প্রথম পাতা

শহরের তথ্য

বিনোদন

খবর

আইন/প্রশাসন

বিজ্ঞান/প্রযুক্তি

শিল্প/সাহিত্য

সমাজ/সংস্কৃতি

স্বাস্থ্য

নারী

পরিবেশ

অবসর

 

ধাঁধা ও মজার খেলা

ফাঁসির দিন

বিচারপতি আসামীকে বললেন,"আপনার অপরাধের জন্য আমি ফাঁসীর হুকুম দিতে বাধ্য হচ্ছি। আমার নির্দেশ অনুযায়ী আগামী সপ্তাহের কোনো এক দিন এই দণ্ড পালন করা হবে। কিন্তু ঠিক কোনদিন হবে, সেটা আপনি আগের থেকে জানতে পারবেন না। শুধু ফাঁসির দিন সকালে খবরটা আপনাকে দেওয়া হবে।"

আদালতের সবাই জানতেন যে, বিচারক পরম সত্যবাদী, কখনো কথার খেলাপ হতে দেন না। তাই রায় শোনা মাত্র আসামীর উকিল লাফিয়ে উঠলেন। বললেন, "ধর্মাবতার, আপনার এই আদেশ অনুযায়ী আসামীর ফাঁসি হওয়া অসম্ভব।"
"তারমানে?"
"ভেবে দেখুন, আপনি বলেছেন আগামী সপ্তাহে, অর্থাত্ সোমবার থেকে রবিবারের মধ্যে কোনো একদিন আসামীর ফাঁসি হবে। কিন্তু আপনি এও বলেছেন যে, আসামী আগে থেকে জানতে পারবেন না কোনদিন হবে। আপনার শেষের কথাটা সত্যি হতে হলে, রবিবার ফাঁসি হতে পারে না। কারণ শনিবার এলেই আসামী জেনে যাবেন যে, সপ্তাহের মধ্যে বাকি রয়েছে মাত্র একদিন, সুতরাং ঐ দিনই তাঁর ফাঁসি হবে। অতএব আপনার হুকুম অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে গেলে রবিবার ফাঁসি হওয়া অসম্ভব! তাহলে বাকি রইলো সোম থেকে শনিবার। কিন্তু শনিবার কি ফাঁসি হওয়া সম্ভব? তাও সম্ভব নয়। কারণ শুক্রবার আসামী জানবেন যে, যেহেতু রবিবার ফাঁসির দিন ধার্য হতে পারে না, সুতরাং একমাত্র শনিবারই ফাঁসি হওয়া সম্ভব। কিন্তু শনিবার ফাঁসি হওয়া মানে আসামী আগে থেকেই জেনে যাচ্ছেন কবে ফাঁসি হচ্ছে। তারমানে আপনার হুকুম অমান্য হচ্ছে। অতএব রবিবারের মত শনিবারও ফাঁসি দেওয়া সম্ভব নয়। এবার চিন্তা করাযাক, শুক্রবার ফাঁসি হতে পারে কিনা। আপনি নিশ্চয় বুঝতে পরছেন, সেটাও সম্ভব নয়। কারণ বৃহ্রপতিবারই আসামী বুঝে যাবেন যে, শুক্রবারই একমাত্র ফাঁসি হতে পারে, কারণ শনিবার বা রবিবার হতে পারে না। তারমানে শুক্রবারও বাদ গেল। ধর্মাবতার, এখন দেখুন শুধু ঐ তিনদিন নয় - যেরকম ভাবে আমরা চিন্তা করলাম - সেইভাবে চিন্তা করলে বৃহ্রপতি, বুধ, মঙ্গল - এমন কি সোমবার - কোনোদিনই আপনার হুকুম পালন করে আসামীকে ফাঁসি দেওয়া সম্ভব নয়।"

উকিলের যুক্তিতে কোথায় গলদ ছিল? ছিল কি?

(উত্তরের জন্য এখানে ক্লিককরুন)

সহজ হিসাব?

পুজোর ছুটিতে মা তিন ছেলেকে কিছু টাকা দিয়ে বললেন, যা তোরা তোদের ইচ্ছেমত জিনিস কেন। মা সবাইকে সমান চোখে দেখেন - কাউকে তিনি কম টাকা দিলেন না। ছেলেরা টাকা নিয়ে বাজারে গেল। বড় ছেলে যে দোকানে গেল - সেখানে সব কিছুই বিক্রি হচ্ছে ৩ টাকা করে। মেজো ছেলে যেখানে গেল, সেখানে সব কিছুর দর ৪ টাকা করে। আর ছোট ছেলে যে দোকানে গেল - সেখানে সব জিনিসের দাম ৫ টাকা করে। কিছুক্ষণ বাদে ওরা যখন জিনিসপত্র কিনে ফিরে এলো, তখন ছোট ছেলের পকেটে রয়েছে ১৪ টাকা, মেজ ছেলের পকেটে রয়েছে ৭ টাকা, আর বড় ছেলের পকেটে মাত্র ১ টাকা।

প্রশ্ন হল, মা ওদের প্রত্যেককে অন্তত কত টাকা দিয়েছিলেন?

(উত্তরের জন্য এখানে ক্লিককরুন)

পৃথিবীর শেষ দিন

দূর প্রাচ্যের এক মন্দিরে এক কালে তিনটি মন্ত্রপূত চৌকি পাশাপাশি রাখা ছিল। চৌকি তিনটির একটি রূপোর তৈরী, অন্যদুটি সোনার। রূপোর চৌকির উপর বিভিন্ন আকারের ৬৪ থালা আকার অনুযায়ী একের উপর এক স্তূপাকারে সাজানো ছিল। অর্থাত্, নিচের থালাটি ছিল সবচেয়ে বড়, তার ওপরের থালাটি তার থেকে একটু ছোট, তার উপরেরটি আর একটু ছোট - এমনি ভাবে। সেই মন্দিরের পুরোহিতদের উপর নাকি স্বর্গাদেশ ছিল থালার স্তূপটিকে রূপোর চৌকি থেকে সরিয়ে সোনার যে কোন একটি চৌকির উপর রাখার। কিন্তু স্বর্গাদেশে বলা ছিল যে, কখনো একটির বেশি থালা একসঙ্গে সরানো বা সরানোর সময় কোন বড় থালাকে ছোট থালার উপর রাখা চলবে না। দিনরাত পুরোহিতদের একমাত্র কাজ ছিল থালাগুলিকে এক এক করে এক চৌকি থেকে অন্য চৌকিতে সরানো। ভক্তরা বিশ্বাস করত, যেদিন সেই থালার স্তূপ রূপোর চৌকি থেকে সরিয়ে সোনার চৌকিতে আনার কাজ সম্পূর্ণ হবে, সেদিনই পৃথিবীর শেষ দিন।

যদি ধরা যায় যে কোন থালাকে এক চৌকি থেকে অন্য চৌকিতে সরাতে এক সেকেণ্ড সময় লাগে, তাহলে কাজটা শেষ হতে কত সময় লাগতে পারে?

(উত্তরের জন্য এখানে ক্লিককরুন)

বয়সের হিসাব

১৯২২ সালের একটি পত্রিকায় নিচের খবরটি ছাপা হয়েছিল:

"..... ধাঁধাবিদ্ বিজয় রায়ের সঙ্গে মৃত্যুর ক'দিন আগে আমার সাক্ষাত্ হয়েছিল। তিনি আমায় তখন বলেন যে, তাঁর পত্নীবিয়োগ হয় ১৮৯৮ সালে; আর তিনিও মারা যাবেন কয়েকদিনের মধ্যেই। যখন যাবেন তখন তাঁর বয়স হবে নিজের জন্মসালের ১/২৯ ভাগ। যেদিন তিনি মারা গেলেন - সেদিন ছিল ওঁর জন্মদিনও। আর কথার ছলে পাঠকদের কাছে তাঁর শেষ ধাঁধা তিনি আমায় দিয়ে গেলেন।"

কতদিন বিজয় রায় বেঁচে ছিলেন?

(উত্তরের জন্য এখানে ক্লিককরুন)

লাল কার্পেট

অবনীবাবু ভাড়া বাড়ি ছেড়ে নিজের কেনা বাড়িতে যাচ্ছেন। ওঁর সমস্যা হয়েছে ওঁর প্রিয় রাশিয়ান কার্পেট নিয়ে। ওঁর ভাড়া বাড়ির বসার ঘরটি ছিল ৯ ফুট ষ ১৬ ফুট। লাল কার্পেটটি সারা ঘর জুড়ে থাকতো। ওঁর নিজের বাড়ির বসার ঘরের সাইজ হচ্ছে ১২ ফুট ষ ১২ ফুট। কার্পেটটাকে কাটতেই হবে। প্রশ্ন হল, শুধু একবার কেটে দুভাগ করে সেটিকে ঠিকমত জোড়া দিয়ে কার্যসিদ্ধি করা যায় কিনা।

(উত্তরের জন্য এখানে ক্লিককরুন)

জুয়ো খেলার বিপদ

একটি লোক বেশ কিছু টাকা নিয়ে জুয়ো খেলতে গিয়েছিলো। প্রথম খেলায় সে তার কাছে যা টাকা ছিল, তার ১/১০ ভাগ বাজী রাখল। বাজী খেলার নিয়মানুসারে - খেলায় জিতলে সে যত টাকা বাজী রেখেছিল, তত টাকা তার লাভ হত। আর হারলে বাজীর টাকাটা তার খোয়া যেত। প্রথম খেলা শেষ হবার পর সে গুণে দেখল, তার মোট কত টাকা আছে। সেই টাকার ১/১০ ভাগ সে দ্বিতীয় খেলায় বাজী ধরল। দ্বিতীয় খেলার শেষে তার কাছে যত টাকা ছিল, তার ১/১০ ভাগ সে তৃতীয় খেলায় বাজী রাখল। এমনি করে সে অনেকগুলি বাজী খেলল। খেলার শেষে সে দেখা গেল - সে যতবার জিতেছে, ঠিক ততবারই হেরেছে। সব মিলিয়ে লোকটির লাভ হল, না ক্ষতি হল?

(উত্তরের জন্য এখানে ক্লিককরুন)

টিকটিকির সমস্যা

১৮ ফুট ষ ১৮ ফুট আয়তনের এবং ১০ ফুট উঁচু ঘরের উত্তর দিকের দেয়ালে একটা টিকটিকি বসে আছে। টিকটিকিটা মেঝের থেকে ১ ফুট উপরে এবং ঘরের উত্তর-পূর্ব কোণ থেকে এক ফুট দূরে আছে। ঘরের দক্ষিণ দিকের দেয়ালে, দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ থেকে ২ ফুট দূরে এবং মেঝের থেকে ১ ফুট উপরে একটা পোকা আছে। টিকটিকিকে পোকার কাছে আসতে হলে অন্ততঃ কতটা পথ পেরোতে হবে? (এই প্রশ্নের সমাধান করতে কিছু জ্যামিতির জ্ঞানের প্রয়োজন হবে।)

(উত্তরের জন্য এখানে ক্লিককরুন)

নাম-সংকট

কমলবাবুর বাড়ীতে তাঁর ছেলেবেলার পাঁচবন্ধì রবীন, গৌরাঙ্গ, বিকাশ, শৈবাল ও অরুণবাবু তাস খেলতে এসেছেন। ছয়বন্ধìর পদবীগুলি হচ্ছে: সেন, দত্ত, নন্দী, চৌধুরী, রায় ও দেব। ছয় বন্ধì সম্পর্কে নিচের তথ্যগুলি আমাদের জানা আছে:

(১) কমলবাবু ও শ্রী সেন স্টেটব্যাঙ্কে কাজ করেন।
(২) কমলবাবু ও শ্রী রায় বালীগঞ্জ গভর্নমেণ্ট স্কুলে একসঙ্গে পড়েছিলেন।
(৩) শৈবালবাবু ও শ্রী দত্ত কলেজে পড়ান।
(৪) গৌরাঙ্গবাবু ও শ্রী নন্দী ইঞ্জিনিয়ার।
(৫) রবীনবাবু ও অরুণবাবু এক সময়ে এরিয়ান্সের হয়ে ফুটবল খেলতেন।
(৬) শ্রী নন্দীর বাইরের খেলাধূলাতে কোনদিনই উত্সাহ ছিল না।
(৭) গৌরাঙ্গবাবুর বোনের সঙ্গে শ্রী দেবের বিয়ে হয়ছে।
(৮) রবীনবাবু ও শ্রী সেন এখনো ভালো তাস খেলতে পারেন না। ওঁরা দুজনে গৌরাঙ্গবাবু ও শ্রী রায়ের সঙ্গে বসে খেলা শিখছেন।

উপরের তথ্যগুলি থেকে বলতে হবে কমলবাবু ও বন্ধìদের প্রত্যকের পদবী কি ও তাঁরা কি কাজ করেন।

(উত্তরের জন্য এখানে ক্লিককরুন)


মিষ্টি রাখার ট্রে

মধু ময়রা ৫০টি নাড়ু বানিয়েছে। ওগুলোকে এখন ট্রে-তে রাখতে হবে। একটা আয়তাকার ট্রে মধুর কাছে ছিল। সেখানে নাড়ুগুলোকে রাখতে গিয়ে মধু দেখলো মাত্র ৪৮ টা নাড়ু সেখানে ধরছে। কিন্তু একটু বুদ্ধি খাটিয়ে মধু ৪৯টা নাড়ুকে সেই ট্রেতে রাখতে পারল। পরে মধু দেখলো একটু অন্যভাবে রাখলে ৫০টা নাড়ুই ট্রেতে এঁটে যাবে। মধু কোনো সময়েই একটা নাড়ুর উপর আরেকটা চাপাচ্ছিল না, আর প্রত্যেকটি নাড়ুর ব্যাস ছিল ২ ইঞ্চি করে। সেক্ষেত্রে ট্রে-টার মাপ কত, আর মধু কি ভাবে মিষ্টিগুলো সাজাচ্ছিলো?

(উত্তরের জন্য এখানে ক্লিককরুন)

গোলমেলে সংখ্যাশ্রেণী

নিচে একটি সংখ্যা শ্রেণী দেওয়া হল। এর পরের সংখ্যাটি কি হতে পারে, সেটা একটু বুদ্ধি খাটিয়ে বার করতে হবে।

১, ১১, ২১, ১২১১, ১১১২২১, ....
(উত্তরের জন্য এখানে ক্লিককরুন)

অধ্যাপিকা সমস্যা
অধ্যাপিকা কল্যাণী রায়, খেয়ালী সেন ও গীতা চৌধুরী তিনজনে তিনটি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় - কলকাতা, যাদবপুর ও বর্ধমান-এ (যথাক্রমে নয়) পড়ান। ওঁদের বিষয় হল, ইংরেজি সাহিত্য, ইতিহাস এবং পদার্থবিদ্যা (এগুলিও যথাক্রমে নয়)। কল্যাণী রায় বর্ধমানে পড়ান না। খেয়ালী সেন যাদবপুরের সঙ্গে যুক্ত নন। বর্ধমানে যিনি পড়ান সাহিত্য সম্পর্কে তিনি কিছুই প্রায় জানেন না। যাদবপুরের অধ্যাপিকা ইতিহাস বিভাগের লোক। খেয়ালী সেন যে পদার্থবিদ্যা পড়ান না সেটা আমরা জানি। প্রশ্ন হল গীতা চৌধুরী কোথায় এবং কি পড়ান? আর বাকি দুজন কোথায় এবং কি পড়ান?
(উত্তরের জন্য এখানে ক্লিককরুন)


রহস্যময় চিঠি

ডিটেক্টিভ বঙ্কিম চৌধুরী সকালবেলা তাঁর সহকারী রাখাল ঘোষের সঙ্গে চা খেতে খেতে গত দিনের আসা চিঠিপত্রগুলো পড়ছিলেন। একটা চিঠি পড়তে পড়তে তাঁর মুখে হাসি ফুটে উঠলো। রাখাল ঘোষ সেটা লক্ষ্য করে বললেন, কি ব্যাপার ?
বঙ্কিম চৌধুরী চিঠিটা রাখালবাবুর হাতে দিয়ে বললেন, তুমিই এর সমাধান কর।
চিঠিটা দেখে রাখালবাবুর মনে হল যে এটা কোনো স্কুল বা কলেজের ছাত্রের কাজ। চিঠিতে লেখা:

শ্রদ্ধেয় বঙ্কিমবাবু,
আপনার সম্বন্ধে লেখা সব বই আমি পড়ি। সবাই বলে রহস্য সমাধানে আপনার কোনো জুড়ি নেই। আমার কাকা কয়েকদিন আগে একটা হত্যাকাণ্ডের কথা বলেছেন, আমি তার কিছুই হদিশ করতে পারছি না। আপনি এর সমাধান করে দেবেন? নিচে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে আমি যা যা জানি সব লিখছি:
বিবেকবাবুর মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত - এই সন্দেহের ভিত্তিতে সুব্রত রায়, প্রকাশ ভদ্র ও হিমাংশু লাহিড়ীকে গ্রেফ্তার করা হয়েছে। অনুসন্ধানে এটুকু বোঝা গেছে যে, খুনী একজন হলেও তার সহকারী ছিল। আমাদের জানা আছে যে, এই তিনজনের মধ্যে একজনই কেবল নির্দোষী। নিচের তথ্যগুলি এই তিনজনের বিবৃতি থেকে পাওয়া গেছে।
(ক) সুব্রত রায় খুনের ব্যাপারে হত্যাকারীকে কোনও সাহায্য করে নি।
(খ) প্রকাশ ভদ্র খুনী নয়।
(গ) হিমাংশু লাহিড়ী নির্দোষী নয়।

এছাড়া আমরা জানি যে,
বিবৃতিকারীরা নিজেদের সম্বন্ধে কোনো তথ্য দেয় নি। অন্ততঃ একটি তথ্য নির্দোষী ব্যক্তির বিবৃতি থেকে পাওয়া। একমাত্র নির্দোষীই সত্যি কথা বলেছে।

নমস্কারান্তে, বিমান দেব

বলাবাহুল্য রাখাল ঘোষ বঙ্কিম চৌধুরীর যোগ্য সহকারী। তিনি অনতিবিলম্বে সমস্যার সমাধান করে ফেললেন।

(উত্তরের জন্য এখানে ক্লিককরুন)


চোখের ধাঁধা

আপাতদৃষ্টিতে আমরা যা দেখি তা সব সময়ে সত্যি নয়। এখানে তার কয়েকটা উদাহরণ দেওয়া হল। এগুলো হয়তো অনেকের কাছেই নতুন নয় - তবে এখানে নতুন করে আবার দেখা হবে।

অসম্ভব সিঁড়ি(পেনরোজের ইম্পসিব্ল স্টেয়ার্স)
রঙ পরিবর্তন!
অলীক বিন্দু!
এক বৃত্তের ভিন্ন আকার!
সমান্তরালে সাজানো বর্গক্ষেত্র
কালো না সাদা?


স্যাম লয়েডের ধাঁধার উত্তর:

৫৪৩২/১৭৪৯৬ = ১/৩;
৪৩৯২/১৭৫৬৮ = ১/৪;
২৭৬৯/১৩৮৪৫ = ১/৫;
২৯৪৩/১৭৬৫৮ = ১/৬;
২৩৯৪/১৬৭৫৮ = ১/৭;
৩১৮৭/২৫৪৯৬ = ১/৮;
৬৩৮১/৫৭৪২৯ = ১/৯।



কারা ক'জন?

একটি বাড়িতে পুরুষ, মহিলা ও বাচ্চা নিয়ে মোট ২০ জন থাকে। একদিন ২০টা রুটি সবাই মিলে ভাগ করে খেল। সবাই অবশ্য সমান ভাগ পেল না। প্রতিটি পুরুষ ৩টি করে, প্রতিEটি মহিলা ২টি করে এবং বাচ্চারা প্রত্যেকে একটা রুটির অর্ধেক করে পেল। প্রশ্ন হল, সেই বাড়িতে কত জন পুরুষ, কত জন মহিলা ও ক'টি বাচ্চা ছিল?

(উত্তরের জন্য এখানে ক্লিককরুন)

১০০-র খেলা:

এই খেলাটা দুজনে মিলে খেলতে হয়। প্রথমে একজন ১ থেকে ১০ এর মধ্যে যে কোনো একটি সংখ্যা বলে। দ্বিতীয় জন সেই সংখ্যার সঙ্গে ১ থেকে ১০ এর মধ্যে আরেকটি সংখ্যা যোগ করে। এরপর আবার প্রথম জন সেই যোগফলের সঙ্গে ১ থেকে ১০-এর মধ্যে আর একটি সংখ্যা যোগ করে। এই ভাবে খেলাটি চলতে থাকে। যে তার দানে সংখ্যা যোগ করে ১০০-তে পৌঁছতে পারে, সেই খেলাটিতে জেতে। নিচে একটা সম্ভাব্য খেলা দেখানো হল:

প্রথম       ১০      
দ্বিতীয়   ১০            
যোগফল ১৮ ২৫ ৩৪ ৪২ ৫০ ৬০ ৬৯ ৭৮ ৮৬ ৮৯ ৯৪ ১০০

 

এই খেলা ঠিকমত খেলতে পারলে প্রথম জন সবসময়েই জিতবে। প্রশ্ন, কী ভাবে সেটা সম্ভব?

(উত্তরের জন্য এখানে ক্লিককরুন)

দশ প্রশ্ন:

এক জন ১ থেকে ১০২৪-এর মধ্যে যে কোনো একটি সংখ্যা ভাববে। দ্বিতীয়জনকে সেই সংখ্যাটি বার করতে হবে শুধু দশটি প্রশ্ন করে - যার উত্তর কেবল হঁzা বা না হতে হবে। অর্থাত্ সংখ্যাটা কি - সেরকম প্রশ্ন করা চলবে না। তবে সংখ্যাটি ১০০-র বেশি কিনা কিংবা ২০০-র কম কিনা - এই রকম প্রশ্ন করা চলবে। ঠিকমত প্রশ্ন করতে পারলে দশটি প্রশ্নেই সংখ্যাটি বার করা সম্ভব।

(উত্তরের জন্য এখানে ক্লিককরুন)

অঙ্ক অনুমানের খেলা:

একজনকে কাগজ পেন্সিল দিয়ে আড়াল করে একটা সংখ্যা লিখতে বলুন। এবার তাকে আরেকটা সংখ্যা বলতে বলুন। সেই সংখ্যা যদি ৯ বা ৯-এর গুণিতক না হয়, তাহলে সংখ্যাটিকে ৯ দিয়ে গুণ করতে বলুন। এবার যে সংখ্যাটি পাওয়া গেল, সেই সংখ্যা দিয়ে প্রথম সংখ্যাকে গুণ করতে বলুন। এবার তাঁকে বলুন উত্তরের মধ্যে শূন্য ছাড়া যে কোনো একটি অঙ্কতে গোল চিþ দিয়ে আলাদা করে রাখতে। এবার বাদবাকি সংখ্যাগুলি আপনাকে আস্তে আসতে পড়ে শোনাতে। সেই সংখ্যাগুলি সব শোনা হলে আপনি গোলচিেþর মধ্যে রাখা সংখ্যাটি বলতে পারবেন। কী করে সেটা সম্ভব?

(উত্তরের জন্য এখানে ক্লিককরুন)

কে খরগোশ পুষতো?

ভারতবর্ষের একটি টেকনোলজি পার্কে পাশাপাশি ৫-টি বাড়ি ছিল। বাড়ির রঙগুলি (পর্যায়ক্রমে নয়) ছিল লাল, নীল, সবুজ, হলুদ ও সাদা। এক একটা বাড়িতে এক এক দেশের লোক থাকতো। তাদের প্রত্যেকে সিগারেট খেতো, পশুপাখি পুষতো এবং বিভিন্ন পানীয় পছন্দ করত। কিন্তু সিগারেটের ব্র্যাণ্ড, পশুপাখি এবং পানীয়ের ব্যাপারে প্রত্যেকের পছন্দ ছিল অন্যদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
আমরা জানি:
(১) বৃটিশ থাকতো লাল বাড়িতে
(২) আমেরিকানের একটা কুকুর ছিল
(৩) ফ্রেঞ্চম্যান চা খেতে ভালোবাসতো
(৪) সবুজ বাড়িটা ছিল সাদা বাড়িটার বাঁ-দিকে
(৫) সবুজ বাড়িতে যে থাকতো সে খেতো কফি।
(৬) যে লোকটি পলমল সিগারেট খেতো সে পুষতো পাখি।
(৭) যে লোকটি হলুদ বাড়িতে থাকতো তার সিগারেট ছিল ডানহিল।
(৮) যার বাড়িটা ছিল মাঝখানে, সে ভালোবাসতো দুধ খেতে।
(৯) ভারতীয় থাকতো প্রথম বাড়িতে।
(১০) যে লোকটি উইল্স সিগারেট খেতো তার পাশের বাড়ির লোকটি বেড়াল পুষতো।
(১১) যে লোকটি ঘোড়া পুষতো, তার পাশের বাড়ির লোকটি খেতো ডানহিল সিগারেট।
(১২) যে লোকটি চারমিনার সিগারেট খেতো, সে খেতো কোকোকোলা।
(১৩) জার্মান ভালোবাসতো ক্যাপস্টান সিগারেট।
(১৪) ভারতীয় থাকতো নীল বাড়ির পাশে।
(১৫) যে লোকটি উইল্স সিগারেট খেতো তার পাশের বাড়ির লোকটি জল খেতো।

প্রশ্ন হল কে খরগোশ পুষতো?

(উত্তরের জন্য এখানে ক্লিককরুন)


পাণ্ডবদের ভেট:

পাণ্ডবরা যখন দ্বাদশবর্ষ অজ্ঞাতবাস করছিলেন তখন তিন দিন তাঁরা গুড়গ্রামে নামে একটা জায়গায় কাটান। গুড়গ্রামে এক রাক্ষস অত্যাচার করত, তাকে পঞ্চপাণ্ডব বধ করায় গ্রামের পাঁচজন গ্রামবাসী তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানাতে প্রত্যেকে ন'টা করে হাঁড়ি নিয়ে এলেন। একজনের নটা হাঁড়িই ছিল নলেন গুড়ে ভর্তি; দ্বিতীয়জনের হাঁড়িগুলি ছিল ৩/৪ অংশ ভর্তি; তৃতীয়জনের ১/২ অংশ ভর্তি; চতুর্থজনের ১/৪ অংশ ভর্তি; আর পঞ্চমজনের নটি হাঁড়িই ছিল শূন্য।
কুন্তিদেবীতো যথারীতি তোমরা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নাও বলে চলে গেলেন।
পাণ্ডবরা সবাই মিলে ঠিক করলেন, কুন্তিদেবীর কথামতো তাঁরা প্রত্যেকে সমান পরিমানে গুড় পাবেন। তবে প্রত্যেক গ্রামবাসীর দেওয়া অন্ততঃ একটা হাঁড়ি যেন সবাই পান, নইলে সেই গ্রামবাসীর প্রতি অসম্মান দেখানো হবে। ভীম আরেকটা শর্ত যোগ করলেন: ভাগটা এমন ভাবে হবে যে, কোনও দুজনের ভাগ যেন এক ধরণের না হয়।

যদি ধরা হয় প্রত্যেকটা হাঁড়ির মাপই এক, সেক্ষেত্রে পাণ্ডবরা কতরকম ভাবে নিজেদের মধ্যে হাঁড়িগুলোকে ভাগ করতে পারবেন?

(উত্তরের জন্য এখানে ক্লিককরুন)

গোয়ালার চিন্তা:

একজন গোয়ালার কাছে তিনটি পাত্র আছে - একটা ১২ লিটার, একটা ৯-লিটার ও একটা ৫-লিটারের। ১২ লিটার পাত্রটা দুধে পুরোপুরি ভর্তি। বাকি দুটি পাত্র একদম খালি। গোয়ালাকে ৬ লিটার দুধ একজন খরিদ্দারকে দিতে হবে। তিনটি পাত্র ব্যবহার করে, কিভাবে এই মাপটা গোয়ালার পক্ষে পাওয়া সম্ভব।


(উত্তরের জন্য এখানে ক্লিককরুন)

 

Copyright © 2014 Abasar.net. All rights reserved.


অবসর-এ প্রকাশিত পুরনো লেখাগুলি 'হরফ' সংস্করণে পাওয়া যাবে।