কলরব রায়

জন্ম কলকাতায়, ১৯৫৯ সালে, এবং কর্মজীবনের বেশির ভাগও সেখানেই অতিবাহিত। স্কুল-জীবন কাটে দক্ষিণ কলকাতার দেশপ্রিয় পার্ক অঞ্চলের তীর্থপতি ইন্স্টিট্যুশনে, পাড়ার ক্লাবে ও স্কুলের ক্রিকেট দলে নিয়মিত খেলবার অভ্যাসটা ছিল। কলেজ-জীবনে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র – ইলেক্ট্রনিক্স নিয়ে স্নাতক, কম্প্যুটার সায়েন্স নিয়ে স্নাতকোত্তর। তিন দশক তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মসূত্রে দেশে-বিদেশে প্রচুর ঝাঁকিদর্শন করে, তারপর সপ্তবর্ষব্যাপী ইঞ্জিনীয়ারিং কলেজে অধ্যাপনা অন্তে ২০১৯ সালে স্বেচ্ছাবসর গ্রহণ। ‘ক্রিকেট-প্রেমিক’, বিশেষত টেস্ট ও একদিবসীয় ম্যাচের, কারণ খুব সম্ভবত শৈশবে পাঁচ বছর বয়সে ইডেনে জীবনের প্রথম পদার্পণেই সোবার্সের শতরান দর্শন। বর্তমানে ‘নন-ফিকশন’ বইয়ের প্রতিই বেশি আকর্ষণ, যদিও সবচেয়ে প্রিয় তিন বাংলা কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী, শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিবরাম চক্রবর্তী। ক্রিকেট-বিষয়ক বইয়ের একনিষ্ঠ পাঠক, সংগ্রাহকও বটে। প্রিয় ক্রিকেট-লেখকদের মধ্যে আছেন শঙ্করীপ্রসাদ বসু, রে রবিনসন, টনি কোজিয়ার, ডেভিড ফ্রিথ, প্রমুখ। ক্রিকেট নিয়ে লেখালিখির শুরু করোনা-কালে, ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে – ১৯৬৪ সালের চৈত্র মাসে ইডেনের গ্যালারি থেকে জীবনের প্রথম ক্রিকেট ম্যাচ দেখবার স্মৃতিরোমন্থন দিয়ে, “গ্যারি-র ব্যাটে দেখেছিলেম আমার সর্বনাশ”! কলকাতা বইমেলা-২০২৩ উপলক্ষে প্রকাশিত হয়েছে লেখকের প্রথম বই "ক্রিকেটের খেরোর খাতা"। বিগত কয়েকমাস যাবৎ “উইলোর উইল”-এর ওয়েব-সাইটের মাধ্যমে প্রচারিত বিভিন্ন ক্রিকেট-বিষয়ক ভিডিও-তে বিশ্লেষণমূলক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, যেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য: শচীন তেন্ডুলকর-এর ৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ব্যাটার-অধিনায়ক-মানুষ শচীন-কে নিয়ে তিন-পর্বের একটি অনুষ্ঠান, বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের পূর্ববর্তী কাল অবধি পূর্ববঙ্গ ও পূর্ব-পাকিস্তানের ক্রিকেট-চিত্র নিয়ে তিন-পর্বের একটি অনুষ্ঠান, জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ডব্ল্যু জি গ্রেস, ওয়ালি হ্যামন্ড, সুনীল গাভাস্কর, সৌরভ গাঙ্গুলি এঁদের নিয়ে ক্রিকেটীয় স্মৃতিচারণ ইত্যাদি।

‘ডন’ যখন ছোট ছিলেন

‘ডন’ যখন ছোট ছিলেন বাউরাল-এর ছোকরা: বেড়ে ওঠার দিনগুলোআজ থেকে মোটামুটি সাড়ে-নয় দশক আগে ১৯২৭-২৮ মরশুমে প্রথম-শ্রেণির ক্রিকেটে ও ১৯২৮-২৯…