পুস্তক পর্যালোচনা- হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় : জীবন ও মনন
পত্রপত্রিকার সঙ্গে সমাজজীবনের সম্পর্ক দ্বিমুখী। সমকালীন ঘটনা সংবাদপত্রে ফুটে ওঠার ফলেই একটা নির্দিষ্ট সময়ের সমাজমননকে সেখানে খুঁজে পাওয়া সম্ভব। পাশাপাশি সংবাদমাধ্যম জনমানসকে প্রভাবিতও করে। তাই পৃথিবীর প্রায় সকল দেশের ইতিহাসেই দেখা যায় বড় কোনো রাজনৈতিক ঘটনার প্রেক্ষিতে আদর্শগত অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে সমসাময়িক সংবাদপত্রের পাতা। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামও তার ব্যতিক্রম নয়।
পরাধীন ভারতবর্ষে দাঁড়িয়ে পত্রপত্রিকা সম্পাদনা ও সাংবাদিকতার মাধ্যমে স্বাধীনতা সংগ্রামের বিভিন্ন ধারাকে শক্তি সঞ্চার করার কাজটা ছিল রাজনৈতিক মুক্তিসংগ্রামের সমান সাহসী ও বীরত্বপূর্ণ। নীল বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে এমনই ভূমিকা পালন করেছিল হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত হিন্দু প্যাট্রিয়ট। এই পত্রিকা হরিশচন্দ্রের কর্মজীবনের কেন্দ্রে অবস্থিত হলেও তাঁর ভূমিকা ব্যাপ্ত হয়েছিল নির্যাতিত কৃষকদের বিদ্রোহে প্রত্যক্ষ সহযোগী হিসেবেও। হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের জীবন, চেতনা ও কর্মজগৎ বিষয়ক বিস্তৃত ও বিশ্লেষণাত্মক আলোচনা শর্মিলা দত্ত বণিক তাঁর বই হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় জীবন ও মননে তুলে ধরেছেন। লেখক শুরুতেই জানিয়েছেন ব্যক্তি হরিশচন্দ্র ও তাঁর সম্পাদিত হিন্দু প্যাট্রিয়টকে পাশাপাশি রেখে যুগের প্রেক্ষিতে আলোচনাই তাঁর লক্ষ্য।
আসলে, অনেক উত্থান-পতন ও বৈচিত্র্য সত্ত্বেও প্রতিটা যুগের একটা নির্দিষ্ট যুগধর্ম থাকে। ঊনবিংশ শতাব্দীর ভারতের সেই যুগধর্ম অনুযায়ীই শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য, সমাজ, রাজনীতি সবক্ষেত্রেই একটা বিরাট ইতিবাচক পরিবর্তনের হাওয়া এসেছিল। ঔপনিবেশিক ভারতবর্ষে পাশ্চাত্য শিক্ষার সূত্রে এদেশের শিক্ষিত উচ্চবর্গীয় সমাজে ইউরোপীয় ভাবধারার প্রবেশ ঘটে। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান, যুক্তিবাদের অনুশীলন এদেশের একদল দায়িত্ববান মানুষকে মধ্যযুগীয় রক্ষণশীল চিন্তাধারার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার করে তোলে। দেখা দেয় সমাজ সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা। অন্যদিকে পাশ্চাত্যের স্বাধীনতা বোধ, গণতান্ত্রিক চেতনা, আধুনিক রাষ্ট্রভাবনা ও জাতীয়তাবাদের ধারণাও ভারত-মননে প্রবেশ করে। সেইসময়ের অজস্র ইংরাজি ও বাংলা পত্রপত্রিকার আত্মপ্রকাশের মূলে কাজ করেছিল এই ভাববিপ্লবের প্রেরণা, অথবা তার প্রতিক্রিয়া।
ইতিহাসের আলোচনা থেকে আমরা জেনেছি, ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে ভারতবর্ষের গ্রামীণ অর্থনীতি ঔপনিবেশিক বাণিজ্য-অর্থনীতিতে পরিণত হয়। তাদের মূল উদ্দেশ্যই ছিল ভারতকে ব্রিটেনের কাঁচামাল সরবরাহকারী এবং ব্রিটেনের উৎপন্ন পণ্যের বাজার হিসেবে গড়ে তোলা। এই প্রক্রিয়ার দ্বারা বাংলা তথা ভারতের নিজস্ব শিল্প প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। লেখক দেখিয়েছেন এই ধ্বংসাত্মক প্রক্রিয়ার সমান্তরালে একটি নতুন গঠনমূলক পরিবর্তন সেই সময়ে পরিলক্ষিত হয়। গ্রামীণ কৃষিনির্ভর অর্থনীতি ও কুটিরশিল্পের ধ্বংসসাধনের পাশাপাশি বাণিজ্য ও প্রশাসনের কেন্দ্র হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে শুরু করে শহর। এই সকল শহরকে কেন্দ্র করে জন্ম নেয় নতুন মধ্যবিত্ত নাগরিক সম্প্রদায়। এই প্রক্রিয়াতেই প্রথাগত বর্ণ-জাতিভিত্তিক সামাজিক স্থান-নির্ধারণের প্রবণতা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে। পরিবর্তে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে বিত্ত ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাপকাঠিতে নতুন উচ্চকোটির নির্মাণ। এই নবগঠিত সামাজিক উচ্চশ্রেণীর হাতেই সেদিনের জ্ঞানচর্চা, শিল্প-সংস্কৃতি, রাজনীতি বিকশিত হয়। লেখক দেখিয়েছেন, এই কারণেই সাঁওতাল বিদ্রোহ সহ নীল-পূর্ববর্তী অজস্র প্রান্তজনের প্রতিবাদ শহুরে পত্রপত্রিকার সহানুভূতি থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। কিন্তু নীল বিদ্রোহ তার ব্যতিক্রম হতে পেরেছিল বিদ্রোহকালীন ভারতের স্বতন্ত্র রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে।
লেখক দেখিয়েছেন, বাংলায় নীল চাষের সূচনাকাল থেকেই কৃষকের ওপর নীলকর ও সরকারি প্রশাসনের ধারাবাহিক অত্যাচার পরিলক্ষিত হলেও স্থানীয় কিছু অসন্তোষ প্রদর্শন ছাড়া ১৮৫৯ সালের আগে নীল চাষিরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে নামেননি। ১৮৫৯ এর বিশেষ পরিস্থিতি তাঁদের বিদ্রোহে উৎসাহ দেয়। নীলকর সাহেবদের সঙ্গে ব্রিটিশ সরকারের দ্বন্দ্ব এই সময় প্রকাশ পাচ্ছিল। মনে রাখতে হবে এই বিদ্রোহ শুরুর চার-পাঁচ মাস আগেই ১৮৫৮ মহারাণীর ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে ভারতবর্ষের শাসন ক্ষমতা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাত থেকে ব্রিটিশ সরকারের হাতে চলে যায়। ফলে এই সময় থেকে কোম্পানি ও ব্রিটিশ প্রশাসন এই দুইয়ের মধ্যে এক চাপান-উতোর চলতে থাকে। লেখকের মতে, প্রশাসন নীল প্রভুদের বিপক্ষে, এমন ধারণা থেকেই বিদ্রোহের উৎসাহ বৃদ্ধি পায়। সহজ কথায়, নীলকরদের অত্যাচারের বিরোধিতা করা প্রশাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সমার্থক হবে না এই সুরক্ষাতেই বাঙালি বুদ্ধিজীবীরা নির্দ্বিধায় এই বিদ্রোহকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি প্রশাসনও বেশকিছু ক্ষেত্রে বিদ্রোহে ইতিবাচক ভূমিকা নিয়েছিল।
রাজধানী কলকাতার সমাজ, অর্থনীতি ও সাংস্কৃতিক জীবন সম্পর্কেও পৃথক বিশ্লেষণাত্মক আলোচনা করেছেন লেখক। কারণ শহরই ছিল সেদিন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূল কেন্দ্র। যদিও গ্রামীণ মানুষের দুঃখ দুর্দশা ও প্রতিবাদে ভাষা জোগানো হরিনাথ মজুমদারের গ্রামবার্ত্তাপ্রকাশিকার কথাও আলোচনায় উঠে এসেছে। আত্মীয় সভা, ব্রাহ্মসমাজ, সাধারণ জ্ঞানোপার্জিক সভা, বেথুন সোসাইটি, বিদ্যোৎসাহিনী সভার মতো সে যুগের অজস্র সভা সমিতির ভূমিকাও আলোচিত হয়েছে। হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের জীবনবৃত্তান্তের সংক্ষিপ্ত আলোচনাও একটি অধ্যায়ে রেখেছেন লেখক।
হিন্দু প্যাট্রিয়ট যাত্রা শুরু করে ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে মধুসূদন রায়ের হাত ধরে। ১৮৫৫ থেকে আমৃত্যু (১৮৬১) হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় যুক্ত ছিলেন হিন্দু প্যাট্রিয়টের সম্পাদনার কাজে। হরিশচন্দ্র ও হিন্দু প্যাট্রিয়ট শীর্ষক অধ্যায়ে লেখক প্রথমেই স্মরণ করেছেন এই সংবাদপত্রের পূর্বসূরি পত্রপত্রিকাগুলির অবদান। যার মধ্যে রয়েছে সমাচার দর্পণ, সংবাদ কৌমুদী, সমাচার চন্দ্রিকা, সংবাদ প্রভাকর ইত্যাদি। হিন্দু প্যাট্রিয়টে প্রকাশিত হরিশচন্দ্রের লেখাগুলিকে বিষয়ভিত্তিক শ্রেণীবিভাগের মাধ্যমে এই অধ্যায়ে বিশ্লেষণ করেছেন লেখক। একদিকে ব্রিটিশ শাসনের প্রতি আস্থাপোষণ আবার অন্যদিকে নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের প্রতিবাদ ও নিপীড়িত কৃষকদের বিদ্রোহে সমর্থন এই বৈপরীত্য হরিশচন্দ্রের চেতনা ও লেখনীর এক স্পষ্ট বৈশিষ্ট্য।
জমিদার শ্রেণীর প্রতিও ছিল তাঁর ইতিবাচক মনোভাব। লেখক দেখিয়েছেন, জমিদার এবং কৃষক পরস্পরের বিরোধী পক্ষ হলেও গ্রামীণ কৃষকের কাছে বিদেশী নীলকর প্রভুর অত্যাচারের তুলনায় তার পরিচিত জমিদার একটু বেশি হলেও সহনীয় ছিল। আবার, সিপাহী বিদ্রোহের পর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়ার কোম্পানির থেকে সরাসরি ব্রিটিশ সরকারের কাছে ভারতবর্ষের শাসনক্ষমতা হস্তান্তরিত হওয়ার ফলে কোম্পানি ও ব্রিটিশ প্রশাসনের দ্বন্দ্ব এই সময় প্রকট হয়েছিল। তাই বিদ্রোহীদের মনে হয়েছিল নীলকর সাহেবদের অত্যাচার থেকে মহারাণীর প্রশাসন তাঁদের রক্ষা করতে পারে। এই জটিল পরিস্থিতিই নীল বিদ্রোহকে পূর্ববর্তী কৃষক বিদ্রোহগুলির থেকে পৃথক করেছিল। ফলশ্রুতিতে নীলচাষে বাধ্য হওয়া অত্যাচারিত কৃষক, জমিদার শ্রেণী এবং ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসকের প্রতি যে সদর্থক মনোভাব একত্রে হরিশচন্দ্রের লেখনীতে প্রকাশ পেয়েছিল তা বর্তমানের দৃষ্টিতে স্ববিরোধী মনে হলেও তৎকালীন পরিস্থিতিতে ততটা বাস্তব-বিমুখ ছিল না।
শুধু প্যাট্রিয়টের পাতায় লেখালেখির মাধ্যমেই নয়, হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় প্রত্যক্ষ ভাবে পাশে থেকেছেন বিদ্রোহী কৃষকদের। আইনের পথে লড়াই করেছেন, নীল কমিশনে সাক্ষ্য দিয়ে বিদ্রোহীদের কথা তুলে ধরেছেন প্রশাসনের সামনে, নিজের বাড়িতে আশ্রয় ও অন্ন দিয়েছেন সর্বস্বান্ত নীল-কৃষকদের। তাঁর বিরুদ্ধে নেমে এসেছে নীলকরদের আক্রমণ। হিন্দু প্যাট্রিয়টের পাতায় ক্ষুরধার জবাব দিয়েছেন তার। নীল আন্দোলন ও হরিশচন্দ্র শীর্ষক অধ্যায়ে লেখক তুলে ধরেছেন হিন্দু প্যাট্রিয়টের সম্পাদকের বিনিদ্র, ক্লান্তিহীন কর্মকাণ্ড। নীলকরদের অত্যাচারের মর্মস্পর্শী কাহিনি, অন্যান্য পত্রপত্রিকার ভূমিকা, নীলদর্পণের রচয়িতা দীনবন্ধু মিত্র ও মাইকেল মধুসূদন দত্ত কর্তৃক এর ইংরাজি অনুবাদের প্রকাশক জেমস লং এর ভূমিকাও স্মরণ করিয়েছেন লেখক। আলোচিত হয়েছে হিন্দু প্যাট্রিয়টের অপর কয়েকজন সংবাদদাতা গিরিশচন্দ্র বসু, মনোমোহন ঘোষ, শিশিরকুমার ঘোষ, রামগোপাল সান্যালের অবদান। বিদ্রোহের প্রেক্ষিতে জন্ম নেওয়া লোকগানের আলোচনাও রয়েছে এই অধ্যায়ে।
ব্রিটিশ শাসনের প্রতি আস্থা রেখেছিলেন হরিশচন্দ্র। অন্যদিকে স্বদেশের সভ্যতা ও ঐতিহ্যের প্রতি তাঁর প্রগাঢ় শ্রদ্ধা। পাশ্চাত্য সমাজ-কাঠামোর তুলনায় হিন্দু-ধর্মভিত্তিক সমাজ তাঁর কাছে আদর্শ হলেও সেই সমাজের অভ্যন্তরেই সংস্কারকে স্বাগত জানিয়েছিলেন তিনি। বর্ণ-জাতিভেদ তাঁর মতে সমাজের অপরিহার্য উপাদান, যা একটি সভ্যতাকে সমৃদ্ধ করবে। বিপরীতে আবার স্ত্রীশিক্ষা বিস্তার, বিধবা-বিবাহ প্রবর্তনকে সমর্থন করেছেন। লেখক যুক্তিসঙ্গতভাবেই জানিয়েছেন, উনিশ শতকের ব্যক্তিমানসে প্রগতি ও প্রতিক্রিয়ার এই বৈপরীত্য খুবই পরিচিত প্রবণতা। স্বদেশে শিক্ষার বিস্তার চাইতেন হরিশচন্দ্র। কিন্তু তিনি বলেছিলেন লক্ষাধিক মানুষকে একসঙ্গে বিদ্যালয়ে পাঠানো সম্ভব নয়। তাই শুরুতে তিনি শিক্ষাকে কেবল উচ্চকোটির মধ্যেই রাখতে চেয়েছিলেন। মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষার সমর্থক ছিলেন তিনি। হরিশচন্দ্রের সমাজ, শিক্ষা, অর্থনীতি ও রাজনীতি বিষয়ক ভাবনার এই বহুমাত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলিকে লেখক আলোচনা করেছেন বইয়ের অন্তিম অধ্যায়ে।
উপসংহারটিও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এখানে আলোচিত হয়েছে হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর সমকালীন বিভিন্ন পত্রপত্রিকার ভাষ্যে তাঁর মূল্যায়ন। নীল কমিশনে হরিশচন্দ্রের প্রদত্ত সাক্ষ্য সংযোজিত হয়েছে পরিশিষ্ট অংশে। এছাড়াও রয়েছে হরিশচন্দ্রের স্মৃতিচিহ্ন স্থাপনের জন্য আপামর বঙ্গবাসীর উদ্দেশ্যে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রাজেন্দ্র লাল মিত্র, কিশোরীচাঁদ মিত্র, প্যারিচাঁদ মিত্র, যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর, দিগম্বর মিত্র, কালীপ্রসন্ন সিংহ প্রমুখের সাক্ষরিত নিবেদনপত্র। বর্তমান বছরটিও হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতি বহন করে। এবছর তাঁর জন্মের দ্বিশতবার্ষিকী। পরাধীন ভারতবর্ষে স্বাধীন ও নির্ভীক সাংবাদিকতার সৈনিক হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের জীবন ও মনন বিষয়ক এই বইয়ের আলোচনা তাই আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে।
হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের জীবন ও মনন
শর্মিলা দত্ত বণিক
আশাদীপ
কলকাতা
জানুয়ারি ২০২৪
মুদ্রিত মূল্য – ৪০০টাকা