মা দুগ্‌গা সহায়

মা দুগ্‌গা সহায়

মস্কো এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশন অফিসার বেশ কিছুক্ষণ আমার পাসপোর্টের দিকে তাকিয়ে রইল। মুখ তুলে একবার আমায় আপাদমস্তক জরিপ করে, তারপর পাসপোর্টের দিকে তাকায়। আবার মুখ তুলে আমাকে দেখে! এত কী দেখার আছে রে বাবা! হনুমান, বাঁদর তো নই! দেখতে আমি অবশ্য সাংঘাতিক কিছু খাপসুরত নই, তাহলে এতবছরে কেউ না কেউ নিশ্চয়ই বলত। একমাত্র বরুণাই আমার চেহারা নিয়ে খানিক মাথা ঘামায়।

“এই, অত মিষ্টি খেয়ো না, ভুঁড়ি বাড়বে।” “মাথার চুলগুলো রং করে নাও তো, পার্লারে চল।”

তার মাথাব্যথার কারণটা বুঝি। গমের মত রং, মাখনের মত ত্বকে আলো-ছড়ানো সুন্দরী। আমাকে কিছুটা ঘষেমেজে তার পাশে মানানসই করতে চায় আর কী। কিন্তু ইমিগ্রেশন অফিসার আমার মধ্যে কী এমন খুঁজে পেল যে আর চোখই ফেরাতে পারছে না? খুশি হব না চিন্তিত, বুঝে ওঠার আগেই সে কাউন্টার ছেড়ে উঠল। হাতের ইশারায় ডাকল আমাকে।

অগত্যা। নেংটি ইঁদুরের মত বিশালদেহী অফিসারের পিছন পিছন চলেছি।

ক্লান্ত শরীর। সবে ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে মস্কো এসে নেমেছি। অফিসের কাজে গোটা পশ্চিম ইউরোপ ঘুরে এবার পুবের পালা। মস্কোতে কাজ সেরে ফিরব বাড়ি, অর্থাৎ নিউ জার্সি। অফিস থেকেই সব ব্যবস্থা করে দিয়েছে – টিকিট কাটা, ভিসা, পিক আপের গাড়ি, থাকার জায়গা – সব। কাল থেকেই মিটিং। এখন এ সব কী তামাশা! 

ইমিগ্রেশন অফিসার যার জিম্মায় আমাকে জমা করল, তিনি সাক্ষাৎ মা-দুগ্গা। সাড়ে ছ’ফুট লম্বা, মানানসই চওড়া, পরনে ইউনিফর্ম। রাশান মেয়েরা তাদের বলিষ্ঠ চেহারার জন্যে বিখ্যাত। ইনি তার মধ্যেও আবার বিশেষরূপে সবলা। অসুরনিধনের জন্যে একেবারে যোগ্য। লম্বায় আমি তাঁর কাঁধেরও নিচে। হাবভাব দেখে মনে হল এখুনি আমার কলারটা দু’আঙুলে ধরে ওপরে তুলে মারবেন এক আছাড়!

দু’জনের মধ্যে রাশান ভাষায় কী যে বাতচিত হল, যিশু জানেন। রাশান দুগ্গা আমার দিকে তাকালেন। তারপর পূর্ব ইউরোপিয়ান অ্যাকসেন্টে প্রচুর ‘ত’এর আধিক্য সহযোগে আমায় জানালেন, “ইউ আর তু আর্লি।”

সে আবার কী? মাথায় ঢুকল না। ফ্লাইট তো ঠিক সময়েই নেমেছে। আগে তো আসেনি? ভ্যাবাচ্যাকার মত দাঁড়িয়ে আছি দেখে খোলসা করলেন, “ইওর এন্ত্রি ভিসা ইজ আফতার ওয়ান উইক!”

মাথায় বজ্রাঘাত হল। আমার ভিসা একসপ্তাহ পর? সে কী? ঢুকতে পাব না?

ভিসার সব ব্যবস্থা করেছে আমার অফিস। পাসপোর্টে ভিসার স্ট্যাম্প আছে রাশান ভাষায়। তা নিয়ে আমি মাথাও ঘামাইনি, কারণ পুরো ট্রিপ-এর ব্যবস্থা হয়েছে অফিস থেকে। এন্ট্রি ডেট নিয়ে এমন গুবলেট করেছে কে জানত? মনে মনে ট্রাভেল ডেস্কের চোদ্দপুরুষ উদ্ধার করছি। এখন উপায়?

বললেন, “ভিসা এগিয়ে আনার জন্যে অ্যাপ্লিকেশন করতে হবে। একশ ডলার ফি। ক্যাশ।”

হাতে চাঁদ পেলাম। উপায় আছে তাহলে! ক্যাশ যদিও সঙ্গে বেশি নেই, তাহলেও কুড়িয়ে বাড়িয়ে হয়ে যাবে। এদের হাত থেকে ছাড়া পেলে বাঁচি।

ফর্ম ভর্তি করলাম। গুনে গুনে একশটি ডলার সমেত সে ফর্ম নিয়ে নিলেন মা-দুগ্গা। আমি উৎসাহিত। নিশ্চয়ই একটা কিছু ব্যবস্থা করবেন। ওদিকে আমার গাড়ি এসে এয়ারপোর্টে অপেক্ষা করছে, হোটেলে নিয়ে যাবে। তাকে খবর দেওয়া যায় কী করে? সেলফোন তখনো সবার হাতে ওঠেনি, কাজেই মুখোমুখি বলা ছাড়া রাস্তা নেই। 

রাশান মা-দুগ্গার দয়ার শরীর। হাতের ইশারায় ডাকলেন দুই যমদূতের মত সিকিউরিটি গার্ডকে। আমায় পাহারা দিয়ে নিয়ে যাবে, আবার নিয়েও আসবে।

ইচ্ছে হল বলি, ‘আমার এই রোগাপাতলা চেহারায় দুজন গার্ডের কি সত্যিই দরকার আছে?’

সামলে নিলাম। মা-দুগ্গাকে চটানো ঠিক হবে না। এ অবস্থায় তিনিই আমার পরিত্রাতা!

কড়া পাহারায় দাগি আসামীর মত গিয়ে উপস্থিত হলাম এয়ারপোর্টের পিক-আপ এরিয়াতে। সেখানে আমার নামের প্ল্যাকার্ড হাতে অপেক্ষমান ড্রাইভার। ইউনিফর্ম পরা দু’জন গার্ড সহযোগে আমায় আসতে দেখে সে ভড়কে গেল। তার ওপর সেও ইংরেজি জানে না, আমিও রাশান জানি না। প্রাণপাত করলাম বোঝাতে, কী গাড্ডায় আমি পড়েছি। সে যেন একটু অপেক্ষা করে। দু’জন গার্ড ভাবলেশহীন মুখে তাকিয়ে আছে। সাহায্যের কড়ে আঙুলটিও বাড়াল না। খানিকক্ষণ ধ্বস্তাধ্বস্তি চলার পর ড্রাইভার কী বুঝল কে জানে। ঘাড় নেড়ে অদৃশ্য হল। আমি বুঝলাম, ভোগান্তির এই শুরু।

আবার ফেরত এলাম এয়ারপোর্টের ভেতরে, সঙ্গে দুই যমদূত।

রাশান মা-দুগ্গা এবার আমাকেই অসুর ভেবে নিয়ে তাঁর ত্রিশূলটি সোজা চালিয়ে দিলেন বুক লক্ষ্য করে। “ইওর অ্যাপ্লিকেশন ইজ রিজেক্তেদ।”

সে কী? একশোটি ডলার গুনে গুনে নিল যে?

“সো হোয়াত? ইউ হ্যাভ তু গো ব্যাক।”

কিন্তু আমার ফ্লাইট যে সাতদিন পরে?

“আমরা তোমার বুকিং এগিয়ে দিচ্ছি। কই, টিকিট দেখি?”

টিকিটটি হস্তগত করে পাশের ভারী দরজাটি খুললেন। দেখলাম, সেটা একটা লাউঞ্জ।

কড়ে আঙুলের টোকায় আমাকে লাগেজ সমেত সেখানে ঢুকিয়ে দিয়ে বললেন, “রাতটা এখানেই কাটাও। কাল সকালে প্লেনে তুলে দেব।”

বলেই দরজা বাইরে থেকে আটকে দিলেন, যাতে পালাতে না পারি! জেলখানা!

সামনে একটি বেঞ্চ। বসার জায়গা। বসে একটু মাথা ঠাণ্ডা করে ভাবার চেষ্টা করলাম আমার করণীয় কী! নিউ জার্সিতে বরুণাকে ফোন করে খবর দিয়ে দিলাম আমি মস্কোয়। খোলসা করে কিছু বললাম না। আগে দেখি কোথাকার জল কোথায় গড়ায়!

দ্বিতীয় ফোনটা অফিসে। তেড়ে গালি দেবার ইচ্ছেটা সামলে নিতে হল। আমার কাছে ডলার বেশি নেই। গুটিকয়েক যা পড়ে আছে তাই দিয়েই ফোন করা চলছে। তখনো কমিউনিকেশন টেকনোলজিতে বিপ্লব আসেনি। মস্কো থেকে আমেরিকায় ফোন করতে মিনিট প্রতি চার ডলার লাগে। টিপে টিপে হিসেব করে খরচ করতে হবে।

ফোনাফুনি শেষ করেই খিদেটা চাগাড় দিল। শেষবার পেটে খাবার পড়েছে প্লেনে, এয়ারলাইনসের খাবার। তারপর তো একটানা টেনশন।

খাবারের খোঁজে গিয়ে দেখি লাউঞ্জে কঠিন খাদ্যের কোনো ব্যবস্থা নেই, শুধুই তরল। হরি বোল! রাশানরা পিপে পিপে ভদকা-পানে অভ্যস্ত। কিন্তু আমি পেটরোগা বাঙালি, খালিপেটে মদ্যাদি সইবে না। কাল সকালেই ফ্লাইট। দরকার নেই বাবা! 

খুব কষে খানিক জল খেয়ে পেটটা বোঝাই করে নিয়েছি। নিশ্চিন্দি। আর খিদে পাবে না। লাউঞ্জের সিকিউরিটি আমায় পাশ থেকে এতক্ষণ দেখছিল। এবার পায়ে পায়ে এগিয়ে এল, “ব্যাপারটা কী?”

ব্যাস, আর যায় কোথায়! সহানুভূতির ছোঁয়ায় আমার সমস্ত দুঃখের বৃত্তান্ত গলগলিয়ে বেরিয়ে এল। সে মন দিয়ে সবটা শুনল। তারপর ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে জানাল, “রাশান ভিসা কিন্তু একসপ্তাহ আগেও ঢুকতে অ্যালাও করে।”

বলে কী? আমি তো থ! তাহলে আমার এত হেনস্থার কারণ কী? তেড়েফুঁড়ে উঠলাম। যাই তো, একবার গিয়ে জিজ্ঞেস করি ব্যাটাদের! কেন আমাকেই বেছে বেছে ঢুকতে দেবে না? 

সিকিউরিটি আমায় হাত ধরে বসিয়ে দিল, “এত রাতে কাউকে পাবে না। কাল সকালে দেখো বরং।”

হক কথা। কম্বলমুড়ি দিয়ে গুটিসুটি শুয়ে পড়া যাক। একটু ঘুমেরও দরকার!

ভোর হতে না হতেই শুনি আমার নাম বাজছে লাউডস্পিকারে।

“মিস্টার হালদার, ইউ আর রিকোয়েস্টেড টু রিপোর্ট টু গেট নাম্বার অমুক ফর ইওর লুফৎহানসা ফ্লাইট।”

চোখ খুলে দেখি জেলখানার দরজা খোলা। সামনেই মা-দুগ্গা। আমায় প্লেনে তুলে দিয়ে তবেই নিশ্চিন্দি হবেন।

সাহস করে লাউঞ্জের সিকিউরিটির কাছে যা শুনেছি মা-দুগ্গাকে বললাম। এই ভিসাতেই তো আমি একসপ্তাহ আগে ঢুকতে পারতাম! তাহলে আমার প্রতি কেন এ অবিচার?

উত্তর না দিয়ে তাকিয়ে রইলেন ঝাড়া দু’মিনিট। তারপর ঠাণ্ডা গলায় আদেশ, “আই অ্যাম অ্যাফ্রেইদ, ইউ হ্যাভ তু গো ব্যাক।”

এর ওপর আর কোনো কথা চলে না।

চেক ইন করতে গিয়ে দেখি লুফৎহানসা আমায় আপগ্রেড করে সর্বোৎকৃষ্ট ফার্স্ট ক্লাসে দিয়ে দিয়েছে। আমার আসল টিকিট তার একধাপ নিচে, বিজনেস ক্লাসে।

“হে মিস্টার হালদার, আমরা খুব দুঃখিত, ফ্রাঙ্কফুর্ট এয়ারপোর্টে প্লেনে উঠতে দেবার আগে তোমার ভিসাটা আমাদেরই চেক করে দেখা উচিত ছিল। আমাদের দোষ। তাই এই কমপ্লিমেন্টারি আপগ্রেড, হেঁ হেঁ…”

গরু মেরে জুতো দান! যাকগে। ফার্স্ট ক্লাসের রাজকীয় আসনে লম্বা হয়ে শুয়ে আর খাসা একখানি ঘুম দিয়ে সক্কাল সক্কাল নিউ ইয়র্কে এসে নেমেছি। বাড়ি ঢুকতে বরুণা চমকে গেল, “এ কী? তুমি কোত্থেকে?”

হাত তুলে আশ্বস্ত করলাম, “সেসব বলছি পরে। আগে স্নান করি। অনেক ভোগান্তি গেছে।”

সাফসুতরো হয়ে খেয়েদেয়ে সবে একটু জিরোব, নিচ থেকে বরুণার হাউমাউ চিৎকার কানে এল।

“শিগগির এস, শিগগির, মুন্না, মুন্নার অ্যাকসিডেন্ট…”

বুকটা ধড়াস করে উঠল। একসঙ্গে দুটো তিনটে সিঁড়ি লাফিয়ে নেমে দেখি মুন্না, আমাদের ছোট ছেলে পড়ে আছে মাটিতে, রক্তে লাল। তার মা’কে বুঝি বাস্কেটবলের ‘স্ল্যাম ডাঙ্ক’-এর কায়দা দেখাতে গিয়েছিল। স্ল্যাম ডাঙ্ক মানে খেলোয়াড় যখন লাফ দিয়ে ওই উঁচুতে বাস্কেটবলের রিংএর কাছে পৌঁছে যায়, একহাতে রিংটা ধরে ঝুলতে ঝুলতে অন্য হাতে বলটা রিং-এর মধ্যে দিয়ে ‘হুপ’, অর্থাৎ বাস্কেটে গলিয়ে দেয়। খুবই শক্ত সে কায়দা। মুন্না রপ্ত করেছে, তাই মাকে দেখাচ্ছিল। ড্রাইভওয়েতে রাখা আছে আমাদের বাস্কেটবল স্ট্যান্ড আর হুপ। পুরোনো হয়েছে। তাই যেই না মুন্না রিং ধরে ঝুলতে গেছে, লোহার লম্বা স্ট্যান্ডটা হুড়মুড় করে পড়েছে ওর ঘাড়ে। অসাড় ছেলে পড়ে আছে ড্রাইভওয়েতে। বরুণা হাউ-হাউ করে কাঁদছে। একমুহূর্তের জন্যে আমিও অসাড়। পরক্ষণেই সম্বিৎ ফিরল।

সঙ্গে সঙ্গে নাইন-ওয়ান-ওয়ান নাম্বারে ফোন, অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতাল, এমার্জেন্সি। বরুণার মাথা কাজ করছে না। পাগলের মত বলে চলেছে, “MRI, এক্ষুনি MRI কর।” আমিই খানিকটা শক্ত, বিপদে বুদ্ধি স্থির রাখার চেষ্টা করছি। অত টেনশনেও একবার মনে হল, ‘ভাগ্যিস! ভাগ্যিস আমায় রাশানরা ঢুকতে দেয়নি! নাহলে আমি এতক্ষণে মস্কোতে, ব্যবসায়িক মিটিঙে! বরুণা একা সামলাত কী করে?’

ঈশ্বরের অসীম কৃপা, অতবড় লোহার স্ট্যান্ডটা ভেঙে পড়লেও মুন্নার আঘাত খুব গুরুতর হয়নি। বাস্কেটবলের রিংএর জন্যে মাথাটা বেঁচে গেছে। কপালে যদিও গভীর ক্ষত। তিনটে স্টিচ করতে হল। কিন্তু অন্য কোন বড় বিপদ ঘটেনি। সঙ্গে সঙ্গে MRI স্ক্যান, অত্যাধুনিক চিকিৎসা, ইত্যাদির সাহায্যে মুন্না দু’সপ্তাহেই ফিট। একে মিরাকল ছাড়া আর কীই বা বলা যায়? মুন্নার প্রাণসংশয় হতে পারত! এমনকি আমাদের ছুটি কাটানোর প্ল্যানটাও বাতিল করতে হল না। মুন্না সেরে উঠতেই আমরা সপরিবারে ছুটিতে গেলাম। দক্ষিণ আমেরিকার উষ্ণতার প্রশ্রয়ে, সমুদ্রের ধারে, নীল আকাশের নিচে।

এর একমাস বাদে আবার মস্কোতে গেছি। কাজ বাকি আছে, মিটিংগুলো করতে হবে তো? এবার আর কোনো ভুল নয়, ভিসার এন্ট্রি ডেট নিজে চেক করে নিয়েছি। ইচ্ছে আছে, মস্কো এয়ারপোর্টে যদি দেখা পাই তো মা-দুগ্গাকে থ্যাঙ্কিউ বলে আসব, ‘ভাগ্যিস আমায় সেবার ঢুকতে দাওনি! মস্কো থেকে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিলে!’

দেখা পাইনি। পাবার কথাও নয়। ইমিগ্রেশন অফিসার দুমিনিটের মধ্যেই আমার পাসপোর্ট ফেরত দিয়ে দিলেন। সুটকেস গড়গড়িয়ে অপেক্ষমান গাড়ির দিকে যেতে যেতে মনে মনে বললাম, ‘জয় মা-দুগ্গা, তুমিই ভরসা।’

অনুলিখন: সংগ্রামী লাহিড়ী

নিউ জার্সির বাসিন্দা, পেশায় রেজিস্টার্ড ফার্মাসিস্ট। বায়ো-ফার্মাসিউটিক্স ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফার্মাসিউটিক্স নিয়ে দু-দুটি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি তাঁর ঝুলিতে। তাছাড়াও ম্যানেজমেন্ট শাস্ত্রের ডিগ্রিধারী, কর্পোরেটে উচ্চপদে কাজ করেছেন প্রায় তিন দশক। কর্মসূত্রে সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়িয়েছেন, অভিজ্ঞতার ঝুলি ভরেছে। তিনি একজন সফল ব্যবসায়ীও বটে। কর্মজীবনের প্রথম দিকেই দেশ ছেড়ে প্রবাসে আসেন। বহুবছর প্রবাসে বসবাস করলেও শিকড়ের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়নি কখনোই। নিউ জার্সি থেকে প্রকাশিত অভিব্যক্তি পত্রিকার উপদেষ্টা। এই পত্রিকার নামকরণ ও অলংকরণের ভাবনাটি তাঁরই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *