বিদায় ১৪৩১, স্বাগত ১৪৩২
প্রথমেই ‘অবসর’ পত্রিকার সকল লেখক, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীকে আমাদের সম্পাদকমণ্ডলীর তরফ থেকে জানাই নববর্ষের অজস্র শুভেচ্ছা।
পৃথিবীর গতি-প্রকৃতি অবশ্য আদৌ সুবিধের নয়। বিগত তিন মাসে অবস্থা আরো প্রতিকূল হয়েছে। ভারত, প্রতিবেশী বাংলাদেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কোন দিক থেকেই আশাপ্রদ কিছু খবর আসছে না। ভারতের ওয়াকফ বিল সংক্রান্ত সমস্যা, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক টালমাটাল অবস্থা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের নিয়মকানুন – সবকিছুই আমাদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের পাঠকমণ্ডলীর অধিকাংশই এই জায়গাগুলি থেকে – সুতরাং আমাদের পক্ষেও অবস্থাটি বেশ অস্বস্তিকর। ওদিকে রাশিয়া -ইউক্রেন যুদ্ধেরও থামার কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না, গাজার সমস্যাও তথৈবচ। এই অবস্থায় আমাদের ১৪৩২ যে কতটা আনন্দে কাটবে তাই নিয়ে আমরা দ্বিধান্বিত তো বটেই, এমনকি রীতিমতো দুশ্চিন্তাগ্রস্ত।
এর মধ্যেই আমরা নিয়ে এলাম আমাদের নববর্ষ সংখ্যা – ১৪৩২।
আমরা অবসর পত্রিকার তরফ থেকে একটি পাঠ- প্রতিক্রিয়া প্রতিযোগিতার আহ্বান ছিল। বিষয় ছিল – কালকূট সাহিত্যপাঠ। সেখান থেকে আমরা ছয়টি লেখা পেয়েছি। সেগুলি এবারের সংখ্যায় প্রকাশিত হল।
লেখকরা হলেন যথাক্রমে, সুমেধা চট্টোপাধ্যায়, রুমি বন্দ্যোপাধ্যায়, সুরশ্রী ঘোষ সাহা, মধুমিতা রায়, আবীর ভট্টাচার্য্য চক্রবর্তী এবং পায়েল চট্টোপাধ্যায়। অনেক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ সব লেখকদের। আশা করছি তাঁরা ভবিষ্যতেও অবসরের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকবেন।
পল্লব চট্টোপাধ্যায় তাঁর প্রীতম বসুর উপন্যাসের পাঠ প্রতিক্রিয়াতে আরো একটি নতুন লেখা যোগ করেছেন।
শিল্প-সংস্কৃতি বিভাগে আমরা যোগ করেছি দুটি লেখা দুই ব্যক্তিত্ব শচীন দেব বর্মন ও সুচিত্রা মিত্রকে নিয়ে। লেখকদ্বয় যথাক্রমে অনিন্দ্য রায় চৌধুরী ও অনিরুদ্ধ গঙ্গোপাধ্যায়।
ক্রীড়াবিভাগে নতুন বিষয় নিয়ে লিখেছেন দুই নবীন লেখক – পার্থ প্রতিম রায় এবং সপ্তক সান্যাল। তাঁরা এবারেই প্রথম লিখলেন অবসর পত্রিকায়। আশা রাখি তাঁরা এভাবেই অবসরের সঙ্গে ভবিষ্যতেও যুক্ত থাকবেন।
দর্শন-রাজনীতি-ইতিহাস বিভাগটি অবসরের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ হলেও এই বিভাগে তুলনামূলক ভাবে লেখা আমরা কম পাই। সৌভাগ্যক্রমে এবারে আমাদের নিরাশ হতে হয়নি, প্রাপ্তি চার-চারটি লেখা। লিখেছেন, সৌম্যকান্তি জানা, সৌমিক বন্দ্যোপাধ্যায়, সবিতা বিশ্বাস এবং নূপুর রায়চৌধুরী।
কিছুদিন আগেই আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন শ্রদ্ধেয় নাট্য ব্যক্তিত্ব মনোজ মিত্র। তাঁকে তাঁর নাটক দিয়েই শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করলেন নাট্যকর্মী, তাঁর স্নেহের জন সঙ্গীতা ঘোষাল।
মনে হয় এবারের আমাদের নববর্ষের ডালি পাঠকদের ভালো লাগবে। আশা করব আমাদের Comments বিভাগে মন্তব্য করে তাঁরা তাঁদের মতামত জানাবেন। তাঁদের কাছে এ আমার সনির্বন্ধ অনুরোধ। আমাদের লেখকদের তা বিশেষভাবে প্রাণিত করবে।
সবাইকে আর একবার নববর্ষের শুভেচ্ছা! শুভ হোক ১৪৩২!