ছোট পিসির মিষ্টিলাভ

ছোট পিসির মিষ্টিলাভ

সেদিন কাউকে কিচ্ছুটি না বলে কয়ে ছোট পিসি এসে হাজির। আমার ছোট পিসি মানুষটির যেমন সাংঘাতিক ভুলো মন তেমনি সন্দেহবাতিক। ভরদুপুরে কলিংবেল শুনে ভাতঘুম থেকে উঠে দরজা খুলে দিলাম, দেখি দরজার চৌকাঠে মাথা ঠেকিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন, দরজা খুলতেই ভুরু কুঁচকে তলচক্ষু হয়ে শুধোলেন, “ক্যা র‍্যা? এই মাসের শেষে কী মনে করে?”
-“ইয়ে, পিসি, তুমিই তো…” আমতা আমতা করে বলতে গেলাম, ছোট পিসি বিরক্তমুখে, “তা এতক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখলে কি অতশত মনে থাকে?” বলে পাশ কাটিয়ে ভেতরে ঢুকে গেলেন।
খাটে রাখা বইগুলো একপাশে ঢেউ ঠেলার কায়দায় সরিয়ে বললাম, “চা খাবে ছোপ্পিসী?”, পিসি “করবি? তা কর, সেবারের মুগের পাঁপড়গুলো শেষ বুঝি?” বলে জানলার বাইরে উদাসমুখে চেয়ে রইলেন। অগত্যা বডি তুলতে হল।
-“দু’চামচ,” উঠতেই পিসি সংক্ষেপে জানিয়েছেন।
-“তোমার না চারশো সুগার!” চোখ কপালে তুলে আমার চিনির খনি ছোট পিসির দিকে তাকাই, “গ্রীন টি করছি দাঁড়াও, ওতে চিনি লাগে না।”
-“লাগালেই লাগে”, বিরসমুখে জানালেন পিসি, “আমার জিভের তার বাপু তোদের থেকে আলাদা। ঐ সেদিনের ছোকরা নেলোও বলে কিনা বিরিয়ানিতে টমেটো সস মিশিয়ে খেলে তোমার পাপ হবে জ্যেঠিমা, পুরী গিয়ে জগন্নাথদেবের ছিচরণে টমেটো উচ্ছুগ্গো করে দিয়ে আসতে হবে… হুঁঃ! কী বেয়াদপ হয়েছে ছোঁড়া, ভাব দিকি!”
-“নেলো আজকাল করছেটা কী?” চায়ের জল, পাঁপড়ের তেল বসাতে বসাতে শুধোলাম, “সেই কলেজের সময় দুই ছত্র পড়িয়েছি, এখন চাকরিবাকরি করছে নিশ্চয়ই?”
-“করবে আবার কী! বেআইনি কারবার সব,” ছোট পিসি অম্লানবদনে বললেন, “পুলিশে চাকরি পেয়েছে না?”
-“পুলিশ হয়েছে নেলো?” আমি তো চমৎকৃত, “বাঃ বাঃ, তা সে’ বেআইনি কারবার হতে যাবে কেন?”
-“তোরাও বাপু সব হয়েছিস, বলি দিনরাত ড্রেন পোষ্কার করে যারা, তাদের গায়ের গন্ধ শুঁকিসনি? সব হাওয়ায় মাথা দিয়ে ঘুরে বেড়াস, দিনকালের খবর কিছু রাখিস?” ছোট পিসি ভারি বিরক্ত হলেন, “আবার পাঁপড় ভেজে আনলি কেন! অবেলায় অম্বল না হইয়ে ছাড়বি না, বললুম যে ক’খানা আপেল কেটে দে?”
বেলা পড়ে আসছিল, এই অঞ্চলে আবার সন্ধে হলেই বেজায় মশার উপদ্রব, জানালার পাল্লাগুলো বন্ধ করতে সবে হাত দিয়েছি, ছোট পিসি আপেলে কামড় মেরে আঁতকে উঠলেন, “আরে, পশ্চিমের জানলাটা বন্ধ করিসনি! তা’হলে আর তোর বাড়ি এসে কী লাভ হল?”
সে আবার কী!

“বুঝলি না? সকাল সকাল বোসগিন্নীর মড়াতাড়ানো চিৎকার শুনতে পাচ্ছি না, এই নিয়ে টানা তিনদিন হল, অথচ তেনাকে দিব্যি ছাদে দেখা যাচ্ছে রোজ… ভাব!”
-“তো কী হয়েছে?” কিচ্ছু না বুঝে ভ্যাবলার মত বললাম, “মেজাজ ভাল থাকতে নেই মানুষের? হয়ত কর্তা আজকাল দেখেশুনে বাজারপত্র আনছেন… আর এই বোসগিন্নীটাই বা কে?”
-“ঐইই যে দূরে হলদে রঙের ফ্ল্যাটটা দেখছিস, ওর চারতলায় থাকে। আমাদের পাশেই তো! আহা, তুই ছেলেমানুষ, এত বুঝবিনে”, ছোট পিসি চট করে একবার জানালা দিয়ে উঁকি মেরে পর্দাটা ফেলে দিলেন, “তোর এখান থেকে ওদের বারান্দাটা পষ্ট দেখা যায়, আজ বোসকর্তার ফতুয়াটা কেচে মেলেনি দেখচিস? বুঝলি এইবারে?” পিসি নিশ্চিন্তে খাটের ওপর দুই পা তুলে গুছিয়ে বসে চায়ে চুমুক দিলেন, “গিন্নীকে তো দেখা যাচ্ছে, কিন্তু কর্তা? কর্তাই যদি না থাকে, অ্যাঁ? চিল্লোবে কার ওপর?”
-“কর্তা আবার কোথায় যাবে?” বিরক্ত হয়ে বলি।
-“যাওয়ার জায়গার কি আর শেষ আছে রে তিলু! বোসগিন্নী যা খান্ডারনি, তার ওপরে আবার সারাক্ষণ আঁশবঁটি নিয়ে ঘোরে, মাথা গরম করে এক ঘা বসালেই…” ছোট পিসি সবলে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে পরলোকের পথে নিরুদ্দেশ হওয়া বোসবাবুর সম্মানে দেড় সেকেন্ডের নীরবতা রাখলেন, আমিও সেই সুযোগে দমাস করে জানালা বন্ধ করে গজগজ করতে করতে বললাম, “মাথাটা এক্কেবারে গেছে! এইসব হাবিজাবি না ভেবে একটু আঁকাটা নিয়ে বসতে পার তো, কবে থেকে বলছি। আজ এই ভরদুপুরে বেরিয়েছ কোন আক্কেলে?”
ছোট পিসি গালে হাত দিয়ে বললেন, “অবাক করলি তিলু! আমি না বেরলে কি একটা কাজ হওয়ার জো আছে? পোস্টাপিসে একটা কাজ ছিল – কী কাজ এখন ঠিক মনে পড়ছে না – নাকি গরম গরম ছানার মিষ্টি কিনতে বেরিয়েছিলুম, মোটকথা কিছু একটা ভীষণ জরুরী কাজ ছিল… তারপরেই দেখি…”
-“তুমি ফের লুকিয়ে লুকিয়ে মিষ্টি খাচ্ছিলে ছোপ্পিসী?” বেজায় রাগ করে বললাম, “পিসোন জানে? দাঁড়াও, এক্ষুনি ফোন করে…”
-“আরে সে বুড়োর কথা আর বলিস না তো”, ছোট পিসি খ্যাঁচম্যাচ করে উঠলেন, “বুড়ো বয়সে ভীমরতি ধরেছে, অধঃপাতে গেছে… এই বয়সে কোথা থেকে একটা ভরা পোয়াতি মেয়েকে বাড়িতে এনে তুলেছে, ছ্যাঃ ছ্যাঃ, আমি বলে এখনও আছি।”
-“বল কী!” ধপ করে সামনের ভাঙা মোড়াটাতেই বসে পড়লাম, “এ’সব কবে হল!”
-“তা’ আর বলছি কী? নেহাত এই অবস্থায় বের করে দিলে গৃহস্থের অকল্যাণ হবে তাই সয়ে আছি… তা সেই তেনার আজ গরম ছানার মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হয়েছে। বুড়োর শখ আছে, কিন্তু কাজের বেলায়? হুঁঃ! তাই তো বেরিয়েছিলাম মনে হচ্ছে, এই তোদের বাড়ির সামনের ক্ষণপ্রভা মিষ্টান্ন ভান্ডার থেকে কয়েকটা নরমপাকের সন্দেশ কিনেছি, এর মধ্যে দেখি…”
-“তুমি ওর মিষ্টি কিনতে বেরিয়েছ!” অবাক হতে হতে পিসোনের ওপর রাগটা দানা বাঁধতে গিয়েও থমকে গেল, সন্দেহের চোখে ছোট পিসির আপাদমস্তক জরিপ করে শুধোলাম, “তা সেই মিষ্টির বাক্সটা কই? খালি হাতেই তো ঢুকলে দেখলাম।”
-“এই যাঃ! তাড়াহুড়োয় তোদের দরজায় ফেলে এলাম রে তিলু!” পিসি হায় হায় করতে করতে দরজার দিকে ছুট মারেন, “তোদের ছাদে চোরটাকে দেখে ছুটে তোকে বলতে আসছিলাম, একা আছিস জানি… হায় হায়, চোরে কি আর রেখে যাবে রে!” ছোট পিসি বিলাপ করতে করতে ধাবমান হন, “এত টাকার মিষ্টি!”
-“চোর মানে?” চোখ কপালে তুলে আমিও পেছন পেছন ছুটি, “ও ছোপ্পিসী! ছাদে চোর মানে কী!”
-“আরে মিষ্টি কিনে তোদের ছাদের দিকে তাকাতেই তো দেখলাম চোরটাকে। মুশকো জোয়ান একটা, হাতে কী একটা সাঙ্ঘাতিক অস্ত্র মাথার ওপর তুলে ছাদে মারছিল… ভাবলাম ছাদ ভেঙে ঢুকছে বুঝি, যা দিনকাল! নেলো যে’ সব খারাপ খারাপ খবর বলে না, শুনলে…”, ছোট পিসি ততক্ষণে দরজার কাছে চলে এসেছেন, ত্রস্ত হাতে ছিটকিনি খুলতে খুলতে বললেন, “এদিকে তুই একা থাকবি, সেই সাবধান করতে তো ছুটে এলাম… কেন, বলিনি তোকে?”
দরজা খুলে মিষ্টির বাক্সটাকে পাওয়া গেল না বটে, কিন্তু ক্ষণপ্রভার নাম লেখা প্যাকেটটাকে ছিঁড়েখুঁড়ে পড়ে থাকতে দেখা গেল। ছোট পিসি হাহাকার করে বললেন, “মনে পড়ল, মেয়েটা ভালবাসে বলে মোড়ের সুখেন কেবিন থেকে মাংসও কিনেছিলাম বোধহয়… প্যাকেটে মাটন কষা নাকি পোস্টাপিসের পাসবই কি একটা জানি ছিল! ও হো হো! এমন ছিঁচকে চোর বাপের জন্মে দেখিনি, সিঁদকাটা না সেরেই খাবার খেতে আসে! ঐ… ঐ শোন ছাদে ধপ ধপ আওয়াজ হচ্ছে…” পিসি সিঁড়ির কাছে গিয়ে কান পাতলেন, “বোধহয় মিষ্টিগুলো সাবাড় করে আবার কাজে লেগেছে… ও কি তিলু, তুই আবার খালি হাতে গুঁড়ি মেরে কোথায় চললি!”
-“ধুত্তোর, চোর না হাতি”, ব্যাজারমুখে বললাম, “ছাদে মালী এসেছে, ফ্লাওয়ারবেডের জন্য মাটি বানাচ্ছে কোদাল দিয়ে। কিন্তু মিষ্টিগুলো গেল কোথায়? সদর দরজা বোধহয় তুমিই ঢুকে বন্ধ করেছ, এদিকে বিশ্বাসী লোক না হলে বাড়িতে কাজ করান মুশকিল… প্যাকেটে পাসবই থাকলে আরও ঝামেলা।“
-“মিষ্টি না থাকলে আরও ঝামেলা, আর কি গরম গরম পাওয়া যাবে রে!” আমার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সিঁড়ি টপকে উঠতে উঠতে ছোট পিসি গঞ্জনা দেন, “মালী লাগিয়েছিস যদি বা, একটু খোলসা করে বলতে পারিসনে? তোরা আজকালকার ছেলেপিলেরা যদি একটা কথা পোষ্কার করে বলিস বাপু, আদ্ধেক পেটে আদ্ধেক মুখে…”
ছাদে উঠতেই এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। হারান কোদাল ফেলে ঝুরো মাটির তলার প্যাকেট বের করে বিছিয়ে টান টান করে দিচ্ছে, তার ওপরে চিৎপাত হয়ে শোয়া এক রোগা হাকুচ কালো মা বিড়াল, বুকের কাছে পাঁচটা সাদা কালো মিশখয়েরি ল্যাংচা-চমচম বাচ্চা, মা তাদের চেটে পরিষ্কার করে দিচ্ছে। নরমপাক সন্দেশের প্যাকেটটা খোলা, একপাশে পড়ে রয়েছে, কয়েকটা ভাঙা সন্দেশের টুকরো ইতিউতি ছড়ান। হারান তাদের আশপাশ থেকে মাটি সরিয়ে দিচ্ছিল, আমাদের দেখে উঠে দাঁড়িয়ে একগাল হেসে বলল, “এই কিছুক্ষণ আগে হল দিদি, মুখে করে অতবড় মিষ্টির প্যাকেটটা টেনে ছাদে নিয়ে এল, বোধহয় খুব খেতে ইচ্ছে করছিল। এই সময়ে তো একটু ভালমন্দ খেতে ইচ্ছে করে! পিটুনিয়ার মাটি রেডি, কাল ঐদিকটা করে দিয়ে যাব, আজ এরা জিরোক।”
-“চল তোমার মিষ্টি কিনে দিই ছোপ্পিসী, মাইক্রোওয়েভে দশ সেকেন্ড গরম করে নিলেই আর তফাৎ বুঝতে পারবে না,” আমি বলতে যেতেই ছোট পিসি আকাশ থেকে পড়লেন,
-“আবার মিষ্টি কিসের! কী যে বলিস তিলু,” পিসি গজগজ করে বলে যান, “মেয়ে যে কখন আমার পেছন পেছন বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছে, সে কি আমার খেয়াল আছে? দরজা বন্ধ করেছি তখনও দেখিনি, কখন ফাঁক দিয়ে ঢুকে পড়েছে! ভাগ্যিস এইদিকটায় গাড়িঘোড়া নেই, নইলে এই শরীরে… যাক গে যাক, মিষ্টিটা ভাগ্যে তোর দরজায় ভুলেছিলাম, তাই তো সুধাময়ী খেতে পারল!”
-“সুধাময়ী!” আমি কোনক্রমে বললাম, “এই তোমার পোয়াতি মেয়ে!”
-“তোর পিসোনের কোন কাণ্ডজ্ঞান আছে?” ছোট পিসি ঝাঁঝিয়ে উঠলেন, “এই বয়সে এ’সব সামলানর ধকল পোষায়? কোত্থেকে একে তুলে নিয়ে এসেছেন, নাকি খেতে পাচ্ছে না, আবার ক’দিনে বাচ্চা হবে… এদিকে নিজে সামলাতে পারে না। আজ ফ্রিজ থেকে পচা মিষ্টি ফেলতে গিয়ে দেখি ইনি খুঁটে খাচ্ছেন, বল, আমার না বেরিয়ে উপায় আছে?”
-“তাই বলে ঠাম্মার নাম!”
-“কালোর মধ্যে চোখ ঝলসান রূপ ছিল রে তিলু… তপু হওয়ার সময় আমি তখন তিন বছরের”, ল্যাংচা চমচমগুলোকে আস্তে আস্তে তর্জনী বুলিয়ে দিচ্ছেন ছোট পিসি, “অত বড় সংসার সামলে নিজের শরীরের দিকে তাকানর সময় হত না। এখন মনে হয় আর একটু বড় হলে মা’য়ের যত্ন করতে পারতাম, মা’কে ঐ ভাবে চলে যেতে হত না।” পিসির চোখে মণিমুক্তো ঝিকিয়ে ওঠে, “একটা পরিষ্কার তোয়ালে আন দেখি, মেয়েকে না দেখতে পেলে বুড়ো আমাকে আস্ত রাখবে!”
-“তুমি আদৌ পোস্টঅফিসে গিয়েছিলে?” ঘোরতর সন্দেহের সঙ্গে বলি, ছোটপিসি ততক্ষণে সুধাময়ীর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে ফিচিক হেসে বলছেন, “সে তো মনে হয় সুখেন কেবিনেও যাইনি, তাতে কী? এখন যাওয়ার সময় ছ’ প্লেট মাটন কষা নিয়ে যেতে হবে। তোদেরও আজ নেমন্তন্ন।”
-“সুধাময়ী, তোমরা দু’জন, আমরা দু’জন” আমি কড় গুণে বললাম, “ছ’ প্লেট কেন?”
-“আহা, তোর মালী আছে না? ওর ফোন নম্বর নেই তোর কাছে? ওকে এসে এক প্লেট নিয়ে যেতে বলিস।” ছোট পিসি একটু ঘন হয়ে এসে গলা নামান, “ওর আবার হাতটান-ঠান নেই তো বাপু? আজকালকার যা অবস্থা, নেলো যে’সব কথা বলেটলে…”

নেতাজীনগর, কলকাতা ৯২

1 Comment

Avarage Rating:
  • 0 / 10
  • মোহাম্মদ কাজী মামুন , January 15, 2023 @ 6:03 pm

    জাস্ট ওয়াও! এও মনে হয় পার্ফেক্ট শব্দ নয় এরকম একটা রম্য রচনার জন্য! হিউমার, সাসপেন্স, ইঙ্গিত, গতিশীল ভাষা, বিশ্বস্ত সংলাপ – সব রয়েছে এতে। কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে এর অভিনবত্ব।
    “আহা, তোর মালী আছে না?” – এভাবে শেষ লাইন পর্যন্ট টান টান উত্তেজনায় টেনে রেখেছে পাঠককে।
    “অত বড় সংসার সামলে নিজের শরীরের দিকে তাকানর সময় হত না। এখন মনে হয় আর একটু বড় হলে মা’য়ের যত্ন করতে পারতাম, মা’কে ঐ ভাবে চলে যেতে হত না।” – এই সংলাপটুকুও যেন অনেক কিছু বোঝানোর জন্য।
    “বিরিয়ানিতে টমেটো সস মিশিয়ে খেলে তোমার পাপ হবে জ্যেঠিমা, পুরী গিয়ে জগন্নাথদেবের ছিচরণে টমেটো উচ্ছুগ্গো করে দিয়ে আসতে হবে
    বলি দিনরাত ড্রেন পোষ্কার করে যারা, তাদের গায়ের গন্ধ শুঁকিসনি” – রম্যের চুড়ান্ত বাহার।
    আমার কাছে মনে হয়, এমন যিনি লিখতে পারেন, তার হাতে ধরা রয়েছে বাংলা সাহিত্যের অনেক সম্পদ ভূমিষ্ঠ হবার প্রতীক্ষায়!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *