কায়রো
ডাউন-টাউন
অনেকের
মুখে শুনেছি যে, কোন শহর সম্বন্ধে ভাল ভাবে
জানতে হলে সেই শহরের পুরনো জায়গা - ডাউন টাউন
নিশ্চয়ই দেখতে হবে। এবার তাই তাহেরির স্কোয়ার
ছাড়িয়ে কায়রো ডাউন টাউনের পুরনো জায়গার দিকে
যাওয়া যাক।
যেতে যেতে
দেখা গেল পাচিলের ওপারে বিশাল কবর স্থান। এই
১০০০ বছরের পুরনো কবর স্থান শুধু মুসলমানদের
জন্য এবং এখনো ব্যবহার হয়। এক সময় কায়রো শহর
দেওয়াল দিয়ে ঘেরা ছিল। এই দেওয়াল তারই একটা
অংশ। (১ নং ছবি)।
১ নং - দেওয়াল
ঘেরা কায়রো শহরের ঠিক বাইরে ১০০০ বছরের পুরাণ
মুসলিম কবর স্থান আজও অটুট।
এই দেওয়ালেরই
একটা অংশের সাথে আছে একটা দুর্গ (২ নং ছবি)।
বিখ্যাত সুলতান সালাদিনের দুর্গ ছিল এটি। তিনি
১৬০০ শতাব্দীতে ক্রুসেডের সময় ইসলামিক দেশগুলির
নেতৃত্ব দেন এবং ইংলন্ডের রাজা ‘সিংহ হৃদয়’
রিচার্ডের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন।
২
নং - বিখ্যাত সুলতান ক্রুসেডের মুসলিম নেতা
সুলতান সালাদিনের দুর্গ।
অনতি দুরেই
দেখা যাবে খিদোয়াই ইসমাইলের পুত্র মহম্মদ আলির
প্রাসাদ আল-মানিয়াল। তিনি ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত
সুলতান ফারুকিনের প্রতিভূ ছিলেন। ১৫০ বছরের
দুর্গটি ইসলামিক স্থাপত্য রীতি অনুসারে তৈরি
(৩ নং ছবি)। এটি এখন মিউজিয়ামে পরিণত হয়েছে।
এর ভিতরের বাগানে প্রচুর দুষ্প্রাপ্য গাছের
সংগ্রহ আছে।
৩
নং - ইসমাইলের পুত্র মহম্মদ আলির ১৫০ বছরের
দুর্গ-প্রাসাদ আল-মানিয়াল।
আল-আজহার মসজিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় (৪ ও ৫ নং ছবি):
১০৫০ বছরের পুরনো এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সারা বিশ্বের
মুসলমান ছাত্ররা আসতেন ইসলামের বিষয়ে পড়াশুনা
করতে। প্রেসিডেন্ট নাসের ১৯৬০ এর দশকে এর উন্নতি
ঘটান এবং বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি,
কলা, ভাষা ইত্যাদি বিষয়ে পড়াশুনার ব্যবস্থা
করেন। এখনও এই ব্যবস্থা চালু আছে এবং নানান
দেশ থেকে এখনও ছাত্ররা এখানে আসেন।
৪
নং - ১০৫০ বছরের পুরনো আল-আজহার মসজিদ ও বিশ্ববিদ্যালয়
৫
নং - সদর্পে দাড়িয়ে আছে আল-আজহার মসজিদের মিনার।
আল-আজহার
মসজিদের প্রায় উল্টো দিকে (ফাতিমিক জোন / এলাকা)
আছে আর একটি অপেক্ষাকৃত আধুনিক মসজিদ - আল-হুসেইন
মসজিদ (৬ নং ছবি) । এটি মোটামুটি ৫০ বছর আগে
তৈরি হয় এবং পয়গম্বর হজরত মহম্মদের নাতি আল-হুসেইনের
নামে নামকরণ হয়। কথিত আছে আল- হুসেইনকে এই স্থানেই
কবর দেওয়া হয়ে ছিল।
৬
নং - ৫০ বছর আগে তৈরি আল-হুসেইন মসজিদ
এই মসজিদের
সামনে দুটি বিশাল ছাতার মত জিনিষ আছে (৭ নং
ছবি)। আমার মিশরীয় বন্ধু বললেন এই ছাতা দুটি
বিশেষ বিশেষ দিনে খুলে বড় ছাতার আকার দেওয়া
হয়। জানিনা তিনি ঠাট্টা করলেন কিনা।
৭ নং - আল-হুসেইন মসজিদের সামনে বিশাল ছাতা।
মসজিদের দু দিকে এই রকম দুটো ছাতা আছে।
এই ফাতিমিক
এলাকাতেই অনেক ছোট বড় দোকান আছে (৮ ও ৯ নং ছবি)।
পর্যটকরা আনেকে এখানে আসেন সুভেনির ও ছোট খাট
জিনিষ কিনতে।
৮
নং - ফাতিমিক এলাকা পোশাকের দোকান। এই পোশাক
গুলো কি কায়রো শহরের নৈশ জীবনের জন্য? এর থেকে
নৈশ জীবনের বেশী কিছু দেখানো যাবেনা।
৯
নং - ভিড় ঠাসা গলিতে দোকানের সারি।
পরের
পাতা
আগের
অংশের জন্যে ক্লিক করুন...
(আপনার
মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)
অবসর-এর
লেখাগুলোর ওপর পাঠকদের মন্তব্য
অবসর নেট ব্লগ-এ প্রকাশিত হয়।