চারখোল-চর্চা

চারখোল-চর্চা

আনমনে কতই তো সফরকথা লিখে রাখি সাদা খাতার পাতায় পাতায়। তাদের মধ্যে অনেককিছুই ধূসর হয়ে যায়। আবার কিছু কিছু ভ্রমণ স্মৃতির মণিকোঠায় চিরভাস্বর হয়ে থাকে। এখন যেমন লিখতে বসেছি কালিম্পং জেলার এক নির্জন গ্রাম চারখোলের কথা।

“পথ বেঁধে দিল বন্ধনহীন গ্রন্থি”

এখানে নেই শহুরে সাজসজ্জা, নাগরিক ব্যস্ততাও নেই। নেই যান্ত্রিক মত্ততা, মেকি আমোদের প্রমোদবাগান। নেই নিশিনিলয়ের পিছলে যাওয়া সাইকোডেলিক রঙিন আলোর দ্যুতি আর নিয়ন-ছটার মায়াবী স্খলন। বুকের ভিতর মেকি ভালোবাসার রেশমি পর্দাও নেই। নেই কোনও টেক্সট মেসেজে ছাপাই করা ছদ্মকথার মায়াবী জাল, কিংবা ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ইন্সটাগ্রামের আরোপিত গ্রিন সিগন্যালের তরঙ্গদৈর্ঘ্য। তাহলে এখানে কী আছে! এখানে আছে সমস্ত ভালোয় সাজিয়ে রাখা প্রীতিতে প্রিয় হাতের ছোঁয়া। আছে স্বাধীন চলন। এখানে আছে পথের ধারে অবহেলায় পড়ে থাকা বাহারি রঙিন ফুলে চঞ্চল প্রজাপতির মধুছাপ অথবা শ্যাওলাধরা মায়াবি সবুজমাখানো ধাপরাস্তায় মেঘ-কুয়াশার ছোঁয়াছুঁয়ি খেলা। হ্যাঁ, এ সবই গ্রাম্য। এ সবই সংগোপনে তোলা আছে প্রকৃতিবিলাসীদের জন্য। এখানে গেলে জানা যাবে নরম মনের গোপন গলির নেশাড়ু বাঁকের রূপকথা। এ পথে দেখা যায় আশমানি এক আকাশের নিচে সবুজের গাঁ-ঘরে মনের কথারা টুপটাপ ঝরে পড়ে আর তার থেকে নানা কবিতার জন্ম হয়।

চারখোল

কাঞ্চনরঙ্গ এখানে চিরকাল। গুটিকয় মানুষ এখানে তুষারধবল সেই রূপ প্রত্যক্ষ করে। মাঝে মাঝে হয়তো শুধুই কুয়াশা আর মেঘেদের ঘরবাড়ি। কিন্তু তাতেই বা কী আসে যায়! এ তো এই পাহাড়ি গ্রামের রোজনামচা। এ গ্রামের মানুষকে হয়তো কাঞ্চনকন্যার সৌন্দর্য আকৃষ্ট করে না। তার কারণ, জন্ম থেকেই তারা তাকে দেখছে। কিন্তু তাদের গ্রামে গিয়ে বসত গাড়লে শহুরেরাও সেই সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে পারে। কালিম্পঙের কাছে এই ৫৫০০ ফুট উচ্চতার পাহাড়ি গ্রামের চতুর্দিক জুড়েই চোখের বিস্তার। তাই হয়তো এর নাম চারখোল বা চারকোল। অখ্যাত, কিন্তু সৌন্দর্যে মনোহর।

শিলিগুড়ির ব্যস্ত শহর ছাড়িয়ে রাজপথ ধরে গাড়ি ছোটে ডুয়ার্সের দিকে। শাল, সেগুনের পাড়া ছাড়িয়ে করোনেশন ব্রিজকে ডানদিকে রেখে তিস্তার পাড় ধরে মংপং। এখান থেকে পথ পাহাড় ছেড়ে আবার নিম্নমুখী হয়ে ডুয়ার্সে। ডুয়ার্সের বাগরাকোট থেকে পথ আবার ঊর্ধ্বমুখী। গাড়ির জানালা দিয়ে হঠাৎ চোখ পড়তেই এক অনাবিল আনন্দে মন ভরে গেল। ওই যে পাহাড়ের চড়াই-উৎরাইয়ের রাস্তা শুরু হচ্ছে। এরপর একটা ঠাণ্ডা হাওয়ার ঝাপটা চোখেমুখে। পাহাড়ি সুখ বোধহয় একেই বলে। বাগরাকোট থেকে ১৭কিমি দূরে চুইখিম। এই অঞ্চলেই আছে কয়লাখনি। পথে যেতে যেতে দেখা হয়ে যায় কয়লাবহনকারীদের সঙ্গে। পথ যত এগোয়, ততই সবুজের জেল্লা পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পায়। আঁকাবাঁকা পথ মাঝে-মাঝে শরীরে ঝাঁকুনি দিয়ে যায়। তবুও পাহাড় তো! হৃদস্পন্দনে একটা আলাদা স্পিরিট এনে দেয়। ছোটোখাটো একটা-দুটো গঞ্জ, চুইখিম, সামতাহার ছাড়িয়ে পথ এবার নিজের ঠিকানায়। চারখোল মোড় থেকে বাঁদিকের রাস্তা ঘুরেছে কালিম্পঙের দিকে, আর সোজা গেলেই লোলেগাঁও।

অঝোরে ঝরে পড়া বারিধারা মাথায় নিয়েই পৌঁছে যাই পূর্ব-নির্ধারিত হোমস্টেতে। চারখোল কালিম্পঙের এক নতুন হিমেল ঠিকানা। একটা-দুটো রিসোর্ট আর হোমস্টেই এখানকার রাত্রিবাসের আয়োজন। দুপুরের মধ্যেই পৌঁছে যাই আমাদের ঠিকানায়। হিসাব করে দেখলাম নিউ জলপাইগুড়ি থেকে টানা এলে সময় লাগবে প্রায় আড়াই ঘণ্টা। শহর থেকে এত কম সময়ের মধ্যে মেঘরাজ্যে! অবিশ্বাস্য। পাহাড়ের গা-ঘেঁষা হোমস্টে। নামেই হোমস্টে। বাজেটসাধ্য সুন্দর ঘরটি মনোরম বললে বেশ কম বলা হয়। এমন জায়গায় এলে জীবনের প্রতি লোভ অজান্তেই বেড়ে যায়। মনে হয় ঈশ্বরের কাছে শুধু একটা প্রার্থনাই জানাইঃ ‘হে পরমেশ্বর, তোমার অসীম সৃষ্টি দেখার ক্ষমতাটুকু শুধু দিও।’

ঘরের সামনে ছোট্ট একফালি বারান্দা। বারান্দায় দাঁড়াতেই মনে হল স্বর্গের সিংহদুয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। আকাশ ধীরে ধীরে পরিষ্কার হতে শুরু করেছে। দিগন্তবিস্তৃত পাহাড়রাজি। দু’হাত প্রসারিত করলেই মনে হয় ধরা যাবে তামাম পর্বতমালাকে। ঘরে যে মালপত্র দিতে এসেছে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, “কাঞ্চনজঙ্ঘা কিধার মিলেগা?” ছেলেটি হেসে আঙুল তুলে একদিকে দেখাল। আমাদেরই ঘরের ঠিক সামনে। কিন্তু বিহ্বল হয়ে জিজ্ঞাসা করি, “কিধার হ্যায়?” ওখানে তো মনে হচ্ছে মেঘের শামিয়ানা টাঙানো। ওর দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকাতেই জবাব দিল, “আভি মেঘ হ্যায়। কুছ নেহি দিখ সাকতা। কাল থা।” সেই এক উত্তর। যেখানেই যাই না কেন সে আমাদের হয়তো আগেরদিন ফাঁকি দিয়ে চলে গেছে দেখা না দিয়েই। তাহলে কি এযাত্রা সে অধরাই থেকে যাবে!

“কাঞ্চনজঙ্ঘা কিধর মিলেগা?”

লাঞ্চের পর বৃষ্টিটা একটু ধরে আসতেই মেঘের র‍্যাপার জড়ানো বিকেলটায় চারখোলের সঙ্গে পরিচয়পর্ব সারতে বেরিয়ে পড়লাম। হোমস্টের সামনেই ভিউপয়েন্ট। সেখানে পৌঁছাতেই একমুঠো হিমবাতাস ছুঁয়ে দেয় খেলার ছলেই। সে বাতাসে কাঞ্চনজঙ্ঘার আঘ্রাণ লেগে আছে। পথের আশেপাশে অযত্নে পড়ে থাকা ফুলের ঝোপ, অর্কিডবাহার দেখে না চমকানোই ভালো। কারণ এটাই এখানকার নিত্যকার পথ আর গ্রামের ছুটির ছবি। পাহাড়িয়া গ্রামটিও পথের বাঁক ঘুরে উঁচুনিচু। এদিক-ওদিক ছড়ানো কাঠের ঘরবাড়ি আর ইতিউতি ছড়ানো ধাপচাষ জমি। পায়ে পায়ে চলতে থাকে গ্রামদর্শন আর তার সাথে টুকটাক আলাপচারিতা স্থানীয় সরলপ্রাণাদের সঙ্গে। বেলাশেষে কাঠঘণ্টা বাঁধা গবাদি পশুর দল ঘরে ফিরছে সশব্দে। সেই শব্দ প্রতিধ্বনিত হয় পাহাড়ের গায়ে গায়ে। হঠাৎই চোখে ধরা পড়ল দূরে নাথুলা রেঞ্জের সদর্প উপস্থিতি। অন্য আরেকদিকে অনেক দূরে আকাশের গায়ে তখন দেখা যাচ্ছে ঝকঝকে সাদা পাহাড়চুড়ো। রূপোর শিরোভূষণের মতো কাঞ্চনজঙ্ঘা। ভাবতে পারিনি এত তাড়াতাড়ি তার চকিত দর্শন পাবো। স্থানীয়দের কাছেই শুনলাম বেশ কয়েকদিন পর তার দর্শন পাওয়া গেল। কত দূরদূরান্ত থেকে তাকে একঝলক দেখতে পাওয়ার জন্য সবাই ছুটে আসেন। মেঘের পর্দায় যখন সে তার স্বর্ণশিখর লুকিয়ে রাখে, তখন ব্যর্থ মনোরথ হয়ে ফিরে যেতে হয়। কিন্তু আজ যেন সে কিছুটা উদ্ধত, কিছুটা উচ্ছল ভঙ্গীতে নিজেকে প্রকাশ করতে চাইছে। শেষ বিকেলের রক্তিম আলোয় কাঞ্চনজঙ্ঘা অপরূপ রঙে রাঙায়িত। কিছুক্ষণের মধ্যেই একের পর এক আভরণ খুলে ফেলে মেলে ধরতে লাগল নিজেকে। রাস্তার পাশেই এক চায়ের দোকানে বসে গরম চায়ে চুমুক দিতে দিতে সেই নগ্নতাকে মনমন্দিরে তুলে রাখলাম সযত্নে। চায়ের কাপে ছুঁয়ে যেতে থাকে উষ্ণতার চুমুকচিহ্ন। কাঞ্চনজঙ্ঘার বক্ররেখাগুলো তখন গলানো সোনায় সাজছে, এক অপূর্ব কনে-দেখানো সাজে।

উল্টোদিকের গ্রামটায় যখন একটা-দুটো করে টিমটিমে আলো ফুটে উঠতে শুরু করেছে, এ গ্রামের কাঠবাড়ির কোণ থেকে তখন সাদা ধোঁয়ার কুণ্ডলী পাক দিয়ে ওঠে। মনাস্ট্রি থেকে ভেসে আসা মন্ত্রধ্বনির টানে এগিয়ে যাই। যদিও কোভিড প্রোটোকল মেনে দর্শকদের প্রবেশ নিষেধ। বাইরে থেকেই ছোট্ট, সুন্দর সাজানো মনাস্ট্রি দেখে আস্থায়ী আবাসে ফিরে আসার পথ ধরি। সামনের খাদ ছাড়িয়ে মেঘ তখন দানা বাঁধতে শুরু করেছে। সেই মেঘের ডানায় ভর করে কোনো অচিন পাখি হয়তো এই গ্রামের আমন্ত্রণবার্তা পৌঁছে দেবে কাউকে, যেমন করে সেই আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম আমিও। হাঁটতে হাঁটতে ভাবতে থাকি চারখোল কবিতার, চারখোল ভাবের ঘরের উত্তেজনার। রাস্তায় দেখা হয়ে গেল পিঠে বোঝা নিয়ে ফেরা একদল স্থানীয়দের সঙ্গে। তাদের খুশির চলন, পাহাড়ঢালে বাক্সবাড়ি আর জানালাঘেরা অর্কিডের সাজবাহারে বিভোর হয়ে অজান্তেই মনের কোঠির দখলদার হয়ে বসে চারখোল। পাহাড়ি পথের একটা নিজস্ব স্তব্ধতা আছে। আশরীর সেই স্তব্ধতার স্বাদ নিতে নিতে চলার মধ্যে একটা শান্তি আছে। এক অপরিসীম পাওয়ার আনন্দে শরীর, মন বিবশ হয়ে আসে।

কনে-সাজ

হোমস্টেতে ফিরে এসে কোনো কাজ নেই। স্বপ্নবারান্দায় আড্ডার মৌতাতে দিনযাপন জমজমাট। অলস সময় হারিয়ে যেতে থাকে ধুমায়িত কফি কাপের ওমে। গরম কফি, পকোড়ার উষ্ণতার পরশে মাখামাখি হয়ে লুটেপুটে নিতে থাকি পড়ে পাওয়া কয়েক মুহূর্তের আনন্দকে। মেঘের মধ্যেই রাতের আকাশ জুড়ে মাঝে-মাঝে চোখে পড়ে মণি-মাণিক্যের ঝলকানি। হিমবাতাসের সাথেই মনের মধ্যে চলতে থাকে গুনগুনানি। গানে গানে মনের সেই উচ্ছ্বাসকে থামানোর কোনো ইচ্ছেই হয় না। রাতে ঘরোয়া খাবারের সুন্দর, পরিচ্ছন্ন আয়োজন। তামাং দিদির হাতে পাহাড়ি খাসির মাংসের স্বাদ অতুলনীয়। রাতে কম্বলের উষ্ণতায় শুয়ে শুয়েও শুনতে পাই পাইনবনে বাতাসের কানাকানি আর টুপটাপ ঝরে পড়া শিশিরের শব্দ।

পরদিন ভিজে ভোরের কমলা আলোয় মন খুঁজে নেয় খুশির পাসওয়ার্ড। সুন্দর সকালে ঋণ বাড়ে চারখোলের প্রতি। সে ঋণশোধ করি ফাগ-লাগা কাঞ্চনজঙ্ঘার দিকে অপলক তাকিয়ে প্রিয়জনের ধরে থাকা হাতের কবোষ্ণ ওমে। বারান্দায় বসে বসেই সময় চুরি হয়ে যায় ধ্যানী, মৌনী কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ দেখে।

রডোডেনড্রনগুচ্ছ

সুনীল আকাশ প্রণয়পাশায় আবদ্ধ করে। দিব্যি করে বলতে পারি এখানে আসা প্রত্যেক পর্যটক এখানকার প্রতিটি সুখ উপভোগ করতে পারবে তার নিজের মতো করে। প্রকৃতি তার সব রূপ-রস-গন্ধ এখানে সাজিয়ে রেখেছে। শুধু দেখার মতো চোখ আর অনুভব করার মতো মন থাকতে হবে। যারা রঙ-বেরঙের পাখির কলতানে বিভোর হয়, চোখ ভরে শ্বেতবসনে সাজানো কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ সহ্য করতে পারে, চারখোল তাদের জন্য। এ গাঁ তার অতিথিদের দেওয়ার জন্য পরম যত্নে অনেককিছু সাজিয়ে রেছেছে। ধুপি-পাইনের নিঝুম বাট, কাঠবাড়ির আটপৌরে আতিথেয়তা, অর্কিড আর রঙবাহারি ফুলবাগানের চৌহদ্দিতে হাটখোলা পাহাড়ের রূপসী কাঞ্চনজঙ্ঘা সাজানো রয়েছে শুধু তাদেরই জন্য। বরফজমা তুষারপাহাড় মন জমায় নিমেষে। এখানে অতি সাধারণ পাহাড়ি বাঁকাপথেও মন হারায় চকিতে।

কালিম্পঙের ব্যস্ত রোজনামচা, কাঞ্চনজঙ্ঘার অহংকার, সোনারোদে ঝকমকে দার্জিলিং, কুয়াশামাখা অস্পষ্ট শিলিগুড়ি – সবই ঘাড় ঘোরালেই দৃশ্যমান। এখানকার অলসরাত আমায় দিয়েছে জোনাকি-পাহাড়ের শহর চেনার খেলার আঙিনা আর সবুজ অন্ধকার। এখান থেকেই চলে যাওয়া যায় লাভা, লোলেগাঁও, রিশপ ও আরও অনেক জায়গায়। আর যাদের যান-সফরে যেতে মন চায় না তাদের জন্য চারখোলের উজাড়করা খোলা ক্যানভাস তো রইলই। রংতুলি এখানে আসা সব প্রকৃতিপ্রেমীদের হাতে। রাঙিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আর চাবিকাঠিটা তোমায় দিলাম গোপনে। তোমার পিয়াসিমনের ভালোলাগার আর ভালোবাসার আঁকিবুঁকি কেটো তাতে। রইলাম অপেক্ষায়।

পেশায় শিক্ষিকা। নেশা বিভিন্ন ধরনের বই পড়া, বেড়ান আর সিনেমা দেখা। পছন্দের ভ্রমণ তালিকায় প্রথম স্থানে আছে পাহাড়িয়া ছোট ছোট গ্রাম। আরও শখ সময় ও সুযোগ পেলেই পাহাড়ের সহজ-সরল মানুষগুলোর আতিথেয়তা গ্রহণ করার জন্য বেরিয়ে পড়ে নির্জন প্রকৃতির মধ্যে থেকে নিজেকে নতুন করে চিনতে শেখা। বেড়িয়ে এসে মনের আনন্দে টুকটাক ভ্রমণকথা লেখার চেষ্টা। লেখা প্রকাশিত হয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা, বাতিঘর অনলাইন ব্লগজিন, প্রবচন পত্রিকা, ‘পর্যটকের ডায়েরি’ নামক ভ্রমণ সংকলনে। পঙ্কজ উধাস, জগজিৎ সিং আর রশিদ খানের গান সুখ-দুঃখের সঙ্গী। সফট রোম্যান্টিক গান বিশেষ পছন্দ। ইংরাজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করলেও বাংলা সাহিত্য ও ইতিহাসের প্রতি প্রবল ঝোঁক।

1 Comment

Avarage Rating:
  • 0 / 10
  • প্রতিভা , October 16, 2022 @ 4:26 pm

    খুব ভালো লাগল। গিয়েছিলাম এখানে। সেইসব স্মৃতি যেন ফিরে এল!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *