নদীয়ার কর্তাভজা ও বলরামীর বিশেষ উদাহরণে বাংলার লোকধর্মের বৈশিষ্ট্য
“যেথায় থাকে সবার অধম দীনের হতে দীন
সেইখানে যে চরণ তোমার রাজে
সবার পিছে, সবার নীচে,
সব-হারাদের মাঝে।”
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্রবল, আধিপত্যকামী প্রাতিষ্ঠানিক সামাজিক স্রোতের বিপরীতে অবস্থান করে লোকায়ত সমাজ। খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের আদান-প্রদান চলে মাটির সঙ্গে, নদীর সঙ্গে, গাছের সঙ্গে, পশুপাখির সঙ্গে। অভাব, টানাপোড়েন, বিপদ, দুর্যোগ তাঁদের নিত্য সঙ্গী। উদয়াস্ত পরিশ্রমের পরেও সমাজের শক্তিশালী বর্গের কাছে তাঁরা পেয়েছেন ক্রমাগত বঞ্চনা, অপমান আর অত্যাচার। এই নিপীড়িত প্রান্তিক মানুষ তাই আশ্রয় খোঁজেন দরিদ্রের দেবতার কাছে, যিনি সোনার মন্দিরে অলঙ্কারশোভিত হয়ে বিরাজ করেন না। দুর্বোধ্য মন্ত্রোচ্চারণে তাঁর কাছে পৌছোনো যায়না। এই ধর্মবিশ্বাসে নেই কোনো যাগযজ্ঞের জটিলতা, নেই পৌরোহিত্যের নামে ক্ষমতাসীন সামাজিক গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব। সরল সোজা ভাষায়, গানে, পদ্যে, উপকথায় মানুষ আরাধনা করেন সাধারণের ভগবানকে। এইভাবেই জন্ম হয় লোকধর্মের।
আসলে ধর্মের অঙ্গনেই তো মানুষ তাঁর প্রতিদিনের ক্লান্তি আর হতাশাকে দূর করতে আসে। সব ঠিক হয়ে যাবে- এইটুকু বিশ্বাসে কল্পিত সর্বশক্তিধরের আশীর্বাদে স্নান করে সে মুছে ফেলতে চায় জীবনের সব গ্লানি। কিন্তু এই ধর্মই যদি মানুষের হৃদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ক্রমশ একটা নিয়মসর্বস্ব শক্তিশালী বৃহৎ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়, তখন তা হয়ে ওঠে দুর্বলের প্রতি প্রবলের আধিপত্য স্থাপনের আরেকটা যন্ত্র। অনুশাসনের মধ্যে দিয়ে সে চালিয়ে যায় অবদমন। এই প্রাতিষ্ঠানিকতার বিপরীতে আঞ্চলিক পরিসরে লোকায়ত মানুষের নিরুচ্চার প্রতিবাদ ও স্বাতন্ত্র্য রক্ষার প্রয়াস তাই ফুটে ওঠে লোকধর্মে। প্রতিটি শক্তিশালী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেই অনুচ্চারিত ও অবহেলিত থেকে যায় দরিদ্র মানুষের যন্ত্রণা। তাই বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় ভিন্ন ভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের নিম্নবর্গের নিপীড়িত মানুষ নতুন বিশ্বাসে এসে মিলে গেছে অভিন্ন লৌকিক ধর্মের পরিসরে। সমাজ যেহেতু পিতৃতান্ত্রিক, তাই স্বাভাবিকভাবেই সমাজের মূল প্রচলিত ধর্মগুলিতেও পুরুষের ক্ষমতারই প্রাধান্য ঘটে। এর বিপরীতে লোকধর্মের অঙ্গনে বেশ কিছু ক্ষেত্রে নারীকে পুরুষের সমমর্যাদার আসনে অধিষ্ঠাত্রী হিসেবে লক্ষ্য করা যায়। বর্ণব্যবস্থা, জাতিভেদ, নারীর অবদমন, আচারসর্বসস্বতা, পৌত্তলিকতা ইত্যাদি প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মে প্রচলিত যা কিছুকে সাধারণ মানুষ অনুচিত বলে মনে করেছে, তারই প্রতিস্রোত সে প্রয়োগ করেছে লোকায়ত ধর্মে।
ধর্মের মূল আবেগটিকে অক্ষুণ্ণ রেখে নিয়মবিধির অতিরিক্ত বাড়বাড়ন্ত সরিয়ে, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভাবে শক্তিশালী গোষ্ঠীর আধিপত্যকে অস্বীকার করে সাধারণ মানুষ নিজেদের হৃদয়ানুভূতির প্রকাশ ঘটায় লোকধর্মের অঙ্গনে। লোকধর্মের উপশাখাগুলি তাই হয়ে পড়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আঞ্চলিক গোষ্ঠীর নিজস্ব জীবনচর্যার প্রতিফলন। বাংলার ধর্মবিশ্বাসে এইরূপ শতাধিক লৌকিক শাখা আছে। চৈতন্য-উত্তর যুগে নদীয়াকে কেন্দ্র করে বাংলায় বৈষ্ণব ধর্মের কোল থেকেই উঠে আসে বেশ কয়েকটি লৌকিক ধর্মসম্প্রদায়। বর্তমান প্রবন্ধে আমরা এইরূপ দুটি মাত্র লোকধর্মধারার আলোচনা করতে চলেছি।
১
অক্ষয়কুমার দত্ত ‘ভারতবর্ষীয় উপাসক সম্প্রদায়’ গ্রন্থে শাস্ত্রভারমুক্ত, প্রেম এবং ভক্তির সমাবেশে গড়ে ওঠা বিভিন্ন লোকধর্ম-সম্প্রদায় সম্পর্কে বিবরণ দিয়েছেন। প্রথমেই কল্যাণীর ঘোষপাড়ার কর্তাভজা সম্প্রদায়ের কথা উল্লেখ করা যায়। কর্তাকে ভজনা করেন যাঁরা, তাঁরাই কর্তাভজা। কিন্তু এই কর্তা আসলে কে, সেটা এই সম্প্রদায়ের বই-পুঁথি থেকে নির্ণয় করা কঠিন। এনাদের মধ্যে কেউ কেউ বলেন, ‘একমাত্র বিশ্বকর্তা ভজনা করাই আমাদের ধর্ম।’ তাঁরা মনে করেন, যিনি এই বিশ্বের সৃষ্টিকর্তা, তাঁর উপাসনা করলে বিশ্বজগতের সকলেরই উপাসনা করা হয়।
বৈষ্ণববাদ ও সুফিবাদের মিলনে জন্ম নেয় এই ধর্মীয় সম্প্রদায়। এই সম্প্রদায়ের আদিগুরু আউলেচাঁদ ছিলেন সম্ভবত একজন সুফিসাধক। তিনি ঘোষপাড়ার রামশরণ পালের বাড়িতে এসে তাঁকে দীক্ষা দেন। রামশরণ পাল উদ্যোগ নিয়ে আউলেচাঁদের মত প্রচার করেন এবং সুফি আউলেচাঁদ তাঁর শিষ্যদের বিশ্বাসে ক্রমে হয়ে যান চৈতন্যদেবের অবতার। কল্যাণীর কর্তাভজাদের আখড়ায় গল্প শোনা যায়, চৈতন্যদেব পুরীতে মারা যাননি। তিনি উড়িষ্যা থেকে মুসলমান ফকিরের বেশ ধরে চলে আসেন, এবং তিনিই এই আউলেচাঁদ। রামশরণ পালের গৃহে এসে আউলেচাঁদ জল প্রার্থনা করেন এবং ২১ জন সঙ্গী সহ তাঁকে দীক্ষিত করেন। এই বাইশ জন শিষ্যই ছিলেন নিম্নবর্গীয় মানুষ। হিংসা, লোভ ও কামকে এঁরা নৈতিক পাপ বলে মনে করেন। মন, বাক্য ও কর্মে দুর্নীতি ত্যাগ করে গুরুর আদেশকে অলঙ্ঘনীয় মনে করে তাঁরা ধর্মপালন করেন। কর্তাভজা সম্প্রদায়ের এই গুরুরা আবার কালক্রমে দেবত্ব লাভ করেন। সুধীর চক্রবর্তীর লেখা থেকে আমরা জানতে পারি কীভাবে এই গুরুরা গৌরচাঁদের সমান হয়ে উঠলেন সেই কাহিনী। উল্লেখ করা যেতে পারে কর্তাভজাদের প্রচলিত একটি কথা- “কৃষ্ণচন্দ্র, গৌরচন্দ্র, আউলেচন্দ্র তিনেই এক, একেই তিন।” অর্থাৎ ভগবান কৃষ্ণ, যুগাবতার চৈতন্যদেব ও আদিগুরু আউলেচাঁদ অভিন্ন। অচিরেই এই তিন নামের সঙ্গে যুক্ত হয় দুলালচন্দ্রের নাম। দুলালচন্দ্র পাল ছিলেন রামশরণ পালের বংশধর। তাঁর মা সরস্বতীদেবী কর্তাভজা গোষ্ঠীর সতীমা নামে আজও পূজনীয়। এই সতীমা সাধারণ একজন জননী থেকে পরিণত হয়েছেন বহু অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারিণী দেবীতে। তাঁর গৃহ হয়ে উঠেছে মন্দির। কর্তাভজাদের বিশ্বাসে এই সতীমা গৌরচাঁদের জননী শচীমাতারই নামান্তর। শ্রীকৃষ্ণ, চৈতন্যদেব ও দুলালচন্দ্রপাল বিশ্বাসীদের কাছে “তিন, এক রূপ।”
কর্তাভজা সম্প্রদায় মূর্তিপুজো, যাগযজ্ঞ ইত্যাদি কোনোরকম আনুষ্ঠানিকতায় বিশ্বাসী নয়। তাঁরা জাতিভেদ এবং হিন্দু-মুসলমান সাম্প্রদায়িক বিভেদের ঊর্ধ্বে উঠে সমন্বয়বাদের কথা প্রচার করেন। এখানে হিন্দু গুরুর মুসলিম শিষ্য ও মুসলিম গুরুর হিন্দু শিষ্য উভয়ই দেখা যায়। গুরুকে বলা হয় ‘মহাশয়’ এবং শিষ্যকে বলা হয় ‘বরাতি’। নারী-পুরুষ উভয়েই গুরুদেব হতে পারেন। এঁরা মানেননা জাত-পাতও। গুরুদেবের পুত্র যোগ্য না হলে গুরু হতে পারেন না। প্রাতিষ্ঠানিক হিন্দুধর্মের বংশানুক্রমিক বর্ণব্যবস্থার আধিপত্যকে তাঁরা এইভাবেই অস্বীকার করেন।
পরবর্তীতে কর্তাভজাদের একটা অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়ে রামবল্লভী নামে একটি উপশাখা তৈরী করে বাঁশবেড়িয়া অঞ্চলে ঘাঁটি গড়ে তোলে। কিন্তু তারা বেশিদিন অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারেনি। কল্যাণীর ঘোষপাড়ায় সরস্বতীদেবী অর্থাৎ সতীমাতার বাড়িকে কেন্দ্র করে এখনও প্রতিবছর দোলের সময় মেলা বসে। বলা হয়, তিনিই এই মেলার প্রবর্তন করেছিলেন। লোকগীতির সুরে মেতে ওঠে প্রাঙ্গণ। দলে দলে ধর্মবিশ্বাসী মানুষ সতীমার মন্দিরে দণ্ডি কাটতে, ডালিমতলায় মানত করতে আসেন এবং পবিত্র হিমসাগরের জলে স্নান করেন।
২
অষ্টাদশ শতকেরই শেষ ভাগে ১৭৯৫ সালে মেহেরপুরের মালোপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন বলরাম হাড়ি। তাঁর প্রবর্তিত ধর্মসম্প্রদায় হল বলরামী বা বলাহাড়ি সম্প্রদায়। সেই সময় এই অঞ্চল নদীয়া জেলারই অন্তর্গত ছিল। বলরামী তত্ত্ব একটু ভিন্ন প্রকৃতির। বৈষ্ণব তত্ত্বের থেকে একেবারেই আলাদা। বলরাম হাড়ি স্বয়ং একজন নিম্নবর্গীয় মানুষ। জীবনের বেশ কিছু অভিজ্ঞতা তাঁর মধ্যে উচ্চবর্গের প্রতি তীব্র ঘৃণা এবং বিরক্তির জন্ম দেয়। তিনি সংসার ত্যাগ করে সাধনা শুরু করেন। বিশ্বাসানুসারে, সিদ্ধিলাভের পর ফিরে এসে নিজস্ব ধর্মতত্ত্ব প্রচার করেন। নীচুতলার হাড়ি সম্প্রদায় সহ মালোপাড়ার নিম্নবর্গীয় মানুষেরা অনেকেই বলরামের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। বলরামের মতে, বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডই আসলে ভগবানের শরীর। ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা ভগবান হলেন হাড়িরাম, যাঁর হাড় ক্ষয় হয়েই ‘ক্ষিতি’ বা পৃথিবী গঠিত হয়েছে। বলরাম নিজেকেই হাড়িরাম বলে ঘোষণা করেছিলেন। বলরামী সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষরা জাতিভেদ মানেন না। সংসার ত্যাগ করে সাধনায় বিশ্বাস করেন না। তাঁরা বিবাহ করে গার্হস্থ্য হন। শাস্ত্র, বিগ্রহ, ইত্যাদি কিছুই মানেন না। কেবলই নৈতিকভাবে বিশুদ্ধ জীবনযাপনে বিশ্বাস করেন। পরবর্তীতে বলরামের শিষ্যরা তাঁকে শ্রীরামের অবতার বলে প্রচার করলেও বলরাম স্বয়ং এই অবতার তত্ত্বে বিশ্বাস করতেন না।
বলরামের মতানুযায়ী, হাড়িরামের হাড় থেকেই মানবদেহের ১৮টি মোকাম সৃষ্টি হয়েছ। যথা- ‘হাড্ডি’ বা হাড়, ‘মণি’ বা চোখ, ‘মগজ’ বা মাথা ইত্যাদি। বলাহাড়িরা তাই বলেন, “আঠেরো মোকাম ছেপে আছেন আমার বলরাম।” বলরাম নিজেকে ‘রামদীন’ নামে প্রচার করেন। ‘রা’ শব্দের অর্থ পৃথিবী, ‘ম’ এর অর্থ জীবের আশ্রয়, ‘দীন’ এর অর্থ দীপ্তি। পশ্চিমবাংলার নিশ্চিন্তিপুর ও পূর্ববাংলার মেহেরপুর বলরামীদের মূল দুইটি ঘাঁটি। বলরাম হাড়ির মৃত্যুর পর তাঁর সঙ্গিনী ব্রহ্মমালোনী বলরামী আখড়ার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ‘গুরু মা’ নামে অভিহিত হন।
বলাহাড়িদের সাধনা বর্তমানের সাধনা। তাঁরা বলেন, “যাহা দেখিনা নয়নে/ তাহা ভজিব কেমনে?” তাঁদের সাধনপন্থা হল, এয়োতন, নিত্যন ও খাসতনের পথ। এই এয়োতন, নিত্যন ও খাসতনের মাধ্যমে যে দৈনিক জীবনচর্যার কথা বলা হয়েছে, তা দরিদ্র, নিম্নবর্গীয় মানুষের সহজ, সাধারণ জীবনযাপন। বলা হয়েছে, এই পথ ধরে হাঁটলে মানুষ পার্থিব দুঃখকষ্ট থেকে অনেকাংশে মুক্তি পেতে পারে। পাশাপাশি সতর্কবাণীও আছে। এই সাধনার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বোধিতন বা কাম, যার ফাঁদে পড়ে সব নষ্ট হয়। বলরামীরা তাই প্রার্থনা করেন, “বোধিতনে বদ্ধ হয়ে থেকো না রে মন আমার/ হাড়িরামের চরণ বিনে গতি নাহি আর।”
শেষের কথা
এ কথা ঠিক, বাংলার লোকধর্মগুলির প্রেক্ষিত ও মতবাদ বৈচিত্র্যপূর্ণ। এই বহুত্ব বাংলার সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে। লোকধর্ম থেকে জন্ম নিয়েছে অজস্র লোকগান, লোককথা, যার মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের ‘জীবনের জলছবি’। প্রাতিষ্ঠানিক ইতিহাসচর্চায়, সরকারি লেখ্যাগারে, প্রশাসনিক দলিলে যাঁদের খুঁজে পাওয়া সম্ভব ছিল না, তাঁদের ইতিহাসের আকর বাংলার লোকসংস্কৃতি। আঞ্চলিক পরিসরে লোকায়ত মানুষ তাঁদের সংস্কৃতির স্বাতন্ত্র্যকে বজায় রাখতে চেয়েছে লোকায়ত-ধর্মের পরিসরে। লোকধর্ম যেহেতু প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের আধিপত্যবাদের প্রতিবাদ, তাই প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মে প্রচলিত নয় এমন অনেক কিছু লোকধর্মে স্থান পেয়েছে। পাশাপাশি, প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের বহু অনিবার্য উপাদান ও উপাচারকে লোকধর্ম বর্জন করেছে। কিন্তু সমাজে পারস্পরিক আদান-প্রদান ও প্রভাব বহির্ভূত কোনও দুইটি উপাদান পাশাপাশি অবস্থান করতে পারে না। তাই বহু ক্ষেত্রে লোকধর্মে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের প্রভাব পড়েছে। আবার এমনও হয়েছে, যে আবেদন নিয়ে একটি লোকধর্মের জন্ম হয়েছিল, পরবর্তীতে সেই আবেদন থেকে তা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। লোকধর্মের আলোচনা তাই বহুমাত্রিক, বহুস্তরীয়। ভাঙা-গড়া, মেলামেশায় ভরা বর্ণময়, বৈচিত্র্যময় ইতিহাস।
1 Comment