সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়

ভারতীয় কালানুযায়ী এটি বর্ষাকাল। সেজন্য এই সংখ্যার নাম বর্ষা সংখ্যা।

ভারতে এবারের বর্ষা কিন্তু ভীষণভাবেই অনিয়মিত। উত্তরভাগে বিপুল বর্ষা। রাজধানী দিল্লি থেকে শুরু করে উপরের ভাগে প্রবলভাবেই বর্ষা পীড়িত। তুলনায় দক্ষিণভাগে বর্ষার সেরকম দেখা নেই।
দুই সমস্যার পিছনেই দূষিত পরিবেশের প্রভাব। প্রকৃতির প্রতিশোধ আমাদের জীবনে অভিশাপ হয়ে নেমে আসছে বারংবার। কিন্তু আমাদের শিক্ষা হচ্ছে না। কোভিড চলাকালীন নাকি দূষণমুক্ত হয়ে পরিবেশের একটু উন্নতি হয়েছিল। কিন্তু এখন আবার পূর্ণমাত্রায় আমরা তাকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি।

আমরা অবসর পত্রিকাতে বিভিন্ন বড় প্রবন্ধ বা ভ্রমণ কাহিনি যে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি তাতে বেশ কিছু লেখকের যোগদানে আমরা সত্যিই আনন্দিত। প্রবন্ধগুলি যেহেতু আকারে বড় তাই তাদের কয়েকটি সংখ্যাতে প্রকাশ করলে লেখক ও পাঠক উভয় পক্ষেরই সুবিধা। এই সংখ্যাতে এইরকম চার চারটি লেখা রাখতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।

আমরা ইতিমধ্যে হারিয়েছি হ্যারি বেলাফন্টেকে যিনি তাঁর সঙ্গীতের জাদুতে আচ্ছন্ন করেছিলেন আমাদের। তাঁকে নিয়ে রইল একটি লেখা। “উত্তরাধিকার” এর অনিমেষ আর ‘কালবেলা’র মাধবীলতা-অনিমেষকে আমাদের একেবারে কাছের মানুষ করেছিলেন যে মানুষটি, সেই সমরেশ মজুমদারকেও আমরা হারালাম কিছুদিন আগেই। রইল শ্রদ্ধার্ঘ্য।

শতবর্ষে পদার্পণ করলেও সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ের মত প্রবাদপ্রতিম সঙ্গীতজ্ঞকে নিয়ে তেমন কিছু চোখে পড়ল না। তাঁকে নিয়েও রইল একটি লেখা। এছাড়াও রইল নিয়মিত বিভাগ।

তবে আমাদের লেখকদের কাছ থেকে একটি অনুযোগ আমরা প্রায়ই পেয়ে থাকি। লেখা হয়তো পড়ছেন অনেকেই, কিন্তু লেখা সংক্রান্ত কোন মন্তব্য থাকছে না। পাঠকদের অনুরোধ, একটু যদি সময় নিয়ে তাঁরা মন্তব্য করেন, তাহলে লেখকদের উৎসাহ বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।

এই সম্পাদকীয় লিখতে লিখতেই খবর পেলাম আমরা হারিয়েছি আমাদের এক লেখক ও শুভানুধ্যায়ী শ্রী রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য সান্যালকে। তিনি অবসর পত্রিকায় বেশ কিছু লেখা লিখেছেন। ‘অবসর’ প্রতিষ্ঠাতা শ্রী সুজন দাশগুপ্তের একেনবাবু সমগ্র প্রকাশের পিছনেও তাঁর ভূমিকা ছিল। শেষ লেখাটি বিগত সংখ্যায় সুজনদার স্মৃতিচারণ, “একেন্দ্রনাথ সেন”! ব্যক্তিগত ভাবে ও আমি হারালাম এক অভিভাবক ও শুভানুধ্যায়ীকে। মাঝে মাঝেই ফোনে কথা হত। সুজনদার চলে যাওয়ার খবর পেয়ে আমি যখন হতবাক, প্রথম ফোন এসেছিল ওঁর কাছ থেকেই, খবরের সত্যতা যাচাই করতে। সুজনদাও খুব স্নেহ করতেন তাঁকে। তাঁর ঐ উপরোক্ত স্মৃতিচারণের ছত্রে ছত্রে রয়েছে সেই কথা।

অবসর পত্রিকার তরফ থেকে তাঁর স্মৃতির প্রতি রইল আমাদের আন্তরিক শ্রদ্ধা।

জন্ম কলকাতায়, বেড়ে ওঠা দক্ষিণ চব্বিশ-পরগনার রাজপুর-সোনারপুর অঞ্চলে। ১৯৮৩ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেক্ট্রনিক্স ও টেলিকম্যুনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে কর্মসূত্রে ব্যাঙ্গালোরে। শখের মধ্যে অল্প-বিস্তর বাংলাতে লেখা - অল্প কিছু লেখা রবিবাসরীয় আনন্দবাজার, উনিশ-কুড়ি, নির্ণয়, দেশ, ইত্যাদি পত্রিকায় এবং বিভিন্ন ওয়েব ম্যাগাজিন (সৃষ্টি, অবসর, অন্যদেশ, পরবাস ইত্যাদিতে) প্রকাশিত। সম্প্রতি নিজের একটি ব্লগ চালু করেছেন – www.bhaskarbose.com

Related Articles

3 Comments

Avarage Rating:
  • 0 / 10
  • Bani Bhattacharya , July 16, 2023 @ 7:40 am

    “রাজধানী দিল্লি থেকে শুরু করে উপরের ভাগে প্রবলভাবেই বর্ষা বিঘ্নিত” – বোধহয় অসতর্কতায় শব্দ চয়ন ভুল হয়ে গেছে। হবে ‘বর্ষা বিড়ম্বিত’

    • admin , July 16, 2023 @ 8:33 am

      বর্ষা পীড়িত বোধহয় আরো উপযুক্ত হবে। ধন্যবাদ। ঠিক করে দিচ্ছি।

      • admin , July 16, 2023 @ 8:36 am

        সেই যে, “উদ্যানে ছিল বরষা-পীড়িত ফুল”!!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *