তেরোই অক্টোবর। উনিশশো সাতাশির এই দিনটাতেই চলে গিয়েছিলেন কিশোরকুমার। ভারতের সঙ্গীতপ্রেমীদের জীবন থেকে জরা নামক ব্যাধে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিল তাঁদের গীতের কেষ্ট ঠাকুরকে। আজও ব্যথা জাগে, কষ্ট অনুভূত হয়। গানপাগলের দল তখন ওষুধ খোঁজে। সৌভাগ্য তাদের, পেয়েও যায় একটা নাম— নুসরত ফতেহ আলি খান। কিন্তু নুসরতেই আরাম পাওয়ার কারণ কী? কারণ তেরোই অক্টোবর যে এই কিংবদন্তীর জন্মদিন।
নুসরত ফতেহ আলি খান। নব্যতম গানপ্রেমী ভারতীয়রা নুসরত সাহেবকে কতখানি চেনে তা বলা কঠিন। নুসরত নাম শুনলে হয়তো কোনো তন্বী গৌরী শিখরদশনা নায়িকার ছবি ভেসে ওঠে মানসপটে, কিন্তু না হে — এই নুসরত পৃথক ব্যক্তি। ইনি পুরুষ। ভারত – পাকের অনেক ওপরে, হিন্দু – মুসলমানের সাত আসমান উঁচুতে বিরাজমান সঙ্গীতজগতের এক উত্তম পুরুষ।
নুসরত পাকিস্তানের প্রবাদপ্রতিম গায়ক। বলিউডে জাভেদ আখতার ছিলেন তাঁর নিকটতম গীতিকার। নুসরত বলিউডের জন্য যত কাজ করেছেন, তার সবটাই জাভেদ আখতারের সঙ্গে করেছেন।
নুসরত ফতেহ আলি খান ও জাভেদ আখতার – তাঁদের যুগলবন্দী
১৯৮৪ সাল। ‘দুনিয়া’ ফিল্মের জন্য জাভেদ একটা গান লিখলেন —
ফিরতে হ্যায় কব সে দরবদর
অব ইস নগর
অব উস নগর
এক দুসরে কে হমসফর
ম্যায় অউর মেরি আওয়রগি।
গানের কথাগুলোকে খাতায় লিখেই জাভেদ ফোন লাগালেন পাকিস্তানে — হ্যালো নুসরত সাহাব…আপকে লিয়ে এক গানা লিখখা হ্যায়।
গানের প্রতিটা কথা সত্যি সত্যিই নুসরত সাহেবকে দিয়ে গাওয়ানোর জন্যেই লিখেছিলেন জাভেদ আখতার। চোখ দুটো বুজে যদি কল্পনা করা যায়, তাহলে মনে হবে কোনো এক কল্পনাতীত খ্রিষ্ট পূর্বাব্দ থেকে চলে আসছে এই যুগলবন্দী।
নুসরত সাহেব গানের কথাগুলো মন দিয়ে শুনে বলেছিলেন —‘জাভেদ সাহব, ইয়ে গীত কিশোরদা হি গানে লগেঙ্গে, তিস পর হি ইয়ে গীত ফওনে লগেগা।’
গানটা কিশোরকুমারই গেয়েছিলেন। তবে জাভেদ আখতার মনে প্রাণে চেয়েছিলেন যে নুসরত সাহেব যেন এই গানটা একটি বার গেয়ে দেখেন। নুসরত সাহেব গেয়েছিলেন নিজের গলায়, নিজের স্টাইলে, কালোয়াতি করে, অনেক ফাস্ট ট্র্যাকে। নিজের অ্যালবামে সেই গান রিলিজ করেছিলেন। একই গান দুই কিংবদন্তী গাইলেও কিন্তু কোথাও কোনো মনোমালিন্য হয়নি, একে অন্যকে ছাপিয়ে যাওয়ার প্রকট এমনকি প্রচ্ছন্ন চেষ্টাও ধরা দেয়নি। এমনই ছিল কিশোরকুমার আর নুসরত ফতেহ আলি খানের ইয়ারানা। তবে এক অবেলায় এই বন্ধুত্ব ভেঙে একজনের জন্মদিনে অন্য জন চলে গেলেন।
বন্ধুরা ভাবছেন নুসরত ফতেহ আলি খান আর কিশোরকুমার শিরোনাম দিলেই তো চলত, এক শিরোনাম দিয়ে ভেতরে অন্য বিষয়ে লেখা — ইউটিউবের ক্লিকবিটের মতো একরকম কভার আর ভেতরে অন্য মালপত্তর দেওয়ার মানে কী? তা নয়। আসলে এহেন ব্যক্তিত্বকে নিয়ে লিখতে বসলে এটুকু গৌরচন্দ্রিকা না-করলে যে পাপ লাগবে!
এবারে আসি শিরোনামে।
হাতের টাচফোনে একটু ছোঁয়াছুঁয়ি খেলে দেখে নিতে পারেন এই শিরোনামের লাইনটিকে সার্চ করে। জনাব নুসরতের একটি কাওয়ালির বিখ্যাত পঙক্তি। আলাপের মিন, মিডিয়া, মোড।
জনাব নাজ খায়ালবি সাহেবের লেখা। ‘নাজ’ কিন্তু কোনো প্রাচীন শায়ের নন। ১৯৪৭ সালে জন্ম ভদ্রলোকের আর জন্ম সেই তোবা টেক সিংএ। তোবা টেক সিং শুনলেই মনে পড়ে দেশভাগের ওপর লেখা সাদাত হুসেন মান্টোর বিখ্যাত গল্প। এই গল্পে আছে রাষ্ট্রের মানবতা বিরোধী মনোভাবের ওপর তীব্র কষাঘাত।
তবে পাকিস্তানি আওয়াম নাজকে শায়েরের থেকেও রেডিও অ্যানাউন্সার হিসেবেই বেশি চেনে। পাকিস্তানি রেডিওতে চাকরি করতেন। চাকরি বাকরি সামলে সময় অল্পই পেতেন। সময় পেলেই কাগজে কলম ঘষে লিখতেন মণি মুক্তোর থেকেও দামী দামী শের। সঙ্গীতের পিয়াসীরা হয়তো অনেকেই জানেন, যারা জানেন না তাঁরা রেখতা-তে নাজ সাহেবের সংগ্রহ পেয়ে যাবেন।
নয়ের দশকের গোড়ার কথা। নাজের বয়েস তখন তেতাল্লিশ বছর। হঠাৎ একদিন নুসরত সাহেব সোজা নাজের কাছে পৌঁছে গেলেন। তদ্দিনে নুসরত ফতেহ আলি খান সঙ্গীত জগতের তারকাতে পরিণত হয়েছেন। তিনি জনাব নাজকে বললেন — ‘নাজ সাহেব, একদিন আপনার লেখা একটা শের পড়ে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। ওখানে একটা লাইন ছিল — তুম এক গোরখধান্ধা হো…। কোনো আসরে আপনার এই লাইনগুলোকে গেয়ে শোনাতে ইচ্ছে করছে। আপনার কাছে অনুমতি নেওয়ার জন্যে তাই এখানেই চলে এলাম। আশা করি, আপনি না করবেন না।’
নুসরত ফতেহ আলি খান, ভারত পাকিস্তানের সঙ্গীত জগতের সুপারস্টার। তিনি স্বয়ং অনুমতি নিতে এসেছেন। নাজ সাহেব এই সারল্য দেখে অভিভূত হয়ে গেলেন। নিঃশর্তে ওই কবিতাকে কাওয়ালিতে পরিণত করে গাইবার অনুমতি দিলেন ভদ্রলোক।
১৯৯১ সাল। কাওয়ালির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা হল এই পঙক্তিটিকে। যখন যেখানে গাওয়া হল, রেকর্ড শোনা হল, সেখানেই ভেসে বেড়াতে লাগল তবলার ঠাপ। গায়ন এবং তার পুনরাবৃত্তিতে একটাই পঙক্তি কঠিন –কোমল হয়ে ফিরে ফিরে আসতে লাগল — তুম এক গোরখধান্ধা হো।
যখনই ‘ধান্ধা’ শব্দটা শেষ হয় আর ‘হো’ আরম্ভ হয়, তখনই মন যেন মুচড়ে ওঠে। মন তবলার লহরীর মতো ধাক্কা খেয়ে ফেরে দিকে দিকে। হাতের আলতো ঠাপের আধার নিয়ে ধূপের ধোঁয়ার মতো ঘনিয়ে ওঠে ওই অমোঘ পংক্তি: — তুম এক গোরখধান্ধা হো।
এ হল শিরোনাম। সইয়ের মতো। কাওয়ালির সিগনেচার। আর এই সিগনেচারে একটি মহাশব্দ গাঁথা রয়েছে: ‘গোরখধান্ধা’।
কী অদ্ভুত! কী মজা! কাব্য করছেন একজন পাকিস্তানি শায়ের। লিখছেন এমন একটি শব্দ, যা না তো উর্দু, না তাহা পাকিস্তানি আওয়ামের অথচ সেই শব্দেই মজে যাচ্ছেন এক কিংবদন্তী পাকিস্তানি গায়ক। এবং সেই শব্দই হয়ে উঠছে তাঁর গানের এমন এক সিগনেচার, যার আদি এবং অন্তের উচ্চারণে অমিতাভ বচ্চনের মতো সুরসিকও বলে উঠেছেন — কেয়া বাত, উস্তাদ!
গোরখধান্ধা — একটি বিশুদ্ধ সংস্কৃত শব্দ থেকে আগত তদ্ভব। সবেরই ইতিহাস থাকে, মুন্নি বদনাম হওয়ার ইতিহাস বা শিলা জওয়ান হওয়ার ইতিহাস খুঁজতে পারা গেল এই গোরখধান্ধার ইতিহাসই বা খোঁজা যাবে না কেন?
আসুন না, খুঁজেই দেখি।
গোরখধান্ধার মধ্যে দুটি শব্দ লুকিয়ে বসে রয়েছে। এক, গোরখ। দুই, ধান্ধা। দুটি শব্দের পৃথক অস্তিত্বের একাকার হওয়ার গল্পটার জন্যে একটি গভীর অন্বেষণ প্রয়োজন। আসুন, ব্যবচ্ছেদ করা যাক।
‘গোরখ’ শব্দটি সংস্কৃত শব্দ ‘গোরক্ষ’ শব্দের তদ্ভব রূপ।
গোরক্ষ শব্দের অর্থ হল, এমন সবকিছু যা ‘গো’ রক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত।
গো বলতে গোরু, ইন্দ্রিয়াদি, আকাশগঙ্গা, সূর্যকিরণ সবই বোঝায়।
গোরক্ষ শব্দটি শুনলেই মনে আসে এক যোগীর কথা। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন — নাথপন্থের সংস্থাপক শ্রী গোরক্ষনাথ। এবং এই মহাযোগীর নাম থেকেই গোরখ শব্দটি জনমানসে প্রচারিত হয়েছিল। গোরখপুর নামক স্থানে এই আদিগুরু নিজের পন্থার প্রচার এবং প্রসারের নিমিত্তে মঠ স্থাপন করেছিলেন। উত্তর প্রদেশের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মহোদয়ই এখন সেই মহামঠের পীঠাধীশ, উলটো দিক থেকে বললেও এই বাক্যে কোনো তথ্যবিভ্রাট ঘটবে না অবশ্য।
নেপাল এবং ভারতের গোরখারা কিন্তু এই আদিযোগীর নাম থেকেই নিজেদের গোরখা বলে থাকেন। নেপালের রাষ্ট্রদেবতাও ছিলেন গোরক্ষনাথ। নেপালে তাঁর নামে মুদ্রা চালু ছিল একদা। গোরখা বলে একটি জায়গাও আছে নেপালে।
মোটামুটি বোঝা গেল যে গোরখধান্ধার প্রথম শব্দ ‘গোরখ’ কীভাবে বিখ্যাত হয়েছে। এবার যাওয়া যাক ‘ধান্ধা’র দিকে। অনেকেই বলেন ‘ধান্ধা’ একটি উর্দু শব্দ। কিন্তু খেয়াল করুন, আগেই লিখেছি গোরখধান্ধা একটি তদ্ভব শব্দ। কারণ কী?
বাঙালি লবজে ধান্ধাটা ধান্দা হয়ে গেছে কবেই। আমরা হিন্দি সিনেমার কল্যাণে তবু আজও ধান্ধাকে ধান্ধাই শুনি। তা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বলুন বা সিনেমার স্ক্রিনে, ধান্ধা একটি অত্যন্ত নেতিবাচক শব্দ রূপেই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। শঠ, কাজ বাগিয়ে নিতে ওস্তাদ, ভুলভাল জিনিসের ব্যবসা ইত্যাদি বোঝাতে আমরা ধান্দা বলি। আর হিন্দিতে তো এর ব্যবহার আরও কদর্য — বেশ্যার বৃত্তিকে ধান্ধা বলা হয়ে থাকে — ধান্ধেওয়ালি। এধরণের প্রশ্ন যে কোনো হিন্দিভাষী রমণীর চরিত্রে দাগ আর বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিতে পারে।
যাই হোক, ধানাই পানাইয়ের ভাঙা বাসর ছেড়ে আসল কথার আসরে ফিরি। ‘ধান্ধা’ এসেছে ‘ধন্ধারি’ থেকে। কড়িকে সুতো দিয়ে গেঁথে একধরণের প্রহেলিকা তৈরি করা হতো। একধরণের পাজল — অত্যন্ত জটিল বস্তু। তা-ই ছিল ধন্ধারি। এই বস্তু কিন্তু এক অদ্ভুত উদ্দেশ্যে তৈরি করা হতো। নাথপন্থার সন্ন্যাসীদের মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার জন্যে এই খেলার আত্মপ্রকাশ তথা বিকাশ ঘটে। তবে ধন্ধারি থেকে ধন্ধা তথা ধান্ধা হতে হতে প্রায় দেড় হাজার বছর সময় লেগেছে। যত্নে লালিত এই শব্দটিকে এহেন দুর্দম্য রূপে তদ্ভব করে তোলার পিছনে ভূমিকা ছিল কবীরপন্থীদের।
নাথপন্থীদের উদ্ভবের প্রায় দেড় হাজার পরে আসে কবীরপন্থীরা। আদিযোগী শ্রী গোরক্ষনাথের চিহ্ন দেখা গিয়েছিল (খ্রিষ্টাব্দ) প্রথম শতকেই। কবীর এলেন পনেরোশো সালের পরে। কবীর দাসের উত্থানের একশো দেড়শো বছর পরে কথা। ততদিনে নাথপন্থীদের দেড় হাজার বছরের ধারার প্রতিস্পর্ধী হয়ে উঠেছে দেড়শো বছরের কবীরপন্থীরা।
কাঠিন্যের সঙ্গে সহজিয়ার লড়াই। নিত্য নতুন দ্বন্দ্ব। নব নব তর্ক। এ তথ্য সম্ভবত অপ্রাসঙ্গিক হবে না যে ধান্দা কথার উৎপত্তিও দ্বন্দ্ব থেকে। নাথপন্থী সন্ন্যাসীরা নিজেদের নামের যোগী ব্যবহার করেন। কবীরপন্থীরা সোজা কথা বলতেন, তদ্ভব শব্দে সেই যোগীকে করে দিলেন ‘যোগীরা / জোগীরা’। নাথপন্থীরা পালটা এঁদের নাম দিলেন ‘কবীরা’। বিহার উত্তরপ্রদেশের হোলিতে রং দেওয়ার সময়ে আজও ভেসে আসে সেই দ্বন্দ্বের গন্ধ। কথায় গানে বুলি ফোটে — ‘জোগীরা সা রা রা রা রা…’, আসে পালটা বোল — ‘কবীরা সা রা রা রা রা…’।
সহজিয়া দিয়ে মনের মানুষ হয়ে ওঠা সম্ভব, কিন্তু মেধা প্রাপ্তি সম্ভব নয়। নাথপন্থীদের সমস্ত কঠিন তত্ত্বকে নতুন ছাঁচে ফেলে দিতে পারলেও কড়ি দিয়ে তৈরি ধন্ধারির ধাঁধাটাকে কিছুতেই বাগ মানাতে পারলেন না কবীরপন্থীরা। হাতে নিলেও গুলি ছাড়া বন্দুকের মতোই খেলনা ভেবে রেখে দিতে হতো সেটাকে। কবীরারা জোগীরাদের জিজ্ঞাসা করতেন — ‘ইয়ে কেয়া হ্যায়?’
উত্তর আসত — ‘গোরখনাথ কি ধন্ধারি।’
আগেই বলেছি, কবীরারা ছিলেন তদ্ভবের জাদুকর। শব্দের জাগল করতেন। এমন বিশুদ্ধ বুদ্ধির যন্ত্র তন্ত্রের সঙ্গে পেরে না-উঠে ধন্ধারির নতুন নামকরণ করে দিলেন — ‘গোরখধান্ধা’। এবং পাশাপাশি এই শব্দটাকে নেতিবাচক রূপ দিয়ে সমাজে প্রচলিত করে দেওয়া হল। তারপর থেকে আজ অবধি দেশে তো বটেই, দেশের বাইরেও একটাই পঙক্তি ছেয়ে গেল — ‘তুম এক গোরখধান্ধা হো।’ আবার শুনতে আশ্চর্য লাগলেও বাংলা গোলকধাঁধার উৎপত্তিও এই শব্দ থেকে। ‘গোরখ’ থেকে ‘গোলক’ আর ধান্ধা থেকে ধাঁধা!
গোলক-ধাঁধা (বা – হিন্দি গোরখধান্ধা) এর সোজা বাংলা অর্থ হলো –
1 যে বেষ্টনীর মধ্যে ক্রমাগত ঘুরেও বাইরে যাবার পথ খুঁজে পাওয়া যায় না;
2 গুরু মীননাথকে উদ্ধার করার জন্য শিষ্য গোরখনাথ যেসব কথা বলেছিলেন, সেইরকম ধাঁধা;
3 (আল.) জটিল সমস্যা।
(https://www.freebanglafont.com/bangla-to-bangla-meaning.php?id=289928)
আমরা জানি, গোরখ’ থেকে ‘গোলক’! র আর ল এর মধ্যে এরকম এক সম্বন্ধ আছে – অঙ্গুরী আর অঙ্গুলি কিংবা বাদর আর বাদল! আর ‘ক’ থেকে ‘খ’ – একবর্গের (কণ্ঠ) মধ্যেই বর্ণান্তর। যেভাবে হয় পিসেজ (Pisces) এর ‘প’ থেকে ফিসেজ (Fishes) ‘ফ’। আর দ্বন্দ্ব, ধান্দা, ধাঁধা – সব মিলে মিশে যায়।
যেমন যান ওঁরা – কিশোরকুমার, নুসরত ফতে আলি খান, নাজ, তোবা টেক সিং, সাদাত হুসেন মান্টো!
কি করে মেলে? ম্যাজিক, প্রহেলিকা? নাকি ‘গোরখধান্ধা’?
সব ছবিগুলি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।
3 Comments