পিতৃতন্ত্র বনাম পুরুষপ্রাধান্য
পিতৃতান্ত্রিক শব্দটা আজকাল সবার মুখে মুখে ফেরে। অথচ অনেককে জিজ্ঞেস করে আমি এখনও সর্বজনগ্রাহ্য একটা সংজ্ঞা শুনিনি। কেউ মনে করেন পিতৃতন্ত্র আর পুরুষপ্রাধান্য একই ব্যাপার। তাতে অবশ্য খুব একটা ভুল নেই। দুটোই এত ওতপ্রোতভাবে জড়িত যে গোলমাল লেগে যেতেই পারে। তাই প্রথমেই বলি, পিতৃতন্ত্র হল তত্ত্ব, আর পুরুষপ্রাধান্য তার ফলাফল। অর্থাৎ প্রথমটি জন্ম দিয়েছে দ্বিতীয়টিকে। তবে তত্ত্ব হিসেবে পিতৃতন্ত্র যে নারীবাদের সঙ্গে যুক্ত তা সবাই মেনে নেন।
‘পিতৃতন্ত্র’ শব্দটি একটি ইংরেজি শব্দ, patriarchy-র আক্ষরিক অনুবাদ। Patri মানে পিতা আর archy হল প্রণালী বা প্রক্রিয়া – অর্থাৎ পিতা (বস্তুত পুরুষ) নির্দেশিত পদ্ধতি। আরও বিশদ করে বললে পিতৃতন্ত্র একটি ‘সিস্টেম’ বা প্রণালী যা সমাজের গতি-প্রকৃতি ও চলনের নিয়মাবলী স্থির করে। সমাজে যত প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে, যা কিছু ঘটে বা সৃষ্টি হয়, পিতৃতন্ত্রের নির্দেশনায় সবেরই মধ্যমণি হয়ে দাঁড়ায় পুরুষ। ফলে নারীর তুলনায় পুরুষ অধিকতর সুযোগ-সুবিধে পায়, তাদের সামাজিক মূল্য হয় বেশি। পিতৃতন্ত্রের বাস্তবায়ন হল পুরুষপ্রাধান্য এবং পুরুষকেন্দ্রিকতা।
তত্ত্ব হিসেবে পিতৃতন্ত্র নতুন নয়। প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে, মেসোপটেমিয়ায় নারীর প্রতি ভিন্ন এবং নিকৃষ্ট আচরণের নিদর্শণ ইতিহাসে রয়েছে। এই লিঙ্গ ভিত্তিক প্রভেদ পাশ্চাত্যে প্রকট হয়ে উঠেছিল প্রাচীন গ্রীক সমাজে। গ্রীক সভ্যতাই প্রথম ‘প্যাট্রিয়ার্খেস’ শব্দটা চালু করেছিল। ইতিহাসবিদরা মনে করেন, প্যাট্রিয়ার্খেস-এর মূল অর্থ ছিল পারিবারিক সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে পুত্রসন্তান। তখনকার গ্রীক সমাজে ক্রীতদাস আর নারীর মধ্যে বিশেষ পার্থক্য করা হত না। যেমন মনুস্মৃতিতে নীচু জাত, নিরক্ষর ব্যক্তি, পশু, আর নারীর মধ্যে কোনও প্রভেদ করা হয়নি। মনু অনুমোদিত হিন্দু আচরণে এদের একইভাবে শারীরিক দণ্ড দেওয়ার নির্দেশ আছে। অবশ্যই সেই দণ্ড দেবে পুরুষ।
পাশ্চাত্যে প্রাচীন সভ্যতা কিন্তু শুধু উত্তরাধিকারী স্থির করেই ক্ষান্ত দেয়নি। তৃতীয় খ্রিষ্টাব্দে রোম সাম্রাজ্যের সম্রাট গাইয়াস ঘোষণা করলেন শুধু পারিবারিক সম্পত্তি নয়, পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিবাহ, এমনকি জীবন-মরণ নিয়ন্ত্রণ করবে সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ পুরুষ। আর এই অধিকার হবে বংশানুক্রমিক – প্রতি সংসারে পিতার পরে সেই দায়িত্ব পাবে জ্যেষ্ঠ পুত্রসন্তান। ধনরত্নের উত্তরাধিকার থেকে ধীরে ধীরে পুরুষের প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ ছড়িয়ে যেতে লাগল জনজীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে। দিনে দিনে রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, সামাজিক রীতিনীতি, ইত্যাদি সব জায়গাতেই পুরুষের আধিপত্য বেড়ে চলল। পাশ্চাত্যে পিতৃতন্ত্র কায়েমি হল।
সেই সময়ে দূর দূর সমাজের মধ্যে যাওয়া-আসা আজকের মত সহজ ছিল না। দুরতিক্রম্য দূরত্বের ফলে সংস্কৃতির আদানপ্রদানও ছিল কঠিন। তবু দেখা যায়, এশিয়া এবং আফ্রিকায় বিভিন্ন দেশে সমাজব্যবস্থার বিকাশ ঘটেছিল প্রাচীন গ্রীকদের মতো একই পথে। পৃথিবীর সিংহভাগ দেশেই প্রাচীন সমাজ সংগঠিত হয়ে উঠেছিল পিতৃতান্ত্রিকতা ঘিরে। কেন তা ঘটল সেই কারণ যথেষ্ট জটিল। তবে ইতিহাসবিদ গর্ডা লার্নার-এর মতে গর্ভধারণ ও চাষের উদ্ভবের সঙ্গে সঙ্গে মেয়েদের বাড়ির চৌহদ্দিতে আটকে ফেলা হয়েছিল। বহু সমাজবিজ্ঞানী এই বিশ্লেষণের সঙ্গে সহমত। ১৯৮৬ সালে লার্নার পিতৃতন্ত্রের উদ্ভব নিয়ে একটি চমৎকার বই লিখেছেন। তথ্যসূত্রে বইটির উল্লেখ করেছি।
বহু দেশের সমাজব্যবস্থা একই ভাবে গড়ে উঠেছে দেখে অনেকেই মনে করেন পুরুষতান্ত্রিকতাই হল প্রকৃতির নিয়ম, অতএব তা স্বাভাবিক। জোরজার করে সমাজে কিছু পরিবর্তন হয়তো আনা যাবে, কিন্তু তা চিরস্থায়ী হবে না। সুযোগ পেলেই সমাজ ফিরে যাবে আগের অবস্থানে – পিতৃতান্ত্রিকতায়। অর্থাৎ পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে কোনও লাভ নেই। পিতৃতান্ত্রিকতার স্বাভাবিকত্ব প্রমাণ করতে বহু সমাজবিজ্ঞানী পশু জগতের উদাহরণ দিয়েছেন। সিংহ আর বাঘ সমাজে পুরুষ আরাম করে বসে থাকে, শিকার করে মেয়েরা। কর্তাবাবু শুধু গাত্রোত্থান করে খাওয়া দাওয়া করেন। এই ধারণার সত্যতা কতটা সে নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে। সিংহ বা বাঘ-সমাজে কীসের মূল্য বেশি – শিকার করা, না বসে থাকা? যাঁরা মনে করেন স্ত্রী সিংহের পরিশ্রম করে শিকার করা তার অধস্তন পদের পরিচায়ক, তাঁরা মানব সমাজের মূল্যবোধ পশুসমাজে চাপিয়ে দিচ্ছেন। এই চিন্তাধারা সঠিক নয়। জন্তুদের বেঁচে থাকতে হলে খেতে হয় – সেজন্যে প্রয়োজন শিকার করা। যে দল শিকার করতে পটু আর যারা খাদ্যের জন্যে পরমুখাপেক্ষী, তাদের মধ্যে কার বেঁচে থাকার সুযোগ বেশি তা বুঝতে অসুবিধে হবার কথা নয়।
এছাড়াও জীবজগতে মানুষের নিকটতম আত্মীয় বাঁদর-সমাজ পর্যবেক্ষণ করে পিতৃতান্ত্রিকতার সপক্ষে যুক্তি পেশ করেছিলেন কিছু সমাজবিজ্ঞানী। ১৯২০ সালে লন্ডনের চিড়িয়াখানায় বন্দি বিভিন্ন বাঁদরগোষ্ঠীর কার্যকলাপ দেখে তাঁরা বলেন পুরুষ বাঁদররা বেশি আগ্রাসী, স্ত্রী বাঁদরের ওপর আধিপত্য স্থাপন করতে নিজেদের মধ্যে মারামারি করে, আর সংগ্রামে হেরে গেলে অনেকসময় স্ত্রী বাঁদরদের খুন করতেও দ্বিধা করে না। অর্থাৎ, ‘আমি না পেলে অন্য কাউকে ভোগ করতে দেব না’ মনোভাব পোষণ করে। এসব দেখে তাঁদের ধারণা হয়েছিল জীবসমাজে পিতৃতান্ত্রিকতাই নিয়ম এবং স্ত্রীদের দখল এবং নিয়ন্ত্রণ করতে পুরুষের হাতিয়ার হল নির্যাতন। এই দৃষ্টান্ত পেশ করে তাঁরা বলেন, মানব বিবর্তনে পুরুষতন্ত্র এবং নারীর প্রতি পুরুষের হিংস্রতার স্বাভাবিক স্থান রয়েছে।
বেশ কিছু বছর পরে, অন্য এক দল সমাজবিজ্ঞানী যুক্তি দিয়ে এই মতবাদ খণ্ডন করেছেন। তাঁরা বললেন, চিড়িয়াখানার বন্দি পরিবেশ বাঁদরের স্বাভাবিক আবাস নয়। লন্ডনের চিড়িয়াখানা, যেখানে বিজ্ঞানীরা বাঁদরের সমাজ পর্যবেক্ষণ করেছিলেন, সেখানে পুরুষ বাঁদরের সংখ্যা ছিল বেশি আর স্ত্রী বাঁদর ছিল খুবই কম। উদ্বর্তনের চাহিদায় পুরুষদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়বে জানা কথা। তাই ওই বাঁদর সমাজে পুরুষের হিংসাত্মক আচরণ যতটা না ছিল স্ত্রী বাঁদরের প্রতি, তার চেয়ে অনেক বেশি ছিল অন্য পুরুষ বাঁদরকে কেন্দ্র করে। একই বাঁদর-দলে বেশি পুরুষ থাকা খুবই অস্বাভাবিক অবস্থা। যদি বাঁদর-সমাজ থেকে মানুষের আচরণ বুঝতে হয়, তাহলে অন্তত জিনগত ভাবে সবচেয়ে কাছের গোষ্ঠীর কাছে যাওয়াই ভালো।
জিনের দিক থেকে মানুষের নিকটতম পরিজন হল বনবো বাঁদর। বনবো বাঁদর-সমাজের প্রাকৃতিক পরিমণ্ডল জঙ্গল। সেখানে তাদের পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন সেই সমাজ মাতৃতান্ত্রিক। শুধু তাই নয়, মানুষ সমাজের পিতৃতান্ত্রিক ক্ষমতা, যা পরিবারের মধ্যে পিতার থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে যায় পুত্রসন্তানের কাছে, জীবজগতে বিরল। স্তন্যপায়ী প্রাণীজগতে সমাজের কেন্দ্রে থাকে সন্তানসহ স্ত্রী, পুরুষ নয়। মানব সমাজেও পিতৃতন্ত্র সর্বজনীন নয়। নৃতত্ত্ববিদেরা প্রায় ১৬০টি মাতৃতান্ত্রিক সমাজ আবিষ্কার করেছেন। ভারতবর্ষে কেরালার নায়ার সমাজ তেমনই একটি উদাহরণ। দক্ষিণপশ্চিম চীনের মসুও সমাজেও পারিবারিক অর্থনীতি আর ক্ষমতার উত্তরাধিকার যায় মা থেকে মেয়ের কাছে। এছাড়াও পৃথিবীতে বেশ কিছু সমাজ ছিল যেখানে লিঙ্গবিচার করে ক্ষমতা অর্পণ করে হয়নি। লিঙ্গ নির্বিশেষে সামাজিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সুযোগ্য মানুষের হাতে।
পুরোনো মাতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা পিতৃতান্ত্রিকতার চাপে এখন হারিয়ে যাচ্ছে। পঞ্চাশ-ষাট বছর আগে কেরালার নায়ার সমাজে মাতৃতান্ত্রিকতা যতটা জোরদার ছিল, আজকে ততটা আর নেই। আধুনিককালে ধরে নেওয়া হয় মাতৃতান্ত্রিকতা সভ্যতার আলোকবঞ্চিত, আদিম। তাই মাতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা তাড়াতাড়ি পিতৃতান্ত্রিকতার খোঁয়াড়ে ঢোকাতে পারাটাই বাঞ্ছনীয়।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নারীবাদী আন্দোলন ছড়িয়ে যেতেই পিতৃতন্ত্রের চরিত্রের প্রতি মানুষের মনোযোগ বেড়েছে। নারীবাদীদের মতে সামাজিক ‘সিস্টেম’ হিসেবে পিতৃতন্ত্র ন্যায়পরায়ণ নয়। জীবনের প্রায় সব ক্ষেত্রেই পিতৃতন্ত্র জেনেবুঝে সমানাধিকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। পিতৃতন্ত্রের লক্ষ্য হল নিজেকে সংরক্ষণ করা – সেই কাজই এই প্রণালী ভালোমত করে চলেছে। বহু শতাব্দী ধরে নারীকে গার্হস্থ্য এবং প্রজনন বৃত্তে সীমাবদ্ধ রেখে পিতৃতান্ত্রিকতা তাদের মতামত এবং চিন্তাধারা সমাজ থেকে প্রায় মুছে ফেলেছে। পাছে তারা নিজেদের অধিকার দাবি করে বসে, আইন তৈরি করে বহু সামাজিক সুযোগ সুবিধে থেকে তাদের সরিয়ে রাখার বন্দোবস্ত করেছে। এই বঞ্চনার ফলে নারী নিজের প্রতিভা ও দক্ষতায় শাণ দিয়ে তীক্ষ্ণ করে তুলতে পারেনি। পুরুষের থেকে তারা অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে। এত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও কিছু মহিলা অবশ্যই নিজেদের প্রতিভা কাজে লাগিয়েছেন বিদ্যাশিক্ষা, উদ্ভাবন, শিল্পসৃষ্টির ক্ষেত্রে। কিন্তু সিংহভাগ নারী তা পারেননি – এখন সেই ঘাটতি মেটাচ্ছেন। আবার অনেক সময় মহিলাদের অভিনব সৃষ্টি অন্যায়ভাবে দখল করে নিয়েছে পুরুষ। নারীর সৃষ্টি পুরুষের নামে খ্যাতি পেয়েছে। তারই কয়েকটি উদাহরণ দিই।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হলিউডের সুন্দরী অভিনেত্রী, হেডি লামার, মিত্রপক্ষের রেডিও সিগন্যাল শত্রুপক্ষের হাতে পড়ে যাতে ক্ষতি না করতে পারে, সেজন্যে ‘ফ্রিক্যুন্সি হপিং’ আবিষ্কার করেছিলেন। তড়িঘড়ি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক নৌবাহিনীকে ব্যাপারটা জানালেও তারা এক সুন্দরী চিত্রতারকার দাবি ‘মতিভ্রম’ বলে উপেক্ষা করেল। তার বেশ কিছুদিন পর মার্কিন নৌবাহিনী আবিষ্কারটি কাজে লাগালেও কৃতিত্ব দেয় লামারের এক পুরুষ সঙ্গীকে। একবিংশ শতাব্দীতে এসে অন্য এক বৈজ্ঞানিক লামারের প্যাটেন্ট খুঁজে পেয়ে তাঁর নাম সকলের সামনে আনলেন। ২০০০ সালে লামার তাঁর কাজের স্বীকৃতি পান।
বিংশ শতাব্দীর প্রথমে, হাওয়াইয়ের অ্যালিস বল কুষ্ঠরোগের চিকিৎসা আবিষ্কার করেন। একজন কমবয়েসি কৃষ্ণাঙ্গীর আবিষ্কারকে তখন কেউ পাত্তা দেয়নি। মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে অ্যালিস মাত্র ২৪ বছর বয়সে মারা যান। কয়েক বছর পরেই তাঁর আবিষ্কৃত পদ্ধতির কৃতিত্ব পান আর্থার ডিন নামে এক পুরুষ রসায়নবিদ। বহু বছর পরে সেই চিকিৎসা এখন ‘বল প্রণালী’ নামে খ্যাত।
বহুজনপ্রিয় খেলা ‘মনোপলি’ আবিষ্কার করেন এলিজাবেথ ম্যাগি ফিলিপস্, কিন্তু স্বীকৃতি পেলেন চার্লস ড্যারো। ১৯০৩ সালে ফিলিপস্ ‘ল্যান্ডলর্ডস গেম’ নামে খেলাটি আবিষ্কার করেন আর ১৯৩৫ সালে ড্যারো মোটা অঙ্কে খেলাটি বিক্রি করেন পার্কার ব্রাদার্স কোম্পানিকে।
পদার্থবিদ ভেরা রুবিন এবং কেন্ট ফোর্ড একসঙ্গে কাজ করে মহাকাশে ‘ডার্ক ম্যাটার’ আবিষ্কার করেন। বস্তুত রুবিনই এর আবিষ্কারক। ফোর্ড পেলেন নোবেল পুরস্কার, কিন্তু রুবিন-এর হাত শূন্য।
আই.বি.এম. কোম্পানির প্রথম কম্প্যুটার, ‘হার্ভার্ড মার্ক I’-এর কোড সৃষ্টি করেন গ্রেস ম্যরি হপার কিন্তু ইতিহাসে নাম উঠল জন ভন নয়ম্যান-এর। কম্প্যুটার কোড কোবোলও (COBOL) হপার আবিষ্কার করেছিলেন।
নিউক্লিয়ার পদার্থবিদ চিয়েন-শ্যুং উহ ইউরেনিয়াম আলাদা করার পদ্ধতি আবিষ্কার করেন ম্যানহ্যাটান প্রজেক্টে কাজ করার সময়। কিন্তু তাঁর আবিষ্কারের কৃতিত্ব দখল করে নোবেল পুরস্কার জয় করেন সহকর্মী স্যুং-ডাও লি এবং চেন-নিং ইয়্যাং।
এ তো মাত্র কয়েকটি নাম। এমন কত হাজার নারীর নাম ও কৃতিত্ব ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের আবিষ্কার বেঁচে আছে অন্য কোনও পুরুষের নামাবলি গায়ে জড়িয়ে। শুধু খ্যাতি নয়, অর্থনৈতিকভাবেও এই মহিলাদের বঞ্চিত করেছে পুরুষতন্ত্র।
——
তথ্যসূত্র
Lerner, G. (1986). The creation of patriarchy. England: Oxford University Press.
Marks, Z. and Chenoweth, E. (2023, May 15). “The Patriarchs’ War on Women.” Ms. Magazine. Available: https://msmagazine.com/2023/05/15/patriarchy-war-on-women-lgbtq-reproductive-rights/
Saini, A. (2023, May 29). “How Did Patriarchy Actually Begin?” BBC. Available: https://www.bbc.com/future/article/20230525-how-did-patriarchy-actually-begin
ছবিঃ অন্তর্জাল থেকে সংগৃহীত।
1 Comment