পরিকল্পনা মতই ১৫ই জানুয়ারি প্রকাশিত হল ত্রৈমাসিক ‘অবসর’ পত্রিকার ২০২১ এর ‘শীত সংখ্যা’। মাঘ মাস পড়ে গেলেও ‘মাঘের শীত বাঘের গায়ে’ পৌঁছেছে কিনা তা আদৌ বোঝা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে নবান্ন উৎসবের সমারোহ শুরু হয়েছে। বিগত অতিমারীর ভয়ংকর বছরটিকে পিছনে ফেলে নতুন বছরে পৃথিবী আবার ধীর পায়ে চলা শুরু করেছে।
এবার প্রচ্ছদকথা – ‘শিক্ষা-দীক্ষা’।
মাতৃভাষায় শিক্ষার স্বপক্ষে সওয়াল করেছেন অনেক পণ্ডিত মানুষই যাঁদের মধ্যে অন্যতম রবীন্দ্রনাথ। বিদ্রোহী মাইকেলও উপলব্ধি করেছিলেন,- ‘মাতৃভাষা-রূপ খনি পূর্ণ মণিজালে’।
দুটি লেখা রইল এই প্রসঙ্গে – লিখেছেন বিভাস ভট্টাচার্য ও রাজকুমার চক্রবর্তী।
করোনাকালীন পৃথিবীতে এক নতুন শিক্ষাব্যবস্থা সর্বাধিক প্রাধান্য পেতে চলেছে – অনলাইন শিক্ষা। তার পরিপ্রেক্ষিত ও প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে লিখেছেন শেখর মুখোপাধ্যায়।
সংগ্রামী লাহিড়ীর লেখায় রইল উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শেখার নানান অভিজ্ঞতার কথা।
অতিমারীতে আমরা হারিয়েছি আমাদের বাংলার শিল্পের এক স্তম্ভকে – তিনি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। পরিচালক সুমন ঘোষ খুব কাছ থেকে পেয়েছেন তাঁকে – এক খুব বিস্তারিত ও অন্তরঙ্গ, অকপট সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বন্ধু অরিন্দমকে যা এই সংখ্যার বিশেষ আকর্ষণ।
খেলোয়াড়রা করোনাকালে খুবই মুশকিলে পড়েছিলেন – গৃহবন্দী অবস্থাতে তাঁদের খেলার সুযোগ ছিল না। এই সময় কলরব রায় ফিরে দেখলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সেই পৃথিবীকে যখন প্রায় সাত বছরের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ক্রিকেট খেলা। কী হয়েছিল যখন আবার শুরু হল খেলা?
এবারে নতুন সংযোজন ‘ব্যক্তিগত গদ্য’ বিভাগ। সেখানে পেয়েছি দুটি লেখা।
প্রিয়দর্শী সেনের মা মৈত্রেয়ী দেবীর মংপুর বাড়িতে গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তাঁর স্মৃতিচারণে রইল তাঁদের মংপুর কথা। সৌমিক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন বঙ্গের এক প্রত্যন্ত অঞ্চলের কলেজে ‘অনলাইন’ শিক্ষার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা।
বেগম রোকেয়া – নারী স্বাধীনতার লড়াইয়ে বিস্মৃত একটি নাম। পরাধীন ভারতবর্ষে তাঁর যুদ্ধের কথা আমাদের সামনে নিয়ে এলেন শমীতা দাশ দাশগুপ্ত। পল্লব চট্টোপাধ্যায়ের লেখায় আমরা ফিরে পাই মাইকেল মধুসূদনের পুরুলিয়াবাসের স্মৃতি।
একবিংশ শতাব্দীতে বাংলা ওয়েব ম্যাগাজিনের ছড়াছড়ি। কিন্তু কেমন ছিল শুরুর দিনগুলি? দুই পথিকৃতের কথাতে তার যাত্রাশুরুর কাহিনি – কথাকার – সুমিত রায় ও সুজন দাশগুপ্ত।
এক প্রায় বিস্মৃত সুরকার অজয় দাস। তাঁকে নিয়ে এক মনোগ্রাহী আলোচনা অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্যের কলমে।
অতিমারী চলাকালীন আরো এক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি আমরা। ‘সর্ষের মধ্যেই ভূত’। হসপিটালের জীবাণু সংক্রমণ। ঊর্মি দত্তগুপ্তর লেখায় রইল সেই আলোচনা।
আশা করা যায় ২০২১ এ আমরা এক নতুন পৃথিবী দেখতে পাব। এই বছরের প্রথম ‘অবসর’ সংখ্যায় সেই প্রতিশ্রুতি নিয়ে শুরু করলাম পথচলা।
2 Comments