প্রথম পাতা

শহরের তথ্য

বিনোদন

খবর

আইন/প্রশাসন

বিজ্ঞান/প্রযুক্তি

শিল্প/সাহিত্য

সমাজ/সংস্কৃতি

স্বাস্থ্য

নারী

পরিবেশ

অবসর

 

বিবিধ প্রসঙ্গ

জানুয়ারি ৩০, ২০১৬

 

যাঁদের আমি ছাত্র

ভাস্কর বসু

নতুন স্কুল, নতুন জীবন

--৭--


অন্যান্য অংশ - (১) (২) (৩) (৪) (৫) (৬) (৭)

১৯৭৭ সালের মাঝামাঝি রাজনৈতিক পালাবদলের মাধ্যমে বাঙালির জীবনে খুব বড় রকমের পরিবর্তন এলো। আমার জীবনেও। হরিণাভি স্কুলের পালা চুকিয়ে ভর্তি হলাম কলকাতার এক বিখ্যাত স্কুলে। পাঠভবনের তখন খুবই নাম। সত্যজিতের স্কুল! অনেক বড় বড় মানুষের ছেলেরাও পড়তো সেখানে। সন্দীপ রায়, অমিতকুমার এরাও ছিলেন পাঠভবনের ছাত্র। সত্যজিতের ছবির তোপসে আর মুকুলও পাঠভবনের ছাত্র। ইন্টার্ভিউতে গিয়ে জানলাম আমাদের হরিণাভিও কম নয়, যখন পাঠভবনের যিনি প্রাণ, সেই উমা স্নেহানবিশ আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, -“বিভূতিভূষণ, শিবনাথ শাস্ত্রীর স্মৃতি বিজড়িত স্কুল ছেড়ে এখানে আসবে?”

সেখনে আমিই একমাত্র ছাত্র ছিলাম যে অনেক দূর থেকে পড়তে যেত। সহপাঠীরা বেশ অবাক হত। কিন্তু সেই সময় ট্রেনে ডেলি প্যাসেঞ্জারি জীবনে অনেক অভিজ্ঞতার জন্ম দিল। মনে আছে, স্কুলের কোনও কোনও ফাংশনে যোগ দেওয়া আমার পক্ষে অসম্ভব হয়ে যেত দূরত্বের কারণে আর ভয়ঙ্কর ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়তাম। ছুটি পড়ার আগে ছাত্র-শিক্ষক মিলে একটা ছোট ধরনের সাহিত্য আলোচনা হত— কবিতা পাঠ, গান, নানান আলোচনা। মফস্বলের স্কুল থেকে আসা আমার কাছে তা ছিল সত্যিই মুগ্ধ করার মত। একে কলকাতার আধুনিক স্কুল, তাও আবার Co-educational। বেশ শঙ্কিতই থাকতাম।

তবে এখানে এসে সবচেয়ে অন্য অভিজ্ঞতা হল, শিক্ষক- শিক্ষিকাদের দাদা-দিদি বলে ডাকার প্রথা। ‘পিনাকীদা’, ‘স্বপনদা’, ‘সমীরদা’, ‘মৈত্রেয়ীদি’ – ইত্যাদি। আমার রীতিমত তাজ্জব লাগতো!! শিক্ষকদের মধ্যে বেশ বৈচিত্র্যও ছিল – তাঁদের কজনের কথা বলার চেষ্টা করছি।

বেশ আশ্চর্য মানুষ ছিলেন ‘পিনাকীদা’! অঙ্কের শিক্ষক, কিন্তু তাঁর পড়াশুনো ছিল রীতিমতো তাজ্জব করে দেওয়ার মতো। প্রথম দিন ক্লাসে এসেই তিনি যখন আইনস্টাইন, বার্ট্রান্ড রাসেল, বার্নাড শ, ইত্যাদির বইয়ের নাম করে আমাদের পড়তে বললেন, আমি রীতিমতো প্রমাদ গুনছিলাম – ভালই তো ছিলাম, এ কোথায় এলাম!! ক্লাস শেষ হবার পর অবশ্য পাঠভবনের পুরনো ছাত্ররা আশ্বস্ত করলো – এটা বেশী সিরিয়াসলি নেওয়ার দরকার নেই বলে। ছোট্টখাট্টো চেহারার পিনাকীদা যখন বড় বড় বিষয় নিয়ে খুব গম্ভীরভাবে আলোচনা করতেন, তখন আমাদের কয়েকজনের ওনাকে ভীষণ রকমভাবে প্রফেসর ক্যালকুলাসের মত লাগত। তবে পিনাকীদা কিন্তু একবার আমাদের মন জয় করে নিয়েছিলেন এক বিশেষ অনুমতি দিয়ে।

অনেকেরই মনে আছে, বহুদিন বাদে, বিষণ বেদীর নেতৃত্বে একটি ক্রিকেট দল গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া সফরে – ৭৭-৭৮এ। অস্ট্রেলিয়ার তখন অবস্থা সুবিধের নয়, সব ক্রিকেটাররাই কেরি প্যাকাটের দলে যোগ দেওয়াতে ববি সিম্পসন কে এসে দলের হাল ধরতে হয়েছিল। কিন্তু আমরা খুব উৎসাহে প্রতীক্ষা করছিলাম এইবার ভারত অস্ট্রেলিয়াকে হারাবে। প্রথম টেস্টের শেষ দিন, সুনীল গাভাসকারের সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ভারত চতুর্থ ইনিংসে ভালই রান তাড়া করছিল। আমাদের আর ক্লাসে মন ই নেই। কেউ একটা ছোট্ট ট্রানসিস্টর রেডিও নিয়ে ক্লাসে এসে খেলা শোনার চেষ্টা করছে। কোনভাবে তা পিনাকীদার চোখে পড়ে। পিনাকীদার ও খুব ইন্টারেস্ট ছিল ক্রিকেট, ফুটবল দুটোতেই। তিনিও অনুমতি দিলেন, কমেন্টারি শোনার- আমাদের সঙ্গে বসেও গেলেন শুনতে! হা হতোস্মি, ভারতীয় ব্যাটসম্যানেরা একেবারে কূলের কাছে এসেও তরী ভেড়াতে পারলো না! মাত্র ষোল রানে হার স্বীকার। চূড়ান্ত মোহনবাগান সমর্থক পিনাকীদা মাঝে মাঝেই লিমিট আর ক্যালকুলাসের মাঝেও খেলার প্রসঙ্গে চলে যেতেন।

তীর্থঙ্করদা পড়াতেন ফিজিক্স। খুবই ভালো পড়াতেন, ধৈর্য সহকারে! উৎসাহ দিতেন না বুঝলেও প্রশ্ন করার জন্যও। এমনকি স্কুলের পর টিচার্স রুমে গিয়েও অনেক সময় আমাদের অনেক প্রশ্নের জবাব দিতেন। আমাদের কেউ কেউ প্রাইভেটে ওনার কাছে পড়ত। পরবর্তী কালে জেনেছি তীর্থঙ্করদার ফিজিক্স পড়ানো সারা দক্ষিণ কলকাতাতে প্রসিদ্ধ ছিল। বিভিন্ন স্কুলের ছেলেরা ওঁর কাছে পড়তে আসত। প্রজন্মের পর প্রজন্ম। খুব সিগারেট খেতেন, যাকে বলে চেন স্মোকার! আমরা তখন অল্প-বিস্তর স্বাদ পেতে শুরু করেছি। টিচার্স রুমে তীর্থঙ্করদার হাতে সিগারেট দেখলেই আর গন্ধ পেলেই হাত আর নাক সুড়সুড় করত।

ছাত্র-দরদী বলতে যা বোঝায় তীর্থঙ্করদা ছিলেন একেবারে তাই। যে কোন সময়ে তাঁর সাহায্য পাওয়া যেত। ব্যাচেলর মানুষ, ছাত্র-ছাত্রীরাই প্রায় সংসারের মত। আমরা যখন উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছিলাম, আমাদের সীট পড়েছিল অন্য একটি সরকারি স্কুলে। তীর্থঙ্করদা পরীক্ষা চলাকালীন প্রায় এসে খোঁজ নিয়ে যেতেন। স্কুলে প্র্যাকটিকাল পরীক্ষা হলেও এক্সটার্নাল এসে আমাদের ভাইভা নিয়েছিলেন, আমি দিয়ে বাইরে বেরিয়ে তীর্থঙ্করদাকে বিস্তারিত বলতে গেলে বললেন,-“আমি সব শুনেছি, প্রশ্ন আর উত্তর দুই! খুব ভালো হয়েছে।” বলেই আবার পরের ছাত্রের প্রশ্নোত্তর শোনার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়লেন। একবার আমরা বিষ্ণুপুরে বেড়াতে গেছিলাম, বাসের গণ্ডগোলে ঝামেলা হয়েছিল। তীর্থঙ্করদা অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন, এমনকি ছাত্ররা বাস ঠেলছে দেখে নিজেও এসে হাত লাগালেন।

কেমিস্ট্রির টিচার সমীরদার বেশ রসবোধ ছিল। শিবরামের অনুকরণে অনুপ্রাসের প্রয়োগ করতেন, অনেকের কাছে কেমিস্ট্রি বেশ নীরস ছিল। তাকে ‘রসায়ন’ করে তোলায় বেশ সচেষ্ট ছিলেন। তখন অমিতাভ বচ্চনের কান-ঢাকা চুলের স্টাইল খুব প্রচলিত ছিল। সমীরদা একদম পছন্দ করতেন না, সেরকম চুলওলা কেউ যদি কিছু শুনতে না পেত, সমীরদার বক্রোক্তি থাকত,-“বাবুর কান তো চুলে ঢাকা, কথা আর ঢুকবে কোথা দিয়ে?”

সমীরদার বিখ্যাত উক্তি ছিল –“বিশুদ্ধতা হল রসায়নের বিষয়”!! কথাটা ওঁর না অন্য কারুর জিজ্ঞেস করাতে একটু রহস্য করে বলেছিলেন, “তুমিও বসু তো! এটা বলছি, বলেছিলেন আর এক বসু, বুদ্ধদেব বসু, আর এক বসুকে আদালতে সমর্থন করার জন্য”!! সেইরকম আমল দিইনি, পরে ‘প্রজাপতি’ উপন্যাস ছাপা হলে তার সঙ্গে আদালতের বুদ্ধদেব বসুর সাক্ষ্যও ছাপা হয়েছিল। তাতে ছিল ঐ কথাটা। সমরেশ বসুর পক্ষের সাক্ষী বুদ্ধদেব বসুকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি সাহিত্যে বিশুদ্ধতার কথা বিশ্বাস করেন কিনা, বুদ্ধদেব বলেছিলেন,-

“না করিনা। বিশুদ্ধতা হল রসায়নের বিষয়।”

অনেকদিন পর ধাঁধার সমাধান করতে পেরে আনন্দ হয়েছিল।

বায়োলজি টিচার মৈত্রেয়ীদি ছিলেন বেশ আধুনিক মানুষ। ভাবা যায়, সেই সত্তরের দশকে স্কুটার চালিয়ে স্কুলে আসতেন! তিনি ছিলেন উচ্চ মাধ্যমিকের ভারপ্রাপ্ত। আমাদের আব্দারপনা ছিল তার কাছেই! মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল খেলা হলে আগে ছুটি দিতে হবে কারণ আমরা কোন বন্ধুর বাড়ী গিয়ে টিভি দেখব! একবার আমরা ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষকদের সঙ্গে মিলে বিষ্ণুপুর-বাঁকুড়া বেড়াতে যাব। ছাত্রছাত্রীদের তালিকা তৈরি হওয়ার পর যোগ করে উনি বললেন,- বাবা! ছেলে –মেয়ে দের সংখ্যা একেবারে এক যে! এটা নিশ্চয় পূর্ব-পরিকল্পিত। পেছন থেকে এ একজন বলল, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ও নাকি ঐরকম সুষম বণ্টন! মৈত্রেয়ীদি ফিক করে হেসে আবার কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলেন।

তবে পাঠভবনে পড়া চলাকালীন যে শিক্ষক আমাকে সব থেকে বেশী প্রভাবিত করেছিলেন তিনি বাংলার শিক্ষক ‘অজয়দা’! তাঁর কথা একটু বিস্তারিত লিখতে হচ্ছে। ------


অজয় দা

--৮--

অজয় দা প্রথম দিনে যখন সবার নাম জিজ্ঞেস করছিলেন, আমার নাম শুনে বলেছিলেন -“ ‘ভাস্কর বসু’ বলে একজন কবি ও লেখক আছেন, তুমি জান?” - আমি বলেছিলাম,-“জানি। ওনার আসল নাম কিন্তু ‘অরুণ কুমার বসু’, তাই না”! - শুনে বেশ অবাক হয়েছিলেন -“ঠিক। বাঃ, তুমি জান দেখছি!” এর পর প্রতিটি বাংলার ক্লাসে তিনি আমাকে মুগ্ধ করে চলেছিলেন। সবকটি মনে রাখা সম্ভব হয়নি, তবে কিছু কিছু ঘটনার উল্লেখ করলে বোঝা যেতে পারে তাঁর আমাদের মুগ্ধ করার কারণ।

আমাদের পাঠ্য ছিল - প্রেমেন্দ্র মিত্রের একটি কবিতা যাতে কল্লোল যুগের কবি প্রেমেন্দ্র মিত্র ভাবিত হয়েছিলেন “যখন রব না আমি মর্ত্যকায়ায়”। কবিতাটি -“ফের যদি ফিরে আসি, ফিরে আসি যদি -- পারিবে কি চিনিতে আমায়”!! এই কবিতাটি পড়াতে গিয়ে বারে বারে এনেছিলেন প্রেমেন্দ্র মিত্রের কল্লোল যুগের কবিতা যা মূলত: রবীন্দ্রনাথের প্রভাব অস্বীকার করে লেখা হয়েছিল –

“আমি কবি যত কামারের আর
কাঁসারির আর ছুতোরের মুটে মজুরের,
আমি কবি যত ইতরের।
আমি কবি ভাই কর্মের আর ধর্মের;
বিলাস বিবশ মর্মের যত স্বপ্নের তরে ভাই,
সময় যে হায় নাই!”

অজয়দা বলেছিলেন - “পাঠ্য পুস্তকের এই কবিতাটিতে দেখা যাবে -ভীষণ রকম রবীন্দ্র-প্রভাব। একই কথা যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত র ক্ষেত্রে সত্যি। তিনি এক কালে লিখেছিলেন -

‘চেরাপুঞ্জির থেকে
একখানি মেঘ ধার দিতে পার
গোবি সাহারার বুকে’

সেই যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত ও পরবর্তী কালে চরম ভাবে রবীন্দ্র অনুসারী হয়েছিলেন”। তখন আমাদের কাছে এই সব বক্তব্য নতুন ভাবনা চিন্তার খোরাক যোগান দিত। ‘শাহজাহান’ এর নাট্যাংশ পঠনকালে তিনি আমাদের পরিচিত করেছিলেন দুটি জনপ্রিয় প্রবাদ বাক্যের সাথে – “Power corrupts, absolute power corrupts absolutely” আর “King can do no wrong”। এই প্রসঙ্গে এসে গিয়েছিল নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর বিখ্যাত কবিতা “উলঙ্গ রাজা” র কথা। মাঝে মাঝে এসে যেত অন্য প্রসঙ্গ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু উপলক্ষে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কবিতা –

“ফুলগুলো সরিয়ে নাও, আমার লাগছে।
মালা জমে জমে পাহাড় হয়,
ফুল জমতে জমতে পাথর।
পাথরটা সরিয়ে নাও, আমার লাগছে”।

সত্যেন দত্তর মন্দাক্রান্তা ছন্দে মেঘদূতের অনুবাদ – আমাদের পাঠ্য ছিল-

“পিঙ্গল বিহ্বল ব্যথিত নভতল, কই গো কই মেঘ উদয় হও,
সন্ধ্যার তন্দ্রার মূরতি ধরি' আজ মন্দ্র- মন্থর বচন কও;”

তখনই প্রথম শুনেছিলাম এই নামে ছন্দ আছে আর মেঘদূত তাতেই লেখা। এই প্রসঙ্গে কবিগুরুর ওপর মেঘদূতের প্রভাব নিয়ে এসে গিয়েছিল আলোচনা - দুটি খুব প্রচলিত - মেঘদূত কবিতা ও প্রবন্ধ। কিন্তু আমাকে আরো আশ্চর্য করেছিল ছিন্নপত্রের ৫৫ সংখ্যক চিঠির উল্লেখ যা শুরু হয়েছে এইভাবে -

“কাল আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে বর্ষার নব রাজ্যাভিষেক বেশ রীতিমত আড়ম্বরের সংগে সম্পন্ন হয়ে গেছে। --- মেঘদূত লেখার পর থেকে আষাঢ়ের প্রথম দিনটা একটা বিশেষ চিহ্নিত দিন হয়ে গেছে, নিদেন আমার পক্ষে”।

আমার জীবনে সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসার শুরু বাড়ীর লাইব্রেরীর সুবাদে কিন্তু তা যেন একলাফে অনেকটা এগিয়ে গেল অজয়দার দৌলতে।

তবে সবচেয়ে বেশী মনে রাখার মত পড়িয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথের ‘গান্ধারীর আবেদন’। শুরুতেই আমাদের বুঝিয়েছিলেন এই কাব্যটি যাকে বলে - “creation within a creation”! তখন ভালো করে বুঝিনি কিন্তু পরবর্তী কালে বুঝতে পেরেছিলাম। আর ধৃতরাষ্ট্রের সেই অমোঘ উক্তি - “অন্ধ আমি অন্তরে বাহিরে চিরদিন” এর মর্মার্থ যে ভাবে উদ্ধার করেছিলেন তা এখনো স্মৃতিতে সমুজ্জ্বল। দুর্যোধনের - “রাজধর্মে বন্ধুধর্ম, ভ্রাতৃধর্ম নাই, শুধু জয়ধর্ম আছে মহারাজ” যেন “Nothing wrong in love and War” এর ই অন্যরূপ এ ও তখনই শেখা। আর যখন ভাব সম্প্রসারণে রবীন্দ্রনাথের ক্ষণিকার কবিতা বা অন্যান্য প্রচলিত কবিতার ছড়াছড়ি, আমাদের ভাব সম্প্রসারণ এলো –

“জনসমুদ্রে নেমেছে জোয়ার, মেরুচূড়া জনহীন
হাল্কা হাওয়ায় কেটে গেছে কবে লোকনিন্দার দিন”!

অকল্পনীয়, অনুপম, অসাধারণ!!

 


লেখক পরিচিতিঃ জন্ম কলকাতায়, বেড়ে ওঠা দক্ষিণ চব্বিশ-পরগনার রাজপুর-সোনারপুর অঞ্চলে। ১৯৮৩ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেক্ট্রনিক্স ও টেলিকম্যুনিকেশন ইঞ্জিনীয়ারিং পাস করে কর্মসূত্রে ব্যাঙ্গালোরে। শখের মধ্যে অল্প-বিস্তর বাংলাতে লেখা - অল্প কিছু লেখা রবিবাসরীয় আনন্দবাজার, উনিশ-কুড়ি, নির্ণয়, দেশ, ইত্যাদি পত্রিকায় এবং বিভিন্ন ওয়েব ম্যাগাজিন (সৃষ্টি, অবসর, ইত্যাদিতে) প্রকাশিত।

(আপনার মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)

অবসর-এর লেখাগুলোর ওপর পাঠকদের মন্তব্য অবসর নেট ব্লগ-এ প্রকাশিত হয়।

Copyright © 2014 Abasar.net. All rights reserved.



অবসর-এ প্রকাশিত পুরনো লেখাগুলি 'হরফ' সংস্করণে পাওয়া যাবে।