খোলা চিঠি – সুজনদাকে

খোলা চিঠি – সুজনদাকে

প্রিয় সুজনদা,

প্রথম তোমার নাম জানিয়ে আমাকে চিঠি  দিয়েছিলেন সুমিতবাবু। আমার কয়েকটি লেখা পড়ে ওঁর কেন জানি মনে হয়েছিল, আমি ‘অবসর’ পত্রিকায় নিয়মিত লিখতে পারি। চিঠির তারিখও দেখতে পাচ্ছি, Mon, 7 Oct 2013।

চিঠিটা এরকম,

ভাস্কর:

এই ইমেলটির মাধ্যমে আমার সোদরপ্রতিম ডঃ সুজন দাশগুপ্তের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিই। সুজন হলেন abasar.net –এর জনক ও প্রতিপালক। আমি হলাম তার ছ-আনার দোয়ার্কি।”

 সেই শুরু। কী আশ্চর্য! পরদিনই তোমার চিঠি। আট তারিখে। লেখা ছিল –

ভাস্কর

আপনার রহস্য উপন্যাস এবং শব্দ নিয়ে লেখাটা পড়লাম। ভালো লাগল। রহস্য উপন্যাসের উপযুক্ত স্থান হবে  http://www.banglamystery.com/এই সাইটটিও অবসর-এর সঙ্গে যুক্ত।  শব্দ‘  ও আপনার অন্যান্য রচনা আমাকে সরাসরি  পাঠিয়ে দেবেন।  একটা কপি webmaster@abasar.net- এও পাঠাবেন।  রহস্য রোমাঞ্চের ওয়েবসাইটে লেখকদের সম্পর্কে  দুয়েকটা লাইন থাকে। রহস্য কাহিনীর সঙ্গে  সেটাও  দয়া করে পাঠিয়ে দেবেন।  আপনার লেখা পাবার প্রতীক্ষায় রইলাম।

শুভেচ্ছান্তে,

সুজন

এখন ভাবলে আমার কেমন হাসি পায় জান! তুমি আমাকে প্রথমে ‘আপনি’ বলে সম্বোধন করেছিলে! কী কাণ্ড না কী কাণ্ড!! এমনকি এও মনে আছে যে তোমার প্রথম ফোন এসেছিল তার কিছুদিন পরেই। তখনও তুমি আমাকে ফোনে ‘আপনি’ই বলেছিলে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই জেনে গেলে আমি অনেক ছোট। কাজেই তুমিই এগিয়ে এসে বলেছিলে, – ‘আর আপনি নয়। আমি ‘ভাস্কর, তুমি’ আর তুমি আমাকে ‘সুজনদা, তুমি’ বলবে।’ আমিও সানন্দে রাজি হয়েছিলাম। গত দশ বছরের সম্পর্কের শুরু হয়েছিল এভাবেই।

তোমার কাছে সাহস পেয়ে আমার লেখা পাঠাতে লাগলাম। একটাই সুবিধে হয়েছিল, আমি ততদিনে ইউনিকোডে লেখা শুরু করেছি। কাজেই আর অসুবিধে ছিল না। ততদিনে তুমিও ‘অবসর’কে চেষ্টা করছ ইউনিকোডে রূপান্তরিত করার। সেবছর (২০১৪) তেই তোমার সঙ্গে প্রথম মোলাকাৎ হয়ে যেত। জানুয়ারিতে তুমি কলকাতায় এসেছিলে। আমিও ছিলাম। কিন্তু খুব অল্পদিনের ছুটি, কাজেই সময় হল না। খুব খারাপ লেগেছিল।

 

কয়েকটি লেখা তখন প্রকাশ পেয়েছে। একটু একটু করে সাহস বাড়ছে। বাড়ছে  তোমার প্রশ্রয়ও । ততদিনে ফোনেও বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে। মে মাস নাগাদ কী খেয়াল চাপল, তোমাকে একটা প্রস্তাব পাঠালাম। ২২শে শ্রাবণ, রবীন্দ্র প্রয়াণে। সামনের শ্রাবণ মাসের একটি সংখ্যা রবীন্দ্র স্মরণ করা যায় কি? তুমি রাজি তো হলেই, সঙ্গে সঙ্গে বলে বসলে যে আমাকে ঐ সংখ্যার অতিথি সম্পাদক হতে হবে। কী কাণ্ড! 

আমি কিছুই জানিনা সম্পাদনার – তুমিই সাহস দিয়ে বলেছিলে, কয়েকজন লেখা যোগাড় করতে। তা সেই সময় শেখরবাবুর সঙ্গেও আলাপ হয়েছিল। সুমিত বাবুও ছিলেন। তুমিও লেখা দিলে। সৌম্যকান্তি, পল্লব, ঈশানী। ‘অবসর’ নতুন কয়েকজন লেখকও পেয়ে গেল। আমাকে উৎসাহ দিতে তুমি নিজেই একটা লেখা দিলে। ভারি চমৎকার বিষয়! আমার অজানা ছিল যে শ্রীলঙ্কার জাতীয় সঙ্গীতে ও রবিঠাকুরের অবদান আছে। 

খুব খুশি হয়েছিলে তুমি! আর আমি! সম্পাদক হিসেবে নাম দেখে যে কী আনন্দ হয়েছিল তা ‘অবর্ণনীয়’। সুমিতবাবুও খুব খুশি হয়েছিলেন – সেটাও বিরাট পাওনা। সুমিতবাবুর ‘রবীন্দ্রভক্তি’ বা ‘টেগোরাইটিস’ এর কথা তদ্দিনে তোমার কাছে জেনে গেছি।

'অবসর' পত্রিকায় প্রথম অতিথি সম্পাদনা

এরপরে তো আমাকে আর পায় কে! সাহস বেড়ে গেল। এতটাই যে এরপরেও আরো একটা সংখ্যা হয়ে গেল। ২০১৪র পুজো উপলক্ষে। আমি তো যাকে বলে একেবারে আনন্দে আত্মহারা। ২০১৫র জানুয়ারিতে কলকাতা আসার ঠিক হয়ে গেল। তোমার সঙ্গেও দেখা হবে। খুব আনন্দে ও প্রতীক্ষাতে দিন কাটছিল।

এইসময় আমার একটা পারিবারিক বিপর্যয়ে সেটা সম্ভব হল না। কিন্তু ২০১৬তে আর কেউ আমাদের আটকাতে পারল না। তখনও বইমেলা হত সায়েন্স সিটির সামনে। সেই বইমেলাতে হল অবসর পত্রিকার প্রথম মিলনমেলা। আমি, তুমি ছিলাম সস্ত্রীক! ছিলেন শেখরবাবু, সোমেনবাবু, ছিল ঈশানীও। খুব আনন্দ পেয়েছিলাম সবার সঙ্গে আলাপ হয়ে।

২০১৬র বইমেলাতে, সায়েন্স সিটির উল্টোদিকে
তোমাদের সকলের সঙ্গে প্রথম দেখা

এর আগে একটা সমস্যা হয়েছিল। একেনবাবু সংক্রান্ত। তুমি আমাকে বলেছিলে যে ‘একেনবাবু’ বিশেষ কেউ পড়ে না। সেটা নিয়ে আমি বেশ বিপদে পড়েছিলাম। একবার নয়, তিন তিনবার! সবিস্তারে বলি।

প্রথমেই ঈশানী। অবসরের পরিচয় দিতে গিয়ে কিছুদিন পরে জিজ্ঞেস করল, তুমি একেনবাবুর লেখক কিনা। আমি ঈশানীকে বোকার মত জিজ্ঞেস করলাম – ‘সেকি! তুই ‘একেনবাবু’ পড়েছিস নাকি? সুজনদা যে বলল বিশেষ কেউ পড়ে না!’ তারপরে তো একেবারে যাকে বলে ‘কেয়া শরমকি বাত!’  ঈশানীর কথা ঈশানীর লেখাতেই আছে, বিস্তারি্র ভাবে।

এরপর আরও এক প্রস্থ নাস্তানাবুদ হতে হল আমার এক বন্ধু দিল্লি প্রবাসী বন্ধু ভাস্কর সিংহর কাছে। বেশ কিছুদিন পরে আমাকে আবার জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইনি কি তিনিই?’ আমি বললাম, ‘খেয়েছে! এ তো দেখি সব শিয়ালের এক রা!’ ভাস্করদা তো রীতিমতো ক্ষুব্ধ! আমি এতদিন বলিনি বলে। আবার তাঁর নাকি আমেরিকার রাস্তাঘাটের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে তোমার লেখা পড়েই। বোঝ! তোমাকে জানিয়েছিলাম, খুব খুশি হয়েছিলে।

এরপরে আবার আমার ভ্রাতৃপ্রতিম তথাগত ভট্টাচার্য। অবসর পত্রিকাতে একবার লেখা দেওয়ার পর আমাকে জিজ্ঞেস করল। তখন অবশ্য তোমার বেশ নাম ডাক হয়ে গেছে। সে অবশ্য শমীতাদির কবিতাও পড়েছে ‘দেশ’ পত্রিকায়। 

তবে প্রথমবার শমীতাদির সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর আমি এবং রূপা যখন জানতে পারলাম সানন্দায় ধারাবাহিক প্রকাশিত ‘দ্বন্দ্ব’ ওঁর লেখা, তখন হয়তো দু’জনেই একটু বাড়াবাড়ি রকমের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলাম। শমীতাদিও খুব খুশি হয়েছিলেন, তুমি একটু হয়তো মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছিলে। মানে ‘একেনবাবু’ পড়েনি অথচ – ! চুপি চুপি আমাকে ডেকে জিজ্ঞেস করেছিলে, “ঐ ‘দ্বন্দ্ব’, মানে সেই পাতায় পাতায় খুন?” দারুণ মজা পেয়েছিলাম। মনে আছে তুমি আমাকে আর রূপাকে তোমার সম্প্রতি প্রকাশিত বইটি আমাকে আর রূপাকে স্বাক্ষর সহ উপহার দিয়েছিলে। সেটাই তোমার আমার কাছে একমাত্র স্বহস্তলিখিত বাক্যবন্ধ – চিরকাল রয়ে যাবে।

এরপরে তোমার সঙ্গে ২০১৭, ২০১৮ এবং ২০১৯ এর বইমেলাতে তিনবার দেখা হল। ২০২০ তে আমার যাওয়া হয়নি বিশেষ কারণে। আর ২০২২ এ তুমি আসোনি। 

তিন লেখক মাঝে, শেখরবাবু, সৌরভ মুখোপাধ্যায় ও তুমি, দু'ধারে অমিতাভ ও আমি
মাইসোর পাক খাওয়াতে খুব অনীহা শমীতাদির - তুমি আড়ালে দাঁড়িয়ে মজা দেখছ!

‘অবসর’ অনিয়মিত হয়ে পড়ছিল। তখন পরপর কয়েকটি বিশেষ সংখ্যা ছাড়া কিছু প্রকাশ করা যাচ্ছিল না। শেষ প্রকাশিত হল ২০১৮র ৩০শে সেপ্টেম্বর। “গান ভালবেসে গান”! এরপরে তুমি চোখের সমস্যার জন্য কাউকে খুঁজছিলে। এরপরেই এসে গেল সেই ভয়ানক কোভিড। 

এর মধ্যেই অবশ্য তুমি ‘দ্য কাফে টেবল’কে রাজি করয়ে ফেলেছিলে ‘অবসর’ এর ভার নেবার জন্য। আর তার সাথে আমাকে যুক্ত করে দিলে একেবারে সম্পাদক হিসেবে। পরে যোগ দিল অদিতি আর সংগ্রামী। রথ চলল গড়গড়িয়ে। আমার পরবর্তী জন্মদিনে সুরসিক, বন্ধুবর অমিতাভর মন্তব্য মনে পড়ে যাচ্ছিল।

এই নতুন দায়িত্ব খুব উপভোগ করছিলাম, জান! প্রথম ধাক্কা এল ২০২১ এর মে মাসে, যখন সুমিতবাবুর চলে গেলেন। তবে মনে হয়েছিল ভাগ্যক্রমে তোমাকে আর সুমিতবাবুকে রাজি করিয়ে ‘অবসর’ পত্রিকার জন্ম সংক্রান্ত ঐ লেখাটা লিখিয়ে নিতে পেরেছিলাম! আমার মনে হয় ঐ লেখাটা আর পরে সমীরবাবুকে দিয়ে ‘পরবাস’ জন্মকথা লেখানোটা আমার সবচেয়ে বড় সৌভাগ্য। বাংলা সাহিত্যের ওয়েব ম্যাগাজিনের জন্মলগ্নে কী বিপুল পরিশ্রম ছিল, তা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটা দলিল হয়ে রয়ে গেল। আবার এটুকু বিশ্বাস ছিল, তুমি তো আছ পাশে, আমি নির্ভয়। যে কোন ছোটখাটো বা বড় সমস্যায় তোমাকে পাশে পাব, অন্ততঃ আরও বেশ কিছুদিন। ডিসেম্বরে কলকাতা পৌঁছেই উদগ্রীব ছিলাম দেখা করার জন্য। কথাও ছিল ১২ই জানুয়ারি দেখা করার। আমরা আটকে গেলাম। ১৬ই জানুয়ারি যখন আমরা বেনারস ভ্রমণকালীন প্রয়াগে নৌকোতে করে ঘুরছি, নৌকো থেকে নেমে দেখি তোমার একটা মিসড কল। ফোন করতেই সেই হাসি আর আড্ডা! তুমি জানালে ১৮ তারিখে কলকাতা ফিরেই যেন আমি ১৯ সকালে তোমাকে ফোন করে নিই। আড্ডার প্ল্যান করতে হবে তো!

আর ১৮ তারিখেই সব শেষ!

কিন্তু না, আমি তা বিশ্বাস করি না। মনে করি, তুমি আমাদের সঙ্গে সবসময় আছ। ‘নয়ন সমুখে তুমি নাই, নয়নের মাঝখানে নিয়েছ যে ঠাঁই’ কথাটা যে কত সত্যি তা এখন বুঝতে পারছি।

সুজনদা, আমার সাহিত্যগুরু কাকা ও ছিলেন ঠিক সুমিতবাবুর মত গভীর ‘টেগোরাইটিসে’ আক্রান্ত একজন মানুষ। একবার এক জনের শোকসংবাদে তিনি আমাকে বলেছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের মৃত্যুতে লেখা রবিঠাকুরের সেই অমোঘ পংক্তিগুলি –

“আজো যারা জন্মে নাই তব দেশে,
দেখে নাই যাহারা তোমারে, তুমি তাদের উদ্দেশে
দেখার অতীত রূপে আপনারে করে গেলে দান
দূরকালে। তাহাদের কাছে তুমি নিত্য-গাওয়া গান
মূর্তিহীন। কিন্তু যারা পেয়েছিল প্রত্যক্ষ তোমায়
অনুক্ষণ তারা যা হারাল তার সন্ধান কোথায়,
কোথায় সান্ত্বনা? বন্ধুমিলনের দিনে বারংবার
উৎসব-রসের পাত্র পূর্ণ তুমি করেছ আমার
প্রাণে তব, গানে তব, প্রেমে তব, সৌজন্যে, শ্রদ্ধায়,
আনন্দের দানে ও গ্রহণে। সখা, আজ হতে হায়,
জানি মনে, ক্ষণে ক্ষণে চমকি উঠিবে মোর হিয়া
তুমি আস নাই বলে, অকস্মাৎ রহিয়া রহিয়া
করুণ স্মৃতির ছায়া ম্লান করি দিবে সভাতলে
আলাপ আলোক হাস্য প্রচ্ছন্ন গভীর অশ্রুজলে।”

এই কবিতার উদ্ধৃতি আমি দিলেও আমার স্থির বিশ্বাস, একথা যাঁরা তোমার সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদের সকলের কথা। তাঁদের স্মৃতিচারণে বারংবার সেকথাই ফুটে উঠেছে। “কেশে আমার পাক ধরেছে বটে, তাহার পানে নজর এত কেন? পাড়ার যত ছেলে এবং বুড়ো, সবার আমি একবয়সী জেন” – একথা যে কাব্য থেকে তোমার জীবনে কীভাবে ফুটে উঠেছিল তারাই জানে ‘যারা পেয়েছিল প্রত্যক্ষ তোমায় অনুক্ষণ’। আর ঐ যে ‘বন্ধুমিলনের দিনে বারংবার / উৎসব-রসের পাত্র পূর্ণ তুমি করেছ আমার/ প্রাণে তব, গানে তব, প্রেমে তব, সৌজন্যে, শ্রদ্ধায়,’ – একথাও বারংবার গুঞ্জরিত হয়েছে তাঁদের অকপট, আন্তরিক, প্রাণবন্ত স্মৃতিচারণে।

আর একটা কথা জান, তোমার কথা যখন লিখেছেন অনেকেই, সেই লেখাতে ভীষণভাবে জড়িয়ে গেছি আমি। আমি ধন্য যে তোমার মত মানুষের সাথে লতায় পাতায় এভাবে জড়িয়ে যেতে পেরেছি। একবার কথায় কথায় বলে ফেলেছিলে, ‘ভাস্কর, তোমাকে কতটা ভালোবাসি, ঠিক বলে বোঝাতে পারব না।” সে কী আমি জানিনা! অনুভব করেছি তো! ফোন বেজে উঠলে তোমার নাম দেখলেই কী এক বিদ্যুৎ তরঙ্গ অনুভব করেছি সবসময়।

তোমার দেখানো পথেই চলবো আমরা। তোমার স্মৃতির আলো আমাদের গভীর অন্ধকারেও পথ দেখাবে।

তোমার অকুণ্ঠ স্নেহের পরম কাঙাল,
ভাস্কর

সেই তোমার নিজের হাতের লেখা
জন্ম কলকাতায়, বেড়ে ওঠা দক্ষিণ চব্বিশ-পরগনার রাজপুর-সোনারপুর অঞ্চলে। ১৯৮৩ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেক্ট্রনিক্স ও টেলিকম্যুনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে কর্মসূত্রে ব্যাঙ্গালোরে। শখের মধ্যে অল্প-বিস্তর বাংলাতে লেখা - অল্প কিছু লেখা রবিবাসরীয় আনন্দবাজার, উনিশ-কুড়ি, নির্ণয়, দেশ, ইত্যাদি পত্রিকায় এবং বিভিন্ন ওয়েব ম্যাগাজিন (সৃষ্টি, অবসর, অন্যদেশ, পরবাস ইত্যাদিতে) প্রকাশিত। সম্প্রতি নিজের একটি ব্লগ চালু করেছেন – www.bhaskarbose.com

Related Articles

2 Comments

Avarage Rating:
  • 0 / 10
  • শেখর বসু , March 18, 2023 @ 10:03 am

    স্মৃতিস্নিগ্ধ চমৎকার লেখা…

  • Ishani , March 19, 2023 @ 8:55 am

    কত যে কথা আর কত যে স্মৃতি! এইভাবে আমরা লিখব ভাবিনি কখনও। তুই না পরিচয় করিয়ে দিলে শুধু লেখক হিসেবেই চিনতে হত সুজনদাকে। কাছের মানুষ সুজনদাকে পেতাম না!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *