স্ক্রিপ্ট রাইটার

স্ক্রিপ্ট রাইটার

“হ্যাঁ গো, এতো নামকরা প্রফেসর তুমি, ব্রিলিয়ান্ট সব ছাত্রছাত্রী তোমার,” ঘোষগিন্নির আক্ষেপ, “সেটা কি কোনদিন সোসাইটিতে বলে বেড়াতে পারব না?”

ঘোষবাবু মানে প্রফেসর ডক্টর বি.এন.ঘোষ। অবসর নেওয়ার পর থেকেই গিন্নি তাঁকে খুঁচিয়ে চলেছেন।

“বলে বেড়াবে মানে,” অধ্যাপকমশাই আকাশ থেকে পড়লেন, “সবাই তো জানে কলেজ পড়াতাম, রিটায়ার করলাম, এতে বলে বেড়ানোর কী আছে! হ্যাঁ একটু আধটু নামডাক যে নেই তা নয়…”

“সে আর কতটুকু! মানে এতো ভালো লেখো, নামকরা ম্যাগাজিনে পাবলিশ হয়, সেটা তো খুব বেশি লোক জানতেই পারে না!”

“তা কী করলে সবাই জানবে?”

“কেন!” গদগদ গলা গিন্নির, “টিভি সিরিয়াল হবে এমন গল্প লেখো!”

এই ভয়টাই ঘোষবাবু পাচ্ছিলেন।

ঘোষবাবুর মত ঘোষগিন্নিও এখন অবসরপ্রাপ্ত। একমাত্র মেয়ে হৈমন্তী। বছর তিনেক হল মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির এক্সিকিউটিভ হয়ে ব্যাঙ্গালোরে আছে। বছরে বার তিনেক কলকাতায় আসে, বাকি দিনগুলো ভিডিও কল ভরসা।

রিটায়ারমেন্টের পরে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই এখন ঝাড়া হাত-পা। তাই ঘোষগিন্নি ধরে বসেছেন স্বামীর সুনাম ছড়াতেই হবে। স্বামীকে নিয়ে, বা বলা ভালো তাঁর বাঙলা সাহিত্যের জ্ঞান নিয়ে গিন্নির বেজায় গর্ব। এতদিন না হয় কাজের চাপে সেই প্রতিভা কিছুটা চাপা পড়েছিল, কিন্তু এখন! তিনি যে পতিগরবে কতটা গরবিনী সেটা লোককে না দেখালে কী সুখ আছে? আর তাঁর মতে বিখ্যাত হবার সবচেয়ে সোজা উপায় হল যেভাবেই হোক টিভি সিরিয়ালে যোগদান। আরে, অভিনয় ক্ষমতা নেই তো কী হয়েছে, লিখতে তো দিব্যি পারেন। সত্যি বলতে কী, সেই কলমের প্রেমে পড়েই তো এতোদিনের সুখে দাম্পত্য জীবন কাটিয়ে দেওয়া।

ঘোষগিন্নি একটা নামকরা স্কুলে ইংরাজি পড়াতেন। গিন্নির ইংরেজি জ্ঞানকে ঘোষবাবু রীতিমত সমীহ করেন।

শুধু একটি জিনিস ঘোষবাবুর ঘোর অপছন্দ! স্ত্রীর টিভি সিরিয়ালের প্রতি অদম্য প্রীতি! সন্ধে হলেই বিভীষিকার মতো একের পর এক বাংলা সিরিয়াল। ভয়ে তিনি বৈকালিক তাসের আড্ডা থেকে যতটা সম্ভব দেরি করে বাড়ি ফেরেন। আর ফিরেই কোনোক্রমে এক কাপ চা বা কফি বানিয়ে শোওয়ার ঘরে ঢুকে পড়েন। দরজাটা শক্ত করে আটকে পছন্দের গান চালিয়ে দেন যাতে ওইসব বোকা বোকা সংলাপগুলো কানে না আসে। গিন্নির অবশ্য তখন এসব কোনো কিছুতেই কোনো হুঁশ থাকে না। রাত্রি সাড়ে নটা অবধি সম্মোহিতের মতো বাহ্যজ্ঞান শূন্য হয়ে টিভির সামনে বসে থাকেন। তারপর হয় রাতের খাওয়াদাওয়া। বন্ধ ঘরে বসে সিরিয়ালের অভিনেতা-অভিনেত্রী, পরিচালক, প্রযোজক, চ্যানেল কর্তৃপক্ষ এবং গিন্নির মুন্ডপাত করেন ঘোষবাবু। ইংরেজি সাহিত্যে পন্ডিত একজন মানুষের একী শোচনীয় পরিণতি!

সেই সিরিয়ালের গল্প লিখতে হবে ভেবেই শিউরে উঠলেন ঘোষবাবু। কিন্তু স্ত্রীকে মুখের ওপর তো না করা যায় না! তাই শেষ চেষ্টা হিসাবে মিনমিন করে বললেন, “কিন্তু ওইসব সিরিয়াল সম্পর্কে কিছুই তো জানি না। তাই আমি কী পারব সেসব…”

“থামো তো, খুব পারবে!” গিন্নির ঝঙ্কারে বক্তব্যে বাধা পড়ল, “সেই যে তখন, আমাদের প্রিন্সিপাল ম্যাডাম যখন কলেজের অ্যানুয়াল ফাংশনের জন্য প্রেসিডেন্সির বাংলার হেড অফ দ্য ডিপার্টমেন্টকে একটা নাটকের ব্যবস্থা করতে রিকোয়েস্ট করলেন তখন কে লিখেছিল, অ্যাঁ…”

অধ্যাপকমশাইয়ের মনে পড়লো স্যারের কথায় প্রায় একরাতের মধ্যে She Stoops bent to Conquer-কে ‘মধুরেণ সমাপয়েৎ’ নাম দিয়ে বাংলায় অনুবাদ করেছিলেন। গিন্নির কলেজের ছাত্রীরাই সে নাটক মঞ্চস্থ করেছিল। অভিনয় শেষ হওয়ার পর হাততালিতে হল ফেটে যাওয়ার জোগাড়। প্রিন্সিপাল ম্যাডাম ও অন্যান্য অধ্যাপিকারা স্যার এবং ছাত্র তথা নাট্যকারকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন।

“সে তো কোন কালের কথা! আর সেই নাটক লেখার সুবাদেই তো তোমায়…” একগাল হেসে ঘোষবাবু তাকালেন গিন্নির দিকে।

স্যারের অনুরোধে গিয়েছিলেন তিনি। নাটক শুরু হওয়ার আগে এক তন্বী ছাত্রীর কন্ঠে ‘পুরস্কার’ কবিতার আবৃত্তি শুনে চমকে উঠেছিলেন। যেমন উচ্চারণ, তেমন নিখুঁত বাচনভঙ্গি, তেমনই আবেগ। একাগ্রচিত্তে শুনেছিলেন সেই আবৃত্তি। তারপর প্রিন্সিপাল ম্যাডামের সঙ্গে ছাত্রীটিকে দেখে সামলাতে পারলেন না, আবৃত্তিটা যে ভালো লেগেছে তা জানিয়ে ফেললেন! আর কী আশ্চর্য, নাট্যকারের প্রশংসায় ছাত্রীটি যেন একবারে গলে গেল!

“আমার আবৃত্তি আপনার ভাল লেগেছে, কী সৌভাগ্য আমার! আর আপনার নাটক, কী অসাধারণ স্ক্রিপ্ট আপনার!”

সেই মুগ্ধতার সূত্র ধরেই আবৃত্তিকার আর নাট্যকারের মধ্যে মন দেওয়া নেওয়া পর্বের সূচনা। অবশেষে শুভদিন দেখে দুজনের একসাথে পথ চলা শুরু।

গিন্নি লজ্জা মেশানো কটাক্ষ হেনে বললেন, “তবে? না বলছিলে যে?” তারপর একটু নরম সুর, “আচ্ছা গল্প না হয় না লিখলে, স্ক্রিপ্ট তো লিখতে পারো!”

তাতেও স্বামীর নিরুৎসাহ দেখে ঘোষগিন্নি এবার মোক্ষম অস্ত্র প্রয়োগ করলেন। “জানি জানি, সিরিয়াল নিয়ে তোমার ঠাট্টার শেষ নেই…” বজ্রবিদ্যুৎসহ ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা ঘনিয়ে উঠল, “সিরিয়াল দেখি বলে আমাকে তো…”

“আহাহা ও কথা কেন,” আসন্ন দুর্যোগ ঠেকাতে ঘোষবাবু ব্যস্ত হয়ে উঠলেন, “আমি কি সে কথা বলেছি? শুধু ভাবছিলাম…”

“আমার কোন কথাটা সারাজীবন ভেবেছো শুনি,” অশ্রুরুদ্ধ কণ্ঠে ঘোষগিন্নি অনুযোগ জানালেন।

“আচ্ছা আচ্ছা তোমার কথাই থাকবে। কি, এবারে খুশি তো?”

“এই তো,” গিন্নির মুখে হাসি ফুটল, “তোমাদের মতো মানুষজন লিখলে তবে না সিরিয়াল ভালো হবে!”

গিন্নির হাসিমুখ দেখে দীর্ঘনিশ্বাস ফেললেন ঘোষবাবু। উমার প্রার্থনায় স্বয়ং মহাদেবের প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ হয়েছিল। উনি তো সামান্য অধ্যাপক মাত্র!

গিন্নির আবদারে ঘোষবাবুকে প্রোডিউসারের দরজামুখো হতেই হল। প্রোডিউসারটিকেও গিন্নিই ঠিক করে দিয়েছিলেন। ওনার এক বান্ধবীর দূরসম্পর্কের কে হয় যেন।

এক ছোকরা অফিসে বসে কী সব লিখছিল। পরিচয় দিতেই “অ আপনি, বসুন,” বলে একতাড়া কাগজপত্র বের করল। জানা গেল সে নাকি সহকারী পরিচালক।

“এগুলো পড়ে দেখুন,” সবজান্তা বিজ্ঞের মতো ভাব দেখিয়ে বলল, “এটা ‘কী কাঁপন, কী জ্বর’ সিরিয়ালের গল্পের সংক্ষেপ। এবারে গল্প অনুযায়ী নেক্সট কয়েকটা এপিসোডের স্ক্রিপ্ট লিখে ফেলুন!”

সিরিয়ালের নাম শুনেই ঘোষবাবুর আক্কেল গুড়ুম হয়ে গেল। কথা না বাড়িয়ে গল্পটা পড়তে শুরু করলেন। বেশ কয়েক পাতা পড়ার পর ব্যাপারটা মোটামুটি আন্দাজ করতে পারলেন। সাহিত্যে দখল আছে, উপন্যাস-গল্প-নাটকও কম পড়েন না, নিয়মিত লেখালেখিও করেন। ফলে ব্যাপারটা বুঝতে খুব একটা অসুবিধা হল না। মন দিয়ে পরের কয়েকটা এপিসোডের স্ক্রিপ্ট লিখতে শুরু করলেন। ইতিমধ্যে এক কাপ ট্যালট্যালে চাও এসে গেছে। তাতে চুমুক দিতে দিতে আয়েশ করে পরের কয়েকটা এপিসোডের স্ক্রিপ্ট লিখে ছোকরাকে দিলেন।

“এসব কী লিখেছেন দাদু,” কয়েক লাইন পড়েই ছোকরা আঁতকে উঠল, “এটা সিরিয়ালের স্ক্রিপ্ট না বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস! পইপই করে বলেছিলাম সিরিয়াল ফিরিয়াল দেখে এরকম কাউকে পাঠাতে! তা না, পাঠাল কোন এক বাংলার প্রফেসর! এদেরকে দিয়ে কি কাজ হয়? আপনি কি এসব কিছু…”

“না ভাই দেখা হয় না!”

“হুঁ, আগেই বুঝেছি!”

ঘোষবাবু কিন্তু হাল ছাড়ার মানুষ নন। জেদ চেপে গেছে, করেই ছাড়বেন! “আচ্ছা ভাই, আপনাদের আগের কিছু স্ক্রিপ্ট…”

“তা আছে,” ছোকরা ঘাড় নাড়ল, “দেখুন সেই পড়ে যদি কিছু করতে পারেন!”

সে বস্তু কয়েক পাতা পড়েই মাথা ঘুরে গেল। এগুলো কী! যেমন ভাষা তেমন বিষয়বস্তু। গল্পের গরু গাছে নয়, একেবারে আকাশে ডানা মেলে উড়ে বেড়াচ্ছে। তার সঙ্গে মানানসই ভাষা আর লেখার ধরণ। এটা স্ক্রিপ্ট! কে এসব লেখে! কেই বা এগুলোকে পড়ে! কারা এইসব স্ক্রিপ্ট নিয়ে সিরিয়াল বানায়! আর কারাই বা সেই সিরিয়াল দেখে!

ক্ষিপ্ত ঘোষবাবুর মনে ইংলিশ অনার্স গিন্নির মুখটা ভেসে উঠল। মাথাটা আরও গরম হল। দাঁতে দাঁত চেপে স্বগতোক্তি করলেন, ‘এইসব ছাইভস্ম গেলার জন্যেই কি দিনরাত এক করে ইংরাজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছিলে! শেক্সপিয়ার, ওয়ার্ডসওয়ার্থ, শেলি, কিটসদের ‘টেমসযাত্রা’ না করালেই কি তোমার চলছিল না!’

এইসব ভাবতে ভাবতে আর পড়তে পড়তে কেমন যেন ক্ষেপে উঠলেন। এ অখাদ্য জিনিস যদি স্ক্রিপ্ট হয় এবং সেগুলো যদি কেউ লিখে থাকে, অর্থাৎ এই অপদার্থরা, তাহলে তিনি কি তাদের থেকেও খারাপ! দেখাই যাক না, এই ভেবে বীরদর্পে কলম তুলে নিয়ে খসখস করে কাগজের উপর চালাতে লাগলেন। তারপর বেশ কয়েকপাতা লিখে ছোকরাকে দিলেন।

“বাঃ, এ তো পুরো চুম্মা লেখা দাদু, এই না হলে বাংলার প্রফেসর! দাঁড়ান, দাদাকে একবার দেখিয়ে আসি,” এই বলে কাগজগুলো নিয়ে হন্তদন্ত হয়ে ভেতরে ছুটে গেল।

ব্যাপারটা কী হল, মনে মনে ভাবলেন, ছোকরার মাথা খারাপ হয়ে গেলো নাকি!

“কী দুর্দান্ত লিখেছেন দাদু, পুরো জমে ক্ষীর” বলতে বলতেই ডিরেক্টর সহকারীশুদ্ধু লাফাতে লাফাতে হাজির, “আপনার হাতে এরকম জাদু আছে তা তো জানতাম না! ফাটিয়ে দিয়েছেন তো!”  

‘জমে ক্ষীর,’ ‘ফাটিয়ে দিয়েছেন’ – এসব কী ভাষা তা মাথায় ঢুকল না। সুগারের রোগী – মিষ্টি খাওয়া দূরে থাকে, গিন্নি মিষ্টির দোকানের ফুটপাথ দিয়ে হাঁটতে পর্যন্ত দেন না! কিন্তু এদের হাবভাব দেখে মনে হচ্ছে ব্যাপারটা ভালো লেগেছে। 

বছরখানেক পরের কথা। ঘোষবাবু এখন নামকরা স্ক্রিপ্ট রাইটার। ওনার লেখা স্ক্রিপ্ট মানেই সিরিয়ালের টি.আর.পি চড়চড় করে বেড়ে যাওয়া। যে চ্যানেলের সাথে যুক্ত আছেন তারা মোটা টাকা দিতে কার্পণ্য করে না। প্রতিদ্বন্দ্বী চ্যানেল অবশ্য ডবল টাকার অফার দিয়েছিল। কিন্তু ঘোষবাবু এক কথার মানুষ। সম্মান তো এরা কম দেয় না, তাই এদের চ্যানেলেই লিখবেন। তাছাড়া টাকার জন্য তো আর লেখেন না, নেহাত গিন্নির আবদার তাই!

ঘোষগিন্নিরও বহুদিনের ইচ্ছে পূরণ হয়েছে। নামকরা স্ক্রিপ্ট রাইটারের স্ত্রী হওয়ার সুবাদে উনি এখন সোসাইটির একজন গণ্যমান্য সদস্যা। শোনা যাচ্ছে আগামী নির্বাচনেই কমিটির যুগ্ম সম্পাদিকার একজন হতে চলেছেন। 

বেশ কিছুদিন পরের কথা, ঘোষবাবু মন দিয়ে স্ক্রিপ্ট লিখছেন এমন সময়…

“সর্বনাশ হয়ে গেছে দাদু!” ভগ্নদূতের মতো পরিচালক হাজির।

“কী ব্যাপার, কী হয়েছে?”

“হিরো অবোধকুমার মুম্বাইতে চান্স পেয়ে আমাদেরকে কাঁচকলা দেখিয়ে সিরিয়াল মাঝরাস্তায় ফেলে চলে যাচ্ছে!”

“তা তোমাদের কন্ট্র্যাক্ট ফন্ট্র্যাক্ট কিছু…”

“আর কন্ট্র্যাক্ট,” পরিচালক প্রায় হাহাকার করে উঠলো, “ওদের যা পয়সা আর ক্ষমতা তাতে আমরা পেরে উঠব না। উল্টে প্রোডাকশন হাউজ বেচে দিতে হবে। বলেছে, খুব বেশি হলে একদিনের শুটিং করতে পারে! ওদিক থেকে যে অলরেডি ছ’মাসের অ্যাডভান্স নিয়ে নিয়েছে…”

“একদিন শুটিং করতে পারবে তো, ব্যাস! এতো ভাবার কী আছে!”

“ভাবব না, আগামী তিনমাসের শুটিং বাকি! হিরো একদিন সময় দিয়েছে, এর মধ্যে কী করবেন!”

“তুমি ভুলে গেছ,” ঘোষবাবুর গলায় বরাভয়, “আগের এপিসোডে হিরোইন হিরোকে গয়নার দোকানের বাইরে ওয়েট করতে বলেছিল না…”

“তাতে কী!” ডিরেক্টরের চোখ কপালে।

“কী আবার! দোকানে চুরি হবে, মালিক আর সিকিউরিটি গার্ড হিরোকে চোর ভেবে ধরবে, তারপর থানা-পুলিশ, কোর্ট-কাছারি, যা হয় আর কী! ব্যাস, এখন হিরো চলল ছ’মাসের জেল খাটতে!”

“কিন্তু কোর্ট সিনও তো কয়েকদিনের…”

“আরে দূর কোর্ট,” ঘোষবাবু যেন অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন হয়ে উঠেছেন, “সব খবর কাগজে বেরোবে। হিরোইনের বাবা সে খবর স্ত্রীকে পড়ে শুনিয়ে হুঙ্কার দিয়ে বলবে, ‘ফের যদি তোমার মেয়ে ওই লোফারটার সঙ্গে সম্পর্ক রাখে’…”

পরিচালক স্তম্ভিত। ঘোষবাবু নির্বিকারভাবে বলে চললেন, “ছ’মাস বাদে তোমাদের হিরো যদি সময় দিতে পারে তখন না হয় বেলে ছাড়িয়ে সিনে হাজির করিয়ে দেব, না হলে আবার অন্য কিছু!”

“দাদু,” পরিচালক এবারে প্রায় পায়ের ওপরেই হুমড়ি খেয়ে পড়ল, “আপনি সত্যিই জিনিয়াস! এভাবে তো ভাবিনি!”

“ভাবো ভাবো,” প্রফেসর ডক্টর বি.এন.ঘোষ মুচকি হাসলেন, “ভাবা প্র্যাকটিস কর!”

——– 

ছবি অন্তর্জাল থেকে সংগৃহীত।  

To be added

3 Comments

Avarage Rating:
  • 0 / 10
  • Anindita Basu , January 16, 2022 @ 6:52 pm

    বেশ লাগল স্ক্রিপট রাইটার!

    • অভিষেক দত্ত , January 16, 2022 @ 6:58 pm

      ধন্যবাদ

    • অভিষেক দত্ত , March 18, 2022 @ 6:26 pm

      আপনি কি নারায়ণ সান্যালের কন্যা !!!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *