প্রথম পাতা

বিনোদন

খবর

আইন/প্রশাসন

বিজ্ঞান/প্রযুক্তি

শিল্প/সাহিত্য

সমাজ/সংস্কৃতি

স্বাস্থ্য

নারী

পরিবেশ

অবসর

 

ভ্রমণ কাহিনী

জানুয়ারি ৩০, ২০১৬

 

পুরনো অ্যালবাম

কেয়া মুখোপাধ্যায়


(১৪)

(আগের অংশ) সন্ধে ৬ টায় ‘ইন্টারন্যাশন্যাল ইউনিয়ন অফ মাইক্রোবায়োলজিক্যাল সোসাইটিস’ (IUMS)-এর আয়োজনে প্যারিসে ইন্টারন্যাশন্যাল মাইক্রোবায়োলজি কনফারেন্সের উদ্বোধন। দুনিয়ার নানা প্রান্ত থেকে এসেছেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানীরা। নতুন যারা কাজ করছে, তাদের মধ্যে আমাদেরও ডাক পড়েছে। তাই এই প্রথমবার বিদেশে পাড়ি। কত মানুষের কাছে নিজের কাজ পৌঁছে দেবার সুযোগ। সেসব নিয়ে উচ্ছ্বাস থাকা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু সকাল থেকে বিকেল কাটল ল্যুভরের মিউজিয়াম-শহরে। অতীত ছুঁয়ে থেকে। কত হাজার বছর ধরে ধৈর্য, অধ্যবসায় আর ভালোবাসা দিয়ে শিল্প সাধনার স্বপ্নকে রূপ দিয়েছে মানুষ। অতীতের সেইসব ঝলক, ইতিহাসের একেকটি অধ্যায়, মানুষের বিগত যাপন, জিয়ন কাঠির ছোঁয়ায় জেগে ওঠা রূপকথারা আমাদের ঘোর লাগিয়ে দিয়েছিল। সেই মায়াবি ঐশ্বর্য ছেড়ে বাস্তবে পা দেয়া, মেট্রোয় গিয়ে উইকলি কার্ড পাঞ্চ করে ভেতরে ঢোকা - করছিলাম সবই, কিন্তু যন্ত্র-চালিতের মত। বুঝতে পারলাম, এক টুকরো ল্যুভর সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি। মনের ভেতর। চুপি চুপি। এর টানেই ফিরে যেতে হবে আবার ল্যুভরে। দেশে ফেরার আগে অন্তত আরো একবার।

প্রথমে মেট্রো। তারপর একটুখানি হাঁটা। মাত্র তিনদিনেই কি আর ডানদিক ধরে হাঁটার অভ্যেস হয়! তাই মাঝে মাঝেই উল্টোদিক থেকে আসা লোকজনের সঙ্গে ধাক্কা খেতে খেতে কনফারেন্স সেন্টারে যখন পৌঁছলাম, সেখানে তখন বিশাল লাইন। অডিটোরিয়ামে ঢোকার লাইন অনেকগুলো। ব্যাজের আলাদা আলাদা রঙ। সেই রঙ মিলিয়ে জোন্ ভাগ করা। রঙ মিলিয়ে লাইনও আলাদা। ভেতরে ঢুকে নরম সীটের আরাম খুঁজে নিয়ে বুঝতে পারলাম কতটা ক্লান্ত আমরা। প্রায় সারাদিন ল্যুভরে ছোটাছুটি। আনন্দ আর উত্তেজনা। তারপর কনফারেন্স-এর বক্তৃতাগুলো কতটা যে মাথায় ঢুকবে তাতে ঘোরতর সন্দেহ। ওদিকে একে একে মঞ্চে আসছেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানীরা, উদ্বোধক, সন্ধের সভাপতি। কিন্তু পোডিয়াম-এ এসে মাইক্রোফোনের সামনে সভাপতি কথা শুরু করতেই বিপত্তি! গুড ইভনিং অবধি না! ‘Bonsoir et bienvenue’ (ফ্রেঞ্চ-এ ‘Good evening and welcome’) দিয়ে শুরু হল। আর সেভাবেই চলতেও থাকল। সবই ফ্রেঞ্চ। এক বর্ণ ইংরেজি নেই। বিশাল অডিটোরিয়াম জুড়ে নানা জায়গায় ওপর থেকে ঝুলে আছে জায়ান্ট স্ক্রীন। যাতে দূর থেকে স্টেজ ভাল দেখা না গেলেও ওই স্ক্রীনে স্পষ্ট দেখা যায় স্টেজে কী কী হচ্ছে। কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বিদেশি ছবি দেখার অভ্যেস। পর্দায় বিদেশি ভাষা শুনলেই চোখ চলে যায় স্ক্রীনের তলায়। যেখানে স্ক্রোল করতে থাকে ইংরেজি সাব-টাইটেল। ওমা! এত বড় কনফারেন্স, এখানে সেসব কিচ্ছু নেই! কী হচ্ছে বুঝব কী করে! অনুবাদের ব্যবস্থা নেই কোনও। প্রথমে অস্বস্তি। তারপর বিরক্তি। যে কাজে আসা, তার প্রথম সন্ধেটাই যে এমন হবে কে জানত! একজনের পর একজন যাচ্ছেন পোডিয়ামে। শুরু হচ্ছে বক্তৃতা। আর বিরক্তিটা ক্লান্তির সঙ্গে মিলেমিশে সীটের নরম আরামে আমার চোখের পাতা ছুঁয়ে যাচ্ছে। একই অবস্থা আমাদের পাঁচজনের। হঠাৎ হঠাৎ হাততালির প্রবল শব্দে চমকে উঠে চোখ মেলে তাকাচ্ছি। তারপর আবার চোখের পাতা ভারী হয়ে আসছে! উদ্বোধনী কাজকর্ম শেষ হবার পর প্রথম সায়েন্টিফিক টক্। ওমা! আবার ফ্রেঞ্চ! ওই ঘুম ঘুম বিজ্ঞান-শোনার সময়ে একজনই শুধু সান্ত্বনা দিচ্ছিল আমাদের। রিনি। অবশ্য কথাগুলো ওর স্বগতোক্তিও বলা যায়।

“আর একটুখানি। ধৈর্য ধরে আর একটুখানি এভাবে কাটিয়ে দিলেই ব্যস! গ্র্যান্ড রিসেপশন। দারুণ সব খাবার। হোয়াইট মিট আর হোয়াইট ওয়াইন। রেড ওয়াইন রেড মিটের সঙ্গে। আর জাস্ট একটুখানি!”

সন্ধের একেবারে শেষ দুটো টক্ ইংরেজিতে। কিন্তু ততক্ষণে বিরক্তি চরমে। ধৈর্য শেষ-সীমায়। ভীষণ খিদে পেয়েছে। তাই সে দুটোও কতক্ষণে শেষ হবে, তার অপেক্ষা। শুরু থাকলে শেষও থাকবে। আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষাও শেষ হল। ওপরের সুবিশাল ব্যাঙ্কোয়েট হলে রিসেপশন। পৌঁছে গেলাম সব্বাই।

ওয়াইন আর ওয়াইন। নানারকম। টেবিল জুড়ে সাজানো। রেড ওয়াইনের কতরকম শেডস! হরেকরকম চীজ। ক্র্যাকার। নানা রকম অ্যাপেটাইজার। সবই সী-ফুড বেসড্। এদিক ওদিক, এ টেবিল সে টেবিল ঘুরে দেখছি আমরা। সব টেবিলেই থরে থরে একই রকম খাবার সাজানো। আর কিচ্ছু নেই বললেই চলে। সৌর এক কোণে চিকেন খুঁজে পেয়ে আমাদের ডাকতে ডাকতেই আরো অনেকে হামলে পড়ে সেসব ফাঁক করে দিল। সৌর-র প্লেট থেকেই কয়েক কুচি তুলে নিলাম আমরা। অনি দেখতে গেল আর কোনও টেবিলে চিকেন পাওয়া যায় কিনা! এই রিসেপশন নিয়ে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ ছিল রিনির। সে বেচারার সব উৎসাহ নিভে গেছে। সী ফুডের দু’তিন রকম আইটেম প্লেটে নিয়ে ফর্কে করে মুখের কাছে তুলতেই নাকে এল তীব্র আঁশটে গন্ধ। প্লেট সোওজা ট্র্যাশ বিন-এ। আমাদের সকলেরই এক অবস্থা। কিন্তু বেশিরভাগ লোকজনই যাকে বলে একদম সোনা-মুখ করে খাচ্ছে। আজকাল যে কোনও ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স মানেই সেখানে এশিয়ার আধিপত্য চোখে পড়ার মত। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি যোগদান চীন আর জাপান থেকে। এই কনফারেন্স-ও তার ব্যতিক্রম ছিল না। হয়তো সেই জন্যেই ইউরোপ আর আমেরিকাতেও মেনুতে চীনা আর জাপানি খাবার ঢুকে পড়ছে প্রবলভাবে। আমরা, ভারতীয়রা সেখানে সংখ্যালঘু। তাই হয় ওইসব আঁশটে গন্ধ-ওয়ালা খাবারের জন্যে জিভ আর নাককে তৈরি করে ফেলতে হবে, নয়তো নিজেদের খাবারের ব্যবস্থা নিজেদেরকেই করতে হবে। এই শিক্ষাটুকু তখনই আমাদের হয়ে গেল। ওরই মধ্যে এক ঝলক দেখা হল স্যর-এর সঙ্গে। ফ্রেঞ্চ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে ওঁর কোনও সমস্যা হয়নি ভাষাটা জানেন বলে। তবে রিসেপশনের খাবার-দাবার পছন্দ হয়েছে কিনা আর জিজ্ঞেস করিনি।

পায়ে পায়ে বেরিয়ে এলাম ব্যাঙ্কোয়েট হল থেকে। সূর্য সবে অস্ত গেছে। পশ্চিম আকাশের রং তখন হালকা কমলা। সেই আলো পড়েছে রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলা সুবেশ-সুবেশাদের মুখে। শনিবারের সন্ধে। ছুটির আমেজ। চারদিকে যেন আনন্দের ঢেউ। সেই ঢেউ আমাদেরও দুঃখ এক নিমেষে কমিয়ে দিল অনেকখানি। রাস্তার ধারে কোন কাফেতে বসে ডিনারটা সেরে ফেলা যায় খুঁজতে লাগলাম আমরা। পরের দিনের প্ল্যানটাও করে ফেলতে হবে ডিনারের ফাঁকে।



ম্যুজে ডি অরসে

সকাল আটটা থেকেই কনফারেন্স। ঠিক হল, রোববারের প্রথম ঘন্টা-তিনেক সেখানে কাটিয়েই আবার পারীর পথে পথে। সেইন নদীর ধারে ‘ম্যুজে ডি অরসে’ (Musée d'Orsay)। ল্যুভরের কাছেই। আমাদের সেদিনের গন্তব্য।

প্যারিস মানে ছবির দেশ। কবিতারও। কিন্তু শুধু ছবি, কবিতা কি দর্শন নয়, বিজ্ঞানের নানা শাখাতেও ফরাসীদের আকর্ষণ আর অবদান কম নয়। আর এ নিয়ে ফরাসীদের গর্বেরও শেষ নেই। রাস্তাঘাটে অনেক সময়েই দেখেছি ফরাসীতে ছাড়া কথা বলতেই চান না অনেকে। সেটা অবশ্য শুধু ভালবাসা বা গর্ব নয়, খানিকটা গোঁড়ামিও মিশে আছে তাতে। বিজ্ঞান, বিশেষত অঙ্কের প্রতি ফরাসীদের অনুরাগের নিদর্শন মিলবে এ শহরের নক্সাতেই। সপ্তদশ শতকে ফ্রান্সের রাজা ছিলেন পঞ্চদশ লুই। তাঁরই পরিকল্পনা ছিল প্যারিস শহরটিকে জ্যামিতিক নক্সার নিয়ম আর ছন্দে সাজিয়ে ফেলা। তার পর থেকে যখনই প্যারিস শহরে নতুন নতুন সৌধ গড়ে উঠেছে, এমনভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে যে দেখা যাবে সেই ঐতিহাসিক সৌধগুলোর অবস্থান পর পর এক সরলরেখায়। এ এক ঐতিহাসিক সরলরেখা, Axe historique বা historical axis। এই সরলরেখা শুরু হয়েছে ল্যুভরের সামনের প্রশস্ত চত্বর Place du Carrousel-এর Arc de Triomphe du Carrousel অথবা বিজয় তোরণ থেকে। Axe historique-এর প্রথম সৌধ এটি। সামনেই উন্মুক্ত তুলারিস উদ্যান (Tuileries Gardens)। তার হৃদয় ছুঁয়ে মাঝ-বরাবর চলে গেছে এই পথ। প্যারিসের পশ্চিমদিকে যত এগিয়েছে, আরও প্রশস্ত হয়েছে পথটি। ঝকঝকে নীল আকাশ। বহুদূর অবধি দেখা যায় স্পষ্ট। তুলারিস উদ্যানের সবুজ মখমলের পাশে পাশে এই পথ দিয়ে হাঁটলে চোখে পড়বে Place de la Concorde এর বিখ্যাত Obelisk of Luxor। তারপর Arc de Triomphe বা বিজয় তোরণ। Champs Élysées পথটি এই দুই সৌধকে আবার জুড়ে দিয়েছে আর এক সরলরেখায়। Arc de Triomphe-এর পর Axe historique এগিয়ে গেছে প্যারিসের আরও পশ্চিমে। Avenue de la Grande Armée পথটি ধরে। তারপর এসে থেমেছে La Défense এর La Grande Arche এর কাছে। কুয়াশা না থাকলে, তুলারিসে দাঁড়িয়েই চোখে পড়ে ঐতিহাসিক এই সরলরেখার শেষ বিন্দুতে দাঁড়িয়ে থাকা La Défense এর স্থাপত্য। একদিকে অত্যাধুনিক La Défense। অন্য প্রান্তে ঐতিহাসিক Arc de Triomphe। ল্যুভরের চত্বর থেকে La Défense পর্যন্ত প্রসারিত সুদীর্ঘ Axe historique ধরে এ যেন এক সময়ের যাত্রা। সে যাত্রা ঐতিহ্য থেকে আধুনিকতায়। ইতিহাসের স্থবিরতা থেকে বর্তমানের বহমান স্রোতধারায়।

একসময় প্যারিসের ব্যস্ততম রেলওয়ে স্টেশন,গার ডি’অরসে

ল্যুভরের কাছেই ‘ম্যুজে ডি’অরসে’ (Musée d'Orsay)। সেইন নদীর ধারে। কনফারেন্স থেকে সোজা সেখানেই। শিল্পরসিকদের কাছে ম্যুজে ডি’অরসে-র আকর্ষণ অপ্রতিরোধ্য। সারা বিশ্বের ইম্প্রেশনিস্ট আর পোস্ট- ইম্প্রেশনিস্ট মাস্টারপিসগুলোর সবচেয়ে বড় সংগ্রহশালা এখানেই। দর্শকদের পছন্দ আর গুরুত্ব বিবেচনায় এর অবস্থান ফ্রান্সে তৃতীয় আর বিশ্বে দশম। কিন্তু বয়সে খুবই নবীন। তাছাড়া এই বাড়িটি কিন্তু সংগ্রহশালা হিসেবে তৈরিও হয়নি। আজকের এই মিউজিয়াম একসময় ছিল প্যারিসের এক ব্যস্ততম রেলওয়ে স্টেশন, গার ডি’অরসে (Gare d'Orsay)। ১৮৯৮ থেকে ১৯০০ সালের মধ্যে এর নির্মাণ। এই স্টেশনটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছিল বারো-হাজার টন ধাতব পদার্থ। আইফেল টাওয়ার তৈরিতেও এত ধাতব পদার্থ লাগেনি। তাই সেসময়ে স্থাপত্যশিল্পের একটি উজ্জ্বল নিদর্শন হিসেবে বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল গার ডি’অরসে স্টেশন-ভবনটি। প্রায় চল্লিশ বছর ধরে এটি ছিল প্যারিসের ব্যস্ততম রেলস্টেশন। ১৯৩৯ সাল নাগাদ শুরু হল বড় ট্রেনের ব্যবহার। ক্রমশ অকেজো হয়ে পড়ল এই রেললাইন। একসময় এই বিশাল স্টেশন-ভবনটি ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে সেসময়ের ফরাসি প্রেসিডেন্ট পম্পিদু এই ভবনকে এভাবেই রেখে দেয়ার পক্ষে মত দিলেন।

ম্যুজে ডি’অরসে

১৯৭৯ সালে নতুন আঙ্গিকে এই ভবনটির সংস্কার আর শ্রীবৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হল। ১৯৮৬-র নভেম্বরে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেরঁ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন ম্যুজে ডি’অরসে-র। বিখ্যাত বিদেশি শিল্পীদের কিছু শিল্পকর্ম থাকলেও এটি মূলত ১৮৪৮ থেকে ১৯১৫ সাল পর্যন্ত সময়ের ফরাসি শিল্পকলার শ্রেষ্ঠ সংগ্রহশালা।

ডি’অরসে রেস্টুরেন্ট

রাজপথ থেকে বেশ খানিকটা উঁচুতে অবস্থান ম্যুজে ডি’অরসের-র। চওড়া সিঁড়ি বেয়ে উঠে চত্বরে পা দিতেই অদ্ভুত রোমাঞ্চ! এখানেই তাহলে দেয়ালে দেয়ালে ঝুলছে মনে, দেগা, মানে, রেনোয়াঁ, সেজান, সুরাট, সিসলে, গগ্যাঁ, ভ্যান গখের মাস্টারপীস! ছবির বইয়ের পাতায় নয়। প্রিন্টে নয়। একেবারে চোখের সামনে আলো-ছায়া-রঙরূপ নিয়ে ধরা দেবে উজ্জ্বল কারনেশন, জীবন্ত সূর্যমুখী, ভোরের সূর্য ওঠা, তারা ঝিলমিল রাতের আকাশ, চাষীকন্যা, সভ্যতা থেকে অনেক দূরের তাহিতি দ্বীপভূমি। আগামী কয়েক ঘন্টা ইম্প্রেশনিজম থেকে পোস্ট ইম্প্রেশনিজমের আলোছায়াময় ক্যানভাসে, রঙের জাদুতে ডুবে যাওয়া। ব্রাশের অন্যরকম সূক্ষ্ম আঁচড়ে আর উজ্জ্বল থেকে নরম- মায়াবি রঙে রঙে মুগ্ধ হওয়া। ছবিতে ছবিতে খুঁজে নেওয়া আকাশের মুক্তি!



লেখক পরিচিতি - কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। এখন আমেরিকার স্যান অ্যান্টোনিওতে প্রবাস-জীবন। ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসে বিজ্ঞানী হিসেবে কর্মরত। লেখালেখি শুরু স্কুল ম্যাগাজিন থেকে। কলেজ জীবন থেকে রেডিওর প্রতি ভালোবাসা। আকাশবাণী কলকাতাতে রেডিও জকি প্রায় এক দশক। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লেখার পাশাপাশি বেড়ানো আর গান শোনায় কাটে ছুটির অবকাশ। মনের আনাচ-কানাচ থেকে কুড়িয়ে নেওয়া খেয়ালখুশির রঙচঙে টুকরো কাচের বর্ণময়তাকে অক্ষরে অক্ষরে ধরে রেখেছেন প্রথম বই ‘ঠিক যেন ক্যালেইডোস্কোপ’-এর পাতায়।

 

(আপনার মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)

অবসর-এর লেখাগুলোর ওপর পাঠকদের মন্তব্য অবসর নেট ব্লগ-এ প্রকাশিত হয়।

Copyright © 2014 Abasar.net. All rights reserved.



অবসর-এ প্রকাশিত পুরনো লেখাগুলি 'হরফ' সংস্করণে পাওয়া যাবে।