সিনেমা পাড়া দিয়ে

সিনেমা পাড়া দিয়ে

দেশবন্ধু পার্কের গেট থেকে বারোজনের একটা ছোট্ট মিছিল বেরোল। স্লোগান নেই, চিৎকার নেই, শুধু আছে হাতে লেখা কিছু পোস্টার। তাতে লেখা,

“পথের পাঁচালী দেখুন

পথের পাঁচালী দেখা আমাদের কর্তব্য”

মিছিল চলতে থাকে, বারোজন বেড়ে হয় পঞ্চাশ, পঞ্চাশ থেকে সত্তর।

একটি আনকোরা নতুন সিনেমা, যেটির আনকোরা নতুন পরিচালকের পরিচিতি তখনও তাঁর বাবার নামে, নাচগান রোমান্স গ্ল্যামার নেই বলে যে সিনেমাটি বাজারে চলার সম্ভাবনা কম, কিছু সিনেমাপ্রেমী তরুণ নিজেদের – সম্পূর্ণ নিজেদের উদ্যোগে সিনেমাটির প্রচার করতে পথে নেমে পড়লেন। বলা প্রয়োজন, পরিচালক তখনও তাঁদের ব্যক্তিগত পরিচিত বা বন্ধু নন।

পড়ছিলাম তরুণ মজুমদারের লেখা বই ‘সিনেমা পাড়া দিয়ে’। গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল যেন। সিনেমা মাধ্যমটিকে কতোটা ভালোবাসলে শুধুমাত্র একটা ভালো কাজ লোকে যেন দেখতে যায়, একেবারেই নিঃস্বার্থ এই ভাবনা থেকে এই রকম পদক্ষেপ নেওয়া যায়!

অবশ্য পুরো বইটি এই সিনেমা মাধ্যমকে ভালোবাসা নিয়েই তো! নিশ্চিন্ত চাকরির চেষ্টা না করে এই চূড়ান্ত অনির্দিষ্ট অজানা কাজে এসে পড়াও তো সেই ভালোবাসার টানেই!

তরুণ মজুমদারের সিনেমাগুলি যেমন সরল সাদাসিধে ভাষায় জীবনের গভীর সত্য তুলে ধরে, মানুষের মনের গভীরে ঢুকে তার প্রেম, ভালোবাসা, রাগ, ঘৃণা, বিদ্বেষ, মায়া, মমতার মণিমুক্তা তুলে আনে ডুবুরির মত, তার জন্য কোনও গুরুগম্ভীর দুর্বোধ্য অস্পষ্টতার আশ্রয় নিতে হয় না, তাঁর লেখা এই বইটিও ঠিক সেইরকম। ঝরঝরে ভাষা, অতি সুখপাঠ্য, সহজ চলন। লেখক এক প্রসঙ্গ থেকে আরেক প্রসঙ্গে গেছেন, এক ছায়াছবির গল্প থেকে আরেক ছায়াছবির গল্প শুরু হয়ে গেছে, কিন্তু তাল কাটেনি কোথাও।

এবং এর মধ্যে উঠে এসেছে‌ কিংবদন্তি সব মানুষের নাম। শুধু নাম নয়, তাঁদের পরিচয়। তাঁদের যে গ্ল্যামার দুনিয়ার ঝলমলে ছবি মানুষের চোখে ভাসে, যে ছবি অতি সযত্নে তৈরি করে, লালন করে সংবাদমাধ্যম সাধারণ মানুষের সামনে পরিবেশন করে, যে ছবির দৌলতে তাঁদের ছায়াছবিগুলি বাজারে চলে, তাঁদের সেই ঝকঝকে ছবির আড়ালে প্রকৃত মানুষটির চেহারা, প্রকৃত পরিচয় ধরা পড়েছে লেখকের কলমে। লেখক নিজেই তো চলচ্চিত্রনির্মাতা, চিত্রগ্রাহক। তাঁর কলম যেন চলমান দৃশ্যের মত মানুষগুলিকে দাঁড় করিয়ে দেয় আমাদের সামনে। তাঁদের সুখ-দুঃখ, রাগ-অভিমান, উচ্চাশা-প্রত্যাশা, তাঁদের সহকর্মীদের প্রতি সহমর্মিতা, প্রয়োজনে বাড়িয়ে দেওয়া সাহায্যের হাত, একসঙ্গে হইহই করে পিকনিক, জলসা, সারারাতব্যাপী গানের আসর – এও যেন এক চলমান সিনেমা!

সংবাদমাধ্যমের কথা যখন উঠলই, এবং চলচ্চিত্রের বাজারের কথাও, তখন একটা ব্যাপার উল্লেখ করতেই হয়। বইতে নানান নামি দামী অভিনেতা অভিনেত্রীর কথা এসেছে, যাঁদের তরুণবাবু খুব কাছ থেকে দেখেছেন বছরের পর বছর। ধরেই নেওয়া যায়, এঁদের ব্যক্তিগত জীবনের অনেক কাহিনিই তাঁর জানা, তাঁর সামনেই ঘটেছে সেসব। এইসব তারকাদের ব্যক্তিজীবনের কাহিনি – সোজা কথায় কেচ্ছা যার কিছু সত্যি, কিছু বা মনগড়া – এই বেচে বছরের পর বছর চলেছে কত পত্রিকা! লেখক কিন্তু অত্যন্ত সচেতনভাবে কেচ্ছাকাহিনির বিন্দুমাত্র রেশ রাখেননি তাঁর লেখায়। বইটি লেখার সময় তাঁদের অনেকেই আর আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ইহজগতে নেই। লেখক তাঁদের ব্যক্তিজীবন   বইতে রাখতেই পারতেন। হয়ত তাতে বইটি জনপ্রিয় হত আরও বেশি। কিন্তু যে শালীনতাজ্ঞান, ভদ্রতাবোধ ও সংযম চিরকাল তাঁর সিনেমার মাপকাঠি হয়েছে, সেই একই সম্ভ্রমের লক্ষ্মণরেখা উনি টেনে রেখেছেন এইসব নামী মানুষদের ব্যক্তিজীবনের চারধারে, নিজের লেখা এই বইটিতে।

তার সঙ্গে পাই ওঁর তরফ থেকে এই তারকাদের যথার্থ মূল্যায়ন। উত্তমকুমার সম্বন্ধে উনি বলেন, “উত্তমের মত একটা সদাহাস্যময়, আটপৌরে, বন্ধুবৎসল যুবককে আমাদের ইন্ডাস্ট্রি একটা প্রকান্ড, শক্তপোক্ত সোনার খাঁচা বানিয়ে, তার ভেতরে পুরে, পায়ে সোনার শেকল বেঁধে, বরাবরের জন্য দূর আকাশের তারা বানিয়ে রেখে দিল।”

আর সুচিত্রা সেন? তাঁকে উদ্দেশ্য করে কী বললেন লেখক?

“এঁরা কি একজনও আপনাকে কাছ থেকে দেখেছেন? চিনেছেন? আপনার ভেতরটা দেখতে পেয়েছেন? আপনার ভেতরের আলোটাকে? মহানায়িকা – চটুল ওই একটিমাত্র শব্দে আপনার তর্পণ সেরে ওঁরা ছুটে গেছেন অন্য কোনও তথাকথিত মহানায়িকার সন্ধানে…”

বইটির মধ্যে যে শুধু চলচ্চিত্রনির্মাতা লেখকের নিজের জীবনের, নিজের কাজের দিনগুলির বর্ণনা আছে তাই নয়, বাংলা তথা ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের একটি ইতিহাস যেন উঠে এসেছে এর পাতায় পাতায়। আগের দিনের নামী স্টুডিওর রমরমা, সেই সময়ের কাজের ধরন, প্রযুক্তির খুঁটিনাটি, এবং সব থেকে বড় কথা কাজের পরিবেশ বা সংস্কৃতি, ধীরে ধীরে নতুন প্রযুক্তির আগমন, তার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে কাজের ধরনের পরিবর্তন – যাঁরা সিনেমা নিয়ে পড়াশোনা করেন তাঁদের কাছে গল্পের ছলে বলা এই পালাবদল খুবই সাবলীল রূপে ধরা দেবে। আরেকটা বিষয় যেটা চোখে পড়ে, সর্বভারতীয় স্তরে বাংলা সিনেমা, বাংলার পরিচালক, বাংলার লেখক ,গায়ক, শিল্পীদের যে কী উচ্চ স্থান ছিল, কী অসম্ভব সম্মান, মর্যাদা ও প্রশংসা যে তাঁরা পেয়েছেন সারা ভারতের বিখ্যাত কলাকুশলী ও পরিচালক প্রযোজকদের কাছে, আজকের দিনে ভাবলে কেমন যেন স্বপ্ন মনে হয়। কখনো রাজ কাপুর, কখনো ভি শান্তারাম, কখনো কাইফি আজমি, কখনো মোহাম্মদ রফি – সর্বভারতীয় তারকারা বাংলার এক নির্দেশকের ছবি দেখছেন নিজেদের উদ্যোগে, ছবিটি জনতার জন্য রিলিজ হওয়ার আগেই। মুম্বাই, তখনকার বম্বেতে সাদরে সাগ্রহে কাজ করার সুযোগ করে দিচ্ছেন। কেউ বা সিনেমার গান লেখার কাজ সচরাচর না করলেও লেখকের সিনেমার জন্য গান লিখে দিচ্ছেন। কখনও বা গান গেয়ে পারিশ্রমিক নিতে অস্বীকার করছেন। সবই একটা ভালো কাজকে সম্মান করে, বাংলার প্রতিভাকে মর্যাদা দিয়ে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার এক স্বর্ণযুগ যেন ছিল তখন।

বইয়ের দুই মলাটের মধ্যে ধরা আছে অসংখ্য ঘটনা, অগুনতি মানুষ। অনন্ত তাদের গল্প। লেখকের নিজের ভাষায়, “টানা ছবি নয়। টুকরো টুকরো ছবির ফ্রেম। স্মৃতি হাতড়ে, এখান ওখান থেকে কয়েকটি তুলে এনে, ধুলো মুছে হাজির করা হল।”

বইটিতে একটি ছোট্ট অংশ আছে সঙ্গীত – সমকালীন সঙ্গীত নিয়ে তরুণবাবুর চিন্তাভাবনা ঘিরে। আমরা যাঁরা ওঁর সিনেমার গুণগ্রাহী, তারা খুব ভালো করেই জানি সঙ্গীত কী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় সেখানে। পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী সঠিক গানটি সঠিক দৃশ্যে ব্যবহার করে সিনেমার মান শতগুণ বাড়িয়ে তোলার ব্যাপারে উনি চিরকাল সিদ্ধহস্ত। এহেন সঙ্গীত অনুরাগী যখন “জীবনমুখী গান” সম্বন্ধে তাঁর বক্তব্য রাখেন, সেগুলিকে বিচার করেন গণনাট্য সংঘের (হ্যাঁ সেই ঘোর উন্মাদনার দিনগুলির কথাও উঠে এসেছে বৈ কী) বা চারণ কবি মুকুন্দ দাশের ‘ভেঙে ফেল রেশমি চুড়ি’র মাপকাঠিতে, তখন একমত হই বা না হই, কথাগুলি ভাবায় অবশ্যই।

প্রথমেই একটি মনকাড়া ঘটনার কথা লিখেছি। এমন কত কত ঘটনা যে বর্ণিত হয়েছে বইয়ের পাতায় পাতায়! কত রকমের বিচিত্র অভিজ্ঞতা। কোথাও নামী অভিনেত্রী অনুভা দেবী মাতৃস্নেহে সিনেমার শ্যুটিং চলাকালীন ইউনিটের সকলকে রোজ নিজের হাতে রান্না করে খাওয়াচ্ছেন, তো কোথাও বাঙালি হৃদয়ে চিরঅধীশ্বর নায়ক উত্তমকুমার নিজের রোল ছেড়ে দিচ্ছেন উঠতি অভিনেতা অনুপ কুমারের হাতে। কারণ উনি বুঝছেন উনি নিজে নয়, এই নবীন অভিনেতাই এই চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলবে ভালো। নির্দেশক বিমল রায় তাঁর নিজের সিনেমার ফ্লোর ছেড়ে বন্ধুর অনুরোধে পাশের ফ্লোরে তাঁর ক্যামেরার কাজে সাহায্য করতে চলে যান নিজের ক্ষতি করেও। আবার একটি সিনেমায় অনুপ কুমারের মুখে উর্দু সংলাপ আছে কিন্তু অভিনেতা উর্দু জানেন না বলে নিজে উদ্যোগ নিয়ে রোজ এসে তাঁকে উর্দু শিখিয়ে যান পাহাড়ি সান্যাল। পাহাড়ি সান্যাল কিন্তু নিজে ওই সিনেমায় কাজ করছিলেন না! কিন্তু তাতে কী? ইগো রেষারেষি দ্বন্দ্ব – যে সব মুখরোচক খবর পড়ে এসেছি আমরা চিরকাল, সেগুলোর মলিন আবরণ সরিয়ে, নীচতার ধুলো ঝেড়ে, মানবতার ও সখ্যতার এই উজ্জ্বল ছবিগুলি তুলে ধরেন লেখক, স্বার্থ ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের পাঁক সরিয়ে বন্ধুত্বের কমল দিয়ে সাজান তাঁর স্মৃতির বাগিচা।

কত কী বিচিত্র অভিজ্ঞতার কথা যে লিখেছেন লেখক! উনি এবং ওঁর শুটিং দল কখনও ডাকাতের হাতে পড়েছেন, কখনও বা পড়েছেন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখেও। গ্রামের সাধারণ মানুষ নিজেদের সবটুকু দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, যাতে নির্বিঘ্নে গ্রামে কাজ করতে পারে সিনেমার দল। গ্রামে গ্রামে নেচে গেয়ে পালা করে বেড়ানো মেয়েদের সঙ্গে কথা বলেছেন, কাজ করেছেন তথাকথিত ‘খারাপ মেয়েদের’ ‘খারাপ পাড়া’ য় গিয়ে, তাঁদের কয়েকজনকে কাজও করিয়েছেন নিজের সিনেমায়। যখন “সংসার সীমান্তে” সিনেমাটি বেরোয়, সেই মেয়েরা ছবিটি দেখেন। তারপর মন্দিরে পুজো দিয়ে ওঁর বাড়ীতে পৌঁছে দেন সেই পুজোর ডালা। সঙ্গে চিরকুট, কাঁচা হাতে লেখা – “ভগবান আপনার ভালো করুন।”

অসংখ্য পুরস্কার পাওয়ার পরেও, দেশ বিদেশে নিজের কাজের প্রশংসা কুড়ানোর পরেও তরুণ মজুমদার বলছেন, এটি তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্মান।

আরেকটি ঘটনা না বললেই নয়। ভিড়ের মধ্যে মিশে থাকা অভিনেতারা, যাঁদের চলচ্চিত্র জগতে বলা হয় এক্সট্রা – যাঁদের কোনো সংলাপ থাকে না, কাজের শেষে পারিশ্রমিক সামান্য ও অনিয়মিত, এবং সবচেয়ে বড় কথা যাদের না হলে সিনেমা হবে না, অথচ যাঁদের কোনোই সম্মান নেই – এমন একজনকে ভিড়ের মধ্যে থেকে বেছে নিয়ে উনি নিজের ‘বালিকা বধূ’ ছবিতে মাস্টারমশাই এর পার্ট দেন। ছোট অথচ গভীর তাৎপর্যপূর্ণ একটি চরিত্র। অভিনেতা চরিত্রটি করেন এবং তারপরেই সিনেমাপাড়া ছেড়ে চলে যান। কারণ এমন সম্মান আর কোথাও উনি পাওয়ার আশা রাখেন না। তাই এই শিল্পীর স্বীকৃতিটুকু উনি নিজের শেষ মধুর স্মৃতিরূপে বজায় রাখতে চান।

শোনা যায় মৃত্যুর পরে এই সিনেমার একটি বই (তখন সিনেমার অভিনেতাদের ছবি, সিনেমার গান ইত্যাদি নিয়ে চটি বই বিক্রি হত) রাখা হয় তাঁর মরদেহে, তাঁরই নির্দেশ মেনে।   

এর চেয়ে বড় সম্মান আর কী হতে পারে!

‘সিনেমা পাড়া দিয়ে’ বইটি অত্যন্ত মনোগ্রাহী। কিন্তু একটু অতৃপ্তির ভাব তবু থেকেই যায়।  কারণ, বইটির দ্বিতীয় পর্ব শেষ হয় ১৯৮০ সালের জুলাই মাসে, উত্তমকুমারের মৃত্যু দিয়ে। তারপরেও তরুণবাবু কাজ করেছেন অনেক, ওঁর অনেক নামী সিনেমাই তার পরে তৈরি। কিন্তু সেগুলির গল্প আমাদের শোনানোর আগেই ওপরের নির্দেশকের কাছ থেকে এসে যায় ওঁর প্যাকআপএর নির্দেশ। বইটির তৃতীয় পর্ব আর পাই না আমরা। এই প্রসঙ্গে আবার বইয়েরই একটি অংশ মনে না করে পারছি না। ‘বালিকা বধূ’ ছবির শেষ শুটিংয়ের দিন লেখক খবর পান, তাঁরই আবিষ্কার নবাগতা কিশোরী নায়িকা মৌসুমী মন্দিরের চাতালে লুটিয়ে পড়ে কাঁদছে। সামনে গিয়ে শোনেন সে বলছে, “কেন? কেন শেষ হয়ে গেল সব? কেন শেষ করে দিলে শুটিং?”

হঠাৎ করে কেন সব শেষ হয়ে যায়, জমজমাট মঞ্চ ছেড়ে কেন কুশীলবদের অকস্মাৎ চলে যেতে হয়, জীবনের এই চির রহস্য কেই বা ভেদ করতে পেরেছে!

সিনেমা কী জোগায়? শুধুই বিনোদন? বিনোদনে দোষ নেই কিছুই। মানুষের দৈনন্দিন জীবনের ঘোর বাস্তব সমস্যা কিছুক্ষণের জন্য ভুলতে, রোজের জ্বালা যন্ত্রণা কিছুক্ষণের জন্য জুড়োতে সিনেমার জুড়ি নেই।

কিন্তু তারপরেও সিনেমা আরও কিছু করে। সে মানুষের কথা বলে। তার প্রেম, তার বিরহ, তার লোভ, তার ত্যাগ, তার স্নেহ-মায়া-মমতা, তার রাগ-ঈর্ষা-বিদ্বেষের কথা বলে। মানুষকে হাসায় কাঁদায় , তার মনের কল্পনার ডানা দুটি মেলে দেয়।

সেই মানুষের কথা বলা সিনেমার গল্প বলে এই বইটি। এবং, সিনেমার সঙ্গে… মানুষেরও গল্প বলে।

 

পুস্তক পর্যালোচনা

বই              : সিনেমা পাড়া দিয়ে, দুটি খণ্ড 

লেখক         : শ্রী তরুণ মজুমদার

প্রকাশক      : দে’জ পাবলিশিং

প্রকাশ সময় : এপ্রিল ২০২১

ISBN           : 978-93-90902-42-2

 
আনন্দিতা চৌধুরীর জন্ম বেড়ে ওঠা কলকাতায়, তবে গত দুই দশক ধরে ঘর বেঁধেছেন নিউ জার্সিতে। তাই তাঁর লেখাতে যেমন উঠে আসে বাঙালি মধ্যবিত্ত যাপনের রোজনামচা, তেমনই থাকে প্রবাসী মনের টানাপোড়েন। পেশার ক্ষেত্র লাইব্রেরি, বইয়ের সঙ্গে কাটে দিন। নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধানের মানুষের সঙ্গে ওঠাবসা সারাদিন। মানুষ দেখা, মানুষের কথা শোনা, মানুষের গল্প লেখা তাঁর নেশা।

Related Articles

1 Comment

Avarage Rating:
  • 0 / 10
  • Geovanny Gislason , February 8, 2024 @ 1:21 pm

    you are truly a just right webmaster The site loading speed is incredible It kind of feels that youre doing any distinctive trick In addition The contents are masterwork you have done a great activity in this matter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *