বিবিধ প্রসঙ্গ
নভেম্বর ৩০, ২০১৫
যাঁদের আমি ছাত্র
ভাস্কর বসু
আশিস বাবু
--৩--
সাতের দশকের শেষাশেষিই আমার প্রাথমিকের পাঠ শেষ
হয়ে এলাম মাধ্যমিকে। প্রাথমিক পড়েছি যে স্কুলে সেটি ছিল আসলে মেয়েদের
স্কুল কিন্তু ক্লাস ফোর অবধি ছেলেরাও পড়তে পারত। আমরা অবশ্য
জনা সাত-আট বালকই ছিলাম আমাদের ক্লাসে। যাইহোক পঞ্চম শ্রেণীতে
বৃত্তি পরীক্ষা দিয়ে আমাদের বৃত্তি লাভ না হলেও স্কুল পালটে ছেলেদের
স্কুলে ভর্তি হওয়াতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলাম, ‘এখন আর পাড়ার
ছেলেদের কাছে আওয়াজ খেতে হবেনা’।
যে স্কুলে ভর্তি হলাম সেটি ছিল বাড়ী থেকে মাইল দেড়েক দূরে ।
১৮৬৬ সালে এই হরিণাভি স্কুলটির স্থাপনা করেন দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ
। সম্পর্কে তিনি শিবনাথ শাস্ত্রীর মামা এবং সোমপ্রকাশ নামক একটি
পত্রিকার প্রকাশনা করতেন। এই পত্রিকা ও দ্বারকানাথের সম্পর্কে
বিশদে জানা যেতে পারে এইখানে
ক্লিক করে।
স্কুলের নামটিও ছিল বেশ বড়সড় মাপের। Harinavi Dwarakanath Vidyabhushan
Anglo Sanskrit Higher Secondary School. প্রাক্তন শিক্ষকমণ্ডলীর
ছিলেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মামার স্কুল বলে শিবনাথ শাস্ত্রীও
জড়িত ছিলেন, এমনকি নেতাজীর বাবা জানকীনাথ বসুও কর্মসমিতির সদস্য
ছিলেন। প্রখ্যাত ছাত্রদের মধ্যে ছিলেন, সলিল চৌধুরী, মানবেন্দ্রনাথ
রায়, গীতিকার মোহিনী চৌধুরী প্রমুখ। স্কুলটিতে বেশ একটা গম্ভীর
গম্ভীর ভাব ছিল। শিক্ষকরাও ছিলেন বয়স্ক এবং শ্রদ্ধেয়। কাজেই সে
স্কুলে যে আমাদের দাদাদের বয়সী কোন ছেলে শিক্ষক এসে আমাদের ক্লাস
নেবেন তা আমাদের ভাবনার বাইরে ছিল।
তখন কিছুদিন মাত্র ক্লাস হয়েছে। আমাদের বর্ষীয়ান এক শিক্ষক একটি
বেশ তরুণ ছেলেকে ক্লাসে নিয়ে এসে বললেন – ইনি তোমাদের নতুন টিচার।
নাম –‘আশিস চাকী’! আমরা বেশ তাজ্জব। কিন্তু চট করে উনি আমাদের
বেশ আপন করে নিয়েছিলেন। আমরাও বেশ খুশী, গম্ভীর গম্ভীর শিক্ষকদের
সঙ্গে যদি একজন এইরকম দাদাস্থানীয় কারুকে পাওয়া যায় তো ভালই। পদবীটা
বোধহয় ঠিক বোঝা যায়নি, এক সপ্রতিভ ছেলে জিজ্ঞেস করেও ফেলেছিল,উনি
বেশ হেসে বোর্ডে নামটি পরিষ্কার করে লিখে দিলেন। আরও বললেন, -“প্রফুল্ল
চাকী মনে আছে তো, সেই চাকী” ! সত্যি কথা বলতে সেইসময় শিক্ষকরা
এতটা দাদাসুলভ আচরণ করবেন ঠিক ভাবা যেত না, বেশ খুশী হয়েছিলাম।
আস্তে আস্তে বন্ধুত্ব বাড়তে লাগলো। খেলাধুলোতে ও বেশ পটু ছিলেন।
নিজের স্কুলে ভাল ফুটবল খেলতেন। আমাদের শিখিয়েছিলেন, ফুটবলে শট
মারার সময়ে মাথা নিচু করে বলের দিকে চোখ না রাখলে বল উড়ে যাবে।
মাঝে মাঝে ফুলপ্যান্ট গুটিয়ে খেলতে নেমে পড়তেন। তুখোড় ছিলেন ক্রিকেটের
ব্যাপারে। সব খবর রাখতেন। একবার ক্রিকেটের একটি বেশ জটিল প্রশ্ন
জেনে ওনাকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করেছিলাম। সেটি হল, কোন ক্রিকেট
খেলাতে মাত্র তিনটে বল হয়েছে, কোন নো বল হয়নি, কোন অতিরিক্ত রান
হয়নি, কোন উইকেট পড়েনি। ১২ রান হয়েছে। দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যানই
৬ করে রান করেছে। কি করে ?
সামান্য চিন্তা করেই বলে দিলেন-
“প্রথম ব্যাটম্যান প্রথম বলে বাউন্ডারিতে চার রান করল। দ্বিতীয়
বলটাও খুব জোরে মারল, এবং তিন রান করল। কিন্তু অবাক হয়ে দেখল আম্পায়ার
দেখাচ্ছেন ওয়ান রান শর্ট, মানে কোন একটা রানে একজন ব্যাটসম্যান
ক্রিজে ব্যাট ছোঁয়ায়নি। ফলে যদিও তার জায়গা বদল হল রান হল ৬ (৪+২)।
তৃতীয় বলে অন্য ব্যাটসম্যান ওভার বাউন্ডারি মারল। ”
এত সহজে বলে দিলেন, একটু রাগ হলেও বেশ গর্বও হয়েছিল। কখনো সেভাবে
কারুকে বকতে দেখিনি। তবে বেশ টিপ্পনী করতেন।মনে পড়ে একটি ছাত্র
কোন ইংরেজি বাক্যের গঠনে কিছু ভুল করে ফেলেছিল, কিন্তু তাও বুঝতে
পারছিল না। উনি একটা মজার গল্প বলেছিলেন,-
“হাওড়া – আমতা সেই ছোট্ট রেল লাইনে একবার কিছু গণ্ডগোল হল। লালমুখো
বড় সাহেব নিজেই এলেন সরেজমিনে তদন্ত করতে। এসেই খানিকক্ষণ চেষ্টা
চরিত্র করে কিছু করতে না পেরে বললেন,-
-‘No excuses. I just want to know who is responsible for this
accident.”
সব দেশী বাবুদের তো পিলে চমকে গেল। তবু তাদের মনে হল সাহেব তো
অমানুষ নন, ঠিক করে বোঝালে বুঝবেন। এক সপ্রতিভ বাবু গিয়ে সবিস্তারে
ব্যাখ্যা করলেন,-“ Sir, I check. Dhur on gate. Nandi not come
whole night. Who is responsible?”
ওর ইংরেজিটা নাকি একেবারে এইরকম! ততক্ষণে আমরা হাসতে হাসতে গড়াগড়ি
দিতে শুরু করেছি।
তবে আশিসবাবুর আবার কতগুলো অদ্ভুত অপছন্দ ছিল, বিশেষত: গল্পের
বই পড়ার ক্ষেত্রে। সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর হল, কোন্যান ডয়েলের ভক্ত
হলেও আগাথা ক্রিস্টিকে সেরকম পছন্দ করতেন না। বলতেন কোন্যান ডয়েলের
ইংরেজি এবং ডিটেকশন পদ্ধতি অনেক উঁচুমানের। পান খেতে ভালবাসতেন,
আর তার ছিল কি অদ্ভুত ফিরিস্তি! খয়ের ছাড়া, কাটা সুপুরি অল্প,
সামান্য চুন, জর্দা – উফফ!!
যদিও অর্থনীতির ছাত্র, ইতিহাস নিয়েও উনি পড়াশোনা করতেন। এবং ইতিহাসের
বই ও লিখেছিলেন। সবচেয়ে একটা চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছিলেন যা সেটা
হল:
“পলাশীর যুদ্ধের সময় হাজার, হাজার লোক জড় হত যুদ্ধ দেখতে। তারা
যদি ঢিল ছুঁড়ে মারত ক্লাইভের বাহিনী পালিয়ে যেত। কিন্তু তারা ভেবেছিল
এটাও সেই চিরকালীন দুইরাজার যুদ্ধ। স্বাধীনতা, পরাধীনতা, দেশী
শাসক, বিদেশী শাসক – এর কোন তফাৎ তাদের কাছে ছিলনা”।
এটা কিন্তু আমাদের খুব অবাক করেছিল। পরবর্তীকালে যে স্বাধীনতা
সংগ্রাম হবে, তার হয়ত প্রয়োজনই হত না। পরে অবশ্য এই তথ্যের সত্যতা
নিয়ে বেশী মাথা ঘামাই নি।
ক্লাস টেন এ উঠে আমাদের ক্লাসের ওপর দায়িত্ব পড়েছিল সরস্বতী পুজোর
। খুব আনন্দে ছিলাম। দেখতে দেখতে সরস্বতী পুজোর দিন এসে গেল। কিন্তু
আমরা খুব মুশকিলে পড়লাম যে যেদিন পুজো তার আগের দিন হঠাৎ করে ঝড়বৃষ্টিতে
প্যান্ডেল ভেঙে কিছু সমস্যা হল। ডেকরেটরের লোকদের ডাকা হলেও তখন
প্রায় রাত্তির হয়ে যাচ্ছিল। একমাত্র উপায় ( বা বলা যেতে পারে আমাদের
বুদ্ধি) ছিল আমরা ছাত্ররা যদি রাতে থেকে আবার প্যান্ডেলটাকে খাড়া
করি। আমাদের শিক্ষকরা তো কোনমতেই মানবেন না, তখন আশিসবাবুই এগিয়ে
এলেন। জানালেন উনি রাতে আমাদের সঙ্গে থাকতে রাজী আছেন এবং আমরা
যে কোন প্রকার দুষ্কর্ম করব না তার দায়িত্ব উনি নেবেন। ব্যাস,
আমরাও একেবারে “সকারণেই চঞ্চল”! বাড়ীতে খবর পাঠানো হয়ে গেল। জীবনে
প্রথম সাবালক হওয়ার আনন্দ! ভাবলে এখনো শিহরণ হয়।
সেবার আমাদের পুজোর খুব সুনাম হয়েছিল। সব শিক্ষকেরা গর্বভরে জানিয়েছিলেন
যে এবার আমাদের ছাত্ররাই এক শিক্ষকের নেতৃত্বে পুজোর প্যান্ডেল
অবধি নিজের হাতে করেছে।
দিলীপ বাবু
--৪--
আমাদের হরিণাভি স্কুলে বেশ কিছু শিক্ষক বাইরে থেকে আসতেন। কলকাতার দিক থেকে যাঁরা
আসতেন তাদের মধ্যে আশিসবাবু ও দিলীপ ঘটক উল্লেখযোগ্য।দিলীপবাবু
ছিলেন অঙ্কের শিক্ষক। প্রথম বছর হরিণাভি স্কুলে যাওয়ার পরই আমাদের
অঙ্ক শেখাতেন। মোটামুটি ক্লাস ফাইভ থেকে টেন অবধি বেশ অনেক ক্লাসেই
আমাদের অঙ্ক শেখাতেন দিলীপবাবু।
দিলীপবাবুর জ্যামিতি শেখানোর সময় একটা জিনিষ করতেন যা আমাদের অন্য
কোন শিক্ষক সচরাচর করতেন না। জ্যামিতির ডায়াগ্রাম আঁকার জন্য বোর্ডেও
ব্যবহার করতেন, বড় স্কেল, চাঁদা, কাঁটা-কম্পাস। বৃত্ত আঁকতেন সেই
কাঁটা-কম্পাস দিয়ে যার মধ্যে পেন্সিলের বদলে চক লাগানো থাকত। বোর্ডে
আঁকতে হবে বলে বড় আকারের ছিল সবকিছুই। সম্পাদ্য গুলো করার সময়ে
যেমন লম্ব আঁকা, কোণের দ্বিখন্ডীকরণ, ষাট ডিগ্রীর কোণ আঁকার সময়ে
নিজে বোর্ডে করে দেখাতেন আর তারপর মেপে দেখাতেন বলে খুব পরিষ্কার
ধারণা হয়ে যেত। আসলে অঙ্কের ক্ষেত্রে শিক্ষকেরা যদি ব্যবহারিক
প্রয়োগ দেখান, তাহলে ছাত্রদের বিষয়ের প্রতি ছাত্রদের একটা বিশ্বাস
জন্মায়। কিন্তু এই ব্যবহারিক প্রয়োগেই আমাকে খুব বিপদে ফেলে দিয়েছিলেন
উনি।
পিথাগোরাসের উপপাদ্যের (a2+b2=c2)
এইরকম একটি অনবদ্য ব্যবহারিক প্রয়োগ ছিল। সমকোণী ত্রিভুজের অন্য
দুই বাহুর উপর বর্গক্ষেত্র তৈরি করে তাকে অতিভুজের ওপর তৈরি বর্গক্ষেত্রর
সঙ্গে খাপে খাপে মেলানো। একবার পুজোর ছুটিতে অন্যান্য বাড়ীর কাজের
সঙ্গে তিনি ঐ উপপাদ্যের ঐ ব্যবহারিক প্রয়োগটিকেও জুড়ে দিলেন। আমি
বরাবরই হাতের কাজে কাঁচা। খুব রাগ হয়েছিল! যাইহোক কোনক্রমে কিছু
একটা খাড়া করে পুজোর পর জমা দিলাম। তবে ক্লাসের দু একজন এক্কেবারে
অপূর্ব করে এনেছিল। দিলীপবাবুর কি আনন্দ! বুকে করে প্রায় টিচার্স
রুমে নিয়ে গিয়ে সহকর্মীদের গর্বভরে দেখালেন,
“তোমরা তো পুজোতে অনেক ভাল ভাল প্রতিমা দেখলে, এবার আমার ‘প্রতিমা’
দেখ!”
দিলীপবাবু সুন্দর গল্পও বলতে পারতেন, অন্যান্য শিক্ষকরাও পারতেন।
একবার বর্ষার দিনে, দিলীপবাবু ঢাকুরিয়া থেকে এলেও অনেক শিক্ষক
ও ছাত্ররা আসেনি। মেঘলা দিনে আকাশ কালো। আমরা ধরে বসলাম, আজ অঙ্ক
নয়, গল্প। সেদিন উনি শুনিয়েছিলেন, কোন্যান ডয়েলের সেই বিখ্যাত
গল্প – ভ্যালি অব ফিয়ার। এখনো মনে পড়ে সেই গল্প শোনার কাহিনী,
আর সেই নাটকীয় সংলাপ, -
“Birdy Edwards is here. I am Birdy Edwards”!!
পরবর্তী কালে যখন উপন্যাসটি পড়েছিলাম, তখনও ওই দিলীপবাবুর গল্প
বলাটি মনে দাগ কেটে রেখেছিল।
রবীন্দ্র-নজরুল জন্মদিন পালন হলেও প্রথম সুকান্ত ভট্টাচার্যর জন্মজয়ন্তী
পালন শুরু করিয়েছিলেন দিলীপবাবু। শিক্ষকরা তো বলেছিলেন, আমাদের
উঁচু ক্লাসের ছাত্রদেরও বলার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তখন সুকান্তসমগ্র
যোগাড় করে একটি বক্তৃতা তৈরি করেছিলাম। তখনই কিন্তু সুকান্তর সঙ্গে
প্রথম পরিচয়। আচ্ছা, তখন কি অদ্ভুত ব্যাপার ছিল। কবি সুকান্তর
সঙ্গে পরিচয় করালেন একজন অঙ্ক শিক্ষক!!
দিলীপবাবুর সেই বক্তৃতা ভালো লেগে থাকবে। সেবার ঢাকুরিয়া তে ওনাদের
এক ক্লাবের “আমার প্রিয় কবি”র কবিতা প্রতিযোগিতাতে আমাদের একরকম
জোর করেই যোগ দেওয়ালেন। আমি ও আমার এক বন্ধু, ফার্স্ট আর সেকেন্ড
হলাম। আমাদের প্রাইজ দিলেন বিধায়ক সোমনাথ লাহিড়ী।
আশিসবাবু যেমন মোহনবাগানের সাপোর্টার ছিলেন, দিলীপবাবু ছিলেন
ইস্টবেঙ্গলের। খুব খেলার খবরও রাখতেন। আমাদের স্কুল চলাকালীন ঐ
সত্তরের দশকে ইস্টবেঙ্গলের রমরমা। ১৯৭৫ সালে সেই পাঁচ গোল !! কিন্তু
১৯৭৬ সালে হাওয়া পালটে গেল। প্রদীপ ব্যানার্জী টীম চেঞ্জ করে হাবিব,
আকবর, সমরেশ চৌধুরী প্রমুখকে নিয়ে চলে গেলেন মোহনবাগানে। স্বভাবতই
আমরা ইস্টবেঙ্গল সাপোর্টাররা একটু ম্রিয়মাণ আর এদ্দিন পর সুযোগ
পেয়ে মোহনবাগানীরা ফুটছে। ‘ডার্বি’র দিন সকালবেলা জানতাম যে দিলীপবাবু
খেলা দেখতে যাবেন। দেখা হতেই জিজ্ঞেস করলাম, - দিলীপ বাবুও একটু
নিরাশ ছিলেন,“এবার ওদের টীম ভালো!”পরের দিন বললেন, “বুঝলি, দশ
সেকেন্ডে গোল তো দিল, আর তারপর - উফফ – চাপ, আর চাপ! কিন্তু শেষমেশ
কিচ্ছু হল না!”
দিলীপবাবু প্রচণ্ড সিগারেট খেতেন। আমরা তখন একটু বড় হচ্ছি। দাদারা
পাড়ার আড্ডাতে সিগারেটের মৌতাতে খুব মাতত। ওই গন্ধটার প্রতি আমাদের
বেশ আকর্ষণ ছিল। দিলীপবাবু কাছে এলেই সেই গন্ধটা পেতাম।
এর পর কলেজ জীবন, কেটে গেল। ব্যাঙ্গালোর বাস শুরু হল। এই সময়
একদিন নব্বইয়ের গোড়ার সেই ‘গ্লোবাইলাইজেশন” শুরুর দিনগুলোতে বাসে
দিলীপবাবুর সঙ্গে দেখা। স্বভাবতই বেশ চিন্তিত ছিলেন, দেশের ও তাঁর
ছাত্রদের ভবিষ্যৎ নিয়ে। ব্যাঙ্গালোর নিয়ে, চাকরি নিয়ে কথাবার্তার
পর খোঁজ নিলেন এখনও বইটই পড়ি কিনা! হ্যাঁ বলাতে বেশ খুশী হলেন।
তখন আবুল বাশারের একটি ধারাবাহিক বেরচ্ছিল ‘দেশ’ পত্রিকাতে। সেই
নিয়ে আলোচনা করতে করতে বেশ অনেকটা রাস্তা পার হয়ে গেলাম।
লেখক পরিচিতিঃ জন্ম কলকাতায়, বেড়ে ওঠা দক্ষিণ চব্বিশ-পরগনার
রাজপুর-সোনারপুর অঞ্চলে। ১৯৮৩ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
ইলেক্ট্রনিক্স ও টেলিকম্যুনিকেশন ইঞ্জিনীয়ারিং পাস করে কর্মসূত্রে
ব্যাঙ্গালোরে। শখের মধ্যে অল্প-বিস্তর বাংলাতে লেখা - অল্প কিছু
লেখা রবিবাসরীয় আনন্দবাজার, উনিশ-কুড়ি, নির্ণয়, দেশ, ইত্যাদি পত্রিকায়
এবং বিভিন্ন ওয়েব ম্যাগাজিন (সৃষ্টি, অবসর, ইত্যাদিতে) প্রকাশিত।
(আপনার
মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)
অবসর-এর লেখাগুলোর ওপর পাঠকদের মন্তব্য
অবসর নেট ব্লগ-এ প্রকাশিত হয়।