নেশা

নেশা

বিশুর চায়ের দোকানের সামনেই যে সিমেন্টের লম্বা বাঁধানো বেঞ্চ সেখানে বসে আমি আর সেনদা সিগারেট খাচ্ছিলাম। বেঞ্চের শেষ মাথায় বসে একটি অল্প বয়সি মেয়েও সিগারেট খাচ্ছিল। আমরা দু’জন ফুঁকছিলাম ছোট গোল্ডফ্লেক আর ও টানছিল কিং সাইজের কোন লম্বা সিগারেট। সেনদা আমার থেকে বয়সে বছর আষ্টেকের বড়। সিগারেট খেতে খেতে উনি বার বার তাকাচ্ছিলেন মেয়েটির দিকে, তারপর এক সময় দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বললেন, “কী দিনকাল পড়েছে ভট্‌চাজ মশাই, দেখুন কীভাবে লম্বা সিগারেট টেনে যাচ্ছে মেয়েটা। চোখমুখ দেখে তো মনে হচ্ছে বাঙালি মেয়ে।”

আমি বললাম, “দেখুন সেনদা এরা সব এমএনসিতে কাজ করে, বছরে পনের বিশ লাখ টাকার প্যাকেজ পায়, বারো থেকে আঠারো ঘণ্টা ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করে। ব্যাটা ছেলেদের থেকে কোন অংশে কম নয় এরা। ওদেরওতো একটু রিলাক্সেশন দরকার। সিগারেট, ওয়াইন খেলে ক্ষতি কি?”

সেনদা বললেন, “হুম”, তারপর অন্য বিষয়ে চলে গেলেন। প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে দু’তিন দিন সন্ধ্যায় শিব মন্দির সংলগ্ন পার্কে গোটা তিনেক চক্কর দেবার পর সি আর পার্কের এক নম্বর মার্কেটের পিছনের দিকে বিশুর এই চায়ের দোকানে হাজিরা দিই আমরা। খুব সম্ভবত ওই মেয়েটি যার সিগারেট খাওয়া নিয়ে আমরা সেদিন কথাবার্তা বলেছিলাম তা শুনতে পেয়েছিল, কারণ এর পর বেশ কয়েক দিন ওকে আর দেখতে পাইনি আমি বিশুর চায়ের দোকানে। জুলাই-এর শুরুতে সেনদা ও বৌদি চলে গেলেন লন্ডনে ওনার ছেলের ওখানে দু’মাস কাটাতে। আমি এখন একাই সন্ধ্যার দিকে বিশুর দোকানে বসে দশ টাকার বড় কাপে চা খাই, একটি সিগারেট ধরাই, আশপাশে মার্কেটের দোকানগুলোতে খদ্দেরদের কেনাকাটা দেখি, তারপর গুটি গুটি বাড়ি ফিরে আসি।

আমার একমাত্র মেয়ে ছন্দার বিয়ে হয়ে গিয়েছে তিন বছর আগে, ওরা থাকে বেঙ্গালুরুতে। আমি আর শীলা বছরে এক দু’বার ঘুরে আসি ওখান থেকে। বাকি সময়টা বুড়োবুড়ি এখানেই পড়ে থাকি। শীলার আর্থরাইটিস, খুঁড়িয়ে চলে, তবু সকালে বাড়ির কাছের ছোট পার্কে দুটো চক্কর দিয়ে আসে। আমি সকালে খবরের কাগজ পড়ি, একটু লেখালেখি করি আর বিকেলে ঘুরতে যাই পার্কে, ফেরার পথে বিশুর দোকানের চা ও একটি সিগারেট আমার একঘেয়ে জীবনে একটু আনন্দের ছোঁয়া দিয়ে যায়। চা খেতে খেতে ভাবি সেই মেয়েটি কী কোথাও ট্রান্সফার হয়ে চলে গেল নাকি সেনদার সঙ্গে আমার ওকে নিয়ে যে আলোচনা হয়েছিল তা শুনে ও অন্য কোথাও চা সিগারেট খেতে যায়। 

প্রায় মাসখানেক পরে এক সন্ধ্যায় বিশুর দোকানে আবার সেই মেয়েটিকে দেখতে পেলাম আমি। ওর এক হাতে বড় কাপের চা আর একহাতে সিগারেট। আমি ওর দিকে তাকিয়ে হাসলাম, মেয়েটিও হাসল, তারপর কী আশ্চর্য! মেয়েটি সরে এসে আমার পাশেই বসে পড়ল।

আমি বললাম, “সরি, সেদিন তোমাকে নিয়ে আমরা কথা বলেছিলাম, তাই তুমি হয়ত . . .”

মেয়েটি মিষ্টি হেসে বলল, “আরে না না কাকু, আমি তো অফিসের কাজে ইউকেতে গিয়েছিলাম তিন সপ্তাহের জন্য। আর আপনি যা বলেছেন অন্য কাকুকে তাতো আমি শুনেছি, আপনি কিছু ভুল বলেননি সেদিন। ঘরে সিগারেট ধরালে মা চেঁচামেচি করে, তাই এখানে এসে খাই। আমি ওখান থেকে বেন্সন এ্যান্ড হেজেস এনেছি, খাবেন একটা?”

বেন্সন এ্যান্ড হেজেস আমারও প্রিয় সিগারেট কিন্তু একটা অল্প বয়সের মেয়ের কাছ থেকে সিগারেট নিয়ে খাওয়া ঠিক হবেনা, তাই আমি বললাম, “না না। আমিতো ক্যাসুয়াল স্মোকার, দিনে গোটা দুই তিন . . .”

মেয়েটি ততক্ষণে ওর ব্যাগ থেকে বেন্সন এ্যান্ড হেজেস-এর প্যাকেট বের করে খুলে আমার সামনে ধরল। বলল, “ওটা ফেলে দিন কাকু, এটা ধরান।” আমি আধখাওয়া সিগারেটটা ফেলে জুতোর নীচে পিষে দিয়ে ওর প্যাকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে বললাম, “থ্যাংক ইউ।”

নেশা দু’জন মানুষকে যত তাড়াতাড়ি কাছে আনে প্রেম ভালবাসা ছাড়া অন্য কিছু তত দ্রুত সম্পর্ক স্থাপনে সহায়ক হয়না। কিং সাইজ বেন্সন এ্যান্ড হেজেস সিগারেট টানতে টানতে মেয়টির সঙ্গে আমার আলাপ বেশ জমে উঠল। ওর নাম বিতস্তা সান্যাল, কাজ করে একটি বহুজাতিক সংস্থায়, অফিস গুরগাঁওতে। করোনার সময় বাড়িতে বসেই কাজ করত, এখন তিনদিন বাড়িতে, তিনদিন অফিসে কাজ করতে হয় ওকে। বাড়িতে মা আর কলেজে পাঠরত ছোটভাই, বাবা দু’বছর আগে হার্ট এ্যাটাকে মারা যান। ওরা আগে থাকত সরকারি কোয়ার্টারে, এ্যান্ড্রুজগঞ্জ-এ, দু’মাস হল সি আর পার্কে ‘জি’ ব্লকে বাড়ি ভাড়া নিয়ে এসেছে। আমিও সংক্ষেপে আমার পরিচয় দিলাম ওকে। আমিও যে কেন্দ্রীয় সরকারের কোন মন্ত্রালয়ে চাকরি করতাম শুনে ও বলল, “ বাবা বেঁচে থাকলে আপনার সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিতাম।”

বিশুর চায়ের দোকানে যারা এসেছিল তারা তো বটেই, বাজারের আরও অনেকেই আমাদের দিকে চোখ ঘুরিয়ে দেখছিল এই অদ্ভুত দৃশ্যঃ বাপের বয়সি পাকা চুল বুড়ো এক তরুণীর সঙ্গে বসে নির্বিকারে চা সিগারেট খাচ্ছে, আড্ডা মারছে। বিতস্তাও লক্ষ করেছে যে আমরা অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, তাই বলল, “মনে হচ্ছে এই ঠেকটা আমদের ছেড়ে দিতে হবে কাকু। আমার মনে হয় দু’নম্বর মার্কেটের পিছনে একটা নতুন টি স্টল খুলেছে, ওখানে বসতে পারি আমরা। ওখানে দোকানের মধ্যে বসেই আমরা চা সিগারেট খেতে পারি, কেউ কিছু মনে করবে না। আমি অবশ্য রোজ আসতে পারব না, তবে অল্টারনেট ডেতে বাড়িতে বসে যখন কাজ করি তখন চলে আসব। মঙ্গল, বৃহস্পতি আর শনিবার। আসবেন তো ওখানে? সাড়ে ছটা নাগাদ?”

এক তরুণী যার বয়স হয়ত আমার মেয়ের থেকেও দু’এক বছর কম হবে সে আমাকে তার নেশার সঙ্গী হতে বলবে এটা কোনদিন আশা করিনি। অন্তত সেনদা যতদিন ইউকে থেকে ফিরে না আসছেন একজন সঙ্গীর অভাব বোধ করছিলাম আমি। মাথা কাত করে বললাম, “তোমার যদি অসুবিধা না হয় . . .”

বিতস্তা বলল, “আমার আবার অসুবিধা কী? আপনি থাকলে বরঞ্চ উটকো ঝামেলা হবে না, স্ট্রিট রোমিোওরা, পাড়ার বখাটে ছেলেছোকড়ারা আমার সঙ্গে ভাব করতে এগিয়ে আসবে না, নিশ্চিন্তে বসে আপনার সঙ্গে দুটো কথা বলব, চা সিগারেট খাবো তারপর যে যার বাড়ি চলে যাব।”

বার তিনেক দু’নম্বরর মার্কেটের চায়ের দোকানে ওর সঙ্গে বসে চা সিগারেট খাবার পরে বিতস্তা আমাকে ‘কাকু’ না বলে ‘দাদা’ বলতে শুরু করল। আমি একটু অবাক হলে বিতস্তা বলল, “ধুর্‌, কাকুর সঙ্গে কেউ বসে সিগারেট খায়, আড্ডা মারে? আমার একজন পুরুষ বন্ধু দরকার যার সঙ্গে মন খুলে কথা বলা যায়। বয়সে আপনি বড় তাই আপনাকে দাদা বললাম। আপনি ড্রিংক করেন?”

আমি বুঝলাম বিতস্তার যে কারণেই হোক আমাকে পছন্দ হয়েছে, প্রেমিক হিসেবে নয়, বন্ধু হিসেবে। আমার একটা অণু গল্প আর গোটা দুয়েক রম্যরচনা ওকে পড়তে দিয়েছিলাম, ওর ওগুলো ভালো লেগেছিল। আমার মনে হল ও হয়ত আমার সঙ্গে সাহিত্য শিল্প নিয়ে একান্তে আলোচনা করতে চায়, ও হয়ত লিখতে চায় গদ্য বা পদ্য। কিংবা ওর হয়ত আমার সঙ্গে এমন কিছু কথা বলার আছে যা ও ওর কোলিগ বা বান্ধবীদের সঙ্গে শেয়ার করতে ইচ্ছুক নয়। আমি বললাম, “করি, তবে হার্ড ড্রিংক আজকাল এভয়েড করি।”

“বিয়ার?”

“চলবে।”

“পরশু আমরা এইসময় এখানে মিট করব, তারপর কাছের একটা পাবে যাব।” 

“আমি কিন্তু পে করব।”

“পরের বার আমি।”

ও হাই ফাইভের জন্য হাত মেলে ধরলে আমি ওর হাতে হাত ঠুকে দিলাম।

বিয়ারের মাগে লম্বা একটা চুমুক দিয়ে বিতস্তা আমাকে বলল, “আপনিতো লেখেন, অনেক চরিত্র নাড়াঘাঁটা করেন। আমাকে দেখে কী মনে হয় আপনার?”

আমি বিতস্তার মুখের দিকে ভালভাবে এই প্রথম তাকালাম। গোল বা ডিম্বাকৃতি নয়, একটু লম্বাটে মুখ। সুন্দরী বলা চলেনা, তবে সুশ্রী। গায়ের রঙ শ্যামলা, পাতলা চেহারা, বয়স ত্রিশের নীচেই হবে। পটল-চেরা, সুন্দর চোখ, আইলাইনার ইউজ করেছে মনে হল।”

বিতস্তা হাসল। “কী দেখছেন এত আমাকে? প্রেম করবেন আমার সঙ্গে?”

আমিও হাসলাম। “বয়স থাকলে নিশ্চয়ই করতাম। তুমি জানতে চাইলে তোমাকে দেখে কী মনে হয় আমার, তাই একটু খুঁটিয়ে দেখছিলাম।”

“কী পেলেন?”

“ইউ লুক হার্ট। কিছুতো একটা হয়েছে তোমার জীবনে যার জন্য বিষাদের ছাপ রয়ে গেছে তোমার চোখে মুখে।”

“আপনি ঠিকই ধরেছেন, দাদা। আমার ব্রেক-আপ হয়ে গেছে বয় ফ্রেন্ডের সঙ্গে। পাঁচ বছরের রিলেশনশিপ ছিল ওর সঙ্গে। আমি ওকে বিয়ে করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু ও লিভ-ইন করতে চায় আমার সঙ্গে, বিয়ে করতে চায়না। আমি রাজি হইনি, তাই নিয়ে ঝগড়া, তারপর স্প্লিট আপ, দু’মাস আগে।”

“আই এ্যাম সরি।” 

“ও যা যা চেয়েছিল, আমিতো সবই দিয়েছি। সেক্স এ্যান্ড এভরিথিং, তবুও . . .” বিতস্তা কাঁদতে শুরু করল। আমি ট্যিসু পেপার এগিয়ে দিলাম ওর দিকে; ও ‘থ্যাংক ইউ’ বলে চোখ মুছল। আমি এবার বুঝলাম বিতস্তা কেন আমাকে বন্ধুর জায়গা দিতে এত আগ্রহী, কেন আমাকে চায়ের দোকান থেকে টেনে বারে নিয়ে এসেছে। ওর এই মূহূর্তে নেশার প্রয়োজন। বিয়ারে ওর খুব মাইল্ড নেশা হবে, একবার ওয়াশরুম হয়ে এলে সেটুকুও উবে যাবে। আমি বললাম,  “লেট্‌স হ্যাভ আ চেজার।”

অবাক হয়ে বিতস্তা তাকাল আমার দিকে। “আর ইউ সিওর? আপনার প্রেশার সুগারের কোন প্রবলেম নেই তো দাদা?”

“নাঃ, আমার শুধু প্রস্টেটের প্রবলেম, প্রেশার সুগার ঠিকই আছে।” আমি বেয়ারাকে ডেকে দু’পেগ লার্জ স্কচ হুইস্কি অর্ডার দিলাম। স্কচ অন্‌ দ্য রক্‌স। হুইস্কির প্রতীক্ষায় দু’জনেই কয়েকটা লম্বা চুমুক দিয়ে বিয়ারের গ্লাস খালি করলাম। বিতস্তা একবার ওয়াশরুম ঘুরে এল। আমি একটা সিগারেট ধরালাম। 

আমরা দু’জনে নিঃশব্দে, বরফ দেওয়া হুইস্কি খাচ্ছিলাম, সঙ্গে সল্টেড কাজুবাদাম। বিতস্তাকে দেখে বুঝলাম, ওর বেশ নেশা হয়েছে; আমারও যে একটু নেশা হয়েছে তা আমি বুঝতে পারছিলাম। নেশা হলে আমার মাথাটা কীরকম হাল্কা হয়ে যায়, এমন অনেক কথা মনে হয় যা নেশাহীন অবস্থায় মাথায় আসেনা।

বিতস্তা হঠাৎ জিজ্ঞেস করল, “আচ্ছা দাদা আমরা নেশা করি কেন বলুনতো?”

আমি হেসে বললাম, “নেট খুললে এর উপর অনেক লেখা তুমি পড়তে পাবে।”

বিতস্তা বলল, “আপনি লেখক, ইন্টেলেকচুয়াল। আমি আপনার বক্তব্য শুনতে চাই।”

আমি বললাম, “আমাদের সবার ভেতরে বাঁচার যেমন তীব্র ইচ্ছা আছে ঠিক সেরকম মরবার জন্য, ক্ষয় হয়ে যাবার জন্যও একটা সুপ্ত ইচ্ছা আছে যা আমরা বুঝি না বা স্বীকার করতে চাই না। নেশা ওই দ্বিতীয় ইচ্ছেটারই বর্হিপ্রকাশ বলতে পার।”

বিতস্তার মুখ হাঁ হয়ে গেল, ও গোল গোল চোখ করে আমার দিকে তাকিয়ে রইল। তারপর হঠাৎ চেয়ার ছেড়ে উঠে এসে আমাকে পিছন থেকে গলা জড়িয়ে ধরে ও আমার দুই গালে সশব্দে চুমু খেল। “ইউ হ্যাভ মেড মাই ডে, দাদা।” আশপাশের টেবিল থেকে অনেকগুলো মাথা ঘুরে গেল এই আশ্চর্যজনক দৃশ্যটি দেখতে।

আমি বললাম, “থ্যাংক ইউ, ডিয়ার। নাও এবার বিল মিটিয়ে দিয়ে আমরা উঠে পড়ি, নইলে তোমার এখন যা মুড তাতে দ্বিতীয় পেগের জন্য আমাকে পীড়াপীড়ি করবে তুমি বুঝতে পাচ্ছি।” 

একটু পরে কার্ডে পেমেন্ট করে আমরা দু’জন হাত ধরাধরি করে যখন পাব থেকে বের হলাম দরজার কাছের এক টেবিল থেকে এক মহিলা কমেন্ট করল, “ভেরি অড কাপ্‌ল রিয়েলি।” 

 
নলিনাক্ষ ভট্টাচার্যের জন্ম এবং শিক্ষা কলকাতায়; কর্মজীবন দিল্লিতে, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রালয়ে। গল্প লেখার শুরু ষাটের দশকের শেষ দিকে। বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষায় সাহিত্য চর্চা করে আসছেন গত পঞ্চাশ বছর ধরে। ইংরেজিতে দেশে এবং বিদেশে ওঁর কিছু গল্প এবং তিনটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। বিবিসি থেকেও ওঁর কয়েকটি গল্প প্রচারিত হয়েছে। বাংলায় একটি উপন্যাস এবং একটি গল্পগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। দেশ, আনন্দবাজার, সাপ্তাহিক বর্তমান, নবকল্লোল, কালি ও কলম(বাংলাদেশ) এবং দিল্লি ও কলকাতার অনেক সাহিত্য পত্রিকায় গল্প প্রকাশিত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *