২০২০ এবং ২১র তুলনায় ২০২২ কেমন যেন চট করে ফুরিয়ে গেল। কোভিড যে ছন্দ কেড়ে নিয়ে ছিল, তা প্রায় পূর্ণমাত্রায় ফিরে এসেছে। তাই এবার সবাই খুব উচ্ছ্বাস এবং আনন্দের সঙ্গেই নববর্ষ পালন করেছেন।
শুরুতেই জানাই আমাদের সকল লেখক, পাঠক ও পৃষ্ঠপোষকদের আমাদের পত্রিকার তরফ থেকে ইংরেজি নববর্ষের অজস্র শুভেচ্ছা।
নতুন বছরের প্রথম সংখ্যা থেকে শুরু হচ্ছে একটি ধারাবাহিক প্রবন্ধ – সৃজনী লেখার ক্লাস – কবিতা লেখা।
এখানে নিয়মিত ভাবে শ্রী অমিত চক্রবর্তী আমাদের জানাবেন কবিতার কারুকাজ নিয়ে বিভিন্ন কথা।
শতবর্ষে পড়লেন সাহিত্যিক রমাপদ চৌধুরী। তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করলেন ও তাঁর লেখা স্মৃতিকথা নিয়ে লিখলেন শ্রী শেখর বসু।
এই সংখ্যাতেই দ্বিতীয় ও চূড়ান্তপর্বে সমাপ্ত হল সৌমিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত মানবেন্দ্র নাথ রায়ের পথচলা।
এছাড়া থাকছে ভ্রমণ কাহিনি, লিখেছেন তপন রায়চৌধুরী এবং সুতপা বিশ্বাস ঘোষ।
ক্রীড়া বিভাগেও রইল দিলীপ কুমার ঘোষের লেখা।
রম্যরচনা লিখেছেন অরুণাচল দত্ত চৌধুরী, পরমার্থ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মীণাক্ষী সেনশর্ম্মা ।
সাহিত্য বিভাগ ও শিল্প-সংস্কৃতি বিভাগে যথাক্রমে রইল পাভেল আখতারের ও সুদীপ পাঠকের লেখা।
নূপুর রায়চৌধুরী, পল্লব চট্টোপাধ্যায় এবং পায়েল চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধে সমৃদ্ধ হয়েছে বিজ্ঞান বিভাগ।
নারী বিভাগে রইল কল্যানী মিত্র ঘোষ ও অরুণিমা সিনহা র লেখা।
ইতিহাস বিভাগে এবারের নিবেদন সঞ্চলিতা ভট্টাচার্যর ও মোহাম্মদ কাজী মামুনের লেখা।
পাঠকদের জন্য সাধ্যমত আমরা সাজালাম নববর্ষের ডালি। খুব খুশি হব যদি পাঠকদের মনোরঞ্জনে আমরা সফল হই।
প্রতি সংখ্যার মত এবারও আমরা পাঠকদের মতামতের অপেক্ষায় রইলাম। তাঁরা যদি আমাদের পত্রিকার ‘কমেন্ট সেকসনে’ তাঁদের মন্তব্য লেখেন তাহলে আমরা ও লেখকেরা খুবই উৎসাহিত বোধ করব।
যাঁরা কলকাতায় আছেন তাঁদের আবার আহ্বান জানালাম ২রা ফেব্রুয়ারি কলকাতা বইমেলা প্রাঙ্গণে কাফে টেবিলের স্টলে বেলা তিনটের সময় আমাদের আড্ডায় যোগ দেওয়ার জন্য। আমরা উন্মুখ তাঁদের সঙ্গে দেখা করার জন্য।
আরো একবার নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখলাম অবসর পত্রিকার সকল শুভার্থীদের জন্য।
সকলে সুস্থ থাকুন, সাবধানে থাকুন, সৃষ্টিশীল থাকুন।