(আগের অংশ) রথ দেখার পর আমরা একই মন্দির চত্বরে পরবর্তী সৌধের দিকে এগোলাম,
আসলে গিরিরাজের হাতে যখন নিজেদের সমর্পণ করেই দিয়েছি, সে যেদিকে
আমাদের নিয়ে যাচ্ছে সেদিকেই তার পশ্চাদবর্তী হয়ে যেতে হচ্ছে। অবশ্য
তাতে আমাদের কোনও অসুবিধা তো নয়ই বরং সুবিধাই, বিশেষ করে প্রতি
মুহূর্তে মনে হচ্ছে এই বোধ হয় আবার বৃষ্টি এসে গেলো, কাজেই কোন
জায়গায় যাব এই বিরাট চত্বরের মধ্যে, তা আমাদের ভেবে ঠিক করতে হচ্ছে
না। যাক, এলাম আমরা ‘মহা মণ্ডপম’-এ। বেশ উঁচু বিশেষ জ্যামিতিক
আকারের গ্রানাইট ভিতের ওপর স্থাপিত এই ‘মণ্ডপম’ বাইরের দিকে, উত্তর,
দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম আর কেন্দ্রে একটি, এই মোট পাঁচটি বড় বড়
ঘরের সমষ্টি। সৌধ কোনও বিশেষ একটি নির্মাণ শৈলীর অনুসরণ করে নির্মিত
হয়নি, এই শৈলী একান্ত ভাবে স্বাধীন, একান্ত নিজস্ব বিজয়নগর শৈলী।
অবশ্য যদিও কিছু কিছু অংশ চালুক্য, দ্রাবিড় বা প্যাগোডা ধর্মী।
তবে আমাদের মতো সাধারণ দর্শকদের কাছে এর বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন রকমের
অসংখ্য ভাস্কর্যের সমাবেশ, প্রত্যেকটি ঘরে অপূর্ব সুন্দর ভাস্কর্যের
মেলা। এর নির্মাণ শৈলী কোন ঘরানার তাতে কি বা এসে যায়।
চিত্র-১১, ঘোড়া সহ ব্যবসায়ী ১, ফটোঃ
শুভ্রমালা
চিত্র-১২, ঘোড়া সহ ব্যবসায়ী ২, ফটোঃ শুভ্রমালা
চিত্র-১৩, মহিষ ও হাতি ও পাশেই হাতি শুঁড়ে জড়িয়ে গাছ
কিন্তু গাছের কাণ্ড ঢেকে দিলে গণেশের মূর্তি, ফটোঃ শুভ্রমালা
ভিঠঠল দেবের মন্দিরে আসার রাস্তার ধারে আমরা বাজার এলাকা দেখে
এসেছি। সেই বাজারে প্রধানত আরব, চিন, মঙ্গোলীয় এমনকি য়ুরোপিয়ান
সওদাগরেরা ঘোড়ার সওদা নিয়ে আসতেন।পরে উল্লেখ করবো এক জন পর্তুগিজ
পরিব্রাজক Domingo Paes-এরকথা। ইনি কৃষ্ণদেবরায়ের রাজত্বকালে বিজয়নগরে
এসেছিলেন ঘোড়ার ব্যাপারী হিসাবে কিন্তু এই রাজ্যের সম্পর্কে লিখে
খ্যাতি লাভ করেছেন। ভিতে সেই বাজারের দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছেন শিল্পীরা।
কোন সওদাগর কোথাকার, তাদের পোশাক,অবয়ব আর মুখমণ্ডল দেখে আমরা সহজেই
চিনতে পারি (চিত্র-১১, ঘোড়া সহ ব্যবসায়ী ১, ফটোঃ শুভ্রমালা, ও
চিত্র-১২, ঘোড়া সহ ব্যবসায়ী ২, ফটোঃ শুভ্রমালা)। ঘোড়ার বয়স নির্ণয়
করার পদ্ধতি ভাস্কর্যের সাহায্যে পরিষ্কার ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে
যা দেখলে বাজারের চলমান ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে। একটা মহিষ আর
একটা হাতি খুব কাছাকাছি দাঁড়িয়ে আছে এমনভাবে যেন দুটির একটি মাত্র
মাথা। যে কোনও একটার শরীর যদি ঢেকে দেওয়া হয়, তা হলে অন্যটার মাথা
সহ সম্পূর্ণ শরীর দেখতে পাওয়া যায়। ভাস্কর্যটি দেখলে এর এমন কিছু
শৈল্পিক গুণের কথা মনে হয় না। তবে গিরিরাজের ব্যাখ্যা এই ভাস্কর্যের
বিশেষ তাৎপর্য উন্মোচন করলো আমাদের সামনে। মহিষ সাধারণ মানুষের
প্রতীক আর হাতি, রাজা বা রাজশক্তির। যদি এই দুয়ের মধ্যে মিল বা
একাত্মতা থাকে তাহলে রাষ্ট্রে সুখশান্তি বিরাজ করে, এই ভাস্কর্যের
অন্তর্নিহিত অর্থ হল এই (চিত্র-১৩,মহিষ ও হাতি ও পাশেই হাতি শুঁড়ে
জড়িয়ে গাছ কিন্তু গাছের কাণ্ড ঢেকে দিলে গণেশের মূর্তি, ফটোঃ শুভ্রমালা)।
পাশেই আর একটি রিলিফ রয়েছে,একটি হাতি ডালপালা বিশিষ্ট একটি গাছ
শুঁড়ে জড়িয়ে রেখেছে, গাছের গোড়া ঢেকে দিলে গাছটি গণেশের মূর্তির
রূপ নেয়। যদিও গিরিরাজ এর কোনও তাৎপর্যের কথা বলেননি, তা হলেও
আমার মনে হলো সর্বত্র দেবতার অবস্থানের কথা কি বোঝাতে চান শিল্পী?ভিতের
ওপর ছোট একটা মন্দিরের আকারে ভাস্কর্য রয়েছে। সেই মন্দিরের আকার
যে আসলে সম্পূর্ণ মহামণ্ডপের নকল তা গিরিরাজ বুঝিয়ে দিলো, এর প্রত্যেকটি
অংশের সঙ্গে মহামণ্ডপের মিল দেখিয়ে। তার আগে দেখলাম এই ভিতের গায়েই
দশাবতারের প্রতিকৃতি আলাদা আলাদা একেকটি মণ্ডপের আকারে ফ্রেমের
মধ্যে নির্মিত। একটি রিলিফ কিন্তু রিলিফের বিভিন্ন অংশ ঢাকা দিয়ে
দিলে ভিন্ন ভিন্ন মূর্তি হয়ে যায় তার অনেকগুলি উদাহরণ গিরিরাজ
আমাদের বুঝিয়ে অর্থাৎ দেখিয়ে দিলো। পরবর্তী ভিডিও ক্লিপে সেই অপরূপ
শিল্প দেখতে পাবেন।
মণ্ডপের মধ্যে অর্থাৎ ভিতরে সারানোর কাজ চলছে বলে ট্যুরিস্টদের
সেখানে যাওয়া মানা। আমরা মণ্ডপের মধ্যে ঢুকতে পারলাম না। গিরিরাজ
একা সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠে গিয়ে আমাদের সিঁড়ির দুই দিকের ভাস্কর্যের
বিষয় বুঝিয়ে দিলো। এই রকম কাল্পনিক পশুর ভাস্কর্য এর আগে অনেক
জায়গাতেই লক্ষ করেছি, কিন্তু এগুলোকে কাল্পনিক পশু আর ornamentationছাড়া
আর কিছুই ভাবতে পারিনি। এমনকি সত্যি বলতে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ওগুলো
বিচারও করিনি। এখানে গিরিরাজ এই কাল্পনিক পশুর যে বর্ণনা এবং শিল্পকলার
যে বিশ্লেষণ করলো তাতে চমকিত হতে হলো। ইউটিউবের ক্লিপ (“Further
visuals of Mahamandapa, VitthalaMandir, Hampi.mpg”)
আপনাদের এই বিষয়ে বুঝতে সাহায্য করবে।
Further
visuals of Mahamandapa, VitthalaMandir, Hampi.mpg
তাও আমি এই বিষয়ে কিছু কথা বলি। সিঁড়ির দুদিকে যে ভাস্কর্যের
কথা বলছিলাম সেগুলো সাধারণভাবে দেখলে মনে হবে যেন একটা ঘোড়া পিছনের
পা দুটোতে ভর দিয়ে আর সামনের জোড়া পা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। ঘোড়ার
পিঠে তুলনায় বেশ ছোট ঘোড় সওয়ার লাগাম ধরে বসে আছে। তা হলেও কাল্পনিক
পশুর কথা এলো কেন? একটু লক্ষ করলেই বোঝা যায় যে ঘোড়ার মুখের সঙ্গে
ভাস্কর্যের এই ঘোড়ার মুখের মিল নেই। কানও ঘোড়ার কানের মতো নয়।
আরও বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে এই তথাকথিত ঘোড়ার। সেগুলো কী কী,
এবং এই শিল্পকলার বিশ্লেষণ, তা ভিডিও ক্লিপে গিরিরাজের বর্ণনার
ওপরেই ছেড়ে দিলাম। অনেক পরে জেনেছিলাম এই ঘোড়ার মতো পশুকে ‘কোদুরি
গোম্বে’ বা Horse dollবলা হয়। আমার তখন মনে হয়েছে হ্যাঁ, এত বড়
একটা ভাস্কর্য, doll বললেই মানায়! ভিঠঠল দেবের মন্দিরের আর এক
বিখ্যাত শিল্প মহামণ্ডপের মধ্যে তার ৫৬টি সঙ্গীত-স্তম্ভ বা Music
pillars। অবশ্য বাহমনি সুলতানের আক্রমণের ফলে এর ১২টি স্তম্ভ ধ্বংস
হয়ে যায়। সঙ্গীত-স্তম্ভ কেবলমাত্র যে এখানেই আছে তা নয়, বিশেষ
করে দক্ষিণ ভারতের বেশ কিছু মন্দিরেই আছে। আমি তার তালিকা দেবার
চেষ্টা করছি না। যাই হোক ভিঠঠল দেবের মন্দিরের এই স্তম্ভগুলির
কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। এগুলো ৫৬টি ভিন্ন ভিন্ন স্তম্ভ নয়। ৭টি গোষ্ঠীতে
৮টি করে স্তম্ভ ভিন্ন ভিন্ন বেদির ওপরে নির্মিত। সঙ্গীত সম্পর্কে
আমার কিছু মাত্র জ্ঞান নেই তা হলেও বলি যে সম্ভবত আটটি স্বরের
প্রত্যেকটির জন্যে একটি করে স্তম্ভ। কিছু স্তম্ভের গোলাকার প্রস্থচ্ছেদ
আবার কিছুর চতুষ্কোণ। এগুলির উচ্চতা অন্যান্য মন্দিরের সঙ্গীত
স্তম্ভের তুলনায় বেশ কম। এখন ভ্রমণার্থীদের চাপ বেড়ে যাবার জন্যে
এগুলির ওপর খুব চাপ পড়ছে। তাই স্তম্ভগুলিকে রক্ষা করার জন্যে আজকাল
ASI, security staff-এর ব্যবস্থা করেছে। তাদের কাজ এই দেখা যে,
ট্যুরিস্টরা যেন এগুলো না বাজায়। কেন না, বাজাতে গেলে স্তম্ভগুলিতে
আঘাত করতে হবে। গিরিরাজ ব্যবস্থা করে তাদের দিয়েই সঙ্গীত-স্তম্ভ
বাজিয়ে আমাদের শোনালো। কিন্তু বাজাবার চুক্তি টাকা দেওয়া এবং কোনও
ছবি তোলা চলবে না। তাই আপনাদের আমার নেওয়া কোনও ছবি দেখাতে পারলাম
না। তবে নিরাশ হবেন না, ইউটিউবে বেশ কিছু ক্লিপ আছে এই বাজনার,
আমি তার গোটা কয়েক লিঙ্ক দিয়ে দিলাম। Security staff-এর সামনেই
KSTDC-র গাইড স্তম্ভ বাজাচ্ছে দেখতে পাবেন আনন্দ বি জির “hampi
musical pillars 2”-তে। শ্রেয়াস পুভানির “Hampi musical Stone
Pillars” এবং মাসেলিফ্যামিলির “Musical Pillars at Hampi” - এই
দুই ক্লিপে স্তম্ভগুলো বাজানো ছাড়াও কল্যাণ মণ্ডপের ভিতরের ভাস্কর্যগুলো
কিছুটা দেখতে পাবেন যা কম আলো আর মণ্ডপের ভিতরে ঢোকার বাধার জন্যে
আমি ভিডিও নিতে পারিনি। জানি না এই ভিডিওগুলোর ভিডিওগ্রাফারেরা
কেমন ভাবে এই ভিডিও তুলেছিলেন, কেন না এই সময়ও মণ্ডপের ভিতরে ঢোকায়
বাধা বলবত ছিল।
আনন্দ বি জির “hampi musical pillars
2
শ্রেয়াস পুভানির
“Hampi musical Stone Pillars
মাসেলিফ্যামিলির “Musical Pillars at Hampi
চিত্র-১৪, মল্যভন্থ রঘুনাথ মন্দিরের
গোপুরম
চিত্র-১৫, যক্ষী (?)
চিত্র-১৮,রাম-লক্ষ্মণ-সীতা
ইতিমধ্যে মন্দির বন্ধ হবার সময় পার হয়ে গেছে। গিরিরাজের বদান্যতায়
আমরা একটু বেশি সময় এখানে কাটাতে পারলাম, যদিও মনে হলো যেন আরও
কিছু সময় এখানে থাকতে পারলে ভাল হতো। অবশ্য আলো বেশ কমে গিয়েছিল,
বিশেষ করে মেঘলা আকাশের জন্যে। ওখান থেকে বেরিয়ে আমাদের গাড়ির
চালক কিন্তু হোটেলে আমাদের ফেরত নিয়ে গেল না। নিয়ে গেল মল্যভন্থ
পাহাড়ে “মল্যভন্ত রঘুনাথ মন্দিরে”। অন্ধকার বেশ ঘনিয়ে এসেছে, দূরে
পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে না। পড়েছিলাম যে এই পাহাড় থেকে সূর্যাস্ত
এক মনোরম দৃশ্য, নিয়ম মাফিক সূর্যাস্তের সময় হয়নি, কিন্তু আকাশ
মেঘে ঢাকা কাজেই সেই দৃশ্য দেখবার কোনও আশা নেই। মন্দির স্বাভাবিক
ভাবে পাহাড়ের শীর্ষে, হাম্পির নৈসর্গিক দৃশ্যও এখান থেকে অত্যন্ত
আকর্ষণীয়, কিন্তু তা আমাদের কল্পনার বিষয় হয়ে রইলো। তবে গঙ্গাধরের
এই যে এখানে এই অসময়ে নিয়ে আসা, তা আমাকে আর. কে. নারায়ণের লেখা
‘গাইড’ বই-এর নায়ক রেলওয়ে রাজুর চরিত্রের কথা মনে করিয়ে দিলো।
হোটেল চত্বরে গঙ্গাধর আমার সঙ্গে কথা বলে জেনে নিয়েছিলো আমাদের
কত সময় আছে আর কেমন ভাবে দেখতে চাই এই হাম্পি। নিশ্চয় তখনই সে
ঠিক করে নিয়েছিল যে কোথায় কোথায় এবং কতক্ষণ একটি স্থান দেখাবে।
ওর অবশ্য ধারণা হয়নি যে ভিঠঠল দেবের মন্দিরে আমরা অতটা সময় নেব,
যদিও আমরা তাতেও সন্তুষ্ট হইনি। যাই হোক, এই মন্দিরও বিজয়নগর সাম্রাজ্যের
কালের এক বিখ্যাত মন্দির। কথিত যে সীতার খোঁজে হনুমান যাত্রা করার
পর দুই ভাই এই পর্বতেই অপেক্ষা করেছিলেন। এ বিষয়ে পরে আবার কিছু
বলার অবকাশ আসবে।
বড় বড় গ্রানাইট পাথরে গাঁথা দুর্গের মতো অত্যন্ত উঁচু প্রাকারে
ঘেরা মল্যভন্থ রঘুনাথ মন্দিরের গোপুরম (চিত্র-১৪, মল্যভন্থ রঘুনাথ
মন্দিরের গোপুরম) হয়ে চত্বরে প্রবেশ করলাম। তোরণের ছাদ ধরে রেখেছে
পাথরের এক মোটা দেয়াল। নতুন নির্মাণ বোঝা যায়। ঢোকার মুখেই বাইরে
গ্রানাইটের এক বৃহদাকার খণ্ড দেয়ালের মতো খাড়া হয়ে আছে এবং অন্ধকারকে
আরও গভীর করে দিয়েছে। গোপুরমের দেয়ালে সুন্দর নকশা ছাড়া বিভিন্ন
মূর্তির ভাস্কর্য রয়েছে, বিশেষ করে ওপরের অংশে। নিচে ডান দিকে
এক নারী মূর্তি দেখতে পেলাম, মনে হলো যেন তামিলনাড়ুর মমল্লপুরমে
দেখা গঙ্গার মূর্তি (চিত্র-১৫,যক্ষী (?))। অবশ্য তা নিশ্চিত ভাবেই
নয় কেন না ‘মকর’-রের কোনও চিহ্ন নেই মূর্তিতে। হয়তো বা এ যক্ষী
মূর্তি হবে। অন্ধকার হয়ে গেছে বলে ভিতরে ঘুরে দেখার সুযোগ হলো
না। সামনেই এক স্তম্ভ যার পিছন দিকে মণ্ডপ । মণ্ডপের একটা থামের
ছবি নিতে পারলাম ( স্থানাভাবে সেটা দেওয়া গেল না।)। থামের গায়ে
ভিঠঠল দেবের মন্দিরে দেখা কাল্পনিক ঘোড়ার মতো অবয়ব অবশ্য পিঠের
পাশে ময়ূর নেই। মন্দিরে কালো রঙের রাম-লক্ষ্মণ-সীতার পাশাপাশি
পাথরে নির্মিত তিনটি মূর্তি রয়েছে (চিত্র-১৬, রাম-লক্ষ্মণ-সীতা)।
সামনে রামচরিতমানস পাঠ চলছে। আমাদের মধ্যে কয়েকজন পাঠে সুর মেলালেন।
কোনও এক লেখাতে পড়েছিলাম যে এই তিন মূর্তি নাকি একই পাথরে খোদাই
করা। দেখে অবশ্য বোঝা গেল না। মন্দিরের ও এখানে আসার চলচ্চিত্র
“MalvanthaRaghunathMandir, Hampi.mpg” ক্লিপে দেখতে পাবেন।
MalvanthaRaghunathMandir,
Hampi.mpg
এখান থেকে বেরিয়ে রাতের খাওয়া সেরে প্রায় রাত ৮:৩০
মিনিটে আমরা হোটেলের ঘরে ফিরে এলাম।