০০ টাকার বিনিময়ে।
এভাবেই শুভা নিজের সুখ-সুবিধা বিসর্জন দিয়ে তার পরিবারটিকে ধবংসের
হাত থেকে উদ্ধার করেছে, পরিবারের সকলকে সাধ্যমত প্রতিষ্ঠিত করেছে।
কোনো এক সময়ে নিজস্ব সংসার গড়ে তোলার স্বপ্নও হয়ত দেখেছিল সে,
কিন্তু ছোট ভাইবোনদের মুখ চেয়ে সেই স্বপ্ন ত্যাগ করেছে। ওর পরিবারকে
সুখে রাখাই ওর জীবনের প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য। এখন ৪৫ বছর বয়সী
শুভা দেহে ও মনে ক্লান্ত। কাজের বাড়ির গিন্নিমা অনেকদিন হল মারা
গেছেন। কর্তারও বয়স হয়েছে। শুভাই এখন এ বাড়ির সর্বময় কর্ত্রী।
ভবিষ্যৎ নিয়ে সে আর ভাবে না। তার ধারণা এই বয়সে তাকে যে বিয়ে
করবে,সে তাকে সেবাদাসী ছাড়া আর কিছুই ভাববে মা। তার চেয়ে এই
ভালো - এভাবেই দেশের বাড়ি ও কলকাতার কাজের বাড়ির কর্ত্রী হয়ে
থাকা।
------------
নানা মেয়েদের জীবনী সংগ্রহ
করে একটা বিষয়ে স্পষ্ট যে, গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজে যোগ দেবার
সময়ে এদের অধিকাংশ ছিল নাবালিকা। কেউ কাজের বাড়িতে সুস্থ ও নিরাপদ
পরিবেশ পেয়েছে, কারোর বা সেই সৌভাগ্য হয় নি। কারোর মনিব সহানুভুতিশীল,
কারোর মনিব আবার রক্ষকের ছদ্মবেশে ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ।
মূলতঃ অভাবের তাড়নায় এরা এই কাজে নিযুক্ত হয়েছে। কেন্দ্রীয় শ্রম
ও কর্ম সংস্থান মন্ত্রকের সাম্প্রতিক নির্দেশ অনুযায়ী ১০ অক্টোবর
থেকে চোদ্দ বছরের কম বয়সী ছেলেমেয়েদের বাড়ির কাজে নিয়োগ করা
যাবে না, এমন কি রেস্তোর াঁ, হোটেল, মোটেল, চায়ের দোকান, রিসর্ট
বা কোনও ধরণের আমোদপ্রমোদেরে জায়গাতেও কাজে লাগানো যাবে না।
এর অন্যথা হলে নিয়োগকারীকে জেল-জরিমানার মতো শাস্তির কোপে পড়তে
হবে। বলাই বাহুল্য এই আইনের কার্যকারিতা প্রসঙ্গের পাশাপাশি
শিশু ও নাবালক-নাবালিকা শ্রমিকদের পুনর্বাসনের প্রসঙ্গটিও অনিবার্য
ভাবে এসে পড়ে। সর্বগ্রাসী দারির্দ্য যখন কোনো পরিবারকে বিপর্যস্ত
করে দেয়, তখন শুধু দুমুঠো অন্নসংস্থানের জন্য পরিবারের প্রতিটি
সদস্যকে জীবনসংগ্রামের সামিল হতে হয়, স্বাভাবিক ভাবে শিশুরাও
এই সংগ্রামে জড়িয়ে পড়ে। উপার্জন করে সংসসার চালানোর দায়িত্ব
এসে পড়ে তাদের ছোট্ট কাঁধে। তারা শৈশব হারায়, সারল্য হারয়, হারিয়ে
ফেলে জীবন সম্পর্কে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী। তাই আইন করে তাদের
কাজে যোগ দেওয়া হয়তো প্রকাশ্যে বন্ধ করা যাবে, কিন্তু আইনের
ফাঁক ধরে এই নিয়োগ গোপনে চলতেই থাকবে যতদিন না তাদের দুবেলা
দুমুঠো অন্নের সংস্থান নিশ্চিত হচ্ছে। সংস্থান নিশ্চিত করার
দায়িত্ব সরকার ও প্রশাসনের, বিভিন্ন সংগঠনের এবং সমাজে বসবাসকারী
প্রতিটি ব্যক্তির। এ আমাদের প্রত্যেকের সামাজিক দায়বদ্ধতা। শিশুর
অন্ন ও বস্ত্রের অধিকার, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের অধিকার এবং সুস্থ
পরিবেশে বেঁচে থাকার অধিকার সুনিশ্চিত হলে শিশুশ্রম স্বাভাবিক
ভাবেই বন্ধ হয়ে যাবে, এর জন্য কোনও আইনের প্রয়োজন হবে না।
বেলা
বন্দ্যোপাধ্যায়
(আপনার
মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)
অবসর-এর
লেখাগুলোর ওপর পাঠকদের মন্তব্য
অবসর নেট ব্লগ-এ প্রকাশিত হয়।