বাবা
আজ্ঞে ‘কানু কাইন’কে মনে পড়ে?
চট বলতেই না মনে পড়লে আশ্চর্যির কিচ্ছু নেই, অনেককাল আগেকার কথা কিনা! চতুর্দিকে রোজ এত সমস্ত রঙবাহারি ক্রিয়াকান্ড ঘটছে, তার মধ্যে একটা হদ্দ গরীব লোকের কথা কে আর অ্যাদ্দিন মনে করে রাখে! তাছাড়া কানু কাইনের নাম বা জীবনে কোথাও তো ‘শ্রী’ বলে কিছু ছিল না, বরং ‘বিশ্রি’ থাকলেও থাকতে পারে।
তা, আমাদের সেই আমলকী গ্রামে ছিল কানু কাইনের ছোট একখানা মুদির দোকান। গাঁ-গঞ্জের দোকান যেমনটি হয় আর কী! আজকের স্পেন্সার্স বা রিলায়েন্স ফ্রেশ-এর খরিদ্দারদের সামনে কানুর সে মুদিখানা ‘নেহাত অকিঞ্চিৎকর’ বললে সেটাই ভারী অকিঞ্চিৎকর শোনাবে। তা সে দোকান যেমনই হোক, মুদিখানা-বাজার কার সংসারে না লাগে? তাই সব রিক্ততা সত্ত্বেও ওই দোকান থেকেই কায়ক্লেশে কানুর সংসারের দিন-গুজরান হয়েই যেত।
কিন্তু তার দুঃখু ভারী, একমাত্তর ছেলেটা মানুষ হল না, দোকানটা দেখাশোনা তো দূর! আর সবেধন নীলমনি দোকানখানা ঠিকমতো না চালাতে পারলে দু’বেলা দু’টো অন্নের সংস্থান হয় কোত্থেকে? চোখ বুজলে ছেলেটার কী হবে ভেবে ভেবে রাতে ঘুম আসে না কানুর। কিন্তু আকাট ছেলেটা বাপের দুশ্চিন্তার থই যদি এতটুকু রাখত!
চিনতে পারলেন? মনে পড়ল কি তাকে?
কানু কাইন। গরীব মুদি। তস্য পুত্র গোপীনাথ, ওরফে গুপী। ছেলেবেলা থেকেই গুপীর ভারী গানের শখ ছিল, যদিও সে মাত্তর একটা গানই জানত। সেই গানখানাই সে সর্বক্ষণ গাইত, গান না গাইলে যে তার দম আটকে আসে! কিন্তু গুপী ঘরে বসে গান ধরলেই মাঠে খুঁটোয় বাঁধা গরু-ছাগলেরা ছটফটিয়ে দড়িটড়ি ছিঁড়ে পগার পার ছুটে পালায়; আর তার বাবার মুদিখানার দোকান থেকে সব খদ্দের দুদ্দাড় করে পিট্টান দেয়! শত টিটকিরি, ব্যঙ্গবিদ্রূপ আর বাবার ধমক সত্ত্বেও গুপী কিন্তু গান গাওয়া ছাড়ে না। এবং উল্টোটা – গানও গুপীকে ছাড়ে না! ‘গানং করতি যঃ, সঃ গাইন’— পাড়ার বটতলার আমোদগেঁড়ে মাতব্বরেরা গুপীর নাম দিলেন ‘গুপী গাইন’!
সেই কানু কাইন। এক বাবা। তায় গরীব। নিতান্ত অসহায়। স্বপ্নের মিঠে রোদ নয়, জীবনজোড়া পিঠের-চামড়া-ঝলসানো বাস্তবের রোদে যিনি ‘ঘটে-এতটুকু-বুদ্ধি-না-থাকা’ তাঁর পুত্রকে নিশ্চিন্ত ছায়া দিতে পারেননি। নিজের সেই অক্ষমতা বুদ্ধিহীন পুত্রের ভবিষ্যত নিয়ে অতলান্তিক দুশ্চিন্তার ঢেউএ চেপে যে বাবার মুখ থেকে অহরহ গঞ্জনা হয়ে বেরিয়ে আসে। আর রাজার হুকুমে ঢ্যাঁড়া পিটিয়ে গাধার পিঠে চাপিয়ে গুপীকে দূর করে দেওয়ার দৃশ্যে তামাশা দেখতে জড়ো গাঁয়ের লোকের হাসিমস্করা-টিটকিরির প্লাবন মিলিয়ে গেলে যে বাবাকে দেখা যায়, একদম একা… মলিন চাদরের খুঁটে চোখের জল মুছে নিচ্ছেন যে অসহায় বাবা… অস্বীকৃতির গাধার পিঠে চেপে যাঁর ছেলেটি চিরতরে দূর দিগন্তপারে হারিয়ে যাচ্ছে, আর কোনোদিন তার মুখখানা দেখতে পাবেন কিনা যাঁর জানা নেই; সেই কানু কাইনের কথা কইছিলাম।
*******
সাহিত্য বা নাট্য বা চলচ্চিত্রের কোনো চরিত্র বিশেষভাবে প্রিয় হয়ে উঠতে সেই চরিত্রটির সঙ্গে পাঠক বা দর্শকের নিজের অথবা চেনাজানা কারো সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যে একান্ত প্রয়োজন তা মনে করবার কোনো কারণ দেখি না। তবে একটা বড় কারণ সেটা হ’লেও হ’তে পারে। চরিত্রের সংগঠনে পাঠক বা দর্শক যদি নিজস্ব অস্তিত্বের সামান্যতম প্রক্ষেপ খুঁজে পান; অথবা জীবনে যা চেয়েছেন বা যা চাইতে পারতেন, যা পেরেছেন আর যা পারেননি; চারপাশে যা দেখেছেন বা যা দেখতে চান–– তার অল্প খানিকটাও যদি কোনো চরিত্রের কার্যকলাপ-ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় প্রতিভাত হয়, সে চরিত্র স্বাভাবিক কারণেই হৃদয়গ্রাহী হয়ে ওঠে। এবং, স্মৃতির পাতায় তার অবস্থিতি সেই সিনেমা বা গল্পের বাকি সবটুকুর তুলনায় বেশি স্থায়ী হয়। এবং এর জন্য পরিভাষায় যাকে ‘আইকনিক ক্যারেক্টার’ বলা যায়, যেমন কথার কথা, ধরা যাক উত্তমকুমার অভিনীত ডাক্তার অগ্নিশ্বর মুখুজ্জের চরিত্রটি (বনফুলের কাহিনি অবলম্বনে অরবিন্দ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত বাংলা ছায়াছবি ‘অগ্নিশ্বর’, ১৯৭৫)। মনে-থেকে-যাওয়া চরিত্রটি যে তেমন হ’তেই হবে, তার কোনো মানে নেই। হ’তে পারে, আবার নাও হতে পারে।
যেমন এই কানু কাইন। নির্দ্বিধায় স্বীকার করি, উপেন্দ্রকিশোরের লেখা মূল গল্প ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ পড়বার আগে আমি সত্যজিৎ-নির্মিত সিনেমাটি দেখে ফেলেছিলাম। পরে পড়ে দেখেছি, মূল গল্পে কানু কাইন এসেছিলেন শুধু গুপীর কুলুজির খাতিরে; গুপীকে পাঠকের সঙ্গে পরিচিত করাবার তাগিদে। কিন্তু বাবার ওই গল্প নিয়ে পুত্র সত্যজিৎ-এর দু’ ঘন্টার ছবিতে পর্দায় কানু কাইন-এর সাকুল্যে ত্রিশ সেকেন্ড উপস্থিতি আমায় যেন আরেকটি গোটা কাহিনির হদিস দেয়। সে কাহিনি এক পিতার। আর তার পুত্রের।
বেশি তলিয়ে ভাববার প্রয়োজন নেই। পিতাপুত্রের এই কাহিনিটা বিলকুল ক্লিশে। সামন্তশাসিত গ্রামবাংলা, তার টিপিক্যাল চরিত্রবৈশিষ্ট্য নিয়ে সে কাহিনির প্রেক্ষাপট সাজিয়ে রেখেছে। সেইখানে এক গরীব বাবার দিনাতিপাতের যন্ত্রণা বাড়ায় তার ‘বুদ্ধিহীন’ পুত্র। ‘বুদ্ধিহীন’ কেন? গাঁয়ের আর সকলের মতো চাষবাস বা বাপের মুদিখানার দোকানের প্রতি মন নেই ছেলেটার। ওস্তাদি গানই তার ধ্যানজ্ঞান, যদিও তার গলা এখনও সুরে খেলে না মোটেই। সেই জন্য সে ‘বুদ্ধিহীন’। এখন ওস্তাদি গান গাইতে সঙ্গে একটা তানপুরা যে লাগে ত,স্য গরীব মুদির ছেলে গুপী তা পাবে কোথায়? সে গিয়ে ধরে পড়ে ভারি নামডাকওয়ালা ওস্তাদ গাইয়ে মাজপুরের বল্লভ গোঁসাইকে; তাঁর দু’টি তানপুরা, একখানা তো তিনি ব্যবহার করেন না – যদি সেইটে তিনি গুপীকে দান করেন! তা ঘরের কোণে পড়ে-থাকা বাতিল ‘অপয়া’ তানপুরাখানা গুপীকে গোঁসাইখুড়ো দিলেন বটে, কিন্তু তার আগে তাকে দিয়ে তামুক সাজা, পা টেপা, পাতকুয়ো থেকে জল তোলা, ভাঁড়ার ঘরের ধেড়ে ইদুঁর মারা – না-হক বেগার খাটিয়ে নিলেন। তাতেও শেষ নয়, তারপর সেই ‘অপয়া’ তানপুরার কান আর একই সঙ্গে বোকা গুপীর কান আচ্ছা করে মুলে দিয়ে যন্ত্রের সুর আর গুপী-গাইয়ের বে-সুর, দু’টোকে ‘সুরে-সুরে মিলিয়ে’ সেই তানপুরা গুপীর হাতে তুলে দেন বল্লভ গোঁসাই। তাইতে গুপীর ফুর্তি দেখে কে, বীরদর্পে সেই তানপুরা বাগিয়ে মাঠে চাষে ব্যস্ত দ্বিজখুড়োকে ডেকে সে বলে, “তুমি চাষা, আর আমি ওস্তাদ খাসা! গোপীনাথ ওস্তাদ!” গাঁয়ের বটতলায় বসে বসে দিনভর গুলতানি আড্ডায় ফালতু দিন-কাটানো সবজান্তা নিষ্কর্মা বুড়ো ঘুঘুদের কাছে এ হেন গুপী ‘ওস্তাদ’ তামাশা আর রগড়ের পাত্র হবে না তো আর কে হবে!
গাঁয়ের ওই মাতব্বররা স্রেফ রগড় দেখতে গুপীকে পরামর্শ দেন, ভোরবেলা রাজবাড়ির চৌহদ্দির পাশের চাতালে বসে রাজাকে ভৈরবী রাগে গান শোনাতে, তাতে রাজা খুশী হয়ে ‘ওস্তাদ’ গোপীনাথ গায়েনকে না-জানি কী পুরস্কার দেবেন! এই কথা শুনবার পরে গুপীকে কি আর ঠেকিয়ে রাখা যায়? সঙ্গীতপ্রেমী রাজাকে গান শোনাবার মানসে সুয্যি উঠবার আগেই সেই চাতালে বসে রাসভনিন্দিত কণ্ঠে ভৈরবীতে ‘দেখো রে নয়ন মেলে জগতের বাহার’ তান তোলে গুপী। ঘাগু মাতব্বরের দল জানতেন, ভোররাতে অমন বিকট বেসুরো তান শুনে ঘুম ভেঙ্গে রাজা ভয়ানক ক্রুদ্ধ হবেন, ফলে পেয়াদা এসে গুপীকে রাজদরবারে ডেকে নিয়ে যাবে। আর তারপর রাজদরবারে সকলের সামনে চুড়ান্ত হেনস্থা আর ‘তৃতীয় সুর আর ষষ্ঠ সুর’এর পিঠে চেপে গরীব বাপকে একা ফেলে ‘গুপী চলল বহু দূর’! পিতার যন্ত্রণা-বাড়ানো ‘বুদ্ধিহীনতা’র আরো প্রমাণ চাই?
গাধার টুপি মাথায় দিয়ে গাধার পিঠে চড়ে গুপী না হয় চলল নিরুদ্দেশের পথে, কিন্তু শাস্তিটা আসলে কে পেল? কার বুকে বিঁধল পুত্রবিচ্ছেদের ভয়ানক শেল? কেন সে এই কঠোরতম শাস্তিটা পেল, কী ছিল তার অপরাধ?
এমনটাই যে ঘটবে তার সবটুকু আগে থেকে জানা সত্ত্বেও গুপীকে উস্কেছেন গাঁয়ের জ্ঞানবৃদ্ধের দল। কেন? কোন আক্রোশে? গুপী বা তার নাচার বাপ তাঁদের কোন পাকা ধানে মই দিয়েছিল? কোন জাতক্রোধ বা নির্মম প্রতিশোধস্পৃহায় এই কম্ম? নিরীহ ছেলেটাকে তার বাপের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে অজানা তেপান্তরে পাঠিয়ে কী চরিতার্থ করলেন ওঁরা? কিচ্ছু না। স্রেফ আমোদ, রগড়। কালে কালে সময়ের আঁকেবাঁকে মানুষের যে সব নিষ্ঠুর রগড়ের তাপে বাষ্প হয়ে উবে যায় অন্য কোনো মানুষের বুক-মোচড়ানো চোখের জল।
এমন পুত্রের অভাগা পিতার দুর্দশার খোঁজ কবে কোন সমাজ রেখেছে? সমাজ তো কালে কালে শুধু অসহায়ত্ব নিয়ে রংতামাশাই করেছে; বিদ্রুপের শূলে চড়িয়ে নিষ্ঠুর অট্টহাসি হেসেছে। নির্মম এই সামাজিক সত্যটির উপলব্ধি তো জন্ম থেকে আসে না। নিত্যদিনের কঠোর জীবনসংগ্রাম থেকে আহৃত হয় এই বোধ। জীবন কানু কাইনকে সে বোধে ঋদ্ধ করেছিল, তার ছেলে গুপীর তা ছিল না। কিন্তু বোধ থাকলেই যে উপায় হাতে থাকবে এমন তো নয়! সেই উপায়হীনতা থেকে অবধারিত জন্ম নেয় নিষ্ফলা ক্রোধ। আর তাই তানপুরা হাতে গুপীকে বাড়িতে ফিরতে দেখে ক্ষিপ্ত কানু পুত্রের প্রতি তার সবটুকু স্নেহ, সবটুকু উদ্বেগ, সবটুকু দুশ্চিন্তা ক্রোধের আখরেই প্রকাশ করে ফেলে— ছবিতে কানু কাইনের একমাত্র সংলাপ ওই ক’টা লাইন।
পুত্রবিচ্ছেদের শাস্তি বা শোক যাই বলা যাক না কেন, সেটা যে এইভাবে কানুর মাথায় দুঃসহ বেদনা আর অনিশ্চিতির অন্ধকার হয়ে ভেঙ্গে পড়ল, তার জন্য কানু কাইনের দোষটা ঠিক কী ছিল? তার ছেলেটা গাঁয়ের আর পাঁচটা ছেলের মতো নয় – এইটে তার দোষ? ছেলেটার বড় গানের শখ, না হয় গলায় তেমন সুর খেলে না। তা একটু ওস্তাদি তালিম পেলে হয়তো সে ছেলেই একদিন মস্ত গাইয়ে হয়ে উঠতেই পারত, কেমন কিনা? তখন আগে-পিছে পাইক-বরকন্দাজ নিয়ে পালকি চেপে দেশেবিদেশে গানের আসরে গাইতে যেত গোপীনাথ ওস্তাদ! আর তখন এই সমাজই তো তাকে ও সঙ্গে তার বাপকেও দুই হাতে সেলাম বাজাত! তা সেটা হল না কেন?
প্রশ্নটা সহজ, উত্তরও জানা। কানু কাইন যে ভীষণ গরীব এক পিতা। চরম দারিদ্র্য তার অসহায়তা। ছেলেকে ওস্তাদি তালিম দেওয়ানোর মতো রেস্ত তার নেই; ওদের দিন-আনি-দিন-খাই জীবনে তাই সুর-সঙ্গীত-ছন্দ বাহুল্যমাত্র। কানুর ছেলে গুপীকে তাই গান-নাচ-পদ্য-ছবি আঁকার মতো সুকুমার বৃত্তিতে টান রাখতে নেই, জ্ঞান হওয়া ইস্তক তাকে বাপের মুদিখানায়, মাঠেঘাটে, কলে-কারখানায় নিত্যদিন অন্নসংস্থানের চোয়ালচাপা লড়াইএ নেমে পড়তে হয়। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বহমান দারিদ্র্য ও তজ্জনিত দুর্ভাগ্যের উত্তরাধিকার যে তার!
সত্যজিৎ-এর কানু কাইন তাই দুনিয়ার সব দারিদ্র্যপীড়িত অসহায় বাবা হয়ে সন্তানকে তার নিজস্ব প্রবণতা (ইংরেজিতে যাকে knack বলে) অনুযায়ী ইচ্ছেমতো পথে এগিয়ে দিতে অপারগ বলে ফ্রেমের এককোণে নিঃসঙ্গ অধোবদন দাঁড়িয়ে থাকেন। রঙ্গকৌতুকের অশ্লীল ভীড়টা সরে গেলে সেই অক্ষমতার লজ্জা আর বেদনার ক’ ফোঁটা চোখের জল একা মুছে নেন। এখন থেকে বাকি জীবনটুকু তাঁকে যে পুত্রহীন একাকিত্বে ‘জাগতে’ হবে – ‘কী জানি সে আসবে কবে’! কোনোদিনও কোনো অভাবনীয় সৌভাগ্যের ছোঁয়ায় ‘যদি’ আবার তাঁকে ‘পড়ে তাহার মনে’!
ছেলেকে হারিয়ে নাচার কানু কাইন তাই ছিলেন। আর আজ গোটা সময়টা যেন অনেকটা সেই আমলকী গ্রাম – নিজেকেই যেন দেখতে পাই সেই গ্রামে; আমার গায়েই যেন সেই মর্মান্তিক দুর্ভাগ্যের চাদর, আমিই যেন সবার অলক্ষ্যে সেই চাদরের খুঁটে মুছে নিচ্ছি আমার নিরুপায় চোখের জল। কানু কাইন-রা তাই আজ আরও ভীষণভাবে সত্যি হয়ে আছেন।
<অবসর পিতৃদিবস ইভেন্টে পুরস্কৃত লেখা>
চিত্রঋণ: অন্তর্জাল