একদিন মেরিনা-বে-স্যান্ডসে

একদিন মেরিনা-বে-স্যান্ডসে

অনেকদিন পরে ব্যালকনিতে রাখা বেতের চেয়ার টেবিলে বসে ভোরবেলায় চা খাচ্ছিলাম, সঙ্গে ছিল আমার বাল্যবন্ধু কাকলি। গতকাল রাতে সানফ্রানসিসকো থেকে কাকলি এসেছে সিঙ্গাপুরে আমাদের বাড়িতে। কাকলি সাধারণত হংকং হয়ে কলকাতায় যায়। এইবার ব্যতিক্রম, আমাদের বাড়িতে আসবে বলে সিঙ্গাপুর হয়ে দেশে যাচ্ছে। কাকলির গোনাগুনতি ছুটি, তাই শুধু আজকের দিনটা আমার সঙ্গে কাটিয়ে আগামীকালই চলে যাবে কলকাতায়। প্রভাত-সুখ অবশ্য বেশিক্ষণ কপালে সইল না, হঠাৎ করে শুরু হল ঝমঝম শব্দে বৃষ্টি। ব্যালকনির কোণে রাখা উজ্জ্বল কমলা রঙা ফুলের বোগেনভেলিয়া গাছটা সমুদ্রের হাওয়ায় দুলে উঠলো।

কাকলি বলল, “কী জোরে বৃষ্টি এলো রে! তোদের কি এখন বর্ষাকাল?”
আমি বললাম, “সিঙ্গাপুরে দুটো ঋতু, গ্রীষ্ম আর বর্ষা, অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত, আলাদা করার উপায় নেই, সামান্য কম আর বেশি, এই যা।”
কাকলির চোখে চিন্তা, জিজ্ঞাসা করলো, “এত বৃষ্টি, প্ল্যান মত ঘুরতে পারব তো?”
আকাশের দিকে তাকিয়ে আমারও চিন্তা হল, তবে মুখে বললাম, “নো ওরিজ, ব্যাগে ছাতা রাখিস, তাহলেই হবে।”

কাকলি প্ল্যান করে এসেছে, আজ সারাদিন মেরিনা-বে-স্যান্ডসে বেড়াবে, রাতে লং-বিচে বাড়ির কর্তামশাইয়ের সঙ্গে ডিনার, আগামীকাল সকালে অরচার্ডে ঘোরাঘুরি ও শপিং করে বিকেলে ফ্লাইট ধরবে। এক ঘণ্টা যেতে না যেতেই অবশ্য বৃষ্টি থেমে গেল, রেইনি-ডে পাল্টে গেল সানি-ডে তে। আনন্দ আর ধরে না। সকাল এগারোটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে আমি আর কাকলি মেরিনা-বে-স্যান্ডস যাওয়ার জন্য একটা ক্যাব নিলাম।

ক্যাব মেরিনা-বে-স্যান্ডসের দিকে এগোচ্ছে, কাকলি বলল, “জায়গাটা সম্বন্ধে সংক্ষেপে একটু বলে দে, তাহলে দেখতে, বুঝতে সুবিধা হয়।”
আমি বললাম, “দ্যাখ, মেরিনা-বে-স্যান্ডস মূলত একটা ইন্টিগ্রেটেড রিসর্ট। ইন্টিগ্রেটেড রিসর্ট মানে হোটেল রুমের সঙ্গে বিভিন্ন গেমস, এক্সপো এন্ড কনভেনশন সেন্টার, ক্যাসিনো, থিয়েটার, শপিং, মিউজিয়াম, রেস্টুরেন্টস, ফাইন ডাইনিং, স্পা, ফিটনেস ক্লাব ইত্যাদিও আছে। এই রিসর্টে ক’টা হোটেল রুম আছে জানিস?”
কাকলি সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিল, “জানি না, জানার দরকার নেই, তোর বাড়ি আছে তো।”
কাকলির উত্তরে আমি হেসে আবার বলতে শুরু করলাম, “এই রিসর্টে আড়াই হাজারের ওপর হোটেল রুম। ওই যে ছবিটা দেখিস, তিনটে টাওয়ার, টাওয়ারের মাথায় জাহাজের ডেকের মত স্কাই পার্ক, সেটা হল রাস্তার একপাশে, অন্যপাশে বাকি সব। মিউজিয়ামের পাশে একটা দারুন পদ্মপুকুর আছে।”
কাকলি বলল, “মেরিনা-বে-স্যান্ডসের ছবিতেও একটা পদ্মের আকৃতির কাঠামো দেখেছি।”
আমি বললাম, “হ্যাঁ ওটাই, ওটাই তো মিউজিয়াম।”

কথা বলতে বলতে আমরা পৌঁছে গেছি মেরিনা-বে-স্যান্ডসের দরজায়। তিনটে টাওয়ারের দিকে নয়, আমরা ঢুকলাম উল্টোদিকে, শপসে। শপসের ভিতরে ঢুকে প্রথমেই চোখে পড়ে বিশাল মলের মাঝ দিয়ে, দোকানবাজারের পাশ দিয়ে, একটা সবজেটে নীল জলের সরু ক্যানাল চলে গিয়েছে। ক্যানালের জলে দাঁড় টেনে ঘুরে বেড়াচ্ছে ট্যুরিস্ট সহ ছোট ছোট সাম্পান।

ক্যানালের জলে সাম্পান

কাকলি খুশির গলায় বলল, “ওহ, এই সেই গন্ডোলা…”
আমি থামালাম, “আহ, গন্ডোলা নয়। সাম্পান। মাছ ধরার চাইনিজ নৌকার অনুকরণে তৈরি।”

গত বছর ছুটিতে গিয়েছিলাম ক্যালিফোর্নিয়া। কাকলিদের সঙ্গে লাস-ভেগাস বেড়াতে গিয়েছিলাম। লাস-ভেগাসে আমরা ছিলাম বিখ্যাত হোটেল ‘দ্য-ভেনিসিয়ান’-এ। ভেনিসিয়ানের মধ্যে কৃত্রিমভাবে তৈরি গ্র্যান্ড ক্যানাল। সেখানে গন্ডোলা রাইড দেখে আমি বলেছিলাম, “দ্যাখ দ্যাখ, একদম সিঙ্গাপুরের মেরিনা-বে-স্যান্ডসের মত।” তবে দ্য-ভেনিসিয়ানে যদি হয় ‘গ্র্যান্ড ক্যানাল,’ মেরিনা-বে-স্যান্ডসে শুধু ‘ক্যানাল।’ ভেনিসিয়ানে মানুষের তৈরি গ্র্যান্ড ক্যানালের ওপর কৃত্রিম, ঝকঝকে নীল আকাশে ধবধবে সাদা উড়ন্ত মেঘ। মেরিনা-বে-স্যান্ডসের ক্যানালের ওপর দুরন্ত আধুনিক স্থাপত্যকলা, এই যা তফাৎ।

সাম্পান রাইডের পর স্যান্ডস এক্সপো এন্ড কনভেনশন সেন্টারে ঢুকে পড়া গেল। প্রত্যেকটি এক্সপো হল এবং বিজনেস সেন্টার, মিটিং রুমস, স্যান্ডস বলরুমের আশেপাশে কিছুক্ষণ ঘুরলাম। কাকলির আবার ছোট থেকেই সাহায্য করার নেশা। হল ‘ডি’-তে যে শো চলছিল, তার থেকে আহরিত অর্থ নাকি ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সাহায্যের জন্য পাঠানো হবে। ফলে শো দেখার সময় না হলেও, শুধু সাহায্যের জন্যই কাকলি একটা টিকিট নিল। দুটো ফ্লোর জুড়ে মেরিনা-বে-স্যান্ডসের বিশাল ক্যাসিনো। দেখে কাকলি বলল, “এদের ক্যাসিনোও তো অনেকটা দ্য-ভেনিসিয়ানের মত রে!”
আমি বললাম, “হ্যাঁ, তা তো হবেই, আশ্চর্য হওয়ার কিছুই নেই, একই বিশ্বকর্মার হাতে তৈরি যে।” আসলে দ্য-ভেনিসিয়ান আর মেরিনা-বে-স্যান্ডস, দুটোরই মালিকানা একই সংস্থার – লাস ভেগাস স্যান্ডস। ফলে দুটো রিসর্টের মধ্যে কিছু মৌলিক সাদৃশ্য আছে। দুটোই আকৃতিতে সুবিশাল, নতুন ধারণা ও অনন্য বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন।

থিয়েটারে আমরা ঢুকলাম না। স্কেটিং রিঙ্ক দেখলাম বন্ধ, মেইনটেনেন্সের কাজ চলছে। ক্যাসিনো থেকে বেরিয়ে কাকলি বলল, “পৈটিক প্রদেশে বিদ্রোহ শুরু হয়েছে, এইবার শান্তি পতাকা উত্তোলনের খুব প্রয়োজন।” অনেকক্ষণ ধরে আমারও ক্ষিদে পাচ্ছিল। জিজ্ঞাসা করলাম, “কী খাবি? এখানে খাবারের অনন্ত অপশন, ফুড কোর্ট টু ফাইন ডাইনিং…”
কাকলি বলল, “এখানে শপিংয়েরও তো হাজার জিনিস, দুশো সত্তরটা এক্সকুইজিট বুটিক আর সিক্সটি ডাইনিং অপশন! তবে এত তাড়াহুড়োয় ফাইন ডাইনিং পোষাবে না, ফুড কোর্টই ভালো।”

ফুড কোর্টে থাই কোকোনাট আর বিভিন্নরকম ডাম্পলিং খেয়ে আমরা চলে এলাম মিউজিয়ামে। মিউজিয়ামের পাশে পদ্মপুকুর দেখে কাকলি একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেল।

মেরিনা-বে-স্যান্ডসে পদ্মপুকুর

অত বড় পুকুর জুড়ে ফুটে আছে রাশি রাশি গোলাপি, বেগুনি, হলুদ, ও সাদা জলপদ্ম। এই অতি আধুনিক স্থাপত্যের মাঝেও পদ্মবনে ফিনফিনে ডানা দুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ফড়িং আর প্রজাপতি। সেখানে দুদণ্ড বসতেই আবার শুরু হল ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। রঙ-বেরঙের পদ্ম সমৃদ্ধ বিরাট জলাশয়ের ওপর ঝরঝর বরিষণ যে কী অপূর্ব দৃশ্য! প্রযুক্তির অত্যাধুনিক অগ্রগতির মাঝে হঠাৎই এক মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যের সুখ জুটে গেল আমাদের কপালে।

দূর থেকে ডাবল হেলিক্স ব্রিজ

দূরে ডাবল হেলিক্স ব্রিজটা আমরা দেখলাম, কিন্তু বৃষ্টির কারণে আর হাঁটতে যাওয়া হল না। এই ব্রিজটার গঠন পৃথিবীতে ডি-এন-এর কাঠামোর আকার দ্বারা অনুপ্রাণিত। মিউজিয়ামের ব্যপারে কাকলির আবার অপার কৌতূহল। আর্ট সায়েন্স মিউজিয়ামে ‘ফিউচার ওয়ার্ল্ড হোয়ার আর্ট মিটস সায়েন্স’ দেখার পরে আমি বললাম, “মনে আছে, ডিনারের প্ল্যান করেছিস? তাহলে লাইট এন্ড ওয়াটার শো আর দেখা হল না, ওসব তো সন্ধ্যের পরে হয়। কিন্তু বেনিয়ান-ট্রি স্পা আর ফিটনেস ক্লাবে যাবি না?”
কাকলি হাঁফ ধরা গলায় বলল, “হাঁপিয়ে গেছি রে। আসলে এই আর্ট সায়েন্স মিউজিয়ামটাই নিখুঁত করে দেখতে পুরো একদিন দরকার।”

আর্ট সায়েন্স মিউজিয়াম

আমি বললাম, “তাহলে চল স্কাই পার্কে যাই, ওখানেও অনেকটা সময় লাগবে। হোটেল গেস্টদের জন্য স্কাই পার্কে এন্ট্রি টিকিট লাগে না, কিন্তু আমাদের তো টিকিট কাটতে হবে।”

মিউজিয়াম থেকে বেরিয়ে স্কাই পার্কের টিকিট নিয়ে লিফটের দিকে এগোলাম। লিফটের সামনে লম্বা লাইন দেখে কাকলি বলল, “স্কাই পার্কের জন্য বেশ ভিড় হয় দেখছি!”
আমি বললাম, “হ্যাঁ, স্কাই পার্কটা দারুণ, ওটাই তো মেরিনা বে স্যান্ডসের সিগনেচার বৈশিষ্ট্য।”

লিফটে করে সাতান্ন তলায় উঠলাম। লিফট থেকে বেরোতেই সামনে প্রশস্ত চত্বর, ধূ ধূ আকাশ, সাজানো বাগান। বুঝলাম, গন্তব্যস্থল স্কাই পার্কে আমরা পোঁছে গেছি। কাকলি উচ্ছ্বাস ভরা গলায় বলল, “আরিব্বাস, কী করেছে রে! বে-লেভেল থেকে এত উঁচুতে সাতান্ন তলায় এমন সাজানো বাগান!”
আমি বললাম, “শুধু সাজানো বাগান? সাইজটা দ্যাখ। এক দশমিক দুই হেক্টর আয়তনের তিনশো চল্লিশ মিটার লম্বা স্কাই পার্কের সাতষট্টি মিটার আবার নর্থ টাওয়ারের বাইরে ঝুলছে। সমুদ্রতল থেকে এত ওপরের পার্কে বাগান, রেস্টুরেন্ট, বার, শপিং, অবজারভেটরি ডেক এবং সুইমিং পুলও আছে। আবার হেজিপেজি সুইমিং পুল নয়, একেবারে ইনফিনিটি সুইমিং পুল!”
এখন অবশ্য কাকলির সুইমিং পুলের গল্পের দিকে মন নেই, সিঙ্গাপুর স্কাইলাইনের তিনশো ষাট ডিগ্রি প্যানোরেমিক ভিউয়ের দুর্দান্ত ছবি তুলতেই সে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। তবু আমি বললাম, “কাকলি, ওই দ্যাখ সিঙ্গাপুর ফ্লায়ার, গার্ডেন-বাই-দ্য-বে, ফুট ব্রিজ…“
ক্যামেরা থেকে চোখ সরিয়ে কাকলি বলে উঠলো, “এখান থেকে নীচে সমুদ্র কী সুন্দর! সমুদ্রের বুকে কত নৌকা! আর নৌকাগুলোকে কী খুদে দেখাচ্ছে, ঠিক যেন কাগজের নৌকা!”
আমি ডান হাতের তর্জনী দিয়ে দেখালাম, “ওই যে দূরে সবুজ সীমানা রেখা দেখছিস, ওটা হল মালয়েশিয়া বর্ডার, ইন্দোনেশিয়াও হতে পারে।”

সমুদ্রতল থেকে এত এত এত উঁচুতে একশো পঞ্চাশ মিটার লম্বা ছবির মত ইনফিনিটি সুইমিং পুল দেখে প্রযুক্তি বিদ্যার সামনে সত্যিই শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে যায়। কাকলি বলল, “কত কত গ্যালন জল প্রতিনিয়ত পাম্প করে যাচ্ছে বল তো! কিন্তু ইনফিনিটি পুল ব্যপারটা কী?”
আমি বুঝিয়ে বললাম, “যে কোন সুইমিং পুলে সবসময় চারটে বাউন্ডারি ওয়াল থাকে, যেখানে দৃষ্টি ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসে। ইনফিনিটি পুলের বাউন্ডারি ওয়াল একটু অন্যরকম, যেখানে এক অনন্তের অনুভূতি তৈরি করা হয়, পুলের জল যেন চার দেওয়ালে নয়, দূরে দিগন্তের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে।”
কাকলি বলল, “কী মুশকিল, হোটেল গেস্ট ছাড়া পুলে ঢুকতে দেয় না। নাহলে আমি জলে নেমে পড়তাম, ছুঁয়ে আসতাম দিগন্ত।”
আমি বললাম, “আমার এক কর্পোরেট বন্ধু আছে জানিস, সে বিজনেসের কাজে সিঙ্গাপুরে এলে এই রিসর্টে থাকে। ওর খাতিরে আমার দু-বার ইনফিনিটি পুলের অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে। ইনফিনিটি পুলে সাঁতার কাটার সময় মনে হয় যেন সত্যি সত্যি মেঘের সমুদ্রে ভাসছি…”
কাকলি হাসল, “অনেকটা সেই অপ্সরাদের মত?”
আমি হেসে বললাম, “আর কী, পৃথিবীর স্বর্গের মানুষদের জন্যই তো এই পুল, যা এক্সপেন্সিভ হোটেল!”

স্কাই পার্কের রেস্টুরেন্টে অনেকক্ষণ দুজনে বসেছিলাম। হঠাৎ খেয়াল হল বাইরে বিকেলের আলো মরে এসেছে, আকাশ জুড়ে গোধূলির রঙের খেলা। তাড়াতাড়ি বিল মিটিয়ে আমরা আবার অবজারভেটরি ডেকে চলে এলাম। এখন চটকদার সিঙ্গাপুর স্কাইলাইনের ওপর গুটিগুটি পায়ে সন্ধ্যা নেমে আসছে, বহু নীচে সমুদ্রর বুকে আকাশের হোলি খেলার প্রতিচ্ছবি, দূরে আকাশছোঁয়া ইমারতগুলোয় টুপটাপ জ্বলে উঠছে আলো। আর স্কাই পার্কে দাঁড়িয়ে আমি আর কাকলি ভেসে যাচ্ছি হুহু হাওয়ায়… চারপাশে তাকিয়ে হঠাৎ কাকলি আমার হাতটা আঁকড়ে বলল, “হ্যাঁ রে, ইন্দ্রের বাগানটা কেমন ছিল রে?”
আমি বললাম, “নিশ্চয়ই মেরিনা-বে-স্যান্ডস স্কাই পার্কের থেকে বেশি সুন্দর নয়!”
কাকলি আর আমি দুজনে পরস্পরের দিকে তাকিয়ে হো হো করে হেসে উঠলাম। ঠিক সেইসময় রেস্টুরেন্ট থেকে ডিনারের রিমাইন্ডার মেসেজ ভেসে এলো মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে। আর দেরি নয়। অন্ধকারও ঘন হয়ে উঠছিল। এবার ফেরার পালা। আমরা এগোলাম লিফটের দিকে, ক্ষণিকের স্বর্গ থেকে তিনশো পঁয়ষট্টি দিনের মর্ত্যে অবতরণের জন্য।

স্বপ্না মিত্র প্রবাসী বাঙালী, সিঙ্গাপুরে থাকেন। ইলেক্ট্রনিক্সের ছাত্রী। পড়াশোনা চিরদিনই অতিপ্রিয় হবি। লেখালেখি ছিল একান্তই ব্যক্তিগত ভালোবাসার জায়গা। ইদানীং বেশ কিছু লেখা আত্মপ্রকাশ করেছে, দেশ, সানন্দা, সাপ্তাহিক বর্তমান, বর্তমান, আনন্দমেলা, বাংলা ফেমিনা, পরবাস, সুখপাঠ, আরও অনেক ওয়েব ম্যাগাজিনে এবং বই হিসেবে। ২০১৯-এর কোলকাতা বইমেলায় স্বপ্নার প্রথম উপন্যাস ‘এমন যদি সত্যি হত’ দে’জ পাবলিশিং থেকে বেরিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *