সুজনদা-বিহীন এই নববর্ষে

সুজনদা বিহীন এই নববর্ষে

১৪৩০ সাল এসে গেল! ১৪২৯ যাবার বেলায়, একেবারে শেষের দিকে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিল আমাদের কাছের মানুষ, সুজন দাশগুপ্তকে। তাঁর প্রতি প্রণতি জানিয়ে শুরু করছি আমাদের নববর্ষের এই সংখ্যা। 

আমরা আগে ভাবতাম যে ত্রৈমাসিক পত্রিকাতে ধারাবাহিক লেখা প্রকাশ যুক্তিসঙ্গত কিনা। কিন্তু পরে ভেবে দেখেছি, অনেক বড় লেখা দুই – তিন বা চার পর্বে প্রকাশ করলে লেখকদেরও সুবিধে হয়। একসঙ্গে বড় প্রবন্ধ পড়তে গেলে পাঠকের অসুবিধেও হতে পারে। সেই ভাবনা থেকেই সৌমিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের “বিপ্লবী-দার্শনিক মানবেন্দ্রনাথ রায়ের জীবনের সূচনাপর্ব” এবং “বিপ্লবী-দার্শনিক মানবেন্দ্রনাথ রায়ের জীবনের পরবর্তী অধ্যায়” প্রকাশিত হয়েছিল দুটি পর্বে।

সেই ভাবনা থেকেই বিগত সংখ্যা থেকে প্রকাশিত হচ্ছে অমিত চক্রবর্তীর “সৃজনী লেখার ক্লাস – কবিতা লেখা”।  এই লেখাগুলি পরবর্তী কালেও পাঠকরা ধীরে সুস্থে পড়তে পারবেন। আমরা প্রত্যেক সংখ্যাতেই আগের ও পরের সংখ্যার যোগসূত্রটিও চহ্নিত করে রাখব যাতে সহজেই পাঠক সেটি খুঁজে পান। 

এইবার তেমনভাবেই শুরু হচ্ছে দুটি লেখা। 

প্রথমটি একটি ভ্রমণকাহিনি, লিখেছেন অনিন্দিতা বসু। তিন পর্বে প্রকাশিতব্য এই ভকাহিনি তাঁর পর্তুগাল ভ্রমণের।

দ্বিতীয়টি লিখেছেন শ্রী তথাগত ভট্টাচার্য। দুই পর্বে প্রকাশিত হবে এটি। তাঁর লেখার বিষয় বাংলা সিনেমাতে বাংলা আধুনিক গানের প্রয়োগ। 

আমরা আমাদের পাঠকদের ও আহ্বান জানাচ্ছি, বিশেষ করে সাহিত্য, ইতিহাস এবং বিজ্ঞান-প্রযুক্তি সংক্রান্ত কোন বড় লেখা এইভাবে পর্বে পর্বে প্রকাশ করতে চান, আমাদের সম্পাদকীয় দপ্তরে যোগাযোগ করতে পারেন। 

‘পুরনো অবসর’ বিভাগে আমরা ফিরিয়ে নিয়ে এলাম শ্রী সুজন দাশগুপ্তের একটি লেখা। সামনেই পঁচিশে বৈশাখ। সেই উপলক্ষে আমরা স্মরণ করে নিলাম সুজনদা ও রবীন্দ্রনাথ দু’জনকেই। 

এছাড়া রইল অন্যান্য বিভাগের অনেকগুলি আকর্ষণীয়  লেখা।

 

সুজনদা,

প্রিয় সঙ্গীতকার তাঁর একটি গানে লিখেছেন,- 

“আহা ঐ আঁকা বাঁকা যে পথ যায় সুদূরে।
মন হরিণী করুণ তার তাল তুলেছে
এমন দিনে তুমি মোর কাছে নাই, হায়
স্মৃতিরা যেন জোনাকির ঝিকিমিকি, ঝিকিমিকি।।”

তুমি আজ আমাদের কাছে নেই, কিন্তু তোমার স্মৃতি আমাদের কাছে সেই ‘জোনাকির ঝিকিমিকি’ যা আমাদের অন্ধকারেও আলোর সন্ধান দেবে। ‘অবসর পত্রিকা’র সুদূরের ঐ আঁকাবাঁকা পথ চলতে প্রত্যেক মুহূর্তে তাই হবে আমাদের পাথেয়। 

 

চিত্র সৌজন্য = শেখর বসু
জন্ম কলকাতায়, বেড়ে ওঠা দক্ষিণ চব্বিশ-পরগনার রাজপুর-সোনারপুর অঞ্চলে। ১৯৮৩ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেক্ট্রনিক্স ও টেলিকম্যুনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে কর্মসূত্রে ব্যাঙ্গালোরে। শখের মধ্যে অল্প-বিস্তর বাংলাতে লেখা - অল্প কিছু লেখা রবিবাসরীয় আনন্দবাজার, উনিশ-কুড়ি, নির্ণয়, দেশ, ইত্যাদি পত্রিকায় এবং বিভিন্ন ওয়েব ম্যাগাজিন (সৃষ্টি, অবসর, অন্যদেশ, পরবাস ইত্যাদিতে) প্রকাশিত। সম্প্রতি নিজের একটি ব্লগ চালু করেছেন – www.bhaskarbose.com

2 Comments

Avarage Rating:
  • 0 / 10
  • শেখর বসু , April 18, 2023 @ 5:23 am

    সুন্দর সম্পাদকীয়। সুন্দর সংখ্যা

    • BHASKAR BOSE , April 20, 2023 @ 6:57 pm

      অজস্র ধন্যবাদ, শেখরবাবু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *