প্রথম পাতা

বিনোদন

খবর

আইন/প্রশাসন

বিজ্ঞান/প্রযুক্তি

শিল্প/সাহিত্য

সমাজ/সংস্কৃতি

স্বাস্থ্য

নারী

পরিবেশ

অবসর

 

বিবিধ প্রসঙ্গ

এপ্রিল ১৫, ২০১৬

 

আজাইর‍্যা বাজার কথন

জয়া চৌধুরী

অন্যান্য অংশ - (১) (২) (৩) (৪) (৫)

(এক)

ভোরবেলা মানেই পাখির ডাক ভোরবেলা মানেই শান্ত ছলছল ক্ষণটি ভোরবেলা মানেই সদ্য মুখ ধুয়ে ওঠা  জলে আধ ভেজা সূর্যের  মুখ... ভোর মানেই এতকিছু। সত্যি না কি? আমার ভোর তো বলে গাড়ির হর্ন আমার ভোর তো বলে টেম্পোর ফট ফট ফট ফট। তা শব্দের দোষ কি! ও তুমি যেমনি নাচাও তেমনি নাচে যে! থাকবে তুমি গড়িয়াহাট এর হাটুরে জায়গায় আর তদগত চিত্তে ভাববে এই বুঝি আহির ভৈঁরো য় তান ধরবেন মল্লিকার্জুন কিংবা যো ভজে হরি কো সদা সে এক ভীমসেন যোশী... তা না ও হতে পারে। উত্তর কলকাতায় শোভাবাজারের কোন চির অন্ধকার পুরু দেওয়াল ওলা বাড়ির বারান্দায় হ্যা হ্যা করে জিভ ছুলতে ছুলতে টিয়াকে ছোলা খাওয়াচ্ছেন কোন নুটুবাবু কিংবা সুটেদা এও তো সম্ভব এই কলকাতাতেই। আমি সে দিক দিয়ে নবীন শব্দে থাকি। ধর ধর ধর... এদিকে এদিকে ...একটু চেপে ...নামা দেখি... দুটো চা দাও গোপালদা কিংবা ওইইইই বলে পোষা গরুটাকে সকালে খাবার দেওয়ার আওয়াজ ...ঠিক পড়লেন জায়গাটা ... গরু পোষা নিষেধ শহরের বুকে। তাতে কি? নাকের ডগায় গড়িয়াহাট পুলুশ স্টেশন আর পা বাড়ালেই প্যান্টালুন শপিং স্টোরের মাঝেই কোন এক  খাপে এঁটে গেছে এক লৌতা গরুটি। বুঝি থানে থানে পুজোর বিনিময়েই ওকে রাখা সম্ভব হেথায়। আশপাশের গাদা গাদা অবাঙালি পরিবার আর মাঝে সাঝে স্যালাডের প্লেটের ফাঁকে দেওয়া পার্সলে পাতার মত কতিপয় বাঙালি পরিবারগুলির শিশুদের তিনিই মাতাস্বরূপা। তা যাকগে্‌ আমার এতে কিস্যু মাথা ঘামানো কেন! আমি হলাম বাজারু আরে ছি ছি করবেন না। বাজার করেই দুটি আলো চাল পেটে ঢোকাতে হয় যে! জানেন তো দুনিয়ায় সবচেয়ে বড় নেশা হলো খিদের নেশা। সেই খিদের রসদ এই ডোভার লেনের বাজার থেকেই জোটাই আমি। তা আপনারা আমায় নেশারু থুক্কু বাজারু বলতেই পারেন!

কদিন ধরে কি যে গরম পড়েছে কলকাতায়! এ বছর শীত তো পড়েই নি। সাধ করে কে ই বা আছাড় খেতে চায় বলুন? বুঝতে পারছেন না তো? আরে বাবা “শীত পড়ে নি” বললাম যে! তা এ হেন বসন্ত হীন একটা পেল্লায় গরমের দিনে বাজারে গেলে চারটি আকের ছিবড়ে ছাড়া শহরে কি জোটে বলুন দিকি? গত বেশ কদিন ধরেই হিল্লি দিল্লী ছুটোছুটি করছিলাম। মানে কলকাতা আর মফঃস্বল করছিলাম আর কি। তা ভালো মত বাড়িই থাকা হয় নি । সকালে রান্না চাপাতে গিয়ে দেখি গলা কুমড়ো আর শুকিয়ে কালো হয়ে যাওয়া চারটি শিম ছাড়া কিছুই নেই। অগত্যা মানিব্যাগটি নিয়ে চটি ফটফটিয়ে বাজারে গেলাম। আলু না হয় কাল রাতে ফেরবার পথে মুদী দোকান থেকেই আনা গেছে কিন্তু সব্জীর জন্য আমার স্বপনের দোকান তো যেতেই হবে। যথারীতি সেথায় মস্ত ভিড়। আগে দেখতাম মানুষ বেগুন ওজন করে কেনেন। এখন দেখি মানুষ পিস হিসাবে কিনছেন। গুচ্ছের সব্জী ওয়ালা বসে এ বাজারে। কোথাও তারা বড় বেগুন ৬০ টাকা কিলো চায় কোথায় বেগুনের বাচ্চাই ৫০ টাকা কেজি। দরাদরি করে হার মেনে শেষ মেষ পিস হিসাবেই কড়ি গুনে সবজি নিয়ে বাড়ি ফেরে তারা। এদিকে পশ্চিম বঙ্গে এখন বিধানসভার ভোটের দিন আগত। সকলেই জানে কোন পার্টি আসবেই কিংবা সকলেই হিসাব কষছে কোন পার্টির বেলুন এবারেই ফুটুস করতে হবে। আমিই বা তা বাদ যাই কেন? পাশের আলুর দোকানীর আদা পেঁয়াজ বেচাকেনা বিবিক্ত চোখে দেখতে দেখতে আর স্বপনের ক্রেতার ভিড় সামলানো দেখতে দেখতে বলেই ফেলি

- ও স্বপন তোমার বাড়ি কোথায়? ক্যানিং লাইনে না? এবারে কার সম্ভাবনা বেশি? গামছা মোল্লা থুক্কু রেজ্জাক মোল্লা না কি আজিজুর রহমান?
- আমাদের দিকে তো রেজ্জাক মোল্লা না ওখেনে তো সুদীন চক্রবর্তী।
- তা সেখানের খবর কি? লোকজন এবার কোন দিকে ভোট দেবে ভাবছে?
- পটল ৩৫ টাকা কেজি বৌদি।
- আরে পটল তো নেবই । তুমি আমার কথা উত্তর দিলে না তো?
- কি আর বলব বৌদি আপনি একটা কতা বলুন। ধরুন আপনি নেতা হলেন ঠিক আছে, কিন্তু যদি নেতার সাউকারী হন? তালে? এ তো লোকে বলছে দু টাকায় চাল দিচ্ছি, সাইকেল দিচ্ছি সবই না কি তেনারা দিচ্ছেন । ভেতরের কতাটা তো আর কেউ জানে না।
- ভেতরের কতাটা কি স্বপন?
- আমার নিরীহ প্রশ্নের সামনে সাড়ে সাতশো পটল এগিয়ে দিল। গুণে গুণে পঁচিশ টাকা তুলে দিয়ে যেই ঘাড় ঘুরিয়েছি কানে এল বীনা নিন্দিত স্বর...” কেউ জানে না কেউ জানে না / শুধু আমার মন জানে...”

মাছের বাজারে মাছ আছে কিন্তু তা উইন্ডো শপিং করার জন্য । হাত দিয়েছেন কি ছ্যাঁক খাবেন। ধরুন আড় চারশ টাকা কিলো,  পাবদা পাঁচশ টাকা কিলো, কাটা পোনাও আড়াইশো টাকা কিলো কাটার দাম। বেছে বেছে মৌরলা আর কাজলির লোভ সামলালাম। সাতশ টাকা কিলো কাজলি মাছ খেতে স্বপ্নে ইচ্ছে করাই ভালো। বাস্তবে কিনতে পারি তালে পরের কদিন আলুসেদ্ধ ভাত । ও বাবা আমার সুখের চেয়ে ফলিমাছ ভালো। আড়াইশো হেঁকে ধীরে ধীরে বাচ্চাদের স্লিপ চড়ে নামার মত দুশোয় এসে থামল। পাঁচশো ফলি কিনে ভাবলাম তাহলে রেজ্জাক মোল্লা জিতছে কি না বোঝা গেল না। ভদ্রলোক গামছা কাঁধে চাপিয়ে রাখেন ঠিক ই কিন্তু সে গামছাও হয়তো বিবি রাসেল এর বুটিক থেকেই কেনা। আমার মত মানুষের ও কথা ভেবে কী লাভ!

গুটি গুটি বাড়ির সিঁড়িতে পা দিতেই ঠং ঠং করে গ্যাস বাবুর শব্দ। তালা খুলেই দৌড়ে গেলাম গ্যাস বইটি আনতে। গ্যাস ও টাকা মোদী সাহেবের কৃপায় ওঠানামা করে এখন । গতমাসে ছয়শ পঁচিশ দিতে হয়েছিল এবার পাঁচশো চল্লিশেই রেহাই। তার আগের মাসে অবশ্য চারশত কত টাকা যেন ছিল! শঙ্কর মেদিনীপুরের লোক, ট্যাঁকে একটিখানি মোবাইল আর বাড়িতে একটি। ফোন করলে বাড়ির মানুষ বলে- উনি তো বাড়ি নেই। বেইরেচেন। আবনার নাম কি বলেন , উনি এলে বলব’খন। তো সেই শঙ্কর কে জিজ্ঞেস করলাম

- তোমাদের ওদিকে খবর কি?
- কি বলব বৌদি , আমি তো মেদিনীপুরে থাকি না এখন বাসা নিয়েছি চম্পাহাটি, সোনারপুর।
- তা বেশ তো। তোমাদের ওখানকার মানুষ জন এই ইলেকশনের কথা কি ভাবছে বলো দেখি।
- দেখুন বৌদি, আজকাল মানুষরে বিশ্বেস করা নেই। এই বলবে এক রকম আবার ভোটের দিনি গিয়ে ওন্যটায় ছাপ মেরে আসবে। এরা তো ভাবছে যারা এসেছে তারা তো কাজ করছে। তাহলে তাদেরই আসা ভালো
- কিন্তু খবরের কাগজ খুললেই তো দেখি আজ এ কুকাজ কাল ও কুকাজ করছে, লোকে নিজে কি আরও বেশি বোঝে না?
- তা দেখুন, সে কথা সত্যি। এদেরকে বদলে আনলাম আর এরাও সেই এক কাজ করছে। কিন্তু আবার দেখুন সিপিএম যদি এইবার আবার পাল্টে ফিরে আসে...আগে কত বচর থেকে কত কুকাজ করেছে তেনারা। এত শিগগির ফিরে এলে আমাদের মেরে পাট করে দেবে। বলবে সরিয়েছিলি কেন? তখন আর কোনদিন এদের সরানো যাবে না।
- তাহলে তোমরা টিএমসি কেই দেবে?
- তা কি আর বলা যায় বৌদি? জানেন তো লোকেরে বিশ্বেস করতে নেই আজকাল...

দরজা বন্ধ করতে করতে ভাবলাম ভোটের বাজারের আজব পণ্য আমরা মানুষ। গলায় বেজে উঠল সেই গান। বেঁচে থাক আমার রবীন্দ্রনাথ!  বিরহ মধুর হল আজি...

 

(দুই)

নীলকন্ঠ পাখি ওড়ান, ফানুস বানানো আর তারপর বাড়ির ছাদে গুষ্টি সুদ্দ সেটা পতপত করে ওড়ানো কিংবা দুর্গা পুজোয় আতশ বাজী যেমন বনেদী বাড়ির শখ বাজারু দের সেরম কোন শখ আছে কি না ভাববার বিষয়। ধরুন বাজার করা কে কখনো সখনো লোকে শখ বলে অবশ্য। তবে এই দ্রুতগতির জীবনে বাজার করাটা কী করে শখ থাকে বুঝে উঠি নি। শখ হল তোয়াজি জিনিস। ধীরে সুস্থে একটু একটু করে রস চাখতে চাখতে মৌজ করে করলে তাকে শখ বলা যায়। অনেক লোকের নিজে হাতে বাগান করা শখ থাকে কিংবা ছুটিছাটাতে পিঠে রুকস্যাক বেঁধে পাহাড়ে চড়তে শখ থাকে। আমি তো ভেবে পাই না শুয়ে বসে আরাম না করে কেউ কাজ করলে তাকে শখ বলে কেন? এই পোড়া পোড়া গরমে যখন গোটা বাংলার মত কলকাতার মানুষ হয়ে সারাটাদিন গেলাম মরলাম করছি আর রসগোল্লার রসের মত ঘাম রসে ভিজে চ্যাটচ্যাট করছি তখন কেন বাজারে যাব মশাই? সরে দাদা, পেছনে কোথায় আসছেন বউদি আরে রোককে রোককে আপ আরামসে যাইয়ে ভাবীজি শুনতে শুনতে আর গুঁতো খেতে খেতে বাজার গেলে আমার কি গুষ্টি উদ্ধার পাবে। ডোভার লেনের বাজারে রোববার সকাল হলেই প্লাস্টিকের বাসন গামলা পাপোশ বিক্রি করতে “মাত্তর তিরিশ টাকা” শোনা কিংবা ভর দুপুরে “স্টিলের বাসুউউন কাঁসা পিতলের বাসুউউন” কিংবা “ছুরি ধার করা”...এই সব অভ্যাসগুলো রোববার দুপুরের মাংসের ঝোল খাবার মতই আটপৌরে ভোজ। তাই বলে এরকম শত্রুর মত গরমে বাজার যাবার চেয়ে আগুনে ঝাঁপ দেওয়া সহজ বলেই মনে করি। তবু জীবন থেমে থাকে না। কর্তব্য ইত্যাদিও তার সঙ্গে লেগেই থাকে। তাই কোন কারণে আমি বাড়ি ছেড়ে নাগের বাজারে অধিষ্ঠান করছি। তো সামনে নীল ষষ্ঠীর উপোস বলে বাজারে কেনাকাটা করতেই হবে। মার্তণ্ড দেবের সঙ্গে লড়াই করব অত হিম্মত আমার নেই । বিশেষ করে এই ভয়ঙ্কর ভোট পাবনে যখন জানি সঙ্গে কর্ণ পীড়নে মাইকের অত্যাচার থাকবেই। তাই বিকেল বেলাই বাজার গেলাম।

নাগের বাজারের বেশ বদল হয়েছে। প্রতিটি নালা ডোবা বুজিয়ে দোকান লাগানো আর বিড়ি স্টিরিও বিরিয়ানি রেমন্ডস শিক ফ্যাশানে এক্কেবারে ধুন্ধুমার কান্ড। বাজারের নামটি নাম শুনেই ভেবে ফেলবেন না যে এখানে পাইথন বা অ্যানাকোন্ডা কিলো দরে বিক্রি হয়। না মশাই কোনকালে নাগবাবুরা থাকতেন বলেই এহেন নাম। তবে বাজারে থলে হাতে দাঁড়ালে জিনিষপত্রের যা দাম শুনবেন তার চেয়ে সাপের বিষ খাওয়া ঢের ভালো আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি। ঢের রাতে বাড়ি ফেরার সময় পটল কিনলাম তার দাম চল্লিশ টাকা কিলো কিংবা ছোট্ট মাথায় লাগানোর মত ডিজাইনার ফুল সাইজের ফুলকপি এক পিস তিরিশ টাকা শুনলে কার না সাপের ছোবল খাবার ফিলিং হয়! তবে কি না আমরা নীলকন্ঠ হয়ে গেছি তাই সব সাপ কেই চিতি সাপ মনে হয় এখন। চৈত্র মাসের সেল এখন ঘোরতর বেগে। সকলেই ইন্টেলিজেন্ট হয়ে কম দামে দাঁও মারতে বাজার মুখী এসময়। যে বেডকভার অন্য সময় নয়শ টাকা সেই এখন প্রায় হাফ সাইজে পরিণত হয়ে মাত্র সাতশ টাকায় সেলে বিক্রি করছে । একরাশ নতুন জামা কিনে সেটাকে ডিসকাউন্টে দেড়শ শতাংশ লাভে বিক্রি করার আর আমাদের নির্বিচারে ঠকে যাওয়া হাসিমুখেই মেনে নিই। তবে এই ভোটের মরসুমে চৌত্রিশ বছরের অপশাসন না কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঁচ বছরের ত্রিফলা ল্যাম্প কেলেঙ্কারী দাঁড়িপাল্লায় কে বেশি সতী এই তরজায় এখন বাংলার ভাগ্যাকাশ মেঘাচ্ছন্ন থুড়ি সূরজানলে পুড়ছে। কোন রকমে ধুতরা ফুল আকন্দ বিচি আর কাচা আম বেল পাতা ফুল সঙ্গে সাবু ফল মূল দুধের লাইনের মত লম্বা সাপের মত লাইনে দাঁড়িয়ে কিনে রিকশা চড়ে ঠাকুরের নাম করতে করতে ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরলাম। মাইক আর তাপের অত্যাচারে যদি বেঁচে থাকি পরের বার আবার দেখা হবে পাঠক। তদ্দিন যাই এট্টু আমপোড়া আর লস্যি খেয়ে ভগবানের দেওয়া প্রাণটাকে শীতল রাখি।


লেখক পরিচিতি - লেখকের নিবাস কলকাতা, রামকৃষ্ণ মিশন স্কুল অফ ল্যাঙ্গুয়েজ ও শিবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্পানিশ ভাষা শিক্ষক , নেশা স্প্যানিশ চর্চা ও স্প্যানিশ- বাংলা অনুবাদ। পাঁচটি অনুবাদ গ্রন্থ ( উপন্যাস, গল্প সমগ্র, কাব্যগ্রন্থ, নাটক) প্রকাশিত। তার মধ্যে দুটি ভারতে অবস্থিত প্যারাগুয়ে দূতাবাস ও একটি চিলে দূতাবাস কর্তৃক প্রকাশিত। একটি মাত্র মৌলিক কবিতার বই অন্য পাঁচ কবির সঙ্গে মিলিত ভাবে প্রকাশিত। শখ অভিনয় করা ও নিজের জন্য গান গাওয়া আর সেতার বাজানো।

 

(আপনার মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)

অবসর-এর লেখাগুলোর ওপর পাঠকদের মন্তব্য অবসর নেট ব্লগ-এ প্রকাশিত হয়।

Copyright © 2014 Abasar.net. All rights reserved.



অবসর-এ প্রকাশিত পুরনো লেখাগুলি 'হরফ' সংস্করণে পাওয়া যাবে।