সাম্য- পঞ্চম
পরিচ্ছেদ- (১)
(২)
(৩)

[গত
কিস্তিতে যেমন কিছু কিছু তত্সম শব্দের (বিশেষতঃ সমাসবদ্ধ শব্দের)
অর্থ লেখা হয়েছিল, এবারে তা থেকে বিরত থাকছি। প্রথমতঃ ব্যাপারটি
বাহুল্য হ'তে পারে; এ ছাড়া পাঠক একটি 'চলন্তিকা' (অভিধান:
লেখক তথা সম্পাদক রাজশেখর বসু) সংগ্র্হ ক'রলে অনায়াসে প্রয়োজনমত
সহায়তা পেয়ে যাবেন। ৩০,০০০- এর উপর শব্দ সম্বলিত অভিধানটি
এক অমূল্য সম্পদ, যদিও দাম মাত্র ২২০ টাকা।
- পুষ্পেন্দু সুন্দর মুখোপাধায়
]
কথাটি আর এক প্রকারে বিচার
করিলে বুঝা যাইবে। স্ত্রীশিক্ষা বিধেয় কি না?
বোধ হয় সকলেই বলিবেন, "বিধেয় বটে"।
তার পর জিজ্ঞাস্য, কেন বিধেয়? কেহ বলিবেন না যে চাকরীর জন্য।
(খ) বোধ হয়, এতদ্দেশীয় সচরাচর সুশিক্ষিত লোকে উত্তর দিবেন যে,
স্ত্রীগণের নীতিশিক্ষা, জ্ঞানোপার্জ্জন, এবং বুদ্ধি মার্জ্জিত
করিবার জন্য, তাহাদিগকে লেখাপড়া শিখান উচিত।
তারপর জিজ্ঞাস্য যে, পুরুষগণকে বিদ্যাশিক্ষা করাইতে হয় কেন?
দীর্ঘকর্ণ দেশীয় গর্দ্দভশ্রেণী বলিবেন, চাকরির জন্য, কিন্ত্তু
তাঁহাদিগের উত্তর গণনীয়ের মধ্যে নহে। অন্যে বলিবেন, নীতিশিক্ষা,
জ্ঞানোপার্জ্জন, এবং বুদ্ধি মার্জ্জনের জন্যই পুরুষের লেখাপড়া
শেখা প্রয়োজন। অন্য যদি কোন প্রয়োজন থাকে, তবে তাহা গৌণ প্রয়োজন,
মুখ্য প্রয়োজন নহে। গৌণ প্রয়োজনও স্ত্রীপুরুষ উভয়ের পক্ষেই সমান।
অতএব বিদ্যাশিক্ষা সম্বন্ধে স্ত্রীপুরুষ উভয়েরই অধিকারের সাম্য
স্বীকার করিতে হইল। এ সাম্য সকলকেই স্বীকার করিতে হইবে, নচেত্
উপরিকথিত বিচারে কোথাও ভ্রম আছে। যদি এখানে সাম্য স্বীকার কর,
তবে অন্যত্র সে সাম্য স্বীকার কর না কেন? শিশুপালন, যথেচ্ছা
ভ্রমণ, বা গৃহকর্ম সম্বন্ধে সে সাম্য স্বীকার কর না কেন? সাম্য
স্বীকার করিতে গেলে, সর্ব্বত্র সাম্য স্বীকার করিতে হয়।
উপরে যে চারিটি সামাজিক
বৈষম্যের ইল্লেখ করিয়াছি, তন্মধ্যে দ্বিতীয়টি বিধবাবিবাহ সম্বন্ধীয়।
বিধবাবিবাহ ভাল কি মন্দ এটি স্বতন্ত্র কথা। তাহার বিবেচনার স্থল
এ নহে। তবে ইহা বলিতে পারি যে, কেহ যদি আমাদিগকে জিজ্ঞাসা করেন,
স্ত্রীশিক্ষা ভাল কি মন্দ, সকল স্ত্রীলোক শিক্ষিত হওয়া উচিত
কি না, আমরা তখনই উত্তর দিব, স্ত্রীশিক্ষা অতিশয় মঙ্গলকর; সকল
স্ত্রীলোক শিক্ষিতা হওয়া উচিত; কিন্ত্তু বিধবাবিবাহ সম্বন্ধে
আমাদিগকে কেহ সেরূপ প্রশ্ন করিলে আমরা সেরূপ উত্তর দিব না। আমরা
বলিব, বিধবাবিবাহ ভালও নহে, মন্দও নহে; সকল বিধবার বিবাহ হওয়া
কদাচ ভাল নহে, তবে বিধবাগণের ইচ্ছমত বিবাহে অধিকার থাকা ভাল।
যে স্ত্রী স্বাদ্ধী, পূর্ব্বপতিকে আন্তরিক ভাল বাসিয়াছিল, সে
কখনই পুনর্ব্বার পরিণয় করিতে ইচ্ছ করে না; যে জাতিগণের মধ্যে
বিধবাবিবাহ প্রচলিত আছে, সে সকল জাতির মধ্যেও পবিত্রস্বভাববিশিষ্টা,
স্নেহময়ী, স্বাদ্ধীগণ বিধবা হইলে কদাপি আর বিবাহ করে না। কিন্ত্তু
যদি কোন বিধবা, হিন্দুই হউন, আর যে জাতীয়া হউন, পতির লোকান্তর
পরে পুনঃপরিণয়ে ইচ্ছাবতী হয়েন, তবে তিনি অবশ্য তাহাতে অধিকারিণী।
যদি পুরুষ পত্নীবিয়োগের পর পুনর্ব্বার দরপরিগ্রহে অধিকারী হয়,
তবে সাম্যনীতির ফলে স্ত্রী পতিবিয়োগের পর অবশ্য, ইচ্ছা করিলে,
পুনর্ব্বার পতিগ্রহণে অধিকারিণী। এখানে জিজ্ঞাসা হইতে পারে,
যদি পুরুষ পুনর্ব্বিহাহে অধিকারী হয়, তবেই স্ত্রী অধিকারিণী,
কিন্ত্তু পুরুষেরই কি স্ত্রী বিয়োগান্তে দ্বিতীয় বার বিবাহ উচিত?
উচিত, অনুচিত, স্বতন্ত্র কথা; ইহাতে ঔচিত্যানৌচিত্য কিচুই নাই;
কিন্ত্তু মন্ষ্যমাত্রেরই অধিকার আছে, যে যাহাতে অন্যের অনিষ্ট
নাই, এমত কার্যমাত্রই প্রবৃত্তি অনুসারে করিতে পারে। সুতরাং
পত্নীবিযুক্ত পতি, এবং পতিবিযুক্ত পত্নী ইচ্ছা হইলে পুনঃপরিণয়ে
উভয়েই অধিকারী বটে।
অতএব বিধবা বিবাহে অধিকারিণী
বটে। কিন্ত্তু এই নৈতিক তত্ত্ব অদ্যাপি এদেশে সচরাচর স্বীকৃত
হয় নাই। যাঁহারা ইংরেজী শিক্ষার ফলে, অথবা বিদ্যাসাগর মহাশয়ের
বা ব্রাহ্ম ধর্মের অনুরোধে ইহা স্বীকার করেন, তাঁহারা ইহাকে
কার্যে পরিণত করেন না। যিনি বিধবাকে বিবাহে অধিকারিণী বলিয়া
স্বীকার করেন, তাঁহাদেরই গৃহস্থা বিধবা বিবাহার্থ ব্যাকুলা হইলেও
তাঁহারা সেই বিবাহে উদ্যোগী হইতে সাহস করেন না। তাহার কারণ,
সমাজের ভয়। তবেই, এই নীতি সমাজে প্রবেশ করে নাই। অন্যান্য সাম্যাত্মক
নীতি সমাজে প্রবৃষ্ট না হওয়ার কারন বুঝা যায়; বিধানের কর্ত্তা
পুরুষজাতি সে সকলের প্রচলনে আপনাদিগকে অনিষ্টগ্রস্ত বোধ করেন,
কিন্ত্তু এই নীতি এ সমাজে কেন প্রবেশ করতে পারে না, তাহা তত
সহজে বুঝা যায় না। ইহা আয়াসসাধ্য নহে; কাহারও অনিষ্টকর নহে,
এবং অনেকের সুখবৃদ্ধিকর। তথাপি ইহা সমাজে পরিগৃহিত হইবার লক্ষণ
দেখা যায় না। ইহার কারণ, সমাজ লোকাচারের অলঙ্ঘনীয়তাই বোধ হয়।
আর একটি কথা আছে। অনেকে
মনে করেন যে, চিরবৈধব্য বন্ধনে, হিন্দু মহিলাদিগের পাতিব্রত্য
এরূপ দৃঢ়বদ্ধ যে, তাহার অন্যথা কামনা করা বিধেয় নহে। হিন্দু
স্ত্রীমাত্রেই জানেন যে, এই এক স্বামীর সঙ্গে সঙ্গে তাঁহার সকল
সুখ যাইবে, অতএব তিনি স্বামীর প্রতি অনন্ত ভক্তিমতী। এই সম্প্রদায়ের
লোকের বিবেচনায় এই জন্যই হিন্দুগৃহে দাম্পত্যসুখের এত আধিক্য।
কথাটি সত্য বলিয়াই না হয় স্বীকার করিলাম। যদি তাই হয়, তবে নিয়মটি
একতরফা রাখ কেন? বিধবার চিরবৈধব্য যদি সমাজের মঙ্গলকর হয়, তবে
মৃতভার্য পুরুষের চিরপত্নীহীনতা বিধান কর না কেন? তুমি মরিলে,
তোমার স্ত্রীর আর গতি নাই, এজন্য তোমার স্ত্রী অধিকতর প্রেমশালিনী;
সেইরূপ তোমার স্ত্রী মরিলে, তোমারও আর গতি হইবে না, যদি এমন
নিয়ম হয়, তবে তুমিও অধিকতর প্রেমশালী হইবে। এবং দাম্পত্যসুখ,
গার্হস্থ্যসুখ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাইবে। কিন্ত্তু তোমার বেলা সে
নিয়ম খাটে না কেন? কেবল, অবলা স্ত্রীর বেলা সে নিয়ম কেন?
তুমি বিধানকর্ত্তা পুরুষ, তোমার সুতরাং পোয়াবারো। তোমার বাহুবল
আছে, সুতরাং তুমি এ দৌরাত্ম্য করতে পার। কিন্ত্তু জানিয়া রাখ
যে, এ অতিশয় অন্যায়, গুরুতর, এবং ধর্মবিরুদ্ধ বৈষম্য।
৩য়) কিন্ত্তু পুরুষের যত
প্রকার দৌরাত্ম্য আছে, তন্মদ্ধে আমাদিগের উল্লিখিত তৃতীয় প্রস্তাব,
অর্থাত্ স্ত্রীগণকে গৃহমধ্যে বন্যপশুর ন্যায় বদ্ধ রাখার অপেক্ষা
নিষ্ঠুর, জঘন্য অধর্ম্যপ্রসূত বৈষম্য আর কিছুই নাই। আমরা চাতকের
ন্যায় স্বর্গমর্ত্য বিচরণ করিব, কিন্ত্তু ইহারা দেড় কাঠা ভূমির
মধ্যে, পিঞ্জরে রক্ষিতার ন্যায় বদ্ধ থাকিবে। পৃথিবীর আনন্দ,
শিক্ষা, কৌতুক, যাহা কিছু জগতে ভাল আছে, তাহার অধিকাংশে বঞ্চিত
থাকিবে। কেন? হুকুম পুরুষের।
এই প্রথার ন্যায়বিরুদ্ধতা এবং অনিষ্টকারিতা অধিকাংশ শিক্ষিত
ব্যক্তিই এক্ষণে স্বীকার করেন, কিন্তু স্বীকার করিয়াও তাহা লঙ্ঘন
করিতে প্রবৃত্ত নন। ইহার কারণ, অমর্যাদা ভয়। আমার স্ত্রী, আমার
কন্যাকে অন্যে চর্মচক্ষে দেখিবে। কি অপমান। কি লজ্জা। আর তোমার
স্ত্রী, তোমার কন্যাকে যে পশুর ন্যায় প্শ্বালয়ে বদ্ধ রাখ, তাহাতে
কিছু অপমান নাই? কিছু লজ্জা নাই? যদি না থাকে, তবে তোমার মানাপমান
বোধ দেখিয়া, আমি লজ্জায় মরি।
জিজ্ঞাসা করি, তোমার অপমান, তোমার লজ্জার অনুরোধে, তাহাদিগের
উপর পীড়ন করিবার তোমার কি অধিকার? তাহারা কি তোমারই মানরক্ষার
জন্য, তোমার তৈজসপত্রাদিমধ্যে গণ্য হইবার জন্য দেহ ধারণ করিয়াছিল?
তোমার মান অপমান সব, তাহাদের সুখ দুঃখ কিছুই নহে?
আমি জানি, তোমরা বঙ্গললনাগণকে
এরূপ তৈয়ার করিয়াছ যে, তাহারা এখন আর এই শাস্তিকে দুঃখ বলিয়া
বোধ করে না। বিচিত্র কিছুই নহে। যাহাকে অর্দ্ধভোজনে অভ্যস্ত
করিবে, প্রিশেষে সে সেই অর্দ্ধভোজনেই সন্ত্তুষ্ট থাকিবে, অন্নভাবকে
দুঃখ ম্নে করিবে না। কিন্ত্তু তাহাতে তোমার নিষ্ঠুরতা মার্জ্জনীয়
হিল না। তাহারা সম্মত হউক, অসম্মতই হউক, তুমি তাহাদিগের সুঝ
ও শিক্ষার লাঘব করিলে, এজন্য তুমি অনন্ত কাল মহাপাপী বলিয়া গণ্য
হইবে।
আর কতকগুলি মুর্খ আছেন, তাঁহাদিগের শুধু এইরূপ আপত্তি নহে। তাঁহারা
বলেন যে, স্ত্রীগণ সমাজমধ্যে যথেচ্ছা বিচরণ করিলে দুষ্টস্বভাব
হইয়া উঠিবে, এবং কুচরিত্র পুরুষগণ অবসর পাইয়া তাহাদিগকে ধর্ম্মভ্রষ্ট
করিবে। যদি তাঁহাদিগকে বলা যায় যে, দেখ, ইউরোপাদি সভ্যসমাজে
কুলকামিনীগণ যথেচ্ছা সমাজে বিচরণ করিতেছে, তন্নিবন্ধন কি ক্ষতি
হইতেছে? তাহাতে তাঁহারা উত্তর করেন যে, সে সকল সমাজের স্ত্রীগণ,
হিন্দুমহিলাগণ অপেক্ষা ধর্ম্মভ্রষ্ট এবং কলুসিত স্বভাব বটে।
ধর্ম্মরক্ষার্থ যে স্ত্রীগণকে
পিঞ্জরাবদ্ধ রাখা আবশ্যক, হিন্দুমহিলাগণের এরূপ কুত্সা আমরা
সহ্য করতে পারি না। কেবল সংসারে লোকসহবাস করিলেই তাহাদিগের ধর্ম্ম
বিলুপ্ত হইবে, পুরুষ পাইলেই তাহারা কুলধর্ম্মে জলাঞ্জলি দিয়া
তাহার পিছু পিছু জুটিবে, হিন্দু স্ত্রীর ধর্ম্ম এরূপ বস্ত্রাবৃত
বারিবত্ নহে। যে ধর্ম্ম এরূপ বস্ত্রাবৃত বারিবত্, সে ধর্ম্ম
থাকা না থাকা সমান-- তাহা রাখিবার জন্য এত যত্নের প্রয়োজন কি?
তাহার বন্ধনভিত্তি উন্মূলিত করিয়া নূতন ভিত্তির পত্তন কর।
৪র্থ) আমরা চতুর্থ বৈষম্যের উল্লেখ করিয়াছি, অর্থাত্ পুরুষগণের
বহুবিবাহে অধিকার, তত্সম্বন্ধে অধিক লিখিবার প্রয়োজন নাই।
এক্ষণে বঙ্গবাসী হিন্দুগণ বিশেষরূপে বুঝিয়াছেন যে, এই অধিকার
নীতিবিরুদ্ধ। সহজেই বুঝা যাইবে যে, এ স্থলে স্ত্রীগণের অধিকার
বৃদ্ধি করিয়া সাম্য সংস্থাপন করা সমাজসংস্কারকদিগের উদ্দেশ্য
হইতে পারে না; পুরুষগণের অধিকার কর্ত্তন করাই উদ্দেশ্য; কারণ,
মনুষ্যজাতিমধ্যে কাহারই বহুবিবাহে অধিকার নীতিসঙ্গত হইতে পারে
না (গ)। কেহই বলিবে না যে, স্ত্রীগণও পুরুষের ন্যায় বহুবিবাহে
অধিকারিণী হউন; সকলেই বলিবে, পুরুষেরও স্ত্রীর ন্যায় একমাত্র
বিবাহে অধিকার। অতএব, যেখানে অধিকারটি নীতিসঙ্গত, সেইখানে সাম্য
অধিকারকে সম্প্রসারিত করে, যেখানে কার্যাধিকারটি অনৈতিক, সেখানে
উহাকে কর্ত্তিত এবং সঙ্কীর্ণ করে। সাম্যের ফল কদাচ অনৈতিক হইতে
পারে না। সাম্য এবং স্বানুবর্ত্তিতা, এই দুই তত্ত্বমধ্যে সমুদায়
নীতিশাস্ত্র নিহিত আছে।
এই চারিটি বৈষম্যের উপর
আপাততঃ বঙ্গীয় সমাজের দৃষ্টি পড়িয়াছে। যাহা অতি গর্হিত, তাহারই
যখন কোন প্রতিবিধান হইতেছে না, তখন যে অন্যান্য বৈষম্যের প্রতি
কটাক্ষ করিলে কোন উপকার হইবে, এমত ভরসা করা যায় না। আমরা আর
দুই একটি কথার উথ্থাপন করিয়া ক্ষান্ত হইব।
বঙ্কিমচন্দ্র
চট্টোপাধ্যায়
(চলবে)
- (খ) সাম্যবাদী বলেন, চাকরির
জন্যও বটে।
- (গ) কদাচিত্ হইতে পারে বোধ হয়। যথা, অপুত্রক রাজা, অথবা যাহার
ভার্যা কুষ্ঠাদি রোগগ্রস্ত। বোধ হয় বলিতেছি, কেন না, ইহা স্বীকার
করিলে পুরুষের বিপক্ষেও সেইরূপ ব্যবস্থা করিতে হয়। বস্তুতঃ বহুবিবাহ(এর)
পক্ষে দুই একটা কথা আছে, কিন্ত্তু আমার বিবেচনায় বহুবিবাহ এমন
কদর্য প্রথা যে, সে সকল কথার উল্লেখ মাত্রেও অনিষ্ট আছে।
(আপনার
মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)