গৌরীবিহীন এক চালচিত্র

সরল জীবনের একটি সাংস্কৃতিক চালচিত্র ছিল আমাদের ছোটোবেলায়। সেই চালচিত্র আটপৌরে কিন্তু অনন্য। নীল আকাশে সাদা রঙের পেঁজা মেঘ, সবুজ মাঠে কিংবা নদীর তীরে কাশফুলের মতো সহজ অথচ অনন্য শরতের চিত্র যেমন নির্মল এবং ধনী, তেমন নিখাদ। আমাদের মুগ্ধ হওয়া, ভালোলাগা, বেড়ে ওঠা সেই চালচিত্র নিয়ে। সে যেন আমাদের সহজ জীবনের প্রতিচ্ছবি। আমাদের প্রিয় মানুষ, প্রিয় ব্যক্তিত্ব, নক্ষত্র, আকাশ জুড়ে জুড়ে সবটুকুর কোলাজ যেন যেই প্রেক্ষাপট! যখন থেকে জৌলুস এল, আমরা তখন একটু বড়ো, দেখনদারির ব্যাপারটাই মস্ত হল, তখন থেকে সেই চালচিত্র ধূসর, মনের এককোনে কুঠুরিতে সে বন্দি। তখন ততটা বুঝিনি, আজ বুঝতে পারি সেই চালচিত্র কতখানি অমূল্য আর কতখানি দুর্লভ। এখনকার চালচিত্রে সবটুকুই খারাপ নয় কিন্তু বড্ড বাছতে হয়, খাঁটি, ভেজাল, জল মেশানো। সরল, সহজ অথচ উৎকৃষ্ট শিল্পের প্রতি মানুষের আকর্ষণ কমেছে। তাই ওই চালচিত্র জুড়ে যে মানুষগুলো ছিলেন তাঁরা নিজস্বতায়, ব্যক্তিত্বে, উৎকর্ষে সর্বোত্তম, এবং এই পাঁচমিশেলি সময়ে তাঁরা আদতেই ভ্যাবাচাকা খেয়ে একা, বয়সের ভারে ন্যুব্জ এবং তারপর ক্রমশ কালের গর্ভে মিলিয়ে যাওয়াই যেন তাঁদের নিয়তি!
প্রাচীন আর নবীনে এই তর্ক লেগে থাকে আজীবন… এই যুগ ভালো না ওই যুগ… কিন্তু আমি তো প্রাচীন নই আবার একাবারে কচি নবীনও নই তবু সরলতার কিছু প্রান্ত ছুঁয়ে থাকতে ইচ্ছে হয়। এই যে স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত চলে গেলেন, তারপর গৌরী ঘোষ… তাঁদের গুণের পরশ তাঁদের মেধায়, অন্তরে, কাজে, চোখের দীপ্তিতে কিন্তু বহিরঙ্গে আটপৌরে, মায়ের মতো এক সৌম্য আকর্ষণ তাঁদের জড়িয়ে থাকত। কী বিপুল কর্মকান্ড, কত রকমের গুণ অথচ বহিরঙ্গে সে প্রকাশ মার্জিত, সাদামাটা। এই ব্যাপারগুলো ওঁদের চরিত্রে ছিল আর এগুলোই আকর্ষণ করত আমায়। সাদা বা হালকা রঙের ধনেখালি শাড়িতে অসম্ভব এক দীপ্তি এবং পরম ধনে পূর্ণ গৌরী ঘোষ যখন আবৃত্তি করতেন তখন সমগ্র মগ্নতা থাকত তাঁর পাঠের প্রতি।
আমাদের ছোটোবেলায় এঁরাই ছিলেন ওই নিজস্ব চালচিত্র জুড়ে। এঁরাই স্টার। কারণ বাবা মা এঁদের পাঠ, অনুভব, কথা মন দিয়ে শুনতেন। আমাদের আগের প্রজন্ম তো রেডিওর যুগে বড়ো হয়েছেন। তাঁরা বোঝেন শোনার গুরুত্ব। শুনে শুনে কল্পনার ছবি আঁকা। শিল্পীর মুখ, কিংবা অভিনীত চরিত্রের মুখ, কিংবা বাচিক শিল্পীর চেহারা আর কবির ছবি কিছুই তাদের কাছে উদ্ভাসিত ছিল না খুব সহজে। পরে অবশ্যই দেখেছেন, জেনেছেন, কিন্তু তাঁর আগে শুনেছেন সব কিছু মন দিয়ে। ক্রিকেটের কমেন্ট্রি থেকে প্রাত্যহিকী সমস্তটাই। তাই বলার আগে শোনা আর লেখার আগে পড়ার গুরুত্ব ওঁরা বোঝেন। আমরা প্রথম প্রথম বুঝতে চাইনি সে আলাদা। কিন্তু পরবর্তীকালে ওঁদের ভালোলাগাগুলো চারিত হল, আমাদেরও ওই বলিষ্ঠ অথচ অকৃত্রিম উচ্চারণ, বাচন ভঙ্গি ভালো লেগে গেল। মুগ্ধতা তখন থেকেই। অতিনাটকীয় প্রকাশ, অতিরিক্ত আবেগের অনিয়ন্ত্রণ তখন হ্রাস পেতে শুরু করেছে। আর কবিতা মর্মে প্রবেশ করছে পঠন ও শ্রবণের মধ্য দিয়ে। টিভির অনুষ্ঠানে, প্রেক্ষাগৃহে, ক্যাসেটে, রেকর্ডে কিংবা রেডিওয় এই গলাটি কানে লেগে গেল, প্রাণেও। এই তো সেদিন, তিনি চলে যাওয়ার দিনে দূরদর্শন পুরনো অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হল… গৌরী ঘোষ নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘একদিন এইসব হবে, তাই’ আবৃত্তি করলেন, কী স্মার্ট সেই উচ্চারণ! অনেকে মনে করেন যে কোনো কবিতা আবৃত্তি করা যায় না, আবৃত্তির জন্য কবিদের লিখতে হবে সেইসব কবিতা যেখানে নাটকীয়তা থাকবে, থাকবে আবেগের আতিশয্য! তাঁরা কি গৌরী ঘোষ, পার্থ ঘোষ শোনেননি? এঁরা রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ, শক্তি-সুনীল, নীরেন্দ্রনাথ, অরুণ মিত্র সবই তো অনায়াসে আবৃত্তি করতেন, কবিতার মেজাজের, এবং বাচনের নিজস্বতা বজায় রেখে! গৌরী ঘোষ নিজেও বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলেছেন শোনার কথা। শুনে শুনে শেখার কথা। তাঁর পারিবারিক প্রভাব অনেকখানি জুড়েই ছিল। মা, বাবা, দাদার শুদ্ধ উচ্চারণ তাঁর মধ্যেও এসেছে। মা প্রচুর পড়তেন, কবিতা, গল্প সব। মুখস্থ থাকত কবিতা। মা রান্না বসিয়ে এসেও বই হাতে নিয়ে পড়ে নিচ্ছেন কয়েক পাতা এমন ঘটনা রোজই ঘটত। দাদার অভিনয় এবং অসম্ভব সুন্দর গানের গলার কথা বলতে গিয়ে গৌরী ঘোষ হয়ে পড়েন আবেগ তাড়িত। তারপর রেডিওয় দেবদুলাল বন্দোপাধ্যায়, বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের পরিশীলিত উচ্চারণ তাঁর উপর বিরাট প্রভাব ফেলেছিল। শুনে শেখা ও কবিতা পড়ে অনুভব করার মধ্যেই শিক্ষা সুপ্ত থাকে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কবিতা পাঠের অনুভব বদলে যায়, সঙ্গে সঙ্গে বদল ঘটে নিবেদনে। এও তিনি উপলব্ধি করেছেন শেষ দিন অবধি।

 

গৌরী ও পার্থ ঘোষ
গৌরী ঘোষ

কখনও প্রয়োজন হয়নি নেপথ্যে সুরের আয়োজন। এখনও আমার বাড়তি মনে হয় কবিতায় সুরের ঘেরাটোপ। অপ্রয়োজনীয় কিছু গুঁজে মেদবহুল করে দেওয়া মানেই মূল শিল্পের স্বকীয়তা নষ্ট করে দেওয়া। গৌরী ঘোষের উচ্চারণের বলিষ্ঠতা, স্পষ্টতা, স্বরক্ষেপণ সবই অসাধারণ ছিল! প্রয়োজন হয়নি সুর কিংবা কবিতার ভাব অনুযায়ী কবিতার ভিডিও… ফুল, পাতা, পাহাড়, নদীর ছবি যা (বা যারা) বুঝিয়ে দেবে কবিতার নিহিত অর্থ। শ্রোতা কি এতটাই অপারগ! এতটাই অসমর্থ কাব্যরস আস্বাদনে? কবিতাকে করে তুলতে হবে হয় নাটক নয় সিনেমা? এসবের আধিক্য দেখলেই নিজের অজান্তেই দিয়ে ফেলি গৌরী ঘোষের উদাহরণ! সঠিক অনুশীলন, চর্চা, বিষয়টিতে ব্যুৎপত্তি তাঁকে পৌঁছে দিয়েছিল দৃষ্টান্তে। মনে হয় কই তাঁর তো এসব প্রয়োজন হয়নি অথচ সেসব উচ্চারণ মনে রয়ে গেছে আজও। সাবলীল উপস্থাপন। আর বাচিক শিল্পীরাও যে স্টার হতে পারেন সে তো তাঁরা প্রমাণ করে দিয়েছেন খাঁটি শিল্পের প্রতি অনুগত থেকেই। শিল্পের প্রতি এই নির্ভেজাল আনুগত্য, স্বকীয়তা ও কবিতাকে একটি স্বতন্ত্র মাধ্যম হিসেবে উপস্থাপনের মধ্যে যে দৃঢ়তা ছিল তা বড়ো প্রিয় আমার এবং আরও অনেক শ্রোতার। অন্তরের ওই পূর্ণতা আমি দেখতে পেতাম তিনি যখন কবিতা বা কথা বলতেন! বহিরঙ্গ নিমিত্তমাত্র। যেন আপন কেউ, পাশে বসে বলছেন কবির লালিত বাণী পরম যত্নে। তাঁর কন্ঠে থেকে উঠে আসা কুন্তীর মমত্ব, আকুতি, হতাশা, হাহাকার সবটুকুই মরমে পৌঁছে যাচ্ছে, ছবি, সুর, গান কিচ্ছু প্রয়োজন নেই। এইটুকুই তো নিখুঁত সুরে বাঁধা। শিল্পের প্রতি শিল্পীর পবিত্র বন্ধন। শান্ত হয়ে এক জায়গায় বসে আবৃত্তি করে যাচ্ছেন একের পর এক কবিতা। এই ছবি অমলিন। পরনে হালকা বা সাদা রঙের তাঁতের শাঁড়ি। কপালে টিপ। স্মিত মুখ। অথচ শব্দগুলি ভারি গভীর। এই দৃশ্য জুড়ে রয়েছে অন্তরের অন্তস্থলে। সরস্বতীর ছবিগুলি এরকমই হয়। কারো কারো কল্পনায় এরকমই হয়। এই লেখা যারা পড়বেন তাদের অনেকেরই এইরকম সহজিয়া অথচ সমৃদ্ধ শিল্পের ছবি দেখলেই নিশ্চয় মনে হবে, ওই তো সরস্বতী! কোনো গায়িকা, কোনো বাচিক শিল্পী, কোনো নৃত্য শিল্পী, কোনো অভিনেত্রী যখন নিবেদিত থাকেন নিজ শিল্পে আমাদের মনে ওইরকম গুণময়ী দেবীর ছবিই ফুটে ওঠে।
এখন খুব তাড়াতাড়ি বদলে দিচ্ছে প্রযুক্তি। প্রযুক্তি আসুক, সঙ্গে থাকুক প্রাণ। প্রাণ ছাড়া কাঠামো জুড়ে প্রযুক্তি যতই তার কেরামতি দেখাক সব মিথ্যে হয়ে যায়। শিল্পের অস্তিত্ব থাকে প্রাণে, নির্মাণে যেন প্রাণ থাকে। প্রযুক্তি সহজলভ্য বলে যখন তখন যা ইচ্ছে মতো যুক্ত করে দেওয়া যায় না, সুখকর হয় না সে অভিজ্ঞতা শ্রবণে বা অনুভবে। শিল্পের শর্তই হচ্ছে তার প্রাণের ঐশ্বর্য রক্ষা করা। পাঠের প্রাপ্তি যেন একান্ত থাকে, সমগ্রকে বিমোহিত করার জাদু পাঠে নেই কিন্তু জাদু তার প্রকাশভঙ্গিতে আছে। গৌরী ঘোষ কবিতায় প্রাণ নিয়ে আসতেন। তাঁর চলে যাওয়ার পরে অনেক সাক্ষাৎকারে শুনছি, শ্রদ্ধা জানিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিচ্ছেন তাঁর অনুজরা, জানছি আরো নিবিড়ভাবে। তাঁর হৃদয় ছিল বিপুল, ছোটোদের প্রশংসা, অনুজদের আপন করে নিতে পারতেন সহজেই। প্রাণের সাড়া থাকত কথায়, আচরণে, রোজের জীবনে। অনেক শিল্পী দূর থেকে দাঁড়িয়ে অবলোকন করেন জগৎ, পারিপার্শ্বিক চেতনা, তাঁর প্রতি অন্যের গুণমুগ্ধতা। তাদের শিল্প আমাদের কাছের হয়ে যায় কিন্তু মানুষটা থেকে যান দূরেই। আবার কেউ কেউ দূরের বস্তুকে কাছের করে দেন একেবারে অনায়াস ভঙ্গিতে। আর মানুষটাকে মনে হয় এই তো কত চেনা! এমন মানুষের প্রতি আলাদা আকর্ষণ থাকেই। সম্ভ্রমও।

ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘অসুখ’ ছবিতে ছোটো চরিত্রে গৌরী ঘোষকে দেখে চমকে উঠেছিলাম। অসুস্থ মায়ের চরিত্রে। দেবশ্রী রায় ছিলেন মুখ্য ভূমিকায় আর মায়ের চরিত্রে গৌরী ঘোষ। বাবার চরিত্রে সৌমিত্র চট্টোপাপাধ্যায়। ছোটো চরিত্র তাঁর কিন্তু অসুস্থ মায়ের অসহায় অভিব্যক্তি, বিছানায় শুয়ে থাকা, নার্সিং হোমের বেডে তাঁর রুগ্ন ম্লান মুখ দেখে বুকটা মুচড়ে উঠেছিল। যখনই তাঁর অসুস্থতার কথা শুনেছি তখনই মনে পড়েছে ওই ছবিতে তাঁর অভিনীত ‘গীতা’ চরিত্রটার কথা। সেই দৃশ্যটার কথাও মনে পড়ে, যখন তিনি সুস্থ খানিক তখন স্নেহশীলা মায়ের যে রূপ, কন্যা নামী চিত্রতারকা, তাঁর অটোগ্রাফ যোগাড় করে দেবেন কথা দিয়েছিলেন তাই নার্সদের দাবি মেটাতে কতটা আন্তরিক তিনি। রোগশ্যায় থাকা চরিত্রটির আন্তরিকতা একাত্ম করে দেয় আমাদের। গৌরী ঘোষের দাদা রবীন মজুমদার এর কথা মনে পড়ে যায়। উত্তমকুমার পূর্ববর্তী যুগে তিনি ছিলেন ম্যাটিনি আইডল। গায়ক-নায়ক। দাদার স্টারডমের উত্থান পতন বোনের চোখের সামনেই হয়েছে। পিতা মেনে নেননি এমন মেধাবী গুণী পুত্রের অভিনয়কে পেশা হিসেবে গ্রহণ করা। সেসব দ্বন্দ্ব গৌরী ঘোষ দেখেছেন। তিনি অন্য বলয়ে স্বকীয় উচ্চতায় বিচরণ করেও ছুঁয়ে গেছেন পরবর্তীকালে অল্প বিস্তর অগ্রজের বলয়।
প্রসঙ্গত ‘অসুখ’ ছাড়াও আরো একটি ছবির কথা মনে পড়ছে। ‘আত্মজ’। পরিচালক ছিলেন নব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়। ছোটবেলায় দেখা, তবু মনে আছে মায়ের আর কনিষ্ঠ পুত্রের ভিন্ন আদর্শ সংক্রান্ত মতবিরোধ এবং দূরত্ব। বড়ো ছেলে রাজনৈতিক কর্মী। পুলিশের গুলিতে তার প্রাণ যায়। পরবর্তীকালে পুত্রপ্রতিম একই রাজনৈতিক আদর্শে লালিত বিদ্যুতকে আপন করে নেন সুজাতা। সুজাতার চরিত্রে খুব মানিয়েছিল গৌরী ঘোষকে। ঐ ব্যক্তিত্ব, ঋজু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য রেখাপাত করেছিল। নিজের শর্তে বাঁচার তাগিদে আত্মজ হয়ে ওঠে অপরজনেরা, বিদ্যুৎ এবং অজয়ের বাগদত্তা রত্নাকে আপন করে নেন সুজাতা। ছোটো ছেলের বাড়ি ছেড়ে অনির্দিষ্ট ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলেন তিনি।
প্রথম জীবনে গৌরী ঘোষ ছিলেন বেতারের ঘোষিকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিয় বন্ধু পার্থ ঘোষও ওই পেশাতেই প্রবেশ করেছিলেন, একই সঙ্গে। তারপর জুটি বেঁধে যৌথ সফর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা, আবৃত্তি, শ্রুতিনাটক, রেকর্ড, ক্যাসেট এবং সর্বোপরি জীবন সমগ্রটাই তো ছিল একে অপরের সঙ্গে জোড় বেঁধে, ছন্দে, লয়ে আনন্দ যাপন। এতদিন পর ছন্দপতন। মৃত্যু ছিন্ন করে দিল এতদিনের এমন শিল্প সুষমায় লালিত জনপ্রিয় জুটি। পুজোর আগেই বিসর্জন। হ্যাঁ, এইবারের শরতে বাকি সব অনুষঙ্গ থাকলেও আসলে রিক্ত, কারণ এবারের শরৎ গৌরী বিহীন।

ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘অসুখ’ ছবিতে
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস নিয়ে পড়াশোনা। যাদবপুর থেকেই স্প্যানিশ ভাষা এবং মাস কমিউনিকেশনে ডিপ্লোমা। লেখালেখির প্রতি ঝোঁক ছিলই কিন্তু পরবর্তীকালে লেখাটাই জীবন জুড়ে। আনন্দবাজার পত্রিকা, দি ওয়াল, এশিয়ানেট বাংলা, আরেক রকম, বিতর্ক, ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম, পান্থজন, ষান্মাসিক রবীন্দ্রনাথ, এবং সইকথা, কবিতাউৎসব, রংরুট, দক্ষিণের জানালা, পূর্বাশা এখন, গুটিপোকার সুতো, বাতিঘর অনলাইন, প্রবচন পত্রিকা, ব্যারাকপুর স্টেশন পত্রিকা, মকটেল পত্রিকা, পেট্রোনাস, রা প্রকাশনের অভয়া, রায়ান, অভিব্যক্তি নিউ জার্সি, উদ্ভাস, ও কলকাতা, সৃজন ব্লগজিন, তিতিক্ষা প্রভৃতি পত্র পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়েছে। ভালোবাসেন লিখতে, পড়তে, বেড়াতে, সিনেমা দেখতে আর আড্ডা মারতে। প্রকৃতির কাছে উদারতা শেখেন আর মানুষের কাছে খোঁজেন গল্প। দেবব্রত বিশ্বাস আর মহম্মদ রফির গান তাঁর সুখ দুঃখের সহচর। আবেগ আর রোমান্সে ভরপুর সমর্পিতা সবচেয়ে ভালোবাসেন বাংলা অক্ষর।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *